স্থান ~ পরমানন্দ মিশন, বনগ্রাম । সময় ~ ১৯৮৯ সাল । উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ নগেন, স্বামী স্বরূপানন্দ মহারাজ ইত্যাদি ৷
জিজ্ঞাসু:– আপনি অনেক সময় বাঙালীদের প্রশংসা করেন, কিন্তু বিদেশী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, বিশেষত ইংরেজদের ক্ষেত্রে__আমরা তাে দেখি বাঙলাতেই স্বাধীনতার সূর্য ডুবেছিল ! ফলে এর জন্য বাঙালীরাই দায়ী–তাই নয় কি ?
গুরুমহারাজ:—ইংরেজদের ভারতবর্ষে সাম্রাজ্য বিস্তারে বাঙালীরা দায়ী _একথা কে বলল তােমাকে ? ভাল করে ইতিহাস পড়ো। সিরাজের পতনের জন্য সিরাজ নিজেই দায়ী ছিল ! সিরাজের মতো অদূরদর্শী, উচ্ছৃঙ্খল, অত্যাচারী নবাব শুধু ভারতে কেন পৃথিবীর ইতিহাসে কমই আছে। ছােটবেলা থেকেই দাদু আলিবর্দীর অত্যধিক আদরে এবং প্রশ্রয়ে সিরাজ ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ে—যা মন চায় তাই করতো! ছোট থেকেই সে যা আবদার করত দাদু তাই পূরণ করতাে। ফলে যা হবার তাই হয়েছিল। ইয়ার-বন্ধুদের নিয়ে গঙ্গায় বজরা ভাসিয়ে মদ খাওয়া আর স্ফুর্তি করা–এই ছিল ওর কাজ। কেউ বাধা দিতে এলেই হয় হাত পা ছেদন, নয় মুণ্ড-ছেদন ! গ্রাম-বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে দেখবে “লবাবের লাতি” অর্থাৎ নবাবের নাতি, মানে যে স্বেচ্ছাচারী, উচ্ছৃঙ্খল_তাকে বােঝায়! বেশীদিন বাঁচেনি সিরাজ, কিন্তু ঐ অল্প বয়সের মধ্যে সে ৭oo-৮০০ নারীর উপর অমানুষিক অত্যাচার করেছিল। এমনকি রাজন্যবর্গের পরিবারের মেয়েরাও ওর হাত থেকে সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনি। এই জন্যই তাে ইতিহাস পাল্টে গেল! যখন জগৎশেঠের পরিবারের নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করল সিরাজ এবং মীরজাফর ও রায়দুর্লভকে প্রকাশ্যে রাজসভায় নিগ্রহ করল তখন থেকেই সিরাজের পতনঅবশ্যম্ভাবী হয়েছিল।
দ্যাখো, সিরাজ, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, মীরজাফর এরা কেউই কিন্তু বাঙালী নয় ! সিরাজ, মীরজাফর এরা তো ভারতীয়ই নয় ! জগৎশেঠ মারোয়ারী, উমিচাঁদ পাঞ্জাবী, আর যারা বাঙালী ছিল মােহনলাল ইত্যাদিরা--যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছে _ ওরা বেইমানি করেনি তো! ইতিহাসে মীরজাফর কলঙ্কিত হয়ে আছে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে _কিন্তু ওর অপরাধ আর কতটুকু ছিল! রাজ্য পাবার লােভে এবং সিরাজের অন্যায়ের প্রতিশোধ নেবার জন্য সে পলাশীর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি—এইটুকুই তো! কিন্তু সামগ্রিক ব্যাপারটাকে রূপ দেওয়ার জন্য একটা বিরাট চক্রান্তজাল রচনা হয়েছিল, সেটার বিস্তার যেমন বাইরে ছিল, তেমনি এর একটা শিকড় ছিল নবাবের অন্দরমহলে ! অন্দরমহল থেকে ঘসেটি বেগম সমস্ত তথ্য ফাঁস করে বাইরে পাঠাত আর বাইরের এরা সেই অনুযায়ী সিরাজের পতনের রূপরেখা তৈরি করতো। জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদরা ছিল তখনকার দিনের বিখ্যাত ব্যবসাদার এবং Banker । রাজকোযে অর্থের যােগান দেওয়া ছিল এদের কাজ – প্রয়ােজনে রাজাকে প্রচুর অর্থঋণ দিতাে এরা। অপক্ক বুদ্ধিসম্পন্ন সিরাজ এদের এমন একটা দুর্বল জায়গায়(ঘরের মেয়ে-বৌদের ইজ্জতে ঘা দেওয়া) আঘাত করে বসল যে, যার মাশুলদিতে হোল তাকে বা