স্বয়ং ঈশ্বর পরমেশ্বর পরমানন্দ অবস্থান করছেন হরিদ্বারে ডাক্তারের বাড়িতে কুম্ভ মেলার সময়। গুরুজী বলেছেন হরিদ্বার মানে হরি অথবা হরের দ্বার , অর্থাৎ আজ্ঞাচক্র । পরম পবিত্র হরিদ্বারে– গুরুজীর কৃপা বশত – গুরুজীর সাথে একান্ত সান্নিধ্যে পেয়েছি এবং দিব্য আনন্দ উপভোগ করেছি ।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
... পরের দিন আশ্রমে টিফিন খেয়ে ঋষিকেশ দর্শন করতে গেলাম। এখানে এই প্রথম যাওয়া । রাস্তার দু দিকে প্রকৃতির(হিমালয়ের) অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ঋষিকেশে পৌঁছে গেলাম । ওখানে পৌঁছে স্বচ্ছসলিলা মা গঙ্গার ঠান্ডা এবং তীব্র স্রোতের জলে স্নান করে শরীর-মন শুদ্ধ ও পবিত্র হোলো । এই অধ্যাত্ম-ভূমির প্রকৃতিকে স্বপ্নময় মনে হচ্ছিলো। ওখানে রাম ঝুলা , লক্ষণ ঝুলা , গীতা ভবন ছাড়াও আরো অনেক আশ্রম এবং মন্দির দেখলাম । ঋষিকেশ ঘোরার সময় আমাদের সাথে দুজন হরিয়ানার ছেলে ছিল । ঋষিকেশের দর্শনীয় সব স্থান দেখা হয়ে যাবার পর– , ওরা আমাকে বলল – নীলকন্ঠ পাহাড়ে নীলকন্ঠ শিবকে দর্শন করতে যাবে ।
আমি প্রথমটায় একটু অমত করছিলাম ! কারণ স্থানটি কোথায় বা কতদূর — সেসব কিছুই জানিনা ! আজকে ফিরতে পারব কিনাতাও জানি না !! কিন্তু তারা বারবার বলায়_ শেষে রাজি হয়ে গেলাম !
পাহাড়ে উঠতে গেলে অবশ্যই একটা লাঠির দরকার হয়, যাতে support দিয়ে অনায়াসে পথ চলা যায় অথবা উপরে ওঠা যায় ! কিন্তু এখানে লাঠি কোথায় পাবো ? কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর একটা পাহাড়ি বাঁশঝাড় দেখতে পেলাম । ওই বাঁশঝাড় থেকেই আমরা উপযুক্ত লাঠি পেয়ে গেলাম ! এরপর আমরা চারজনে(সবসময় আমার সাথে আমার বন্ধুটিও ছিল) পাহাড়ে চড়তে শুরু করলাম । ঘুর পথের রাস্তা দিয়ে
না গিয়ে আমরা সোজা পাহাড়ে উঠতে লাগলাম। কিন্তু সোজা উঠতে গিয়ে দুবার গড়িয়ে পড়েও গিয়েছিলাম ! গুরুজীর কৃপায়– পাহাড়ের গায়ে গাছ ছিল , তা ধরে ফেলে বেঁচে গেছিলাম ।
একবার পাহাড়ের চূড়ার দিকে তাকাতে – আমার চোখের আইবল দুটি ভ্রু যুগল এর মাঝে এসে ছিল ! পাহাড়ি পথে কোন খাবার নেই । শুধু দু -একজন পকোরা বিক্রি করছিল ।
নীলকন্ঠ পৌঁছানোর রাস্তায় অর্ধেকটা মতো উঠেছি, পাহাড়ি পথে চলতে চলতে হঠাৎ বাঁদিকে দেখলাম একটা সরু রাস্তা নিচের দিকে নেমে গেছে । ঐ পথেই যাচ্ছে – এমন কয়েকজনকে দেখতে পেলাম । ফলে আমরাও ওই পথ ধরে কৌতুহলবশতঃ কিছুটা এগিয়ে গেলাম। সামান্য কিছুটা নামার পরই আমাদের চোখে পরলো একটা পাহাড়ী ঝরনা ! আহা--কি মনোরম সেই দৃশ্য ! পাহাড়ের গা বেয়ে শ্বেতশুভ্র অবিরাম জলধারা ! দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায় !! ভাবলাম-- একটু নেমে গেলেই তো জলও খাওয়া যাবে এবং স্নানটাও সেরে নেওয়া যাবে । নিচে নেমে ঝর্ণার কাছে গেলাম।
ঝর্ণার ধারে গিয়ে দেখলাম, সেখানে একটা বড় বাঁধানো চৌবাচ্চার মতো রয়েছে। ঝরনার জল ঐ চৌবাচ্চায় পড়ে ভর্তি হয়ে উপছে পড়ছে এবং সেই জল নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। চৌবাচ্চাটির পাশে পাঁচজন কালো কাপড় পরা সাধুকে দেখলাম , তারা ঐ স্থানে স্নান সেরে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল । সাধুদের মাথার চুলগুলি – মাথা থেকে পা পেরিয়ে মাটিতে ছড়িয়ে রয়েছে। মুখে হালকা দাড়ি গোঁফ দেখে মনে হচ্ছে বয়স মাত্র ২০- ২১ বছর হবে !
