স্থান ~ বনগ্রামের মুখার্জী বাড়ি ৷ সময় ~ ১৯৮৬ সাল ৷ উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ ন’কাকা, তপীমা, রমাপ্রসাদ মুখার্জি,নগেন,রামখুড়ো _ ইত্যাদি ।
জিজ্ঞাসু:— ছোটবেলায় আপনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেরিয়েছিলেন __তার দু’একটা মজার ঘটনা বলুন ?
গুরু মহারাজ :– হ্যাঁ, ছোটবেলায় আমার ছিল ভাম্যমান জীবন। পায়ে হেঁটে দুজন সাধুর সাথে আমি পাকিস্তানের পাশ দিয়ে আফগানিস্তান,ইরাক,ইরান হয়ে তুরস্ক(অর্থাৎ আলেকজান্ডার যে পথ ধরে এসেছিল,ম্যাকিডন বা ম্যাসিডন বর্তমানে তুরস্কের অন্তর্গত!) পর্যন্ত গিয়েছিলাম অর্থাৎ যতদূর পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়! এরপর সাগর পড়ে গেল দেখে আমরা (সঙ্গে দুজন নাঙা সাধু ছিলেন) ফিরে এসেছিলাম। কোন সীমান্তেই আমাদের আটকায় নি, শুধু পাকিস্তানীরা ছাড়া। ফেরার সময় অন্যপথে এসেছিলাম,তখন চায়না বর্ডারে আটকেছিল। চীনারা খারাপ ব্যবহার করে নি কিন্তু পাকিস্তানীদের ব্যবহার ভালো ছিল না!
ঐসময়েই হিমালয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরেছি! হিমালয়ের এমন কোন চূড়া নেই যেখানে আমার পা পড়েনি! আবার বর্ধমান জেলার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে আমি যাইনি! ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তগুলিতেও পায়ে হেঁটে বা অন্যভাবে ঘুরেছি ! কিন্তু এই দুই জায়গা(হিমালয় এবং বর্দ্ধমান)-র প্রতি যেন আমার অন্যরকম টান ছিল। ছোটবেলায় এই বনগ্রামেও এসেছিলাম_ গ্রাম থেকে আশ্রমের দিকে যেতে গ্রামেরশেষপ্রান্তে আখমাড়াই চলছিল। মুখার্জী বাড়ির ছোটকাকা(গোলোকপ্রসাদ)–আমি ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে আছি দেখে–এক টুকরো আখ দিয়েছিল। ওটা খেতে খেতে আমি বর্তমান আশ্রমের বটগাছটার তলায় অনেকক্ষণ বসেছিলাম! তখন সন্ধ্যার পর গ্রামের প্রায় কেউই আর এদিকটায় আসত না। গাছটায় অনেক প্রেতযোনি থাকত। আর এখন যেখানে আমার ঘর , ওখানটায় ঝােপঝাড় আর গুয়েবাবলার(এক ধরনের কাঁটাগাছ) বন ছিল এবং তার পাশেই ভাগাড় ছিল। পুরাে জায়গাটা ঘুরে আমি মাঠে মাঠে সামন্তীর পাশ দিয়ে বন্ডুলগ্রামে(ওখানে "গন্ধবাবা" বা বিশুদ্ধানন্দ পরমহংসের আশ্রম রয়েছে, যেখানে জমানো পারদের শিবলিঙ্গ আছে) গিয়েছিলাম। তারপর রাত গভীর হলে ওখানেই একটা গাছে শুয়ে রাত কাটিয়েছিলাম।
এখানে অনেক ভক্তরা এখন আসে_ তাদের অনেকের বাড়ীতেই ছোটবেলায় গেছি ! তাদের কেউ কেউ আমার সাথে ভাল ব্যবহার করেছে, আবার কেউ খারাপ ব্যবহারও করেছে, মনে করালে লজ্জা পাবে _তাই বলি না।
তবে, ঐ সময় আমার তো "এক-লক্ষ্য" ছিল_ তাই তুমি যে অর্থে "মজার ঘটনা" বলতে চাইছো_তেমন কিছু লক্ষ্য করা হয়ে ওঠেনি। তবু একবারকার একটা ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে, সেটাই বলছি শোনো—একবার আমি একাই ঘুরতে ঘুরতে গুজরাটে গেছি। ওখানকার "গির অরণ্য" হোল ভারতবর্ষের সিংহের একমাত্র আবাসস্থল ও অভয়ারণ্য। গির ফরেষ্ট দেখতে যাওয়ার একটা সুযোগ ঘটে গেল_ ঐস্থানে পৌঁছেও গেলাম, কিন্তু ভিতরে যেতে Permission লাগে-টিকিট লাগে_আমার তো ওসব কিছুই নাই ! অফিসে গিয়ে সরাসরি Forest officer-কে অনুরােধ জানালাম। আমার ছােট বয়েস দেখে খানিকটা মায়া হল তার। উনি বললেন, 'যদি কোন Tourist-গাড়ি স্পেশাল Permission নিয়ে আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে তােমাকে পাঠাবাে'।
