স্থান ~ পরমানন্দ মিশন, বনগ্রাম । সময় ~ ১৯৮৯,অক্টোবর ৷ উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ সব্যসাচী মান্না, নগেন, স্বরূপানন্দ মহারাজ ইত্যাদি। ৷

জিজ্ঞাসু:— ঈশ্বর যখন করুনাময় এবং সবই যখন তাঁর সৃষ্টি তখন তাঁর জগতে এত দুঃখকষ্ট কেন ? খুনোখুনি অথবা ধর্ষণ ইত্যাদি নারকীয় কর্ম হচ্ছে কেন ?

গুরু মহারাজ :— জগৎ ও জীবন নিয়ে খুব চিন্তাভাবনা করো মনে হচ্ছে? তবে এখানে তোমার মূল ভাবনাতেই ভুল থেকে যাচ্ছে, তাই তুমি এই ধরনের ভাবছ ! যোগবিজ্ঞানের যে ক্রমগুলি রয়েছে তার শেষ তিনটি ধাপ হলো – ধারণা, ধ্যান ও সমাধি ৷ অর্থাৎ যেকোনো বিষয়ের Conception বা ধারণাটা আগে পাকা হওয়া দরকার । তারপর তার গভীরে ডুব দাও – রহস্য উদঘাটিত হবে ৷ এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষ ঈশ্বরকে দয়াময়, করুণাময়রূপে কল্পনা করে । মুসলিম বা খ্রিস্টান ইত্যাদি ধর্মমতের মানুষরা ঈশ্বরকে ‘রহমতে রহিম’, ‘আল্লাহ মেহেরবান’ বা ‘God is graceful’ এইরূপ অসংখ্য সম্বোধনে আরাধনা করে বা ঈশ্বরকে ডাকে।তবে ভারতীয় ঋষিদের Concept-এ ঈশ্বরকে শুধুমাত্র “করূনাময় বা দয়াময়” এমন ধারণাতে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয় নি ৷ বলা হয়েছে _সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়ের অধিকর্তা তিনি! তাঁর সৃষ্টির রূপটি হয়তো দয়াময়ের,স্থিতির রূপটি হয়তো করুণাময়ের, কিন্তু ধ্বংসের রূপটি অথবা স্থিতি বা পালনকে বজায় রাখার জন্য তাঁর ‘পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্’ রূপটিকে ধরবে না কেন ? এগুলিকে বাদদিয়েই তো ‘বিসমিল্লায় গলদ’ হয়ে যাচ্ছে !

মানুষ ভক্ত প্রহ্লাদ বা ভক্ত নারদের আদর্শকে ভক্তির পরাকাষ্ঠা হিসাবে দেখতে বা প্রচার করতে ভালোবাসে কিন্তু ভক্তশ্রেষ্ঠ হনুমানকে আদর্শ করতে চায় না – যে হনুমান ঈশ্বরের ইচ্ছায় নিমেষে সহস্র অধর্মকারীর মস্তক চূর্ণ করতে পারে বা রামের আদেশে গদাঘাতে শত্রুর বক্ষ বিদীর্ণ করে রক্তের প্লাবন ঘটাতেও পারে ! ভক্ত হোলে এমনটা হ‌ওশুধু কেঁদে কেঁদে নাম জপ করাটাই ভক্ত হ‌ওয়াএইটিই ভাবনার ভুল ! মধুররস যেমন আছে, তেমনি ভয়ঙ্কর রস বা বীভৎস রসও থাকবে। মহামায়ার জগতে এরূপ অসংখা রস রয়েছে এবার একটাকে গ্রহণ করবে আর অন্যগুলােকে ভয় পাবে বা এড়িয়ে চলবে তা কি করে হয় ! মুখে বলছ, ‘সবই ঈশ্বরের লীলা’ আর কার্যক্ষেত্রে তােমার মনের মতন যেটি, সেটি ঠিক আর অন্য গুলো ভুল তা কি হয় ! দ্যাখাে–যা বলছ তা ঠিক ঠিক বােধ করতে হবে, তাহলে দেখবে পৃথিবীতে কোনটাই সমস্যা নয়।

