জিজ্ঞাসু:—বর্তমানে বাইরের দেশ থেকে আসা “রেইকি” এবং “আকুপ্রেশার” এইগুলি থেকে কিন্তু বহু মানুষ উপকার পাচ্ছে?
গুরু মহারাজ:— দ্যাখো, এতক্ষণ ধরে আমি যা বললাম, সেটা তুমি হয়তো ভালো শোনোনি তাই আবার ‘বাইরের দেশ থেকে আসা’_ এই কথাটা উল্লেখ করলে ! মূল চিকিৎসা বিজ্ঞানটাই তো ভারতবর্ষের নিজস্ব সম্পদ ! এই দেশ থেকেই চিকিৎসা-বিজ্ঞান পৃথিবীর অন্যান্য দেশে গেছে এবং আমি এটাও বললাম যে, ভারতীয় শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে__ স্বয়ং শিব বা মহাদেব শংকর ( অন্তত 10/12 হাজার বছর আগের কথা) এই পৃথিবী গ্রহে চিকিৎসা বিজ্ঞান তথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন ।
যাইহোক, এ তো গেল মানুষ সভ্য হবার পর বা সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পরের কথা ! কিন্তু সমাজে সভ্যতা আসার আগের অবস্থার মানুষেরাও কোনো না কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ নিশ্চয়ই গ্রহণ করতো ! করতো না কি ? দ্যাখো, শুধু মানুষই বা কেন __মনুষ্যেতর প্রাণীদেরও খাদ্যাখাদ্য গ্রহণের তারতম্যে শরীর খারাপ হোলে, তারা কোনো না কোনো বিশেষ ঘাস-পাতা খেয়ে বমি করে নেয়, এছাড়া তারা যতক্ষণ না শরীর সুস্থ হয়-ততক্ষণ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং নিজেদের শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। তাহলে, মানুষ যখন উন্নত প্রাণী, তখন সে আদিম অবস্থাতেও তার নিজের শরীরকে রোগব্যাধি, আঘাত, ক্ষত থেকে বাঁচার জন্য কিছু না কিছু গাছপালার ব্যবহার নিশ্চয়ই কোরতো !
এখনো বনজঙ্গলে আমি দেখেছি__ বিভিন্ন পশুপাখিরা নেশা করে ! ওরা জানে কোন্ গাছের ফুল বা ফল নেশার বস্তু ! ওরা বৎসরের নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে যায় এবং সেই ফুল বা ফল খেয়ে নেশা করে এবং আনন্দ করে ! ওদেরকে আমি অনেক সময় নেশা করে নাচতেও দেখেছি !
শীতপ্রধান দেশের ভল্লুকেরা বরফের তলায় চাপা পড়ে যায়, আসলে ওরা ওই সময় কোনো পাহাড়ের গুহায় বা গাছের কোটরে আশ্রয় নেয় ! কিন্তু ওসব দেশে এত বরফ পড়ে যে, তারা একেবারে ঢাকা পড়ে যায়। এই অবস্থায় ওরা শীতঘুম বা hibernation-এ চলে যায় । তারপর যখন বরফ গলতে শুরু করে( দু-তিন মাস পর) গাছপালায় কচি পাতা, ফুল ইত্যাদি জন্মায়, তখন ওরা বরফ ঠেলে ঝেরেমেরে উঠে পড়ে ! এরপর ওই ভল্লুকেরা একটি বিশেষ গাছের কাছে গিয়ে, সেই গাছের ফুল দুহাত দিয়ে মুঠো মুঠো করে ছিঁড়ে প্রাণপণে খেতে শুরু করে। ঐ ফুলগুলি প্রচন্ড purgative ! গত দেড়মাস-দুমাস ধরে ওরা hibernation-এ থাকার ফলে, ওদের অন্ত্রের মল শুকিয়ে কালো কালো কাঠির মতো শক্ত হয়ে ভিতরেই থেকে যায় । এবার ওই যে purgative-টা ওরা গ্রহণ করলো__এর ফলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওদের প্রচন্ড পায়খানার বেগ আসে এবং ফটাশ্-ফটাশ্ করে ওই কাঠির মতো শক্ত কালো কালো সব মল বেরিয়ে গিয়ে ওদের intestine, মলাশয় সবকিছুকে পরিষ্কার করে দেয় ।।