যাইহােক, কিছুক্ষনের মধ্যেই ওইরকম একটা Team পাওয়া গেল । অফিসারের বদান্যতায় Forest department-এর গাড়ী করে আমরা গভীর অরণ্যের দিকে রওনা হ’লাম। ওদের গাড়ীগুলাে খানিকটা পুলিশ ভ্যানের মতো। তবে মাথায় এবং পাশগুলােয় কোন ঢাকনা থাকে না, শুধু মােটা মােটা তারজাল দিয়ে ঘেরা। Driver-এর আসনের সঙ্গে van-এর বাকী অংশ পৃথক । অর্থাৎ van-এর ভিতর থেকে আমরা driver-কে বা গাড়ীর সামনেটা দেখতে পাচ্ছিলাম না, শুধু দুটো side-এবং পিছনটা দেখতে পাচ্ছিলাম।
এদিকে হয়েছে কি, গাড়ীতে যে group-টা উঠেছিল ওরা নিজেদের মধ্যে এমন বাহাদুরির গল্প করতে শুরু করে দিল যে, সে সব কথা শুনে শরীরে রাগ ধরে যায়! কারও বাবা দশটা বাঘ মেরেছে, কেউ বলতে লাগল তার ঠাকুরদা বিশটা সিংহের লেজ চেপে ধরে খাঁচায় পুরেছে। কেউ আবার আর একটু বেশী –'সে বলল, সে নিজেই নাকি ৫/৭টা বাঘ-সিংহকে খালিহাতে শায়েস্তা করেছে।' এবার ঘটনা ঘটেছে কি__driver তাে এসব কথা শুনছিল আর মনে মনে plan অাঁটছিল। ও গাড়ী চালাতে চালাতেই দেখেছে যে, ৫/৬-টা সিংহ এক জায়গায় শুয়ে রয়েছে! এবার driver-সাব করেছে কি__ গাড়ীটাকে একটু আগিয়ে নিয়ে গিয়ে গাড়ির start এমনভাবে বন্ধ করে দিল , যাতে গড়িয়ে গড়িয়ে গাড়ীটা ঠিক সিংহগুলির কাছেই গিয়ে থামে! গাড়িটা কাছে যেতেই প্রথমে সিংহগুলো বিরক্ত হয়ে একটু সরে গেল কিন্তু গােটা দুই লাফিয়ে একেবারে গাড়ীর ছাদে উঠে পড়ল। সেকি ক্রোধপূর্ণ গর্জন আর লেজ আছড়ানি ! কাণ্ডটা বােঝ একবার ! মাথা থেকে একফুট দূরে সিংহগুলাে লােহার জালে থাবা মারছে আর দাঁত খিঁচিয়ে গর্জন করছে! তাদের মুখ থেকে লালা ঝরে পড়ছে আমাদের গায়ের ওপর, তার উপর ঘন বোঁটকা গন্ধ !
এতক্ষণ যে বীরপুরুষেরা খালি হাতে ৮/১০টা বাঘ-সিংহ শিকারের গল্প বলছিল–তারা ঘটনার আস্মিকতায় প্রথমটায় বিহ্বল হয়ে গেছিল! পরে প্রাণের ভয়ে Van গাডীটার মধ্যেই এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত করে বেড়াতেলাগল। সিংহও ওদেরকে follow করে থাবা মারে_ আর গর্জন করে! সব লােকগুলাে ভয়ে ভড় ভড় করে হেগে ফেলল–কাপড়ে-চোপড়ে-প্যান্টে সে কি অবস্থা ! একে বাঘের গায়ের বোঁটকা গন্ধ, তার উপর পায়খানার দুর্গন্ধ – আমার তখন প্রাণান্তকর অবস্থা ! Driver ওদের অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে আবার গাড়ী Start করে দিল। গাড়ী চলতে শুরু করতেই সিংহেরা লাফ দিয়ে গাড়ী থেকে নেমে গেল। Driver আবার নিরাপদ স্থানে এসে একটা জলাশয়ের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলল যে, ‘বীরপুরুষের দল, যান কাপড়-চোপড় কেচে ফেলুন আর এই বালতি নিয়ে গাড়িটাও পরিষ্কার করে ফেলুন?’