আমরাও ঐ চৌবাচ্চায় স্নান সেরে নিলাম। এরপর পাহাড়ের গা বেয়ে একটু উঠেছি , ডানদিকে দেখলাম – মাটির তলায় একটি গুহা ! গুহার ভিতরে গেলাম। গিয়ে দেখি ওখানে একজন মহাত্মা বসে আছেন। ওনাকে প্রণাম করার পর, ওখানেই একটু দাঁড়িয়ে রয়েছি___এমনসময় একজন ব্যক্তি এসে আমাদেরকে বললেন__ "আমার সাথে আসুন !" ফলে আমরা ওনার আহ্বানে গুহার বাইরে এলাম ! একটু আগিয়ে গিয়ে মাটিতে বসে ভাত ডাল তরকারি পেটভড়ে খেলাম।
পাহাড়ের এত উপরে , ঘন জঙ্গলের ভিতরে, এইভাবে দুপুরের পেট ভরা খাবার পাবো – এটা একবারেই অবিশ্বাস্য !
করুণাময় গুরুজীর করুণা প্রতি পদে পদে অনুভব করছিলাম। এই বিশ্বাস সুদৃঢ় হচ্ছিলো যে, অতি অবশ্যই গুরুজী– সুক্ষে আমাদের সাথে সাথেই আছেন !
পাহাড়ের চড়াই-এ উঠতে উঠতে একসময় ঠিকই পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পৌছালাম ! ভাবলাম যাক্ তাহলে এসে গেছি--- কিন্তু ওইটি নীলকন্ঠ মহাদেবের স্থান ছিল না ! নতুন উদ্যমে ওই পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে পরবর্তী চূড়ায় উঠে এবং সেখান থেকে আবার কিছুটা নেমে "নীলকন্ঠ শিব"-এর মন্দিরে পৌঁছালাম ।
এতো কষ্টের পর নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছানোয় – অন্তরে শান্তি অনুভব করলাম। এরপর ভগবান নীলকন্ঠ শিবলিঙ্গকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করলাম এবং কিছুক্ষন ওখানে শিবের সম্মুখে বসে ধ্যান করলাম । আবার পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পেড়িয়ে বেলা তিনটার সময় নিচে নেমে পুনরায় ঋষিকেশে ফিরে এসে পৌঁছেছিলাম।
নীলকন্ঠ মহাদেবের কাছে পৌঁছানোর রাস্তাটা খুবই দুর্গম, তবু আমরা যেন ছুটে ছুটে গেছিলাম এবং ছুটে ছুটে নেমেছিলাম ! তাই এতো তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পেরেছিলাম । কারণ আমরা পরে জেনেছিলাম যে, অধিকাংশ লোকের ঐ পথে যাতায়াত করতে দুদিন লাগে । এরপর ঋষিকেশ থেকে বাসে করে আমরা সন্ধ্যাতেই হরিদ্বারে আশ্রমে এসে পৌঁছেছিলাম ।
রাত্রিতে আশ্রমের মোহান্ত মহারাজকে বলা বললাম_"আমরা আগামীকাল চলে যাবো , আমরা কতো টাকা দেবো !" উনি বললেন – " তোমাদেরকে কোনো টাকাই দিতে হবে না । তোমাদেরকে আমি 'প্রেমসে' রেখেছি।" এটা শুনে আমরা বললাম__"কিন্তু আমরা জানি যে, আশ্রমে বিনা পয়সায় খেতে নেই, তাই উনাকে বারবার অনুরোধ করলাম !" আমাদের অনুরোধে শেষে উনি বললেন _" তাহলে, খুব অল্প কিছু ঐ দান পাত্রে দাও !" তারপর উনি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন – "এরপর কোথায় যাবে?" আমরা বললাম – "ফিরবার সময় বৃন্দাবন-মথুরা দেখে যাবো!" এটা শুনেই উনি একটা চিঠি লিখে দিয়ে বললেন – "বৃন্দাবনে আমাদের আশ্রমের ঠিকানা লিখে দিলাম । ওখানে গিয়ে চিঠি দেখালে আশ্রমে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে । যতদিন খুশি থাকবে।" আমরা উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং উনাকে প্রণাম চলে এলাম।।
