স্থান ~ বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন । সময়:–১৯৮৯, এপ্রিল। উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ রমেনবাবু, পঙ্কজবাবু ও আশ্রমের বিভিন্ন মহারাজগণ ৷

জিজ্ঞাসু :– প্রত্যয় কিসে হয় ?

গুরুমহারাজ :– অনুভবে প্রত্যয় হয়। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে এই কথাই বলেছেন। বিশ্বাস দৃঢ় হলেই প্রত্যয় জন্মে, আর বিশ্বাস আসে ভালােবাসা থেকে। তাহলে প্রথমে চাই ভালবাসা– তারপর আসে বিশ্বাস এবং এরপর অনুভবের দ্বারা যখন বিশ্বাস দৃঢ় হয়, তখন সেটাই প্রত্যয়।

দ্যাখাে রমেনবাবু, একটা কথা মনে হতেই পারে যে, মানুষের জীবনে ভক্তি-ভালবাসা-বিশ্বাস এসবের প্রয়ােজনটাই বা কি ? বহুকাল থেকে এইসব জিজ্ঞাসা একদল মানুষের মনে জন্মায় এবং আর একদল হয়তাে তার মনগড়া উত্তর দেয়_ এতে কেউ সন্তুষ্ট হয়, কেউ হয় না। এইভাবে বিতর্ক চলে আসছে সেই বহুকাল থেকে আজ পর্যন্ত। কিন্তু এসব জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তর দেন ঋষিকল্প মহাপুরুষেরা, আর সমস্ত জিজ্ঞাসার অবসান ঘটাতে আসেন যুগাচার্য-যুগাবতারগণ। কিন্তু এমনই মজা যে, কুতার্কিক মানুষেরা তাঁদের শিক্ষাকে না গ্রহণ করে_ অন্য কোন শিক্ষাকে আশ্রয় করে আবার তর্ক চালাতে থাকে। কিন্তু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা এটা করেন না, তাঁরা কোন উন্নত আদর্শকে সামনে রেখে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেন এবং পরিশেষে নিজেই নিজের সমস্ত জিজ্ঞাসার অবসান ঘটাতে সমর্থ হন।

   যাইহােক, যে কথা বলছিলাম সেটাতেই ফিরে আসি। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কতই না কাজকর্ম করছে! কত কান্ড, মানুষের কত রকম বৃত্তি এবং কত কর্মকোলাহলমুখর এই পৃথিবী! কিন্তু সমস্ত কর্মের পিছনে মানুষের উদ্দেশ্য আনন্দ লাভ ছাড়া তাে কিছু নয় ! তবে বেশীরভাগ মানুষই নিজের ইন্দ্রিয় সন্তুষ্টির জন্যই কর্ম-আদি করে থাকে! সে নিজে একটু ভাল থাকবে, একটু ভাল পরবে, স্ত্রী-ছেলেমেয়েরা সুখে থাকবে ইত্যাদি, অর্থাৎ নিজের ইন্দ্রিয়_পরিচালিত দেহ বা তার পারিপার্শ্বিক যেটুকু জগৎ_সেই জগতে বসবাসকারী মানুষগুলির সুখের জন্যই সে সদাই কর্মব্যস্ত। আর তার এই পরিশ্রম,কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সে একটা আনন্দ পায়, এই যে আনন্দ তা ক্ষনিক,একে ইংরাজীতে বলা যায় "Pleasure"। কিন্তু এটা সবসময়ই সত্য যে, প্রতিটি ছোট ছোট আনন্দ বা সুখের পিছনেই রয়েছে দুঃখ। আর এটা জানেও সবাই কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই ছােট ছােট সুখ-ই ভােগ করতে গিয়ে অনেক বেশী দুঃখ ভােগই করে থাকে! বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটাই যেন একটা সামাজিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইজন্যই অনেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে(অর্থাৎ বেশি বেশি আনন্দ কেন পাচ্ছিনা) মাথাও ঘামাতে চায়না। যাইহােক ইন্দ্রিয়জ যে সুখ ( Pleasure ) তা না মেটার যে দুঃখ তাকে ইংরাজীতে বলা যায় "Misery" ।

