স্থান ~ পরমানন্দ মিশন (বনগ্রাম) উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ মিশনস্থ সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও বহিরাগত ভক্তবৃন্দ ।

জিজ্ঞাসু :– অবতার পুরুষের আগমন কেন?

গুরুমহারাজ > তাঁর আবির্ভাবের উদ্দেশ্য হল — বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যস্থাপন করা, disharmony থেকে harmony-তে নিয়ে আসা, অসহজ অবস্থা থেকে মানবকে বা সমাজকে সহজ অবস্থায় আনা, বিশৃঙ্খলাকে সুশৃঙ্খল করা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু! এই জন্যই গীতায় ‘সংস্থাপন’ কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে ‘পুনঃস্থাপন’ নয় — এটাকে reformation বলা যায়, তবে ‘disharmony থেকে harmony অবস্থায় নিয়ে আসা’- বললেই ঠিক ঠিক বলা হয়। আমার গুরুদেব বলতেন, “জগ্ ঝুট্ হ্যায়, কুত্তাকা পুছ্ হ্যায়”। আমি বলেছিলাম — “ঠিকই আছে কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না যতক্ষণ ধরে থাকা হয় ততক্ষণই সোজা তারপর আবার যে কে সেই। কিন্তু দেখা যায় _ভয় পেলে বা অসহজতার কারণে কুকুরের লেজ নীচের দিকে বেঁকে যায় কিন্তু কুকুর যখন ‘রোক্’ দেখায় বা সাহসী হয় তখন লেজ উপরের দিকে বাঁকা থাকে, আমি না হয় সমাজের লেজকে একটু উপরে ওঠাতে সাহায্য করি”!

বৈচিত্র্যই প্রকৃতির সহজতা। কিন্তু বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে খুঁজে বের করা বা তার সঙ্গে ‘লগন্’ লাগিয়ে রাখাটাই সাধনা। ‘হরিসে লগন্ লাগাতে রহরে ভাই, তেরি বনত বনত বনি যাই’। এই যে দ্বৈতকে ধরে অদ্বৈতে উত্তরণ, এটাই চরৈবেতি। সৃষ্টি রহস্য- জগৎ রহস্যের মূল ধারাটিকে আগে খুঁজতে হবে। তারপর সেটিকেই আশ্রয় করতে হবে। এটাই বাহাদুরি!

চেতনার গভীরে ঢুকে আমি দেখেছি জগৎ-সংসারে দুটি ধারা আছে — একটি বহির্মুখী অন্যটি অন্তর্মুখী — একটি মহামায়ার জগত,অন্যটি যোগমায়ার। একটি বাইরে বেরোবার রাস্তা অন্যটি ভেতরে প্রবেশের। তিনিই যথার্থ সাধক যিনি মূলধারাটি সর্বদা ধরে রয়েছেন। রাগ-রাগিণী যতই সাধা হোক না কেন, ওস্তাদ গাইয়ে যেমন মূল বা বাদী সুরটি থেকে কখনও বিচ্যুত হন না _তেমনি ওস্তাদ সাধক বা বাহাদুর তাঁরাই, যাঁরা সদাসর্বদা 'মায়া'কে ছেড়ে 'মা'-কে আশ্রয় করে থাকেন। কাশীতে আমি একবার পণ্ডিত ওঙ্কারনাথের 'মালকোশ' রাগ শুনেছিলাম। দেখলাম এঁরাই ওস্তাদ গাইয়ে-সংগীতসিদ্ধ, নানান সুরের ব্যঞ্জনার মধ্যেও সর্বদা বাদীসুরটিকে অক্ষুণ্ণ রাখছেন। পুরাকালে কবি জয়দেব বা আকবরের সভাকবি তানসেন _এনারাও সংগীতে সিদ্ধ ছিলেন। কিন্তু এই যে অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া — এটা কি মামুলি ব্যাপার! এর জন্যে প্রয়োজন ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সাধনা। যোগমার্গে চারটি ধারা রয়েছে__ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর আর শক্তিধারা !এরমধ্যে আবার দুভাবে এগোনো যায় — 'নেতি' 'নেতি' এবং 'ইতি' 'ইতি' করে। 'বাসুদেবঃ সর্ব্বমিতি'_ সবকিছুই তিনি। তাই তাঁকে পাবার কৌশল জানা থাকলে আর পাওয়ার ব্যাপারে নিষ্ঠা থাকলে সবকিছুর মধ্যে দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়।

