(অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ইত্যাদি চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়া, অন্যান্য পরম্পরাগতভাবে প্রাপ্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গুরু মহারাজ আলোচনা করছিলেন। আজ তার পরবর্তী অংশ)
……. এবার তোমরা বলতে পারো যে, ওরা(পরম্পরাগত ভাবে প্রাপ্ত চিকিৎসকরা) কি একশোভাগ ক্ষেত্রেই successful ? আমি উত্তরে বলব_” নিশ্চয়ই না!” কিন্তু আমি যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি যে, “এই ব্যাপারে(ভাঙা হাড় জোড়ার ব্যাপারে )অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকরাও কি 100 ভাগ successful” ? তাহলে তোমরা কি উত্তর দেবে ? নিশ্চয়ই বলবে “না, তা নয় !” __তাই না ?
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো ? তোমরা বলো__ উত্তর দাও ! উত্তর দিতে পারবে কি, পারবে না !
তবে, আমি এমন ঘটনাও দেখেছি জানো__ গ্রামের মানুষ স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসা করার পর ব্যান্ডেজ বেঁধে এসেছে__ কিন্তু এমন পা-ভাঙ্গা বা হাত-ভাঙ্গা রোগীর হাড় ঠিকমতো জোড়া লাগেনি ! প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে তারপর সেই patient, ওই ধরনের কোনো আদিবাসী বা হেকিমী চিকিৎসকের কাছে গেছে এবং সে পুনরায় ভাঙা হাড়টা set করে _রোগীকে ঠিক করে দিয়েছে ! তাহলে কি বলবে বলো? এই সব পদ্ধতিগুলো কি চিকিৎসা পদ্ধতি নয় ?
এইভাবে, ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত রকমের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে_ বাবা ! সবার পক্ষে সবটা জানা কি সম্ভব ? গভীর জঙ্গলে থাকে, এমন বহু আফ্রিকান উপজাতিদের মধ্যে এমন এমন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, তার ব্যবহারিক প্রয়োগের কৌশলের কথা শুনলে হয়তো তোমরা চমকে উঠবে ! এখন আবার অতি সম্প্রতি ইউরোপ, আমেরিকা ইত্যাদি বিভিন্ন মহাদেশের উন্নত দেশগুলি থেকে নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়ে এদেশে আসছে ! সেগুলোরও নিশ্চয়ই কার্যকারিতা রয়েছে_, নাহলে চলছে কেন ? আমাদের দেশেই চলছে যেমন –naturo-therapy, hydro-therapy, রেইকি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু! যদিও এখনও এগুলো এক্সপেরিমেন্টের স্তরে রয়েছে, তবু কেউ কেউ উপকারও পাচ্ছে।
তবে দ্যাখো, আমি বলবো ভারতীয় ঋষিদের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যেভাবে রোগীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক state বা অবস্থা বিচার করা হয়েছে এবং পৃথক পৃথক রোগীর জন্য পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুত করা ঔষধের ব্যবহার ও পৃথক পৃথক অনুপাত, পৃথক পৃথক সময় ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে । এতোটা scientific এবং মানবকল্যাণমুখী গবেষণা আর কোথাও হয়নি। আয়ুর্বেদাচার্য চরক, সুশ্রুত এবং পরবর্তীতে ধন্বন্তরি, তাছাড়াও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীগণের মধ্যে জীবক সহ অনেকে ঔষধের প্রয়োগ ছাড়াও শল্যবিদ্যা(surgery) এবং শলাকাবিদ্যা(acupuncture)-কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন । তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শল্যবিদ্যার প্রয়োগের সময়, এক একটা পৃথক ঋতুকে প্রাধান্য বা মর্যাদা দিতেন। যেমন ওনারা চোখের ছানি অপারেশন করতেন একমাত্র শরৎকালে, অন্য কোনো সময়ে নয় !
যাইহোক তোমার জিজ্ঞাসা উত্তর দিতে গিয়ে নানান আলোচনা হয়ে গেল ! তবে, তোমরা বর্তমানের মানুষ _বর্তমানে যে চিকিৎসা বিজ্ঞান সবচাইতে অধিক ফলপ্রসূ, তোমরা সেই চিকিৎসা পদ্ধতিই গ্রহণ করবে ! অন্য কিছু গ্রহণ করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনো না ! কারণ প্রাচীন পরম্পরা গুলি উপযুক্ত আচার্যের অভাবে এখন আর সেই পূর্বের জায়গায় নেই। অপেক্ষাকৃতভাবে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বিশেষতঃ শল্যবিদ্যার ক্ষেত্রে নানারকম নিত্য নতুন গবেষণা করে অনেক ভালো ভালো চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে, যা মানুষের পক্ষে যথেষ্টই মঙ্গলজনক।৷
……. এবার তোমরা বলতে পারো যে, ওরা(পরম্পরাগত ভাবে প্রাপ্ত চিকিৎসকরা) কি একশোভাগ ক্ষেত্রেই successful ? আমি উত্তরে বলব_” নিশ্চয়ই না!” কিন্তু আমি যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি যে, “এই ব্যাপারে(ভাঙা হাড় জোড়ার ব্যাপারে )অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকরাও কি 100 ভাগ successful” ? তাহলে তোমরা কি উত্তর দেবে ? নিশ্চয়ই বলবে “না, তা নয় !” __তাই না ?