  এতাে গেল বেশীরভাগ সাধারণ মানুষের কথা। এবার কিছু লােক আছেন যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অর্থাৎ আকাশের বিশালতা, পর্বতের গাম্ভীর্য কিংবা সাগরের বিস্তার ইত্যাদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে _সেই চির-সুন্দর কে অথবা  বিরাটকে দেখে আনন্দলাভ করেন। পূর্বেকার ইন্দ্রিয়জ সুখের থেকে এই আনন্দলাভ অনেকটাই উন্নত এবং এই ধরনের মানুষগুলিও সামাজিক ভাবে উন্নত। এদের জীবন-যাপন সমাজে অন্তত ক্ষতিকর নয়। এরূপ আনন্দকে ইংরাজীতে বলা হয় "JOY" । কিন্তু এখানেও সমস্যা রয়েছে_এই ধরনের আনন্দলাভ থেকে বঞ্চিত হলেও দুঃখ যে দুঃখ আসে, তাকে ইংরাজীতে "Sorrow" বলে। এই যে বিভিন্ন ধরনের মানুষগুলির বিভিন্ন ধরনের কর্মে দুঃখ বা সুখ পাবার কথা বলা হচ্ছে, এদের সুখ বা দুঃখ প্রকাশের ভঙ্গিমাও পৃথক পৃথক হয়।

এবার আসছি তৃতীয় এক শ্রেণীর মানুষের কথায়! অবশ্যই সংখ্যায় প্রথম শ্রেণী অপেক্ষা যেমন দ্বিতীয় শ্রেণীর লােক কম, তেমনি দ্বিতীয় শ্রেণী অপেক্ষা তৃতীয় শ্রেণীর লােক আরও কম । এরা কোন কিছু একটা সৃষ্টি কোরে আনন্দ পান । হয়তাে লােককল্যাণ্যের উদ্দেশ্যে কোন দল গঠন করলেন , অথবা জনমত সৃষ্টি করে কোন অন্যায়ের প্রতিকার করলেন ৷ কিংবা চাঁদা তুলে_ সদস্য সংগ্রহ করে কোন মন্দির-মসজিদ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ফেললেন ৷ এঁরা কোন কিছু সৃষ্টি করেন অপরের কল্যাণের কথা ভেবে, আর এঁদের এতেই আনন্দ। এটাকে ইংরাজীতে বলা হয় “Happiness” । কিন্তু যদি এঁদের এই কাজে বাধা আসে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানাদি সৃষ্টি হবার পর সেখানে গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল অথবা ধরা যাক যে দলটি সে তৈরি করেছিল সেই দলটি তার উদ্দেশ্যের অনুকূলে কৰ্ম্ম না করে, অন্য উদ্দেশ্য সাধিত করতে শুরু করেছে__ তাহলেই আসে দুঃখ,যাকে ইংরাজিতে বলা হয় “unhappiness” |

 জগৎ সংসারের এমনই মজা যে, অজস্র মৌমাছির হুল ফোটানাের জ্বালা সহ্য করেও একফোঁটা মধু পানের যে আনন্দ, তেমনই এই জগতের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সুখ ভােগ বা আনন্দ লাভের অবস্থা । অর্থাৎ সামান্য একটু সুখ ভােগের জন্য এত বেশী জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে যে, তার তুলনা করাই যায় না! তবুও মানুষ পুনরায় আবার সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখভােগের জন্য ছুটছে। এইভাবেই মা মহামায়া মানুষকে ত্রিতাপ জ্বালায় দগ্ধ করছেন _শিক্ষাদানের জন্য। কেউ কেউ শিখছে, অধিকাংশই আবার ঘুরে ঘুরে সেই আবর্তেই ফিরে যাচ্ছে। জগতে কি ঋষিদের শিক্ষা বিদ্যমান নয়, যুগাবতাররা কি যুগে যুগে যুগধর্ম-প্রবর্তন করে যাচ্ছেন না ?_ যাচ্ছেন! কিন্তু সে শিক্ষাকে গ্রহণ করে জীবনে আচরণ করছে না বলেই মানুষের এই জ্বালা ! আর এর কারণ হল জগতের মানুষের, মহাপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা বা ভালবাসার অভাব । শ্রদ্ধা বা ভালবাসা আসছে না বলেই বিশ্বাস জন্মাছে না, আর বিশ্বাসের অভাবে অনুভব বা উপলব্ধিও সুদূর পরাহত থেকে যাচ্ছে!