 কিন্তু মানুষ তো চাওয়ার কৌশলই জানে না তাই পাওয়ার কৌশলও এলোমেলো হয়ে যায়। অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিকে জলে ডোবালে সে মারা যায়, শীতার্ত ব্যক্তিকে আগুনে ফেলে দিলেও সেই একই দশা হয় ! অতএব বোঝাই যাচ্ছে_ প্রয়োজনাতিরিক্ত কোনকিছুই ভাল নয়। তাছাড়া capacity-র বাইরে কোনকিছু গ্রহণ করাও তো যাবে না! বেশি বেশি খাদ্যগ্রহন করে, তাকে কাজে লাগাতে হলে যেমন স্টম্যাক্-এর স্থান বাড়াতে হবে আবার লিভারকে স্ট্রং করতে হবে, তেমনি যে কোন শক্তিলাভ করতে গেলেও আধারকে তত মজবুত করতে হবে। তোমার পেট বুঝে — শরীর বুঝে যেমন তোমার 'মা' তোমাকে খাদ্য পরিবেশন করেন, তেমনি স্নেহময়ী জননী জগদম্বাও যাকে যেটুকু দেবার সেটুকুই দেন, কারণ তিনি জানেন প্রয়োজনের বেশি দিলেই মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই হবে বেশি।

যাইহোক, মা জগদম্বা এইভাবেই আধার অনুযায়ী, সাধনা অনুযায়ী যাকে যা দেবার তাকে তাই দেন। কিন্তু পৃথিবী গ্রহের ধর্ম হল সবকিছুকে নিম্নগামী করা। অহংকার আর অভিমানকে আশ্রয় করে মানুষের অন্তর্চেতনা ভারী হয়ে নিম্নগামী হয় আর এতেই হয় অধঃপতন! কম ভারী বস্তু যদি কারও মাথায় পড়ে তাহলে ক্ষতি কম হয় কিন্তু বেশি ভারী মাথায় পড়লেমারাত্মক ক্ষতি হয়! তেমনি সাধারণ মানুষের অধঃপতনে সমাজশরীর অতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না কিন্তু শক্তিমান ব্যক্তি অর্থাৎ ধর্মীয় নেতা, রাষ্ট্রীয় নেতারা যদি অধঃপতিত হন তবে সমাজের সমূহ অমঙ্গল সাধিত হয়। তাঁদের পূর্ব পূর্ব সাধনার শক্তি রয়েছে, তাইতো তাঁরা আজ ওই জায়গায় পৌঁছেছেন — ফলে এঁদের নিম্নগামীতা সমাজশরীরের মাথায় পড়লে তখন সমাজে ব্যাপক disharmony-র সৃষ্টি হয়। এঁদের লোকমান্যতা থাকে, লোককে motivate করার ক্ষমতা থাকে — এর ফলে এদের মধ্যে বিকাল ঢুকে গেলে, এক একটা unit-এর অধঃপতন হতে হতে_ mass-এরও নৈতিক অধঃপতন ঘটে থাকে! এটাই শাস্ত্রোক্ত “ধর্মের গ্লানি”। আর সমাজে যখন‌ই এই ধরনের অসুরের সংখ্যা বেড়ে যায়তখন তাদের নাশ করে সমাজকে মূল সুরে ফিরিয়ে আনতে_আবির্ভাব হয় মহাপুরুষ বা অবতার পুরুষদের! আশাকরি ব্যাপারটা বুঝতে পারলে।

 'অবতার' কথাটা এসেছে 'অবতরণ' থেকে! ব্রহ্ম যখন চতুর্দশ কলায় অবতীর্ণ হন, তখন তাঁকে বলা হয়অবতার। আর যে শরীরে ভগবৎশক্তির প্রকাশ ঘটে সেই শরীরধারীকে বলা হয় 'ভগবান'। ভগবান ষড়ৈশ্বর্যবান হন — ফলে ভগবানের চারিদিকে যশ, ঐশ্বর্য, শ্রী-আদি ঐশ্বর্যসকল সদাসর্বদা বিরাজিত থাকে। তাই ভগবানকে ভক্তের পক্ষে চেনা কঠিন হয় না। তিনি স্বয়ং ধরা দেন। আর সমকালীন মানুষ সেই ভাগবতী তনুসমন্বিত ভগবানের দর্শন ও স্পর্শ পেয়ে ধন্য হন।

জিজ্ঞাসু :– ‘কাঠিয়াবাবা’র পরম্পরা রয়েছে, যারা কোমরে কাঠ জড়ায়। আচ্ছা এদের এরূপ করার কারণ কি?