বাকী সবাইকে ! আলিবর্দীর সময় এই মানুষগুলাের রাজদরবারে প্রচণ্ড সম্মান ছিল। আলিবর্দীর মৃত্যুর পর বিলাসব্যসনে, সুরায় মত্ত কিশোর-সিরাজ দিনের পর দিন রাজন্যবর্গের সম্মানের হানি করতে লাগল। আলিবর্দী বেঁচে থাকতেও , তার সামনেই সিরাজ এমনটা কোরতো_কিন্তু স্নেহান্ধ দাদু তাদেরকে ভলতেন_"সিরাজ আমার পেয়ারের নাতি,ওর একটু- আধটু ভূলের জন্য তোমরা যেন নালিশ কোরোনা_ওটাকে বালখিল্যতা বলে ক্ষমা করে দিও। রাজসভা চলাকালীন আলিবর্দী সিংহাসনে বসে থাকা অবস্থায় বালক সিরাজ এসে দাদুকে নিচে বসিয়ে নিজে সিংহাসনে বসে পড়তো।বয়স্ক সভাসদদের তখন থেকেই সিরাজকে পছন্দ ছিল না। কিন্তু করারও কিছুই ছিল না_তাই সবকিছু সহ্য করতে হচ্ছিল। আলিবর্দীর মৃত্যুর পর সিরাজ নবাব হোল_ কিন্তু তার ঔদ্বত্য,অত্যাচার, লাম্পট্য যখন 'দিন কে দিন' বেরে যেতে লাগলো, তখন অনোন্যপায় হয়েই তারা সমবেত ভাবে সিরাজের পতন চেয়েছিল। সিরাজের প্রেমকে বা কারা আসছে, পরে কি হবে—এসব তারা তখন ভাবেনি। যে কোন ভাবে সিরাজের পতন হােক—এই ছিল তাদের একমাত্র ইচ্ছা।
সুতরাং মীরজাফর বেচারা! এই ঘটনার নেপথ্যে নায়ক ছিল জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদেরা – যারা নবাবকে অর্থ-সাহায্য বন্ধ করে ওর রাজকোষকে ফাঁকা করে দিল, সৈন্যদের মাইনে দেবার ক্ষমতা থাকল না নবাবের। অপরপক্ষে বিরােধী শিবিরে প্রচুর অর্থলগ্নি করেছিল এরা। এছাড়া ইংরেজদের সঙ্গে ব্যবসার খাতিরে এদের খুবই যােগাযােগ ছিল। কারণ East India Company তো ব্যবসা করতেই ভারতে এসেছিল, আর এরাও বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করত। ফলে কোম্পানীর কর্তাদের সঙ্গে এদের খুবই ওঠা-বসা ছিল। সেই সুবাদে ওরা ক্লাইভকে মুর্শিদাবাদ আক্রমণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাল।
প্রথমে ক্লাইভ রাজি হয়নি, কারণ কিছুদিন আগেই সিরাজ বিরাট ফৌজ নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ওদের পরাজিত করেছিল ! সেই সময় সিরাজ ওদেরকে তাড়িয়েও দিতে পারত কিন্তু ওদের Officer-রা অনুনয়-বিনয় করায় এবং তারা শুধু ব্যবসা করতে চায়–অন্য কিছু আর কখনও করবে না–এই শর্তসাপেক্ষে ছাড়া পেয়েছিল। ইংরেজদের কুঠি তৎকালীন ফোর্ট উইলিয়াম দখল করে সিরাজ দাদুর নামে ঐ অঞ্চলের নাম দিয়েছিল আলিনগর। সুতরাং আবার মার খাবার ভয় ক্লাইভের বা অন্য অফিসারদের ছিল বলেই রাজী হচ্ছিল না! তখন এরা বলল যে, কোন চিন্তা নেই_ সিরাজের সেনাপতি সমেত মূল সৈন্যের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ এদের কেনা হয়ে গেছে, তারা কেউই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না। কারণ প্রত্যেক সৈন্যকে তখন যুদ্ধ না করার জন্য জগৎশেঠ এক সিক্কা (ছোট স্বর্ণমুদ্রা_যা তখনকার সৈন্যদের প্রায় তিন মাসের মাইনে)করে ভেট দিয়েছিল। ইংরেজরা খোঁজ-খবর নিয়ে জানলো যে, ঘটনা সত্যি। আগের বারের হারের প্রতিশোধ এবং অবাধে ব্যবসা করার সুযোগ ছাড়বে কেন ওরা! ফলে এরপরেই তাে হোল পলাশীর যুদ্ধ এবং অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ সিরাজের পতন।
শোন, পরবর্তীকালে কোন কোন নাট্যকার বা কোন কোন ঐতিহাসিক হয়তাে সিরাজকে মহান করেছে বা অন্য রকম লিখেছে, কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস হচ্ছে এটাই!