Driver সাহেব আমাকে অবিচল থাকতে দেখে খুব খুশী হোল। ওর Tiffin থেকে আমাকেও খেতে দিল। লোকগুলোর কাপড় ও গাড়ী পরিষ্কার হবার পর, আমরা আবার ফিরে এলাম। তবে ফেরার পথে অতিমাত্রায় লজ্জিত বীরপুরুষেরা কিন্তু একটা কথাও আর বলেনি।
জিজ্ঞাসু :– আপনার ভ্রমণকালে এমন কোন মহাপুরুষের সাথে কি দেখা হয়েছিল – যিনিও পরবর্তীকালে সমাজের কাজ করেছেন?
গুরুমহারাজ :– হ্যাঁ, স্বামী অদ্বৈতানন্দের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। উনি তখন উত্তরকাশীর নিকটে বিমলেশ্বর পাহাড়ে সাধনা করছিলেন। ওনার আশ্রমে সেদিন বাৎসরিক উৎসব চলছিল – প্রচুর সাধুসন্তের ভিড় – ভাণ্ডারা হচ্ছিল। আমি আর ন’কাকা আমার গুরুদেব রামানন্দ অবধূতজীর আশ্রম থেকে বেরিয়ে ওঁর আশ্রমে গিয়ে হাজির হলাম। সাধুদের মধ্যে একজন সিদ্ধ হলে বা সাধনায় উন্নতি করলে অন্যরা আনন্দ করে ভাণ্ডারা দেয়__ সাধারণ মানুষের মতো একের উন্নতিতে তাঁরা ঈর্ষা করেন না। ঐরকমই কোন অনুষ্ঠান চলছিল ওখানে এবং সবাই খুব আনন্দ করছিল। অদ্বৈতানন্দ স্বামী, আচার্যের আসনে বসে সবার প্রণাম বা অভিবাদন নিচ্ছিলেন। লাইন দিয়ে আমরা ওঁর কাছে পৌঁছাতেই, উনি খপ্ করে আমার একটা হাত ধরে ফেললেন – তারপর সে কি কাণ্ড! ওঁর দুচোখ দিয়ে পিচকারীর মতো জলের ধারা বের হতে লাগল। শোনা যায় মহাপ্রভুর চোখ দিয়ে নাকি এরকম জলের ধারা বের হোত – এবার তা প্রত্যক্ষ করলাম! ন’কাকা(বনগ্রামের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী) আমার পাশেই ছিল। আমি জোর করে হাত ছাড়াবার চেষ্টা করছি – মুখে বলছিও, ‘অদ্বৈতানন্দ ছেড়ে দাও – কি হচ্ছে এটা?’ কিন্তু কে কার কথা শোনে! উনি হাতটা আরও শক্ত করে ধরে রাখতে চাইছেন। আমি বুঝতে পারছি এমন কিছুক্ষণ চললেই ওঁর শরীর বেঁকে যাবে কারণ ওঁর তখন দ্রবীভূত গলিত প্রেমের অবস্থা। বহু সাধু, সন্ত, দর্শনার্থী রয়েছে চারিদিকে – একটা বিশ্রী কাণ্ড হয়ে যাবে। আমি জোর করে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে ওঁর দিকে না তাকিয়ে অনেকদূর চলে এলাম! সেখান থেকে তাকিয়ে দেখি উনি একদৃষ্টে আমার পানে চেয়ে রয়েছেন – যেন দৃষ্টি দিয়ে লেহন করছেন!
গুরুদেব(উত্তরকাশীর রামানন্দ অবধূতজী)-এর আশ্রমে ফিরে আসতেই উনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেয়া দেখা?’ আমি বললাম, ‘ওহি’। উনি আর কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। তবে ওঁকে দেখে আমার বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজকে মনে পড়ছিল। অদ্বৈতের বংশধর ছিলেন বিজয় – ওনার শরীরও যেন একই ছাঁচে ঢালা। অদ্বৈতানন্দ ওখানে ছাড়াও হুগলীর চণ্ডীতলার কাছাকাছি কোন জায়গায় (জাঙ্গিপাড়া) আসেন এবং মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছেন।
জিজ্ঞাসু:– এখানে আপনি যেমন Sitting করেন, অন্যান্য সাধু-আশ্রমে এমনটা হয় না — সেখানে হয়ত একটা topic-এর উপর আলোচনা হয় বা পাঠ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি হয়। আপনার এই ধারাটি কি নতুন পরম্পরা?