 এবার কথা হচ্ছে, যে "আনন্দ" থেকে তােমার উৎপত্তি, যে "আনন্দ"-লাভ তােমার জীবনের উদ্দেশ্য–তা কি করে লাভ হবে ? "আনন্দাদ্ধ্যেব খল্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে।

আনন্দেন জাতানি জীবন্তি ।

আনন্দং প্রয়ন্ত্যভিসংবিশন্তীতি।” —অর্থাৎ “আনন্দ হতে প্রাণিসমূহ জন্মগ্রহণ করে, আনন্দ দ্বারাই জীবন-ধারণ করে এবং আনন্দতেই প্রতিগমন ও প্রবেশ করে”। চিত্তমল অর্থাৎ চিত্তে উদ্ভুত কামনা এবং বাসনার তাড়নাতেই সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কর্মাদি করে থাকে। পুত্রৈষণা, দারৈষণা, বিত্তৈষণা, ভােগৈষণা, লােকৈষণা অর্থাৎ স্ত্রী, পুত্র, ধন, যশ-খ্যাতি ইত্যাদির কামনায় মানুষ কৰ্ম্ম করে থাকে । এই ‘এষণা’সমূহ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে মানুষকে, তাকে বিভিন্ন কর্মে নিয়ােজিত করছে এবং কর্মফল সৃষ্টি করিয়ে তার ভােগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই গীতার শিক্ষা হোল এই যে, আত্মসুখের ইচ্ছায় নয়, ‘বহুজন হিতায়’ ও ‘বহুজন সুখায়’ যে কর্ম, যাতে আত্মসুখের তিলমাত্র বাসনা থাকে না, সেই কর্মই কর্মবন্ধন কাটায় এবং কামনা-বাসনার বীজ দগ্ধ হয়ে যায়—তা আর অঙ্কুরিত হতে পারে না।

‘আত্মেন্দ্রিয় প্রীতিইচ্ছা’য় নয়, তখন ‘কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতিইচ্ছা’য় কর্মসকল হয়ে থাকে । কৃষ্ণসুখেই সুখ | আহ্লাদে কৃষ্ণ–তাই হ্লাদিনী রাধা । মহাভাব স্বরূপিণী রাধা-প্রেমই আনন্দ আস্বাদনের চরম পরাকাষ্ঠা! এই আনন্দের কোন বিকল্প নেই, কোন ছেদ বা বিরাম নেই—শুধুই আনন্দ, আনন্দ আর আনন্দ! একেই বলা হয় Eternal bliss বা peace ৷

সাধারণ জীবের এই আনন্দলাভ হলে শরীর থাকে না। সেইজন্য আগে শিবস্বরূপ হয়ে তারপর এই আনন্দের সাগরে অবগাহন করতে হয় ।

তাহলে রমেনবাবু, এই যে ধর্ম-বিজ্ঞানের রহস্য তোমাদের কাছে ব্যক্ত করলাম–সাধারণ মানুষ কি করে এর সন্ধান পাবে বলোতো ? সদগুরুর চরণতলে নতজানু হয়ে করজোড়ে নিজেকে নিবেদন না করলে—সাধারণ জীবের পক্ষে কি মহামায়ার অষ্টপাশের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব ? পুরুষকারের গল্প যতই শােনাও– ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখাে—উত্তর ঐ একটাই— “নান্যঃ পন্থা বিদ্যতেহয়নায়।”

জিজ্ঞাসু :– পুরুষকারের দ্বারা ঈশ্বরলাভ হয় না তাহলে ?