তাহলে বলোতো_ শরীর সুস্থ রাখার জন্য, এদেরকে এই ধরণের খাদ্য গ্রহণ করতে কে শেখালো_কোন ডাক্তারিবিদ্যা এদেরকে এইসব শিখিয়েছে বলোতো ? জঙ্গলে আমি বানরদের মধ্যেও দেখেছি__ ওরাও শরীরের প্রয়োজন মেটাতে নানারকম বিদ্যা apply করে । বানরলাঠি গাছের ফল খেয়ে ওরা মাঝে মাঝে নিজেদের পেট দিব্যি পরিষ্কার করে নেয়।জীব বিজ্ঞানীরা দেখেছে যে, বানরেরা বিষাক্ত ঘা সারাতে পারে, এমনকি malignancy- থেকেও নিজেদেরকে সুস্থ করতে পারে।।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃতির পাঠশালাতেই সমস্ত পাঠ রয়েছে । মহাবিশ্বপ্রকৃতি বা mother nature হোলো সবচাইতে ভালো শিক্ষক বা এবং এটাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয় । একজন মানুষ, মানুষের তৈরি educational institute থেকে শতকরা মাত্র 20-ভাগ জ্ঞান আহরণ করতে পারে, বাকি 80-ভাগ জ্ঞান রয়েছে প্রকৃতিতে ! তাই প্রকৃতির পাঠশালা থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীরা, সমাজের তথাকথিত educational institute থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত academic লোকেদের চাইতে অধিকতর literate ! এই জন্যেই তো যুগ যুগ ধরে, বারবার তথাকথিত সভ্যসমাজের নেতৃস্থানীয়দের গর্বোন্নত মাথা যুগে যুগে বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে__কোনো না কোনো চালচুলোহীন, প্রকৃতির পাঠশালায় শিক্ষিত কোনো সাধুসন্তের পদতলে ! ……… (ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজ:— দ্যাখো, এতক্ষণ ধরে আমি যা বললাম, সেটা তুমি হয়তো ভালো শোনোনি তাই আবার ‘বাইরের দেশ থেকে আসা’_ এই কথাটা উল্লেখ করলে ! মূল চিকিৎসা বিজ্ঞানটাই তো ভারতবর্ষের নিজস্ব সম্পদ ! এই দেশ থেকেই চিকিৎসা-বিজ্ঞান পৃথিবীর অন্যান্য দেশে গেছে এবং আমি এটাও বললাম যে, ভারতীয় শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে__ স্বয়ং শিব বা মহাদেব শংকর ( অন্তত 10/12 হাজার বছর আগের কথা) এই পৃথিবী গ্রহে চিকিৎসা বিজ্ঞান তথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন ।
যাইহোক, এ তো গেল মানুষ সভ্য হবার পর বা সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পরের কথা ! কিন্তু সমাজে সভ্যতা আসার আগের অবস্থার মানুষেরাও কোনো না কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ নিশ্চয়ই গ্রহণ করতো ! করতো না কি ? দ্যাখো, শুধু মানুষই বা কেন __মনুষ্যেতর প্রাণীদেরও খাদ্যাখাদ্য গ্রহণের তারতম্যে শরীর খারাপ হোলে, তারা কোনো না কোনো বিশেষ ঘাস-পাতা খেয়ে বমি করে নেয়, এছাড়া তারা যতক্ষণ না শরীর সুস্থ হয়-ততক্ষণ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং নিজেদের শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। তাহলে, মানুষ যখন উন্নত প্রাণী, তখন সে আদিম অবস্থাতেও তার নিজের শরীরকে রোগব্যাধি, আঘাত, ক্ষত থেকে বাঁচার জন্য কিছু না কিছু গাছপালার ব্যবহার নিশ্চয়ই কোরতো !
