(অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা এবং এছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গুরু মহারাজ আলোচনা করছিলেন। আজ সেই আলোচনার পরবর্ত্তী অংশ….!)
… আয়ুর্বেদ-বিজ্ঞানে মানুষকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে__ সত্ত্বগুণ বিশিষ্ট মানব, রজোগুণ বিশিষ্ট মানব এবং তমোগুণ বিশিষ্ট মানব ! এছাড়াও এই তিন গুণের মিশ্র-গুণবিশিষ্ট মানবও রয়েছে । আয়ুর্বেদে মানুষের রোগকেও তিন ভাগে করা হয়েছে _শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক ! তিন প্রকার রোগের চিকিৎসার বিধানও তিন প্রকার এবং সেগুলি হোলো ঔষধি, রসায়ন ও প্রাণায়াম।
যোগবিজ্ঞানও ভারতবর্ষের ঋষিদের দীর্ঘ সাধনার ফসল ! যোগবলে রোগ -আরোগ্যের ব্যাপারটা যথেষ্ট প্রাচীন এবং সর্বজনবিদিত ! ভারতীয় যোগবিজ্ঞানে যেভাবে শরীরকে শুদ্ধ রাখা, নির্মল রাখা এবং সুস্থ রাখার পদ্ধতি রয়েছে__ এমনটা গোটা পৃথিবীতে আর কোনো চিকিৎসাবিদ্যায় নেই ! শুধু স্থুলশরীর কেন, এই স্থুলশরীরের মূলে যে সূক্ষ্মশরীর রয়েছে__ সেটাকেও সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য যোগসাধনায় বিধান রয়েছে ! সুক্ষ্মশরীর ঠিক থাকলে তবেই স্থুলশরীর ঠিক থাকে ! আবার সুক্ষ্মশরীরের মূলে যে রয়েছে__কারণশরীর, সেটিও ধ্যান, প্রাণায়াম এবং বিভিন্ন প্রকার যোগাসন করলে পুষ্ট হয়। ভারতীয় তন্ত্র এবং পতঞ্জলীর যোগশাশ্ত্র থেকে বোঝা যায় যে, একসময় ভারতবর্ষে মানুষের শরীর নিয়ে চরম গবেষণা হয়েছিল ! আর সেখান থেকে যে ফসল ফলেছিল, তা মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে একেবারে most practical ! কিছুদিন practice করলেই একেবারে হাতে হাতে ফল ! কিছুদিন যোগ, প্রাণায়াম ইত্যাদি অভ্যাস করলে মানুষের শরীরের অনেক রোগ-ব্যাধি যেমন সেরে যায়, তেমনি মানুষের শরীর যথেষ্ট মজবুত হয়ে যায় বা মানুষের immunity power যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায়। এইসব দেখেই প্রাশ্চাত্য দেশগুলি এখন ভারতীয় যোগ এবং প্রাণায়াম সহ অন্যান্য বিদ্যাগুলিকে সাংঘাতিক ভাবে গ্রহন করছে।
মানবজীবনে প্রাণায়াম খুবই কার্যকরী। জানো, হাঁটতে-চলতেও প্রাণায়ামের কিছু কৌশল practice করা যায় ! ঘরে বসে, এমনকি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও_ প্রাণায়াম করা যায় । এইরকম দু-একটা পদ্ধতি সম্বন্ধে তোমাদের বলছি শোনো । এগুলোর মধ্যে একটা হোলো__ abdomen breath ! শিশুরা যখন শুয়ে থাকে, দেখবে তখন ওদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের তালে তালে পেটটা কেমন সুন্দর ছন্দবদ্ধভাবে উঠানামা করছে ! শিশুদের ক্ষেত্রে_ natural ভাবেই এটা হয় এবং এটি শিশুদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । কিন্তু মানুষ বড় হবার পর এমনটা হয় না, তাই প্রতিটি মানুষেরই সকালে-বিকালে পেট পর্যন্ত নিঃশ্বাস টানা এবং ছাড়া অর্থাৎ abdomen breath প্রাকটিস করা দরকার !