গুরুমহরাজ :– কোথায় আর পুরুষকার দেখতে পাচ্ছো বাবা! ঋগ্বেদের দশমমণ্ডলে পুরুষসূক্তে পুরুষের বর্ণনা করা আছে “বিশ্বতশ্চক্ষুরুত বিশ্বতােমুখাে বিশ্বতােবাহুরুত বিশ্বতস্পাৎ” –বিশ্বপ্রাণীর চক্ষ, মুখ, বাহু ও চরণ তাঁরই চক্ষু, মুখ, বাহু ও চরণ ৷ এই মহিমা কি করে বুঝবে ? কোন ব্যক্তির চেষ্টার অর্থাৎ Individual-এর কতটুকু ভূমিকা এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ? মানুষ ভাবে অনেক, ভবিষ্যতের অতল অন্ধকারে কি আছে তা না জেনেই, কত কি রঙ্গীন কল্পনা করে_ ভবিষ্যৎ রচনা করে! কিন্তু সে নিজেই জানে না কয়েক মিনিট পরের ভবিষ্যৎ— সে নিজেই হয়তো আর বেঁচে থাকবে না ! তবু কল্পনা করতে থাকে মানুষ—এগুলােই অজ্ঞানতা! সাধনার দ্বারা সাধকের কালজ্ঞান হলে_সেই সাধক কালদর্শী হয়, আর এই অবস্থায় সেই কালদর্শী-ই জানতে পারেন কালের গর্ভে ( ভবিষ্যতে) কি আছে! সুতরাং শর্ত হচ্ছে–জ্ঞান। অহংকার অজ্ঞানতারই পরিচায়ক। অহংশূন্য হয়েই জ্ঞানলাভ করতে হয়।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বলা একটা কথা আছে জানাে তাে–”নাহং- নাহং করতে করতেই তুঁহু-তুঁহু ভাব আসে”। এই অবস্থা লাভ করতে হলে বহু অভ্যাস ও সাধনার প্রয়ােজন হয়—এমনি এমনি কি হয় বাবা! সুতরাং অহংসর্বস্বতা নয়, নির্ভরতা চাই! ডুবন্ত মানুষ খড়কুটোকেও আশ্রয় করে বাঁচতে চায়, কিন্তু প্লাবনে খড়কুটো নিজেই ডােবে আর উঠে, তা অপরকে কি করে আশ্রয় দেবে ? বাহাদুরী কাঠই পারে নিজে ভেসে থেকে অপরকে ভাসিয়ে রাখতে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এঁদেরকেই “সদগুরু” বলেছেন। কেন্দ্র স্থির না হলে যেমন বৃত্ত রচনা করা যায়না, তেমনি বিশৃঙ্খল জীবনকে শৃঙ্খলায় আনতে গেলে প্রথমেই জীবনের কেন্দ্রে পৌঁছতে হয়_ আর সেই কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন যিনি, তিনিই সদগুরু। এইভাবে কেন্দ্র স্থির করে তিনি তােমাকে একটি নির্দিষ্ট পরিধির সন্ধান দিতে পারেন। কোন ব্যক্তির সদগুরুর সান্নিধ্য লাভের ফলস্বরূপ সমাজ পায় একটি সুনির্দিষ্ট-সুশৃঙ্খল জীবন, যা সকল সময়েই সমাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আবশ্যক। তােমার ভিতরেই অনেক কিছুর সম্ভাবনা সুপ্ত আছে কিন্তু তুমি তা জানােনা! সদগুরু_ তােমার ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান—সবই জানেন। তিনি তােমাকে তা জানাতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন । তিনি নিজে আনন্দের আস্বাদনে সর্বদাই রয়েছেন–তাই তিনি চান তুমিও আনন্দের আস্বাদন কর।এইজন্যে মহাপুরুষের সঙ্গলাভ হোলেই মানুষের মধ্যে যেন আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন ‘আমি’ ভাব চট করে যায় না, তাই প্রথম প্রথম ‘দাস আমি’, ‘সেবক আমি’,‘ভক্ত আমি’ এইসব ভাবকে আশ্রয় করেই শুরু করতে হয়। পরে অজ্ঞানতার নাশ হলে এই “আমি” ভাবও চলে যায়। এবার যখন কোন মহাপুরুষ সদগুরুরূপে শরীর ধারণ করে আসেন মানুষের সমাজে, তখন তাঁর কাছাকাছি যারা আসতে পারে, তাদের পক্ষে স্থূল শরীরধারী সদগুরুর সেবা করা বা সঙ্গ করার __এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেরও সুযােগ ঘটে। এর ফলে ‘অমুক আমি’র জায়গায় ‘দাস আমি’, ‘সেবক আমি’–ছাড়াও তাঁর সঙ্গে পুত্র, কন্যা, বন্ধু, মাতা, পিতা ইত্যাদি বিভিন্ন ‘আমি’-নাশের সম্পর্ক সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় । এইভাবে প্রথমে “সংযোগ”, তারপর “সম্পর্ক” সৃষ্টি হয়ে ভালবাসার গভীরতায় তাঁর সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপিত হয়ে যায়। এই সময় অহংসর্বস্ব জীব অহংমুক্ত হয়ে সম্পূর্ণভাবে ‘তাঁর’ হয়ে যায়, তখন আর ভয় কি ? সমস্ত অজ্ঞানতা– সমস্ত দুর্বলতার অবসান হয়ে জীবের যাত্রাপথের অন্ত হয়, সে পরমানন্দ প্রাপ্ত হয়।।