[প্রকৃতি বর্ণনার কথা বলতে গিয়ে গুরু মহারাজ , ওনার নিজের লেখা কয়েকটি কবিতার প্রসঙ্গ তুলে_সেগুলির ইংরেজি অনুবাদের কথাও বলেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জয়দীপ বলে উঠলো:–] (জিজ্ঞাসু)__ তবে গুরুমহারাজ এই কবিতা অনুবাদের কাজগুলি বা “সহজতা ও প্রেম” অনুবাদের কাজ– এইসব অপেক্ষা “বাউলের মর্মকথা” গ্রন্থটিকে অনুবাদ করতে গিয়ে আমি অনেক সময় ভীষণ অসুবিধায় পড়েছি ! কারণ এই গ্রন্থটিতে যেসব শব্দ আপনি ব্যবহার করেছেন – সেগুলোর অনেক শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ-ই নেই ! যেগুলি রয়েছে সেগুলি দিয়ে – আপনার লেখার মর্মার্থ ঠিকমতো বোঝানো যাচ্ছে না ! নিত্য, শাশ্বত, চিরন্তন-সত্য __এইসব বোঝাতে শুধুই দুটো ইংরাজি প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে হচ্ছে – eternal আর devine !
গুরুমহারাজ :– হ্যাঁ, সেদিক দিয়ে বিচার করলে বলতে হয় – ইংরাজি খুবই দুর্বল ভাষা ! বিশেষতঃ সংস্কৃতের গভীর ভাব-ব্যঞ্জক শব্দগুলির প্রতিশব্দ ইংরাজিতে পাওয়া খুবই মুস্কিল ! তাছাড়া এটাও ঠিক যে, আধ্যাত্মিক জগতে ব্যবহৃত শব্দসমূহের প্রতিশব্দ ওরা পাবেই বা কোথা থেকে ? তবু গ্রীক-ল্যাটিন ইত্যাদি ভাষায় কিছু কিছু প্রতিশব্দ রয়েছে, কারণ বহু পুরাকালে ভারতবর্ষ থেকেই বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এবং মনীষীরা ওইসব অঞ্চলে ভারতবর্ষের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছিল। তাই সংস্কৃত শব্দের সাথে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের প্রাচীন যে কোনো ভাষার প্রচুর শব্দের ব্যুৎপত্তিগত মিল পাওয়া যায়। যেমন ধরো – সংস্কৃত “আত্মা” শব্দের ইংরেজিতে কোনো প্রতিশব্দ নাই – ইউরোপীয়রা আত্মাকে বলেছে “spirit”! কিন্তু spirit বলতে ওরা ভুত-প্রেতকেও বোঝায়, ফলে সব ব্যাপারটা একেবারে “ঘেঁটে ঘ” হয়ে গেছে। এবার দ্যাখো – গ্রীকভাষায় “আতমস্” কথাটি রয়েছে, যেখান থেকে ইংরেজিতে atmosphere কথাটি এসেছে অর্থাৎ যা সমগ্র বা বিরাট কিছু বোঝায় । Latin-এ রয়েছে ANISTA(!) যার মানে হচ্ছে “অনামী” (আত্মার ও কোনো নাম নাই)৷
সেই অর্থে জয়দীপ – তুই ঠিকই বলেছিস ! নিত্য, শাশ্বত, সনাতন – এগুলির ঠিক ঠিক ইংরেজি প্রতিশব্দ কোথায় ! শুধুই eternal বললেই কি এই শব্দগুলিকে ঠিকমতো বোঝানো যায় – যায় না ! সংস্কৃত শব্দ ‘শৃঙ্গার’-এর কোনো ইংরাজি প্রতিশব্দ সন্তোষ বাবু (সব্যসাচী মান্নার বাবা, যিনি গুরুমহারাজের লেখা “সহজতা ও প্রেম” বইটির অনুবাদ করেছিলেন – “Normality and love”- নাম দিয়ে।) পান নি। ফলে উনি ঐ শব্দটির ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন ‘devine-decoration’ ! এটা পড়ে ইউরোপীয় ভক্তরা ঠিকমতো বুঝতে পারেনি – ওরা অনেকেই আমার কাছে ব্যাপারটা জানতে চেয়েছিল। তবে জয়দীপ ! তুই শৃঙ্গারের ইংরেজি প্রতিশব্দ বসিয়েছিস “devine ecstasy”– এটা তবুও অনেকটাই ঠিক হয়েছে। আমার গুরুদেব স্বামী বাউলানন্দজী তাঁর লেখায় ‘ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা’ বোঝাতে, অনেক নতুন নতুন ইংরেজি প্রতিশব্দের ব্যবহার করেছিলেন ! যেমন – Universal mind–individual mind, Universal ego–individual ego (বিশ্বমন–ব্যক্তিমন, বিশ্বঅহং–ব্যক্তিঅহং) !
