গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দের গুরু স্বামী বাউলানন্দ! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে_স্বামী বাউলানন্দ কি উঁচু মানের মহাপুরুষ ছিলেন! মহাজ্ঞানী এই মহাপুরুষের আলোচনাগুলি একবার পড়ে কিছুই বোঝা যাবে না_বারবার পড়ে_ তবে মানে বুঝতে হবে। ওনার লেখা ভালো ভাবে বুঝতে পারলেই ধ্যান হয়ে যাবে এবং বহু অজানা তথ্য জানতে পারা যাবে,আধ্যাত্মিক জগতের অনেক অজানা রহস্যের উন্মোচন ঘটবে। আমাদের এই প্রয়াসের রূপকার আনন্দে(ধাত্রিগ্রাম)-র‌ও এমনটাই ঘটেছে।
যাইহোক, স্বামী বাউলানন্দ সম্বন্ধে গুরুমহারাজের কাছে যা শুনেছিলাম_তাও একটু একটু করে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বামী বাউলানন্দ পেরেন্টাপল্লীতে গিয়ে গোদাবরীর তীরে পপি হিলস-এর জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে চিঞ্চি উপজাতিদের মধ্যে বাস করতে শুরু করলেন। ঐরকম দূর্গম স্থানে ঐ উপজাতিরা সামাজিক সুযোগ-সুবিধা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত ছিল। স্বামী বাউলানন্দ এই উপজাতির লোকেদের উন্নতির জন্য কাজে নেমে পড়লেন।।(ক্রমশঃ)

[ পূর্ব সংখ্যায় স্বামী বাউলানন্দজী আলোচনা করেছিলেন সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী মানুষের কাজকরার অক্ষমতার জন্যই মানুষের এত দুঃখ। তিনি এই অক্ষমতার কারণও দর্শিয়েছেন : সূক্ষ্ম শক্তি পরিমাণে বেশী থাকুক বা নাই থাকুক, সূক্ষ্ম শক্তির গুণগত অপটুতাই এই অক্ষমতার কারণ। ]
জিজ্ঞাসা :– মানুষ যদি সূক্ষ্ম শক্তির গুণগত পটুতা পায় তাহলে কি সে মানবোচিত কাজ করতে সক্ষম হবে ?
মীমাংসা :– হ্যাঁ। এই শক্তি মানুষকে তার সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী মানবোচিত কাজ করতে সক্ষম করে।
জিজ্ঞাসা :– কি করে মানুষ এই সাধারণ জ্ঞান পাবে ?
মীমাংসা :– কাণ্ডজ্ঞান থাকলেই তা পাবে।
জিজ্ঞাসা :– কাণ্ডজ্ঞান কি ?
মীমাংসা :– কাণ্ডজ্ঞানও হল শক্তি।
জিজ্ঞাসা :– পুনঃ সৃজন চেতনার অভ্যন্তরে যে পুনঃ সৃজন শক্তির সঞ্চলন হয় সেই সঞ্চলন দ্বারা পুন: সৃজন চেতনা কাজ করে। পুনঃ সৃজন শক্তি রূপান্তরিত হয়ে সৃজন শক্তিতে পরিণত হয়। এই সৃজন শক্তির সঞ্চলনের দ্বারা সৃজন চেতনা কাজ করতে সক্ষম হয়। আমাদের এই ধারণা কি ঠিক?
মীমাংসা :– হ্যাঁ, ঠিক।
জিজ্ঞাসা :– তাহলে কোন শক্তি কাণ্ডজ্ঞানকে কাজ করতে সক্ষম করে ?
মীমাংসা :– কাণ্ডজ্ঞান সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথম এর ধারণা সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠে । তারপর একে কর্মক্ষম করার প্রশ্ন ওঠে ।
জিজ্ঞাসা :– কোন্ শক্তি একে ধারণ করে ?
মীমাংসা :– মানুষের শরীর বিশেষ শক্তিসম্পন্ন । অমানবিক শক্তি থেকে এই শক্তি সম্পূর্ণ আলাদা। মানবের কাজের ধরন অমানবিক কাজের ধরন হতে মূলতঃ পৃথক – এই যে জ্ঞান একে সাধারণ জ্ঞান বলে। এই সাধারণ জ্ঞানই কাণ্ডজ্ঞানকে ধারণ করে। এই জ্ঞান কাণ্ডজ্ঞানে অন্তর্নিহিত। ভাব প্রকাশ করা এবং বােঝার সুবিধার জন্য এখন থেকে এই সাধারণ জ্ঞানকে কাণ্ডজ্ঞান বা মানবের আদর্শ চেতনা বলা হবে।
জিজ্ঞাসা :– কোন্ শক্তি পুনঃ সৃজন চেতনা এবং সৃজন চেতনাকে ধারণ করে –এই জ্ঞান ব্যতীতই আমরা জানলাম কোন শক্তি তাদেরকে কাজ করতে সক্ষম করে। এখন আমরা জানতে চাই কোন্ শক্তি এগুলিকেও ধারণ করে ?