জিজ্ঞাসু:– তাহলে ভারতে বিদেশীদের আগমন এইভাবে ঘটেছিল?
গুরুমহারাজ :– দ্যাখো, ‘ভারতবর্ষে বিদেশী আক্রমণ হয়েছে বহু প্রাচীনকাল থেকে। খ্রীষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে আলেকজাণ্ডার ভারত বিজয়ে অগ্রসর হয়েছিল। তারও আগে পারসিকরা ভারত আক্রমণ করেছিল, তখন খ্রীষ্টান বা মুসলমান ধর্মমত সৃষ্টিই হয়নি। তবে এরা ভারত আক্রমণ করেছে, লুটপাট করেছে আবার স্বদেশেচলে গেছে। তথনকার অখণ্ড ভারত এদিকে আফগানিস্তান ও পূর্বে ব্রহ্মদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ফলে এই বিরাট দেশে অসংখ্য ছােট ছােট রাজা তাদের ছােট ছােট রাজ্য শাসন করতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের নিজেদের মধ্যে কোন সদ্ভাব ছিল না। ফলে যুদ্ধবিগ্রহ প্রায়ই লেগে থাকতো। মাঝে-মধ্যে একজন শক্তিশালী রাজার আবির্ভাব হােত, আর সে তার ছত্রছায়ায় অনেক রাজ্যকে একজায়গায় করে একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলতো। আবার হয়ত তার মৃত্যুর পর রাজ্য টুকরাে টুকরাে হােত–এইরকম চলছিল।
ভারতবর্ষে প্রকৃত অর্থে, বিদেশী অনুপ্রবেশ ঘটল পৃথ্বীরাজ চৌহানের সময়। তখনকার ভারতবর্ষ আক্রমণের কতকগুলি মাত্র রাস্তা ছিল, যেমন খাইবার গিরিপথ, বােলান গিরিপথ অথবা পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে মরুভূমি পার হয়ে রাজপুতানায় ঢােকাইত্যাদি। উত্তর পশ্চিম ভারতে তখন পৃথ্বীরাজ চৌহানের বিশাল আধিপত্য ছিল। পৃথ্বীরাজ নিজেও ছিলেন দুধর্ষ যােদ্ধা। শক্তির উন্মত্ততায় নিজের দূর সম্পর্কিত বােন সংযুক্তাকে স্বয়ংবর সভা থেকে তুলে এনে বিবাহ করেছিলেন। এতে উপস্থিত রাজন্যবর্গ এবং সংযুক্তার বাবা জয়চন্দ্র পৃথ্বীরাজের প্রতি খুবই বিরক্ত হন ও অপমানিত বােধ করেন। যাইহােক সেইসময় মহম্মদ ঘােরী নামে গজনীর এক সুলতান কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে ভারতবর্ষে ঢুকে পড়ে। ওর সেনাপতি ছিল কুতুবউদ্দিন আইবক নামে এক ক্রীতদাস, আফ্রিকার লােক। সে ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং নিপুণ অস্ত্রবিদ । কুতুবউদ্দিনের তলােয়ারের উপর ভরসা করেই ছিল ঘােরীর সাম্রাজ্যবিস্তারের স্বপ্ন। কিন্তু পৃথ্বীরাজের শক্তির সঙ্গে ওরা পারবে কেন, ফলে পরাজিত হয়ে মহম্মদ ঘােরী ফিরে গেল সীমান্ত পেরিয়ে। এটাকে ঐতিহাসিকরা বলেছে তরাইনের প্রথম যুদ্ধ। এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহান, মহম্মদ ঘােরীকে মেরে ফেলতে পারতাে বা যুদ্ধবন্দী করে রেখে দিতে পারতাে। কিন্তু ভারতীয় মানসিকতায় রয়েছে_ ক্ষমা চাইলে বা অন্যায় স্বীকার করলে, শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়া! পৃথ্বীরাজও সেটাই করেছিল।