আরো একটা পদ্ধতি সম্বন্ধে বলছি_ আর সেটা হোলো full lung breath_ বা বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ ! সাধারণত আমরা শ্বাস গ্রহণের সময় বুক ভরে শ্বাস নিই না(খেলাধুলা বা দৌড়াদৌড়ি করার সময় ছাড়া) _হালকাভাবে শ্বাস নিই, যা হয়তো বড়োজোর নাসিকা থেকে কন্ঠদেশ পর্যন্ত যায় । এর ফলে আমাদের lung-দুটো পুরোটা খুলতে পারে না, একটুখানি খোলে। ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা সবসময়েই ছোটাছুটি করে, খেলাধুলা করে_ফলে তাদের full lung breath এমনিতেই হয়ে যায়। যৌবনে কর্মজগতে প্রবেশ করার পর সাধারণ মানুষেরা(শ্রমজীবী, sportsman, athlete ইত্যাদিরা ছাড়া), বিশেষতঃ শিক্ষিত চাকরীজীবি ব্যক্তিরা আর মোটেই অধিক দৈহিক পরিশ্রম করে না ! ফলে, তাদের আর full lung breath হয় না । এর ফলে lung-গুলিতে ভাঁজ পড়ে যায় এবং অনেকদিন ভাঁজ-করা শাড়ি পড়ে থাকলে তেমন কমজোরি হয়ে ভাঁজে ভাঁজে কাপড়গুলি আপনা-আপনি ছিঁড়ে যায়, ঠিক সেইরকমই লাং-এর ভাঁজগুলি কমজোরি হয়ে পড়ে ! বৃদ্ধ বয়সে বেশিরভাগ মানুষেরা এইজন্যই lung -ঘটিত রোগে বেশি ভোগে।
সুতরাং সারাদিনে প্রতিটি মানুষের অন্তত বেশ কিছুক্ষণ বুক ভরে শ্বাস নেওয়া এবং পরক্ষণেই সমস্ত শ্বাস ছেড়ে দিয়ে একেবারে lung খালি করা__এই অভ্যাস করা ভালো। এইভাবে পরপর কয়েকবার lung খালি করা এবং আবার পুরোটা ভর্তি করার অভ্যাস(deep-breathing) করতে পারলে বহু সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায় ।
এর পরে যে পদ্ধতিটা বলবো__ সেটা হাঁটতে-চলতেও করা যায় ! পদ্ধতিটা হোলো __নাক দিয়ে শ্বাস টেনে, মুখ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া ! শ্বাস ভিতরে ধরে রাখার দরকার নাই, নাক দিয়ে ধীরে ধীরে টেনে পুরো বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ করতে হবে এবং এরপর মুখ দিয়ে ছেড়ে __একবারে lung খালি করে দিতে হবে ! এতে শরীরের খুবই ভালো কাজ হয় । এই অভ্যাসগুলো কিছুদিন করলেই দেখবে, তোমাদের শ্বাসজনিত অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে । যাদের হাঁপানি রোগ আছে তারা তো এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে খুবই উপকৃত হবে।৷
… আয়ুর্বেদ-বিজ্ঞানে মানুষকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে__ সত্ত্বগুণ বিশিষ্ট মানব, রজোগুণ বিশিষ্ট মানব এবং তমোগুণ বিশিষ্ট মানব ! এছাড়াও এই তিন গুণের মিশ্র-গুণবিশিষ্ট মানবও রয়েছে । আয়ুর্বেদে মানুষের রোগকেও তিন ভাগে করা হয়েছে _শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক ! তিন প্রকার রোগের চিকিৎসার বিধানও তিন প্রকার এবং সেগুলি হোলো ঔষধি, রসায়ন ও প্রাণায়াম।
যোগবিজ্ঞানও ভারতবর্ষের ঋষিদের দীর্ঘ সাধনার ফসল ! যোগবলে রোগ -আরোগ্যের ব্যাপারটা যথেষ্ট প্রাচীন এবং সর্বজনবিদিত ! ভারতীয় যোগবিজ্ঞানে যেভাবে শরীরকে শুদ্ধ রাখা, নির্মল রাখা এবং সুস্থ রাখার পদ্ধতি রয়েছে__ এমনটা গোটা পৃথিবীতে আর কোনো চিকিৎসাবিদ্যায় নেই ! শুধু স্থুলশরীর কেন, এই স্থুলশরীরের মূলে যে সূক্ষ্মশরীর রয়েছে__ সেটাকেও সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য যোগসাধনায় বিধান রয়েছে ! সুক্ষ্মশরীর ঠিক থাকলে তবেই স্থুলশরীর ঠিক থাকে ! আবার সুক্ষ্মশরীরের মূলে যে রয়েছে__কারণশরীর, সেটিও ধ্যান, প্রাণায়াম এবং বিভিন্ন প্রকার যোগাসন করলে পুষ্ট হয়। ভারতীয় তন্ত্র এবং পতঞ্জলীর যোগশাশ্ত্র থেকে বোঝা যায় যে, একসময় ভারতবর্ষে মানুষের শরীর নিয়ে চরম গবেষণা হয়েছিল ! আর সেখান থেকে যে ফসল ফলেছিল, তা মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে একেবারে most practical ! কিছুদিন practice করলেই একেবারে হাতে হাতে ফল ! কিছুদিন যোগ, প্রাণায়াম ইত্যাদি অভ্যাস করলে মানুষের শরীরের অনেক রোগ-ব্যাধি যেমন সেরে যায়, তেমনি মানুষের শরীর যথেষ্ট মজবুত হয়ে যায় বা মানুষের immunity power যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায়। এইসব দেখেই প্রাশ্চাত্য দেশগুলি এখন ভারতীয় যোগ এবং প্রাণায়াম সহ অন্যান্য বিদ্যাগুলিকে সাংঘাতিক ভাবে গ্রহন করছে।