তুমি একটু আগে বলছিলে– খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির কথা, সত্যই এরকম ঘটনা ঘটতে দেখলে অথবা শুনলে মানুষের দুঃখ হয়, কষ্ট হয়, কিন্তু ভাবােতো খুনীর অথবা ধর্ষণকারীর আনন্দের কথাটা ! তারা তাে সেই কাজটা করে আনন্দ পাচ্ছে—সচ্চিদানন্দের বাইরে তাে কোন আনন্দ নেই, তাহলে তাদের আনন্দটা কি ঈশ্বরের অগোচর ! তুমি জানছো_ আর ঈশ্বর জানেন না! তিনি এটা Allow করছেন বলেই তাে এগুলাে ঘটছে। যে মুহুর্তে তিনি এগুলাে Withdraw করে নেবেন সেই মুহুর্তে মানুষের মনে এ ধরণের ভাবনাই আর কোন দিন আসবে না। ঈশ্বরের লীলায় এ সমস্ত কিছুই রয়েছে যে ! ভাল রয়েছে- মন্দ রয়েছে, পাপ রয়েছে-পুণ্য রয়েছে, আলাে রয়েছে- অন্ধকার রয়েছে! বুঝতে পারলে ব্যাপারটা!

  এবার এখানে তােমার ভূমিকাটি কি ? তুমি বিবেক-বিচার সহ চলবে, নাকি গডডালিকা প্রবাহে ভেসে বেড়াবে ? জগতে কে কি করছে, কে কি বলছে, কে ভালাে, কে মন্দ—এসব নিয়ে যদি মাথা ঘামাতে যাও–জন্ম-জন্মান্তর কেটে যাবে, কিন্তু তুমি কারো জন্যে কিছুই করতে পারবে না। অপরের ভালোর জন্য কিছু করবেই বা কি করে__তােমার নিজের উপর তােমার Control আছে কি ? তোমার ইন্দ্রিয়ের উপর--তােমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর তোমার কি Control রয়েছে, যে তুমি অপরকে Control করবে—মহাবিশ্ব-জগতের চিরন্তন নিয়মকে Control করবে বা সংশােধন করবে ? কিচ্ছু করতে পারবে না! আত্মতত্ত্বের গভীরে ডুবে যাও, অজ্ঞানমুক্ত হও, জ্ঞানী হও। যখন তুমি আসক্তিশূন্য হবে, নিজ স্বার্থ বিসর্জন দিতে পারবে_এখমাত্র তখনই আর জাগতিক কোন দুঃখ তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না। তখন যে দুঃখ,যে বেদনা_তা পারমার্থিক! সাধারণতঃ দেখা যায়_ মানুষের স্বার্থের অনুকূল কোনকিছু হলেই সে সুখ পায় আর স্বার্থের প্রতিকূল কিছু হলেই সে দুঃখ পায়। ফলে স্বার্থশূন্য না হলে তুমি সুখ-দুঃখের পারে কি করে যাবে ?

এটা জানবে কারণ ছাড়া কখনই কার্য হয়না । তুমি যেগুলিকে নারকীয়, বীভৎস ইত্যাদি বলছ, এসব ঘটনা ঘটার পিছনেও কার্য-কারণ সম্পর্ক থাকে। ভূপালে গ্যাস লিক হয়ে এই যে কয়েক দিন আগে অতগুলাে লােক–নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করে ছটফট করে মারা গেল –এগুলাে কি অকারণ ? অকারণে কি এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয় ? জন্ম-জন্মান্তরের কার্য-কারণ সূত্রে ওদের এই ভােগটা ভুগতেই হতাে। স্থান-কাল-পাত্রে শুধু সেই কারণটি কার্যে রূপ নিয়েছে। আমি তো আমার ব্যক্তিগত বােধ তােমাদের বলতে পারছি না —শুধু এটাই বলছি যে, সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মকে যিনি বােধে বােধ করেছেন—তিনি অতি অল্প দুঃখেও যেমন অতি কাতর হতে পারেন, তেমনি কোন খুনীর আনন্দ দেখেও আনন্দে সমাধিস্থ হয়ে যেতে পারেন !

জিজ্ঞাসু:— ‘বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?’ এরূপ যে একটি ছড়া রয়েছে, এটার কথাগুলি কি সঠিক? কারণ বুলবুলি পাখি তো ধান খায় না!

গুরুমহারাজ :— তোমাদের মত পণ্ডিতদের নিয়েই তো সমাজে এত গণ্ডগোল! দ্যাখো বাবা, সমালোচনা করে কখনও কোনো ব্যক্তি,বস্তু বা কোন বিষয়কে ছোট করা যায় না, এগুলি অপেক্ষাও নিজেকে বড় হয়ে বা আরো বড় কিছু সৃষ্টি করে_ বড় হতে হয়। যে ছড়াটির কথা বললে, এটি হলো —

‘ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে,

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?’