কিন্তু মাত্র দু-এক বছরের ব্যবধানেই মহম্মদ ঘােরী আবার পৃথ্বীরাজের রাজ্য আক্রমণ করে বসল। কথায় আছে “কাজ সেরে বসো, শত্রু মেরে হাসো” কিন্তু পৃথ্বীরাজ এটা করেনি। যেহেতু একবার হারিয়ে দিয়েছে ঘােরীকে_ তারপর আর একবছর ধরে তার আর কোন খোঁজই নিল না। ইতিমধ্যে দেশীয় রাজারা এবং জয়চাঁদ অর্থাৎ পৃথ্বীরাজের শ্বশুর চরমভাবে সাহায্য করল ঘােরীকে। ফলে প্রবল বিক্রমে ঘােরী পৃথ্বীরাজের রাজ্য আক্রমণ করে বসল। চরেরা ঠিক সময় খবর নিয়ে পৌঁছাল কিন্তু পৃথ্বীরাজের এমনই নিজের শক্তির উপর প্রগাঢ় আত্মবিশ্বাস এসে গেছিল যে, তাদের কথায় পাত্তাই দিল না। শুধু পণ্ডিতদের ডেকে পাঁজিপুঁথি ঘেঁটে যুদ্ধযাত্রার শুভদিন খুঁজতে নির্দেশ দিল। পণ্ডিতেরা তখন যে দিনটা শুভদিন হিসাবে ধার্য করল, তা অন্তত ১৫ দিন দেরি। ফলে দুর্বার গতিতে ঘােরী এবং তার মহাপরাক্রমশালী যােদ্ধা কুতুবউদ্দিন পৃথ্বীরাজের সৈন্যব্যারাকে বিনা বাধায় ঢুকে সেগুলিকে একটার পর একটা ধ্বংস করতে লাগল । সেনাপতিরা সর্বশেষ সংবাদ রাজাকে জানায় আর যুদ্ধযাত্রার জন্য হাত কামড়ায়। কিন্তু পৃথ্বীরাজ শুভদিনের অপেক্ষায় বসে রইল। এদিকে ঘােরীর সৈন্যরা যখন রাজধানীতে ঢুকে পড়ল, চারিদিকে "মার্_ মার্" শব্দ, আর অসহায়ের ক্রন্দন _তখন রাজা গেল রাজপুরােহিতের কাছে বিধান চাইতে। গিয়ে দেখল পুরােহিত তখন পুঁথিপত্র গুছিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালানাের আয়ােজন করছে। এইভাবে নিদারুণ বােকামি আর গোঁড়ামির মাশুল দিতে হয়েছিল পৃথ্বীরাজকে এবং তার সঙ্গে গােটা ভারতবর্ষকে! কারণ পৃথ্বীরাজ তাে ঐ যুদ্ধে নিহত হোলই এবং সেই প্রথম ভারতবর্ষে বিদেশী-শাসনও কায়েম হ’ল ।
এই যুদ্ধেও স্বদেশী রাজারাই বিদেশীদের ঢুকতে সাহায্য করেছিল, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানাের জন্য। পরবর্তী ফল যে কি হয়েছিল তা তাে সবার জানা। যে জয়চন্দ্র, মহম্মদ ঘােরীকে অত সাহায্য করেছিল, চৌহানের মৃত্যুর পর ঘােরী জয়চন্দ্রের সাম্রাজ্য আক্রমণ করলে অনুতপ্ত জয়চন্দ্র পরাজিত হয়ে পলায়নকালে গঙ্গায় পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। ঘােরীবলেছিল_ যে ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য দেশের সঙ্গে বেইমানি করে, সে যে কোন মুহুর্তে তার সঙ্গেও বেইমানি করতে পারে। যাইহােক, মহম্মদ ঘােরী অবশ্য বেশীদিন রাজত্ব করতে পারেনি। কুতুবউদ্দিনই ঘোরীকে মেরে সিংহাসনে বসেছিল। তবে কুতুবউদ্দিনও বেশীদিন বাঁচতে পারেনিতাকেও গুপ্তহত্যার শিকার হোতে হয়েছিল! কিন্তু যেভাবেই হোক সেই প্রথম বিদেশী মুসলমানরা ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে লাগল এবং ধীরে ধীরে তুর্কি, মুঘল ইত্যাদি বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী ভারতবর্ষে দীর্ঘদিন শাসন করে গেল!
ইংরেজরা তো মুসলমান শাসকদের পরিবর্তে অর্থাৎ বিদেশীদের পরিবর্তে আর একদল বিদেশী হিসাবে নিজেরা বসেছিল – ফলে বিদেশী শাসন ধরলে দ্বাদশ শতক থেকেই ধরতে হবে ৷