মীমাংসা :– মানব যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন তার শরীরে স্ব স্ব শক্তি নিয়ে পুনঃ সৃজন চেতনা এবং সৃজন চেতনা অবস্থান করে ৷ পুনঃ সৃজন চেতনা যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি এবং সৃজন চেতনা অপর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি নিয়ে অবস্থান করছিল। গুণগত পটুতা সেগুলিতে থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মা যে খাবার খায় সেই খাবার হতে শক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ঐ চেতনাগুলিতে অন্তর্নিহিত যে শক্তি, সেই শক্তি ঐ চেতনাগুলিকে ধারণ করে।
জিজ্ঞাসা :– মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মানবের পুন: সৃজন চেতনার মধ্যে যে শক্তি থাকে সেই শক্তি মায়ের ভূক্ত খাবার হাতে উৎপন্ন শক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়। এই অবস্থায় শক্তি এবং চেতনাগুলি সৃজন শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে না। তথাপি, চেতনাগুলিতে সৃজন শক্তি ছিল, যদিও পরিমাণে কম। এটা কি করে হয় ?
মীমাংসা :– যদিও জগতে মানব শরীর নতুন, তথাপি যে ব্যক্তিসত্তাগুলি ঐ শরীর ধারণ করেছে তাদের কাছে জগৎ নতুন নয়। ঐ ব্যক্তি সত্তাগুলি বহুবার একের পর এক বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য অমানবীয় শরীর ধারণ করেছিল এবং উদ্ভিদ ও অমানবীয় সত্তারূপে জগতে অবস্থান করেছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে মানবীয় শরীর ধারণ করে মানবরূপে একবার বা বহুবার জগতে অবস্থান করেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার জগতে এই প্রথমবার মানবরূপে অবস্থান করছে।
অমানবীয় ব্যক্তি সত্তার শরীরেও পুনঃ সৃজন চেতনা এবং সৃজন চেতনা তাদের স্ব স্ব শক্তি নিয়ে অবস্থান করে। ব্যক্তি অহং ঐ শরীরের মৃত্যুর ঠিকপূর্বে ঐ শরীরের পুনঃ সৃজন চেতনা এবং সৃজন চেতনার মধ্যে যে শক্তি থাকে তা গ্রাস করে। এর ফলে, শরীরের সঙ্গে উভয় চেতনারই মৃত্যু ঘটে। ব্যক্তি অহং, ব্যক্তি বিশ্ব-অহং এর সঙ্গে মিশে এক হয়ে যায় কিন্তু নিজ সত্তা হারায় না। আপাত দৃষ্টিতে ব্যক্তি অহং, ব্যক্তি সত্তার সঙ্গে মিশে গেলে ও (শরীরের) মৃত্যুর পরেও তা ব্যক্তি সত্তার সঙ্গে অবস্থান করে এবং তার সঙ্গে পুনঃ সৃজন এবং সৃজন শক্তি অবস্থান করে। পূর্ব পূর্ব শরীর থেকে ব্যক্তি অহং যে পুনঃ সৃজন এবং সৃজন শক্তি গ্রাস করেছিল তা তার মধ্যেই নিহিত থাকে। এই হল ব্যক্তি সত্তার অশরীরী অবস্থা। এই অবস্থায় ব্যক্তি সত্তা, ব্যক্তি অহং-এর সঙ্গে অবস্থান করে ব্যক্তি সত্তা, ব্যক্তি অহং-এর সঙ্গে আবার শরীর ধারণ করে। পুনরায় একই সঙ্গে (মাতৃগর্ভে) শরীর ধারণ করায় পুনঃ সৃজন শক্তি এবং সৃজন শক্তি, চেতনা (পুনঃ সৃজন এবং সৃজন চেতনা)-র মধ্যে চালিত হয়। তারপর তার মায়ের ভুক্ত খাবার থেকে উৎপন্ন শক্তি হতে কেবলমাত্র পুনঃ সৃজন শক্তি লাভ করে । এইরূপে উৎপন্ন শক্তি পুনঃ সৃজন চেতনার মধ্যে যে ধারণ শক্তি নিহিত থাকে সেই শক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়।
জিজ্ঞাসা :– এখন আমরা মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসছি। ব্যক্তি অহং কি ?