সুতরাং জয়দীপ ! তুই এখন যে অনুবাদগুলো করছিস – তাতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হোলে, সেক্ষেত্রে স্বামী বাউলানন্দের লেখা ইংরেজি বইগুলো(Message to Humanity, Spiritual Enquiry ইত্যাদি।) তোর জন্য helpful হোতে পারে। কোথাও কোনো শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ english dictionary-তে খুঁজে না পেলে, স্বামী বাউলানন্দের লেখা বই, স্বামী বিবেকানন্দের বই এবং ঋষি অরবিন্দের লেখা বইগুলি থেকে খুঁজে পেতে পারিস। তুই ওই বইগুলো follow করবি।
আনন্দমার্গীদের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকারও অনেক আধ্যাত্মিক শব্দের নতুন নতুন ইংরেজি প্রতিশব্দ সৃষ্টি করে তার নিজের লেখায় ব্যবহার করেছে ! তবে, স্বামী বাউলানন্দ-ই এ ব্যাপারে সঠিক পথিকৃৎ হোতে পারে।।
গুরুমহারাজ :– হ্যাঁ, সেদিক দিয়ে বিচার করলে বলতে হয় – ইংরাজি খুবই দুর্বল ভাষা ! বিশেষতঃ সংস্কৃতের গভীর ভাব-ব্যঞ্জক শব্দগুলির প্রতিশব্দ ইংরাজিতে পাওয়া খুবই মুস্কিল ! তাছাড়া এটাও ঠিক যে, আধ্যাত্মিক জগতে ব্যবহৃত শব্দসমূহের প্রতিশব্দ ওরা পাবেই বা কোথা থেকে ? তবু গ্রীক-ল্যাটিন ইত্যাদি ভাষায় কিছু কিছু প্রতিশব্দ রয়েছে, কারণ বহু পুরাকালে ভারতবর্ষ থেকেই বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এবং মনীষীরা ওইসব অঞ্চলে ভারতবর্ষের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছিল। তাই সংস্কৃত শব্দের সাথে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের প্রাচীন যে কোনো ভাষার প্রচুর শব্দের ব্যুৎপত্তিগত মিল পাওয়া যায়। যেমন ধরো – সংস্কৃত “আত্মা” শব্দের ইংরেজিতে কোনো প্রতিশব্দ নাই – ইউরোপীয়রা আত্মাকে বলেছে “spirit”! কিন্তু spirit বলতে ওরা ভুত-প্রেতকেও বোঝায়, ফলে সব ব্যাপারটা একেবারে “ঘেঁটে ঘ” হয়ে গেছে। এবার দ্যাখো – গ্রীকভাষায় “আতমস্” কথাটি রয়েছে, যেখান থেকে ইংরেজিতে atmosphere কথাটি এসেছে অর্থাৎ যা সমগ্র বা বিরাট কিছু বোঝায় । Latin-এ রয়েছে ANISTA(!) যার মানে হচ্ছে “অনামী” (আত্মার ও কোনো নাম নাই)৷
সেই অর্থে জয়দীপ – তুই ঠিকই বলেছিস ! নিত্য, শাশ্বত, সনাতন – এগুলির ঠিক ঠিক ইংরেজি প্রতিশব্দ কোথায় ! শুধুই eternal বললেই কি এই শব্দগুলিকে ঠিকমতো বোঝানো যায় – যায় না ! সংস্কৃত শব্দ ‘শৃঙ্গার’-এর কোনো ইংরাজি প্রতিশব্দ সন্তোষ বাবু (সব্যসাচী মান্নার বাবা, যিনি গুরুমহারাজের লেখা “সহজতা ও প্রেম” বইটির অনুবাদ করেছিলেন – “Normality and love”- নাম দিয়ে।) পান নি। ফলে উনি ঐ শব্দটির ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন ‘devine-decoration’ ! এটা পড়ে ইউরোপীয় ভক্তরা ঠিকমতো বুঝতে পারেনি – ওরা অনেকেই আমার কাছে ব্যাপারটা জানতে চেয়েছিল। তবে জয়দীপ ! তুই শৃঙ্গারের ইংরেজি প্রতিশব্দ বসিয়েছিস “devine ecstasy”– এটা তবুও অনেকটাই ঠিক হয়েছে। আমার গুরুদেব স্বামী বাউলানন্দজী তাঁর লেখায় ‘ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা’ বোঝাতে, অনেক নতুন নতুন ইংরেজি প্রতিশব্দের ব্যবহার করেছিলেন ! যেমন – Universal mind–individual mind, Universal ego–individual ego (বিশ্বমন–ব্যক্তিমন, বিশ্বঅহং–ব্যক্তিঅহং) !
সুতরাং জয়দীপ ! তুই এখন যে অনুবাদগুলো করছিস – তাতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হোলে, সেক্ষেত্রে স্বামী বাউলানন্দের লেখা ইংরেজি বইগুলো(Message to Humanity, Spiritual Enquiry ইত্যাদি।) তোর জন্য helpful হোতে পারে। কোথাও কোনো শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ english dictionary-তে খুঁজে না পেলে, স্বামী বাউলানন্দের লেখা বই, স্বামী বিবেকানন্দের বই এবং ঋষি অরবিন্দের লেখা বইগুলি থেকে খুঁজে পেতে পারিস। তুই ওই বইগুলো follow করবি।
আনন্দমার্গীদের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকারও অনেক আধ্যাত্মিক শব্দের নতুন নতুন ইংরেজি প্রতিশব্দ সৃষ্টি করে তার নিজের লেখায় ব্যবহার করেছে ! তবে, স্বামী বাউলানন্দ-ই এ ব্যাপারে সঠিক পথিকৃৎ হোতে পারে।।