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো ? তোমরা বলো__ উত্তর দাও ! উত্তর দিতে পারবে কি, পারবে না !
তবে, আমি এমন ঘটনাও দেখেছি জানো__ গ্রামের মানুষ স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসা করার পর ব্যান্ডেজ বেঁধে এসেছে__ কিন্তু এমন পা-ভাঙ্গা বা হাত-ভাঙ্গা রোগীর হাড় ঠিকমতো জোড়া লাগেনি ! প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে তারপর সেই patient, ওই ধরনের কোনো আদিবাসী বা হেকিমী চিকিৎসকের কাছে গেছে এবং সে পুনরায় ভাঙা হাড়টা set করে _রোগীকে ঠিক করে দিয়েছে ! তাহলে কি বলবে বলো? এই সব পদ্ধতিগুলো কি চিকিৎসা পদ্ধতি নয় ?
এইভাবে, ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত রকমের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে_ বাবা ! সবার পক্ষে সবটা জানা কি সম্ভব ? গভীর জঙ্গলে থাকে, এমন বহু আফ্রিকান উপজাতিদের মধ্যে এমন এমন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, তার ব্যবহারিক প্রয়োগের কৌশলের কথা শুনলে হয়তো তোমরা চমকে উঠবে ! এখন আবার অতি সম্প্রতি ইউরোপ, আমেরিকা ইত্যাদি বিভিন্ন মহাদেশের উন্নত দেশগুলি থেকে নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়ে এদেশে আসছে ! সেগুলোরও নিশ্চয়ই কার্যকারিতা রয়েছে_, নাহলে চলছে কেন ? আমাদের দেশেই চলছে যেমন –naturo-therapy, hydro-therapy, রেইকি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু! যদিও এখনও এগুলো এক্সপেরিমেন্টের স্তরে রয়েছে, তবু কেউ কেউ উপকারও পাচ্ছে।
তবে দ্যাখো, আমি বলবো ভারতীয় ঋষিদের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যেভাবে রোগীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক state বা অবস্থা বিচার করা হয়েছে এবং পৃথক পৃথক রোগীর জন্য পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুত করা ঔষধের ব্যবহার ও পৃথক পৃথক অনুপাত, পৃথক পৃথক সময় ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে । এতোটা scientific এবং মানবকল্যাণমুখী গবেষণা আর কোথাও হয়নি। আয়ুর্বেদাচার্য চরক, সুশ্রুত এবং পরবর্তীতে ধন্বন্তরি, তাছাড়াও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীগণের মধ্যে জীবক সহ অনেকে ঔষধের প্রয়োগ ছাড়াও শল্যবিদ্যা(surgery) এবং শলাকাবিদ্যা(acupuncture)-কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন । তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শল্যবিদ্যার প্রয়োগের সময়, এক একটা পৃথক ঋতুকে প্রাধান্য বা মর্যাদা দিতেন। যেমন ওনারা চোখের ছানি অপারেশন করতেন একমাত্র শরৎকালে, অন্য কোনো সময়ে নয় !
যাইহোক তোমার জিজ্ঞাসা উত্তর দিতে গিয়ে নানান আলোচনা হয়ে গেল ! তবে, তোমরা বর্তমানের মানুষ _বর্তমানে যে চিকিৎসা বিজ্ঞান সবচাইতে অধিক ফলপ্রসূ, তোমরা সেই চিকিৎসা পদ্ধতিই গ্রহণ করবে ! অন্য কিছু গ্রহণ করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনো না ! কারণ প্রাচীন পরম্পরা গুলি উপযুক্ত আচার্যের অভাবে এখন আর সেই পূর্বের জায়গায় নেই। অপেক্ষাকৃতভাবে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বিশেষতঃ শল্যবিদ্যার ক্ষেত্রে নানারকম নিত্য নতুন গবেষণা করে অনেক ভালো ভালো চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে, যা মানুষের পক্ষে যথেষ্টই মঙ্গলজনক।৷