এখনো বনজঙ্গলে আমি দেখেছি__ বিভিন্ন পশুপাখিরা নেশা করে ! ওরা জানে কোন্ গাছের ফুল বা ফল নেশার বস্তু ! ওরা বৎসরের নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে যায় এবং সেই ফুল বা ফল খেয়ে নেশা করে এবং আনন্দ করে ! ওদেরকে আমি অনেক সময় নেশা করে নাচতেও দেখেছি !
শীতপ্রধান দেশের ভল্লুকেরা বরফের তলায় চাপা পড়ে যায়, আসলে ওরা ওই সময় কোনো পাহাড়ের গুহায় বা গাছের কোটরে আশ্রয় নেয় ! কিন্তু ওসব দেশে এত বরফ পড়ে যে, তারা একেবারে ঢাকা পড়ে যায়। এই অবস্থায় ওরা শীতঘুম বা hibernation-এ চলে যায় । তারপর যখন বরফ গলতে শুরু করে( দু-তিন মাস পর) গাছপালায় কচি পাতা, ফুল ইত্যাদি জন্মায়, তখন ওরা বরফ ঠেলে ঝেরেমেরে উঠে পড়ে ! এরপর ওই ভল্লুকেরা একটি বিশেষ গাছের কাছে গিয়ে, সেই গাছের ফুল দুহাত দিয়ে মুঠো মুঠো করে ছিঁড়ে প্রাণপণে খেতে শুরু করে। ঐ ফুলগুলি প্রচন্ড purgative ! গত দেড়মাস-দুমাস ধরে ওরা hibernation-এ থাকার ফলে, ওদের অন্ত্রের মল শুকিয়ে কালো কালো কাঠির মতো শক্ত হয়ে ভিতরেই থেকে যায় । এবার ওই যে purgative-টা ওরা গ্রহণ করলো__এর ফলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওদের প্রচন্ড পায়খানার বেগ আসে এবং ফটাশ্-ফটাশ্ করে ওই কাঠির মতো শক্ত কালো কালো সব মল বেরিয়ে গিয়ে ওদের intestine, মলাশয় সবকিছুকে পরিষ্কার করে দেয় ।।
তাহলে বলোতো_ শরীর সুস্থ রাখার জন্য, এদেরকে এই ধরণের খাদ্য গ্রহণ করতে কে শেখালো_কোন ডাক্তারিবিদ্যা এদেরকে এইসব শিখিয়েছে বলোতো ? জঙ্গলে আমি বানরদের মধ্যেও দেখেছি__ ওরাও শরীরের প্রয়োজন মেটাতে নানারকম বিদ্যা apply করে । বানরলাঠি গাছের ফল খেয়ে ওরা মাঝে মাঝে নিজেদের পেট দিব্যি পরিষ্কার করে নেয়।জীব বিজ্ঞানীরা দেখেছে যে, বানরেরা বিষাক্ত ঘা সারাতে পারে, এমনকি malignancy- থেকেও নিজেদেরকে সুস্থ করতে পারে।।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃতির পাঠশালাতেই সমস্ত পাঠ রয়েছে । মহাবিশ্বপ্রকৃতি বা mother nature হোলো সবচাইতে ভালো শিক্ষক বা এবং এটাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয় । একজন মানুষ, মানুষের তৈরি educational institute থেকে শতকরা মাত্র 20-ভাগ জ্ঞান আহরণ করতে পারে, বাকি 80-ভাগ জ্ঞান রয়েছে প্রকৃতিতে ! তাই প্রকৃতির পাঠশালা থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীরা, সমাজের তথাকথিত educational institute থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত academic লোকেদের চাইতে অধিকতর literate ! এই জন্যেই তো যুগ যুগ ধরে, বারবার তথাকথিত সভ্যসমাজের নেতৃস্থানীয়দের গর্বোন্নত মাথা যুগে যুগে বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে__কোনো না কোনো চালচুলোহীন, প্রকৃতির পাঠশালায় শিক্ষিত কোনো সাধুসন্তের পদতলে ! ……… (ক্রমশঃ)