মীমাংসা :– ব্যক্তি সত্তার শরীরের মধ্যে যে চেতনাগুলি থাকে ব্যক্তি অহং হল সেগুলির প্রেরণাদাতা।
জিজ্ঞাসা :– এই ব্যক্তি অহং কি করে এল ?
মীমাংসা :– অশরীরী সত্তার প্রবণতার ফলস্বরূপ তারা প্রথমে শরীর ধারণ করে। শরীর ধারণের পর তাদের মধ্যে সুখী হবার প্রবণতা দেখা যায় । এই প্রথম প্রবণতার দ্বারাই তাদের মধ্যে ব্যক্তি অহং-এর সৃষ্টি হয়। এইভাবে তারা মানবে পরিণত হয় ৷
জিজ্ঞাসা :– প্রথম শরীর ধারণের সঙ্গে সঙ্গে সত্তাগুলি সুখী হতে চায় কেন ?
মীমাংসা :– ব্যষ্টি থেকে সমষ্টিতে যাওয়ার জন্য ।
জিজ্ঞাসা :– ব্যক্তি অহং কোথায় থাকে ?
মীমাংসা :– তারা ব্যক্তি বিশ্ব-অহং-এর সঙ্গে থাকে এবং সত্তাগুলির (ব্যক্তি বিশ্বমন এবং ব্যক্তি বিশ্ব-অহং এর সমবেত সত্তা) স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে তারা ব্যক্তি বিশ্ব-অহং-এর সঙ্গে এক হয়ে যায়।
জিজ্ঞাসা :– ব্যক্তি বিশ্ব-অহং কি ?
মীমাংসা :– ব্যক্তি বিশ্ব-অহং ব্যক্তি বিশ্বমনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ব্যক্তি সত্তায় পরিণত হয়।
জিজ্ঞাসা :– তাহলে ব্যক্তি সত্তা বলতে বুঝায় ব্যক্তি বিশ্বমন এবং ব্যক্তি বিশ্ব-অহং-এর সমম্বয়। তাই
মীমাংসা :– ঠিক তাই ?
জিজ্ঞাসা :– ব্যক্তি বিশ্বমন কি ?
মীমাংসা :– ইহা বিশ্বমন-এর প্রকাশ।
জিজ্ঞাসা :– ব্যক্তি বিশ্ব-অহং কিভাবে এল ?
মীমাংসা :– বিশ্বমন যেভাবে ব্যক্তি মনে প্রকাশিত হয়েছে ঠিক সেই ভাবে ব্যক্তি বিশ্ব-অহং প্রকাশিত(!) হয়েছে। এবং একই পদ্ধতিতে ব্যক্তিমনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
জিজ্ঞাসা :– বিশ্বমন কি ?
মীমাংসা :– বিশ্বমন হল সর্বেসর্বা-র (ঈশ্বর) প্রকাশ ।
জিজ্ঞাসা :– বিশ্ব-অহং কি ?
মীমাংসা :– যেমন ভাবে ঈশ্বর বিশ্বমনরূপে প্রকাশিত হয়েছেন বিশ্ব-অহংও ঠিক সেইভাবে ক্রিয়াশীল হয়েছে।
জিজ্ঞাসা :– সর্বেসর্বা ‘ঈশ্বর’ কি ?
মীমাংসা :– প্রেম, জ্ঞান, শক্তি, এগুলি সম্বন্ধে অবগতি এবং আত্মজ্ঞান—এসবের সমষ্টি হল ঈশ্বর।
জিজ্ঞাসা :– তাহলে ঈশ্বর বিশ্বমনরূপে প্রকাশিত হলেন এবং এইভাবে বিশ্ব-অহং ক্রিয়াশীল হল। এইভাবে বিশ্বমন এবং বিশ্ব-অহং সৃষ্ট হয়ে একত্রিত হল। তারপর বিশ্ব সত্তার সৃষ্টি হল অর্থাৎ বিশ্বমন বিশ্ব সত্তায় প্রকাশিত হল। এরপর বিশ্ব সত্তা প্রকাশিত হল ব্যক্তি সত্তা রূপে। এইরূপে বিশ্ব সত্তার বিশ্ব-অহং ভাব এবং বিশ্বমন ভাব, ব্যক্তি অহং এবং ব্যক্তিমন রূপে প্রকাশিত হল। ব্যক্তিমন এবং (!)বিশ্ব-অহং-এর সমন্বয়ে প্রকাশিত হল ব্যক্তি সত্তা। তাই তো ?