মানবজীবনে প্রাণায়াম খুবই কার্যকরী। জানো, হাঁটতে-চলতেও প্রাণায়ামের কিছু কৌশল practice করা যায় ! ঘরে বসে, এমনকি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও_ প্রাণায়াম করা যায় । এইরকম দু-একটা পদ্ধতি সম্বন্ধে তোমাদের বলছি শোনো । এগুলোর মধ্যে একটা হোলো__ abdomen breath ! শিশুরা যখন শুয়ে থাকে, দেখবে তখন ওদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের তালে তালে পেটটা কেমন সুন্দর ছন্দবদ্ধভাবে উঠানামা করছে ! শিশুদের ক্ষেত্রে_ natural ভাবেই এটা হয় এবং এটি শিশুদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । কিন্তু মানুষ বড় হবার পর এমনটা হয় না, তাই প্রতিটি মানুষেরই সকালে-বিকালে পেট পর্যন্ত নিঃশ্বাস টানা এবং ছাড়া অর্থাৎ abdomen breath প্রাকটিস করা দরকার !
আরো একটা পদ্ধতি সম্বন্ধে বলছি_ আর সেটা হোলো full lung breath_ বা বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ ! সাধারণত আমরা শ্বাস গ্রহণের সময় বুক ভরে শ্বাস নিই না(খেলাধুলা বা দৌড়াদৌড়ি করার সময় ছাড়া) _হালকাভাবে শ্বাস নিই, যা হয়তো বড়োজোর নাসিকা থেকে কন্ঠদেশ পর্যন্ত যায় । এর ফলে আমাদের lung-দুটো পুরোটা খুলতে পারে না, একটুখানি খোলে। ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা সবসময়েই ছোটাছুটি করে, খেলাধুলা করে_ফলে তাদের full lung breath এমনিতেই হয়ে যায়। যৌবনে কর্মজগতে প্রবেশ করার পর সাধারণ মানুষেরা(শ্রমজীবী, sportsman, athlete ইত্যাদিরা ছাড়া), বিশেষতঃ শিক্ষিত চাকরীজীবি ব্যক্তিরা আর মোটেই অধিক দৈহিক পরিশ্রম করে না ! ফলে, তাদের আর full lung breath হয় না । এর ফলে lung-গুলিতে ভাঁজ পড়ে যায় এবং অনেকদিন ভাঁজ-করা শাড়ি পড়ে থাকলে তেমন কমজোরি হয়ে ভাঁজে ভাঁজে কাপড়গুলি আপনা-আপনি ছিঁড়ে যায়, ঠিক সেইরকমই লাং-এর ভাঁজগুলি কমজোরি হয়ে পড়ে ! বৃদ্ধ বয়সে বেশিরভাগ মানুষেরা এইজন্যই lung -ঘটিত রোগে বেশি ভোগে।
সুতরাং সারাদিনে প্রতিটি মানুষের অন্তত বেশ কিছুক্ষণ বুক ভরে শ্বাস নেওয়া এবং পরক্ষণেই সমস্ত শ্বাস ছেড়ে দিয়ে একেবারে lung খালি করা__এই অভ্যাস করা ভালো। এইভাবে পরপর কয়েকবার lung খালি করা এবং আবার পুরোটা ভর্তি করার অভ্যাস(deep-breathing) করতে পারলে বহু সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায় ।
এর পরে যে পদ্ধতিটা বলবো__ সেটা হাঁটতে-চলতেও করা যায় ! পদ্ধতিটা হোলো __নাক দিয়ে শ্বাস টেনে, মুখ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া ! শ্বাস ভিতরে ধরে রাখার দরকার নাই, নাক দিয়ে ধীরে ধীরে টেনে পুরো বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ করতে হবে এবং এরপর মুখ দিয়ে ছেড়ে __একবারে lung খালি করে দিতে হবে ! এতে শরীরের খুবই ভালো কাজ হয় । এই অভ্যাসগুলো কিছুদিন করলেই দেখবে, তোমাদের শ্বাসজনিত অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে । যাদের হাঁপানি রোগ আছে তারা তো এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে খুবই উপকৃত হবে।৷