এটি একটি বহু পুরাতন ঘুমপাড়ানি ছড়া। বর্গীরা যখন বাংলাদেশে এসেছিল, সেই সময়কার বা পরবর্তীকালের কোন পদকর্তার লেখা এটি। কিন্তু এর সুর বা ছন্দ এতটাই মানুষের মনকে জয় করেছিল যে, লোকের মুখে মুখে এটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাঙালি ঘরের মা-ঠাকুমারা তার সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর জন্য এই ছড়াটি ব্যবহার করতে থাকেন।

আগেকার দিনে গ্রামে-গন্জে ইলেকট্রিক আলো ছিল না_ সন্ধ্যের পরই সব অন্ধকার! বাড়িতে হ্যারিকেনও সবার ছিল না। আগে ছিল রেডির তেলের শেজ, পরে কেরোসিন তেলের কুপি। তখন মানুষের অভাবও ছিল বেশি আর জন্মনিয়ন্ত্রণ না থাকায় ছেলে পিলে বেশি হোত। ফলে সন্ধ্যার পরই ছেলেদের উৎপাত বন্ধ করার জন্য ঘুম পাড়ানোর আয়োজন হত। মা-ঠাকুমারা হয় গল্পের আসর বসাতো, না হয় বিভিন্ন সুর করে ঘুমপাড়ানি গান গাইতো। এ থেকেই ঠাকুরমার ঝুলি ইত্যাদি গল্প-কাহিনীর উদ্ভব হয়েছে এবং ওই যে ছড়ার কথা বললে, এমন ধরনের অনেক ঘুমপাড়ানি গানের প্রচলন হয়েছে। শিশুদের মধ্যে যারা একটু বড়, তাদের জন্য গল্প আর অতি শিশুদের জন্য গান এই ছিল বরাদ্দ! এই গানগুলি সাধারণত করুণ সুরে গাওয়া হোত এবং গানের কথাগুলোর মধ্যে একটা ভয় ভয় ভাব থাকে। ব্যস্ শিশুদের ঘুম পাড়ানোর জন্য এর থেকে ভালো ফর্মুলা আর কি হতে পারে! শিশুরা সুর খুব ভালোবাসে; তাছাড়া মায়ের মুখে এই ধরনের করুণ সুর শুনতে শুনতে শিশুদের হৃদয় কেমন যেন হয়ে পড়ে — তারা গানের দুঃখকে বা করুণ সুরটিকে মায়েরই দুঃখ বলে feel করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি যখন ছোট, আমার গর্ভধারিণী এই গানটি গাইতেন — কি করুণ করে গাইতেন — আমার স্পষ্ট মনে আছে, মায়ের মুখ থেকে ওই করুণ সুরটি আমার হৃদয়কে ব্যথিত ও ভারাক্রান্ত করে তুলত — মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি ঘুমিয়ে যেতাম!

তারপর তুমি যে বলেছিলে — “বুলবুলি পাখি ধান খেয়ে শেষ করেছে — এরকম হয় না”ইত্যাদি। এখানেও তোমার ভাবনার ভুল হচ্ছে। কারণটা বলছি_ দ্যাখো,যে সময়কালে এই গানটি রচিত হয়েছিল তখন বাংলায় আলীবর্দীর রাজত্বকাল, আর দিল্লীর সিংহাসনে মুঘলদের শেষ বংশধরদের দুর্বল রাজত্ব। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এবং ফরাসী, পর্তুগিজ ইত্যাদি বিদেশি বণিকেরা বাংলা তথা সমগ্র ভারতে ব্যবসার নামে লুঠতরাজ করতো। ওদের উপর দুর্বল দিল্লীশ্বরের বিশেষ Control-ই ছিল না! এই সুযোগে বিভিন্ন ছোট ছোট রাজা, জমিদার নিজের নিজের এলাকায় সামান্য করের বিনিময়ে নিজেরাই শাসন কায়েম করতে শুরু করেছিল। তারা অসহায় প্রজাদের ওপর নানারকম করের বা খাজনার জুলুম এবং অনাদায়ে অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছিল! এককথায় প্রজারা তখন নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। এছাড়া ছিল ধর্মান্তরীকরণের জ্বালা! সমুদ্রতীরবর্তী স্থানগুলোয় যেখানে ইংরেজ, পর্তুগীজ, ফরাসী ইত্যাদি বণিকেরা আস্তানা গেড়েছিল, সেখানে গড়ে উঠেছিল গির্জা, চার্চ — এইসব। আর সেখানকার মানুষেরা খ্রীষ্টান ধর্মেদীক্ষিত হতে বাধ্য হচ্ছিল! আবার সমভূমিতে মুসলমান হাজি এবং মৌলবীরা বর্ণ-হিন্দুদের এমনকি আদিবাসীদেরও ধর্মান্তরিত করছিল! সেইসময় একজন মারাঠি সেনাপতি — ভাস্কর পণ্ডিত এই ধর্মান্তরীকরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি এবং তাঁর দলবল যখন সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে বর্ণহিন্দুদের ধর্মরক্ষায় সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে বাংলায় ঢুকল, তখনই এদের “মারাঠা দস্যু” বা “বর্গীদস্যু” বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিলকারণ যেহেতু বাংলা তখন মুসলমান শাসকদের অধীনে ছিল। প্রকৃতপক্ষে ভাস্কর পণ্ডিত মোটেও দস্যু বা খারাপ লোক ছিলেন না। তিনি বাংলায় এসেছিলেন ধর্মান্তরীকরণ রুখতে এবং বিধর্মীদের হাত থেকে সাধারণ বর্ণহিন্দু দেরকে রক্ষা করতে।