মীমাংসা :– ঠিক তাই।
জিজ্ঞাসা :– বিশ্ব-অহং-এর গঠন কি করে হল ?
মীমাংসা :– ইহা মৌলিক উপদান ।
জিজ্ঞাসা :– মৌলিক উপাদান কি ?
মীমাংসা :– পঞ্চভূতের অধিষ্ঠান।
জিজ্ঞাসা :– এই মৌলিক উপাদান কেমনভাবে কাজ করে ?
মীমাংসা :– ইহা বস্তুকে (শরীরকেও) নিজ নিজ নাম-রূপ বজায় রেখে অন্য বস্তুতে (অন্য শরীরে ) রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে।
জিজ্ঞাসা :– পঞ্চভূত কি কি ?
মীমাংসা :– ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এবং ব্যোম।
জিজ্ঞাসা :– বিশ্বমনের গঠন কেমন করে হল ?
মীমাংসা :– ঈশ্বর যেমন প্রেম, জ্ঞান, শক্তি, এগুলি সম্বন্ধে অবগতি এবং আত্মজ্ঞান –এ সবের সমষ্টি, ঠিক তেমনি বিশ্বমনও এ সবের সমষ্টি।
জিজ্ঞাসা :– তাহলে এগুলি বিশ্বমনও সৃষ্টি করে। তাই তো ?
মীমাংসা :– ঠিক তাই
জিজ্ঞাসা :– ঈশ্বর এবং বিশ্বমনের কোন পার্থক্য আছে ?
মীমাংসা :– আছে ।
জিজ্ঞাসা :– কি পার্থক্য ?
মীমাংসা :– বিশ্বমনের অস্তিত্ব ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে। কিন্তু ঈশ্বর স্বয়ং সম্পূর্ণ এবং স্বয়ম্ভূ । যা প্রকাশিত হয় তার অনপ্রকাশ আছে। সুতরাং বিশ্বমন নিত্য, কিন্তু ঈশ্বর স্বয়ং নিত্যতা। বিশ্বমন চিরন্তন, কিন্তু চিরন্তনতা নিজেই ঈশ্বর ।
জিজ্ঞাসা :– ঈশ্বর হতে ‘নিত্য’ বাদ দিলে থাকে বিশ্বমন। বিশ্বমন এবং বিশ্ব-অহং একত্রে হয় বিশ্ব সত্তা। তাই তাে ?
মীমাংসা :– ঠিক তাই ।
জিজ্ঞাসা :– কি দিয়ে ব্যক্তিমন গঠিত হয়?
মীমাংসা :– ব্যক্তিমনও প্রেম, জ্ঞান, শক্তি, এগুলি সম্বন্ধে অবগতি এবং আত্মজ্ঞান নিয়ে গঠিত।
জিজ্ঞাসা :– তাহলে বিশ্বমন এবং ব্যক্তিমনের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?
মীমাংসা :– ব্যক্তিমনের উপাদানগুলি অখণ্ড নয়। সুতরাং ব্যক্তিমন শর্ত সাপেক্ষ। এর কেবলমাত্র চিরস্থায়িত্ব আছে। এখানেই পার্থক্য।
জিজ্ঞাসা :– নিত্য এবং চিরস্থায়ীর মধ্যে প্রভেদ কি ?
মীমাংসা :– ‘নিত্য’ বা ‘চিরন্তন’ শর্তাধীন নয়। ‘চিরস্থায়ী’ শর্ত সাপেক্ষ I স্বয়ং ‘নিত্য’ বা ‘শাশ্বত’ ঈশ্বরের সঙ্গে একীভূত হয়ে এক বিশেষ অবস্থায় বিশ্বমন তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলার পর আর জগৎ থাকে না। চিরস্থায়ী ব্যক্তিমন দুই ভিন্ন অবস্থায় তার অস্তিত্ব হারায়–(১) একক ভাবে বিশ্বমনের সঙ্গে লীন হয়। (২)সামগ্রিকভাবে সর্বেসর্বায় লীন হয়। প্রথম ধারায় ব্যক্তিমন, বিশ্বমনে লীন হয় কিন্তু জগতের অস্তিত্ব লোপ হয় না। দ্বিতীয় ধারায় ব্যক্তিমন সর্বেসর্বায় লীন হলে জগতের অস্তিত্ব লোপ পায়। … [ক্রমশঃ]