গুরুমহারাজ :– ‘কাঠিয়াবাবা’র পরম্পরাটি এসেছে রামদাস কাঠিয়াবাবার পর থেকে। রামদাসের জীবনের ঘটনা বলছি, শোন। ছোটবেলাতেই ও পিতামাতাকে হারায়। প্রতিবেশীরাই ওকে লালন-পালন করে বড় করে। কোন একদিন একজন সাধুবাবা ওই গ্রামে এসে ডেরা বাঁধেন। বালক রামদাস ওই সাধুর কাছে থাকতে শুরু করল। তাঁর জন্য জল এনে দিতো, তামাক সেজে দিতো ইত্যাদি বিভিন্ন ফাইফরমাস খাটতো। একদিন সাধুটি ডেরা তুলে গ্রাম ছেড়ে চলে যাবার উদ্যোগ নিলেন, বালক রামদাসও তাঁর পিছন পিছন চলতে শুরু করল। সাধুটি তাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করতেই গ্রামবাসীরাও সাধুবাবাকে অনুরোধ করল ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে। এইভাবেই রামদাস ওই সাধুর শিষ্য বা সেবক হিসাবে পথে বেরিয়ে পড়ল। সাধুটি স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরতে লাগলেন, সেবক রামদাসও পিছু পিছু সাধুর সাথে ঘুরতে লাগল। যদিও বালক রামদাসের প্রকৃতিতে ‘সেবাভাব’ ব্যাপারটা ছিল এবং সে খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে গুরুর বিভিন্ন সেবাকাজ সম্পন্ন করত, কিন্তু গুরুদেব তার কাজের সামান্য ত্রুটি হলেই তাকে বিশ্রীভাবে মারধর করতেন।

এইভাবে দিন কাটতে লাগলো, রামদাস বাল্য পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করলো। আর সে তার সেবাকাজের ভুল-ত্রুটি শুধরে আরও নিষ্ঠা সহকারে কাজ করে যেতে লাগলো। কিন্তু তবু কি কাজের ভুল হয় না — যে কাজ করে তারই তো ভুল হয়! যে নিষ্কর্মা- কুঁড়ে, সে বসে থাকে আর লোকের ভুল ধরে। যাইহোক, গুরুদেব কিন্তু সামান্য ত্রুটি হলেই তাকে শারীরিকভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন করতেন। শুধু রাত্রিকালীন স্বল্পবিশ্রাম ছাড়া তাকে আর কোন বিশ্রাম দিতেন না। একটা কাজ শেষ হলেই অপর একটা কাজের ফরমাস করতেন। এতে কর্মক্লান্ত রামদাস মাঝে মাঝেই ঘুমিয়ে পড়তো। আর অমনি শুরু হোত গুরুদেবের মার !

একদিন গুরুদেব করলেন কি_ যখন তখন রামদাস যাতে ঘুমিয়ে পড়তে না পারে সেইজন্যই তার কোমরে একটি কাঠের বেড় জড়িয়ে দিলেন, যাতে ঘুমোতে গেলেই কোমরে বা কিডনি পয়েন্টে চাপ পড়ে। এর ফলে রামদাস ভালো করে আর শুতেই পারতো নাওকে বসে বসেই ঘুম সারতে হোত। এসবের মাঝে সূক্ষ্ম অবস্থায় থাকা আধ্যাত্মিক জগতের গুরুদের মধ্যে একটা বিরাট আলোড়ন ঘটে চলেছিল — এই যে রামদাসের গুরুদেব শিষ্যকে ধ্যান, জপ ইত্যাদি করার কোন সময় দিতেন না, শুধু কাজ — কাজ আর কাজ-ই করিয়ে যেতেনএই ব্যাপারটায় তাঁরাও বিচলিত ছিলেন। রামদাসের মনে কিন্তু এই নিয়ে খেদ থাকলেও কোনদিন সে তা প্রকাশ করেনি। একদিন হয়েছে কি_ রামদাস নিচের পাহাড়ি ঝরনা থেকে চড়াই-উতরাই ভেঙে ভেঙে মাটির কলসী করে জল বয়ে নিয়ে এসেছে। আশ্রম প্রাঙ্গণে দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে অধিক দেরি হ‌ওয়ার অজুহাতে গুরু এমন তর্জন করে বকে উঠলেন যে, ভয়ে রামদাসের হাত থেকে জলভর্তি মাটির কলসী পড়ে ভেঙে গেল। কলসী ভেঙে যেতে দেখেই অমনি গুরু চিমটা দিয়ে শিষ্যকে নির্দয়ভাবে প্রচণ্ড প্রহার করতে লাগলেন। প্রহারে প্রহারে জর্জরিত রামদাসের ‘সহ্য-শক্তির যে শক্ত বাঁধ’- তা ভেঙে গেল। সে গুরুদেবের চরণতলে লুটিয়ে পড়ে বলে উঠল,”গুরুদেব, আজ আমাকে আপনি একেবারেমেরে ফেলুন — আমি আপনার উপযুক্ত সেবক নই আপনাকে কত কষ্ট দিই! তাই রোজ রোজ আপনাকে কত কষ্ট করে আমাকে শাস্তি দিতে হয়, তার চেয়ে আজ আপনি আমাকে মেরে শেষ করে ফেলুন!” — এই কথাগুলি বলতে বলতেই রামদাস গুরুদেবের পা’দুটো জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলো। এই ঘটনার সাথে সাথেই দেখা গেল_ গুরুর চিমটা সমেত মারতে উদ্যত হাতসহ সমস্ত শরীর স্থির হয়ে গেল এবং রামদাসের শরীরও ধীরে ধীরে ধীরে স্থির নিস্পন্দ হয়ে যেতে শুরু করল!