বাঙালিরা কেন ভাস্করকে দস্যু বলে চিহ্নিত করেছিল,সেটা বলছি শোনো_ যেহেতু তৎকালীন ছোট ছোট রাজারা বা জমিদাররা মুঘল শাসনাধীন করদ রাজা হিসাবে ছিল, তাই তারা নিজেদের জমিদারি বা রাজত্ব কায়েম করতে ভাস্কর পণ্ডিতকে রুখতে চেষ্টা করেছিল। ভাস্কর পণ্ডিতও সেই সমস্ত রাজা বা জমিদারদের‌ই ধনভাণ্ডার যথেচ্ছ লুটপাট, ধানের গোলায় অগ্নি-সংযোগ বা লোকজনদের খুন-খারাপি করতো। তিনি কখনই সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেননি। দ্যাখোনা, সাধারণ মানুষ যদি তাঁকে Accept না করতো-allow না করতো_ তাহলে সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় এসে উনি কি ছাউনি গাড়তে পারতেন?(পূর্ব) বর্ধমান জেলার কাটোয়া অঞ্চল পর্যন্ত ভাস্করের দল পৌঁছাতে পেরেছিল শুধু সাধারণ মানুষ তাঁকে Allow করেছিল বলেই! তখন বাংলার নবাব ছিলেন আলীবর্দী। কাটোয়া অঞ্চলে আলীবর্দীর সৈন্যের সাথে ভাস্কর পণ্ডিতের সিপাইদের ভয়ঙ্কর লড়াই হয়েছিল। সাধারণ মানুষ ভাস্কর পণ্ডিতকে কেন মেনে নিত — জান তো? তিনি নিজে শিব এবং মা ভবানীর পূজক ছিলেন ঠিকই কিন্তু তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই স্থানীয় মানুষের আরাধ্য দেবতার পূজা ধুমধাম সহকারে শুরু করে দিতেন। এইভাবেই ষড়ানন কার্তিকের পূজা যেহেতু এ সব অঞ্চলে চালু ছিল,তাই উনি ওটাকেই উৎসবে রূপ দিয়েছিলেন। এখনও কাটোয়া-দাঁইহাট অঞ্চলে কার্তিক সংক্রান্তিতে “কার্তিক-লড়াই” বলে একটা জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব হয়, সেটার জাঁকজমকতার শুরুর ইতিহাস এটাই। এখন হয়তো ওই অঞ্চলের লোকেরাই মূল কারণটা ভুলে গেছে।

যাইহোক যা বলছিলাম, এই যে পরিস্থিতি তৎকালীন বাংলায় ছিল, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে Communication কোথায় ছিল? এক এলাকায় কি ঘটছে অন্য এলাকার মানুষ তা জানতে পারত না। রাজন্যবর্গের সভাকবিরা যে গান রচনা করতেন, সাধারণ মানুষ সেটাই গাইতো। রাজদরবারের সভাসদরা বা পৃষ্ঠপোষকরা যে ইতিহাস লিখত — সাধারণ মানুষ পরবর্তীকালে সেটাকেই ইতিহাস বা প্রামাণ্য বলে ধরে নিত। এইভাবেই ইতিহাস বিকৃত হয়েছে অথবা বলা যায় বাংলার ইতিহাসকে ইচ্ছা করেই বিকৃত করা হয়েছে। তবে আমার আশা — আধুনিক ছেলে-মেয়েরা যথার্থ ইতিহাস ঠিক খুঁজে বের করবে এবং আগামী দিনে সঠিকভাবে ভারতবর্ষের ইতিহাস লেখা হবে।