রাত্রি আটটার পরে আমরা হরিদ্বার রেলওয়ে ডাক্তার কোয়ার্টারে গুরুজীর কাছে গেলাম । গুরুজীকে বৃন্দাবন মথুরা যাওয়ার কথা বলাতে উনি বললেন – "তোদের ওখানে যেতে হবে না । তোরা দিল্লিতে ত্যাগীজীর বাড়িতে যা । আমি একটা চিঠি লিখে দিচ্ছি – তোরা দিল্লিতে পৌঁছানোর পরের দিনে, আমিও ত্যাগীজীর বাড়ি যাবো।"
আমরা গুরুজীর কাছে চিঠি নিয়ে, গুরুজীকে প্রণাম করে, রাত্রিতে পূর্বের আশ্রমের তাঁবুতে ফিরে এলাম । পরের দিন বিকালে আমরা দিল্লি যাবার ট্রেনের চেপে দিল্লি রওনা হলাম ।
|| * পরমা|| * পরমানন্দ কথা – ১২ * ||
~~~~~~~
[১৯৮৬-সালে কুম্ভমেলায় ঘোরার সময় কোটি মানুষের ভিড়ের মধ্যে পরম প্রেমময় , আনন্দময় গুরুজী – কৃপা করে দর্শন দিয়েছেন এবং কয়েক দিন ধরে গুরুজী সঙ্গ সুধা লাভ হয়েছে । আমাদের বৃন্দাবন-মথুরা যাবার কথা থাকলেও গুরুজীর নির্দেশে– আমরা দিল্লির পথে পাড়ি দিলাম।]
( পূর্বের প্রকাশিতর পর)
পরের দিন এগারোটার সময় দিল্লি পৌঁছালাম। দিল্লি স্টেশন থেকে অটো করে শাকারপুরে ত্যাগীজীর বাড়ি পৌঁছালাম । দরজায় কলিং বেল টিপে কোনো সাড়া না পাওয়ায়, প্রথমটায় একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । ভুল জায়গায় এলাম না তো ? যদি দরজা না খোলে – তাহলে যাবো কোথায় ? অবশেষে কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার আওয়াজ পেতে - মনে স্বস্তি পেলাম । দরজা খুলে গৃহস্বামী আমাদের দিকে তাকাতেই, আমি তাঁকে বললাম– "হরিদ্বার কুম্ভমেলা থেকে আসছি, গুরুজী আমাদের পাঠিয়েছেন।" একথা শোনামাত্রই উনি– " আরে আসুন- আসুন!" বলে দুই হাত নিচু করে সামনের দিকে ঝুঁকে একতলার দরজার কাছ থেকে দু-তলার একটা ঘরের সোফায় নিয়ে গিয়ে বসালেন ।
ছোটোবেলায় যাত্রাপালাতে দেখেছিলাম_ রাজাকে যেমন অমাত্যবর্গ বা ভৃত্যরা যেভাবে সম্মান দেখিয়ে নিয়ে যায় – ঠিক সেইভাবে উনি আমাদের নিয়ে গিয়ে সোফাতে বসালেন !
একজন বয়স্ক এবং সম্মানীয় মানুষের এইরূপ আত্যন্তিক বিনয় প্রকাশে আমরা খুব ই লজ্জিত হচ্ছিলাম ।
এরপর শুরু হলো পরিচয় পর্ব ! গুরু মহারাজের সন্তান এটা তো উনি বুঝেই ফেলেছিলেন, তারপর 'কামারপুকুরে আমাদের বাড়ি'-- এই পরিচয় জানতে পেরে__উনি আমার বন্ধু দিলীপ(যে সোফার সামনের দিকে বসে ছিল)-এর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন । এরপরে আমার দিকেও ওনাকে আগিয়ে আসতে দেখে — আমি সাথে সাথে সোফা থেকে উঠে ওনার হাত দুটো ধরে নিয়ে ওনাকে নিরস্ত করেছিলাম ।
প্রাথমিক পরিচয় পর্ব ও কুশল বিনিময় শেষ হোতেই, আমি গুরুজীর লেখা চিঠিটা ওনার হাতে দিয়েছিলাম ! দেখলাম সেটি হাতে পাওয়া মাত্রই ত্যাগীজী আগে একবার খামটি মাথায় ঠকিয়ে নিলেন _তারপর পাঠ করলেন।
একজন মহাপন্ডিত ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও_ ত্যাগীজীর ন্যায় এইরকম স্বাত্তিক , সহজ-সরল , শ্রদ্ধাবান , বিনয়ী ভক্ত-মানুষ খুবই কম দেখা যায়। ত্যাগীজীর ছেলে শৈলেন (বাবলু) কাছেই শুনেছিলাম —গুরুজী ত্যাগীজীর বাড়িতে ১৯৭৮ সালে প্রথম এসেছিলেন । তারপর থেকে গুরুজী দিল্লি এলেই – ত্যাগীজীর বাড়িতে একবার আসতেনই ! এই বাড়িতে গুরুজী বহুবার অবস্থান করেছেন ।