গুরুমহারাজ :– দ্যাখো, ভারতে বিভিন্ন পরম্পরার আশ্রম, মঠ বা মিশন রয়েছে। তারা সকলে পরম্পরাগত শিক্ষাকেই অনুসরণ করে। যেমন ঋষিকেশ কৈলাশ আশ্রমে সংস্কৃতে পাঠ দেওয়া হয়। ফলে সংস্কৃত জানা শিক্ষিত ব্যক্তিরাই তা গ্রহণ করতে পারে, Layman-রা ঐ শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হয়। তুমি ঠিকই বলছ — বিভিন্ন মঠ, মিশনে শুধু পাঠ আর তার ব্যাখ্যা হয়, ধর্ম সম্মেলনগুলোতেও দেখেছি সেখানে বিভিন্ন topic-এর উপরে শুধু বক্তৃতা হয়। কিন্তু discussion বা ঘরোয়া পরিবেশে যে কোন ধরনের জিজ্ঞাসা-উত্তরের আসরচট করে কোথাও পাওয়া যাবে না।
Mass বা সাধারণ জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করার অধিকার সকলের থাকে না। এই কাজ করে গিয়েছিলেন ভগবান বুদ্ধ, যীশু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব প্রমূখ রা। ফলে পরম্পরা রয়েছে — নতুন কিছু নয়। খ্রীষ্টান বা মুসলমান ধর্মাবলম্বী ধর্মগুরুরা যেমন — যাজক, পাদ্রী বা মৌলভি-মৌলানাদের কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বিরক্ত হ'ন, অপমানিত বোধ করেন। বৈষ্ণব পরম্পরার সাধু বাবাজীরাও জিজ্ঞাসা করলে রেগে যান। আমাদের আশ্রমের দেবেন্দ্র (স্বামী বিশুদ্ধানন্দ) উত্তরকাশীতে থাকাকালীন বৈষ্ণব পরম্পরার এক সাধু স্বামী চিন্ময়ানন্দের আশ্রমে পাঠ ও ব্যাখ্যা শুনতে যেত। একদিন স্বামীজী দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রেমের ব্যাখ্যা করছেন, করছেন তো করছেনই। দেবেন্দ্র এই ব্যাপারে আমার কাছে অনেক কিছু শুনেছিল, তাই ওনার ব্যাখায় বিরক্ত হয়ে বলেছিল, 'মহারাজ প্রেম অহৈতুকী — অকারণ, কথামালা সাজিয়ে প্রেমকে কিভাবে বোঝাবেন! যার বোধ হয়েছে সেই জানতে পারে_প্রেম কি!' এই কথা শুনেই চিন্ময়ানন্দ রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন__ দেবেন্দ্রকে অসভ্য, অভদ্র ইত্যাদি বলে গালাগালি দিতে শুরু করে দিলেন। দেবেন্দ্র ওনার কথার মাঝেই বলেছিল, "মহারাজ আপনার নামের আগে 'স্বামী' কথাটা রয়েছে_ 'স্বামী' কথার অর্থ যার 'স্বয়ং'-এর জ্ঞান হয়েছে। অথচ আপনি রেগে যাচ্ছেন_ তার মানেই তো আপনি অজ্ঞানী। সুতরাং আপনার নামের আগে 'স্বামী' নয়, 'দাস' বসান।" এই বলে দেবেন্দ্রনাথ ওঁর আশ্রম ছেড়ে সোজা গুরুদেব রামানন্দজীর কাছে উপস্থিত হ'ল। গুরুদেব সব শুনে বললেন, ' হিন্দীমে কহাবৎ হ্যায়, "পড়ো উর্দু_ বেচো তেল, তব্ দেখো কুদরৎ কি খেল' — এ্যাসাহি হোতা হয় সব লোগ্।"
প্রেমই শেষ কথা। প্রেমিক গুরুর পাল্লায় না পড়লে সাধনার শেষ ধাপ অতিক্রম করা যায় না। প্রেমই পারে বিভেদের প্রাচীর ভাঙ্গতে — ধনী-নির্ধন, ব্রাহ্মণ-চণ্ডালকে এক আসনে ঠাঁই করে দিতে। প্রেমেই অবতরণ হয় ভগবানের। আর ভগবানই পারেন সকলকে সহজ ভাষায় তাঁর নিজের মত করে শিক্ষা দিতে। সকলের সকল জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়ে তাদের অন্তর শান্ত করতে — শান্তি দিতে।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।।