 এখানে ঘটনা ঘটল কি, গুরু পরম্পরা বা গুরুকুলের কৃপালাভ হয়ে গেল রামদাসের! গুরুদেবের কাছে এই যে পূর্ণ শরণাগতি অবস্থা, এই অবস্থায় ওই গুরুদেবের শরীরকে মাধ্যম করে গুরু পরম্পরার শক্তি রামদাসের মধ্যে হু-হু করে প্রবেশ করল এবং রামদাস সমাধিস্থ হয়ে গেল! নির্বিকল্পের গভীরে প্রবেশ করে রামদাস জানলো — ব্রহ্ম, জগৎ ও জীবনের রহস্য!

ঈশ্বরের ইচ্ছায় রামদাস বহুদিন শরীরে ছিল, ফলে ভারতীয় তৎকালীন সমাজ পেয়েছিল মহাযোগী বা মহাজ্ঞানী রামদাস কাঠিয়াবাবাকে। গুরুদেবের দেওয়া কোমরের কাঠটি সে কিন্তু আজীবন রেখেছিল। তাই পরবর্তীকালের মানুষেরা ওকে ‘কাঠিয়াবাবা’ বলে ডাকত। তারপর থেকেই ‘কাঠিয়াবাবা’ পরম্পরার সৃষ্টি হয়।

রামদাসের জীবনী থেকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়— প্রথমত, রামদাস কোন ধ্যান, জপ, পূজা-পাঠ ছাড়াই কিন্তু চরম লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন। দ্বিতীয়ত, তার প্রতি গুরুর কৃপা যে খুব ছিল তাও ছিল না_ কারণ কোন স্নেহশীল গুরু তার শিষ্যের প্রতি এতটা নির্দয়, এতটা নিষ্ঠুর হোতে পারে না!

তাহলে আধ্যাত্মিক জগতে এতটা jump__ কি করে ঘটল? হয়েছে কি — রামদাসের যে গুরুবাক্যের প্রতি ঐকান্তিক নিষ্ঠা, অসম্ভব ধৈর্য, সহনশীলতা এবং একান্ত গুরুসেবা_ এগুলি ধ্যান, জপ ইত্যাদির থেকেও অনেক গুণ বেশি আধ্যাত্মিকতা ছিল। এইজন্যেই বলা হয়“আধ্যাত্মিক জগতের বিচিত্র বিধান”! আর শেষদিনে গুরুর রূঢ় ব্যবহার সত্ত্বেও রামদাসের যে পূর্ণ শরণাগতি, এতেই গুরু পরম্পরা বা Guru chain-এ টান পড়ে! তাঁদের দৃষ্টি তো ছিলইঐদিন তাঁদের সম্মিলিত করুণা একযোগে পড়েছিল রামদাসের উপর! রামদাসের ক্ষেত্র প্রস্তুতই ছিল ফলে তাঁদের প্রদত্ত শক্তিতে রামদাসের কুলকুণ্ডলিনী প্রচণ্ড গতিতে বিভিন্ন অবস্থা অতিক্রম করে একেবারে সহস্রারে প্রবেশ করেছিল!

তাই বলছিলাম_ দ্যাখো, তোমরা অনেকেই ধ্যান হলো না, জপ হলো না, এটা হোল না, ওটা হোল না করে complain করো কিন্তু ঐ যে বললাম_ আধ্যাত্মিক জগতের বিচিত্র বিধান। এখানে কিভাবে যে কি হয়, অথবা ‘অতকিছু করেও কেন হল না’ — এসবের উত্তর খুঁজতে যেও না। ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়ে চলেছে, তাঁর ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাটিও নড়ে না_ আবার তাঁর ইচ্ছায় সুচের ফুটোর ভেতর দিয়ে হাতি গলে যেতে পারে ! এই কথাগুলো সর্বদা মনে রাখার চেষ্টা কোরো — তাহলেই দেখবে তোমরা যে যে অবস্থাতে থাক না কেন — অন্তরে শান্তি পাবে। সর্বদা মনে রাখবে — ‘পরমেশ্বরের মহিমা অপার’।

ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।