পরের দিন সন্ধ্যার আগে গুরুজী – ত্যাগীজীর বাড়িতে এলেন । ঐদিন রাত্রি আটটার সময় গুরুজীর অন্য এক ভক্তের আমন্ত্রণে গুরুজীর সাথে আমি আর দিলীপ তাঁর বাড়িতে খেতে গেলাম। রুটি , আচার আর একটা আঙ্গুলের ডগায় যতটুকু ওঠে, ততটুকু আলুর তরকারি এবং তার সঙ্গে ছোট্ট এক চামচ টক দই এক গ্লাস জলে গুললে যেমনটা হয়_তেমন দই ! যিনি নিমন্ত্রন করেছিলেন, উনি নিজেও আমাদের সাথেই অতীব আনন্দচিত্তে, অত্যন্ত খুশি মনে খাচ্ছিলেন। কিন্তু গুরুজীর মতো মানুষকে নিমন্ত্রণ করে এইরকম নিম্নমানের খাবার খেতে দেওয়ায় আমি ঠিক ততটাই কষ্ট পাচ্ছিলাম ! আর সত্যিটা হলো এই যে – এই ধরনের খাবার খাওয়া আমাদের মতো বাঙালিদের কাছে খুবই কষ্টের !
কোনরকমে সেই ভক্তের বাড়ির খাবার খেয়ে, তাকে বিদায় জানিয়ে ত্যাগীজীর বাড়িতে যখন ফিরলাম । তখন দেখলাম ত্যাগীজীর ঘরভর্তি দিল্লি্র সব ভক্তরা উপস্থিত হয়ে গেছে। ঘরের ভিতরে একটি খাট পাতা ছিল__ গুরুজী সেই খাটে বসলেন , আমরা খাটের নিচে বসলাম। উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে খাটে গুরুজীর পাশে বসার জন্য অনুরোধ করতে লাগল__ আমি কিন্তু খাটের নিচেই বসে রইলাম ! আমার অস্বস্তি এড়াতে গুরুজী ওনাদেরকে বললেন –"এটাই ভারতীয় পরম্পরা , গুরুর সমানে শিষ্যরা কখনোই বসবে না ।আর মৃণাল এটাই করছে।" উপস্থিত ভক্তরা, যারা মেঝেতে বসলেন, গুরুজী কিছুক্ষণ তাদের সবার সাথে কুশল বিনিময় করলেন। তারপর ভক্তদের জিজ্ঞাসা অনুসারী গুরুজী অনেকক্ষণ ধরে আধ্যাত্মিক আলোচনা করতে শুরু করে দিলেন। এইভাবে অনেকটা রাত্রি হয়ে গেলে উপস্থিত ভক্তরা সব
একে একে নিজের নিজের বাড়ি চলে গেলেন ।
ঐ রুমের মধ্যে খাটের উপর গুরুজীর বিছানা হলো , মেঝেতে আমার আর দিলীপের বিছানা হলো । রাত্রিতে গুরুজীর সাথে একই ঘরে ঘুমালাম । পরমপ্রেমময় গুরুজী কৃপা করে সুযোগ করে না দিলে– এরকম অতীব সুখকর স্মৃতি জীবনে পেতাম না ! হয়তো আমার মতো আরো কোনো কোন ভক্ত গুরুজীর কৃপায় — এইরকম সুযোগ পেয়েছে ।
গুরুজী আগের রাতেই আমাকে বলেছিলেন – "সকালে আমি অন্য জায়গায় চলে যাব"। আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি – গুরুজী চলে গেছেন। সেদিন আর আমাদের সাথে গুরুজীর দেখাই হলো না ।
আমি আর দিলীপ আরো দু-চার দিন ওখানে থেকে গিয়েছিলাম। ত্যাগীজীর ছেলে শৈলেন (বাবলু)আমাদেরকে কয়েকদিন ধরে দিল্লির দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখিয়েছিল । একদিন ট্রাভেলার বাসে করে আমরা মথুরা-বৃন্দাবন-তাজমহল ঘুরলাম । ইতিমধ্যেই আমরা ফেরার confirm রিজার্ভেশন টিকিট পেয়ে যাওয়ায় পর কামারপুকুরে- অনেক সুখকর আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে — ফিরে এলাম । স্বয়ং পরমেশ্বর গুরুজী কে এত আপন করে পাওয়ার আনন্দ সারা জীবনের সুখ স্মৃতি হয়ে থাকবে !!
্দ সারা জীবনের সুখ স্মৃতি হয়ে থাকবে !!
! (ক্রমশঃ)