স্থান ~ বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন । সময় ~ ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ ৷ উপস্থিত ব্যক্তিগণ ~ সিঙ্গুর ও বনগ্রাম আশ্রমের ভক্তবৃন্দ এবং আলেক্স, বেয়ন ইত্যাদি ইউরোপীয়রা ।

জিজ্ঞাসু :– প্রাচীন ভারতের সভ্যতা বলতে হিমালয়কে কেন টানা হয়?

গুরুমহারাজ :–দ্যাখোবলা হয় ‘সভ্যতার পরিভাষা হল সংযম’। তাই সুপ্রাচীনকাল থেকে সংযমের মূর্ত প্রতীক ঋষি, মুনি ও মহাপুরুষগণ কর্তৃক প্রাপ্ত যে সভ্যতা তাই ভারতবর্ষের প্রধান সম্পদ। তোমাদের তো আমি আগে বলেছি__ প্রাচীনকালে যে তিনটি সভ্যতা ভারতবর্ষে বিকাশ লাভ করেছিল, সেগুলি হল আর্য সভ্যতা, দ্রাবিড় সভ্যতা এবং কোল সভ্যতা। উত্তর ভারত বা হিমালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল আর্য সভ্যতা, দক্ষিণভারত অর্থাৎ নর্মদা-গোদাবরী তীরবর্তী অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দ্রাবিড় সভ্যতা এবং বিন্ধ্যাচলকে কেন্দ্র করে কোল সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।

এবার কথা হচ্ছে যে, আদিম মানবসমাজ থেকে কৃষি সমাজব্যবস্থায় আসতে মানুষকে এবং মানুষের সমাজকে তো অনেকটাই বিবর্তিত হতে হয়েছে । এই বিবর্তনের সবটা শুধু প্রাকৃতিকভাবে হয় না – মহাপুরুষগণ অর্থাৎ উন্নত মানবগণ তার উন্নত জীবনযাপন ও উন্নত আদর্শ দিয়ে সমাজের বাকি মানুষকে উন্নত করে তোলে। এইভাবেই যুগে যুগে এক একটা সমাজে যত বেশি বেশি উন্নত মহামানবদের জন্ম হয়েছে, সেই সমাজ ততটাই উন্নত হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসের দিকে চোখ মেলে দেখো, কোন না কোন দেশ বা জাতি কোন মহাপুরুষকে কেন্দ্র করেই নতুন চিন্তা পেয়েছে, বাঁচার বা জীবনধারণের নতুন দিশা লাভ করেছে ! ফলে সেই সমাজটি আগের থেকে অন্যরকম হয়েছে বা পূর্বের চেয়ে উন্নত হয়েছে।

হিমালয় হচ্ছে পৃথিবী গ্রহের মস্তিষ্কস্বরূপ। এটির বিস্তার বিশাল এবং গিরি বা শৃঙ্গের সংখ্যাও প্রচুর।এছাড়া নিবিড় অরণ্যানী, পর্বতগাত্র থেকে ঝরে পড়া নির্ঝরিণী, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গুহাকন্দর, বিভিন্ন ফলের গাছ, জন-জীবনের কোলাহল ও ঝামেলা থেকে দূরে অবস্থান আর নৈসর্গিক সৌন্দর্য – এগুলিই যুগে যুগে চিন্তাশীল সাধু-সন্ত, ত্যাগী, সন্ন্যাসীদের বারবার আকর্ষণ করেছে, স্থান দিয়েছে। তবে প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত যত উন্নত মানব সমাজ সংস্কারের কাজ করেছেন বা সমাজ বিবর্তন ঘটিয়েছেন, তাঁরা সকলেই যে ঐ অঞ্চলের মানুষ তা নয়_ তবে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ হিমালয়ে গিয়ে সাধনা করেছেন এবং তাঁদের সাধনলব্ধ জ্ঞান সমাজের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে সারা ভারতেই শুধু নয় বহু প্রাচীনকাল থেকে ভারতের বাইরের দেশগুলিতেও ধীরে ধীরে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে_ হিমালয়কে কেন্দ্র করেই । কথিত আছে যীশুখ্রীষ্ট বা হজরত মহম্মদও ছোট বয়সে হিমালয়ে এসেছিলেন সাধন-ভজন করার বা যোগশিক্ষার জন্য। এইভাবে যুগে যুগে বিভিন্ন সাধক এখানে সিদ্ধ হয়েছেন, এঁদের মধ্যে অনেকে আবার হাজার হাজার বছর ধরে শরীরধারণ করে আজও রয়ে গেছেন ! আমি যখন হিমালয়ে ঘুরছিলাম তখন আমার সাথেই এরকম বেশ কয়েকজনের দেখা হয়েছিল – যাঁদের বয়স বেশ কয়েক হাজার বছর ! এঁরা ঐ অবস্থাতেই জগৎকল্যাণ করে চলেছেন। আবার কেউ কেউ বিশেষ কোন দায়িত্ব পালনের জন্য শরীরটা রক্ষা করে চলেছেন। আবার এমন অনেকে আছেন যাঁরা যোগসিদ্ধ, বারবার কায়াকল্প করে নিজের শরীরটাকে পরিবর্তন করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চেহারা দেখে বা আকৃতি দেখে ধরতেই পারবে না মানুষটার কত বয়স। একমাত্র উন্নত যোগীর চোখে এঁরা ধরা পড়ে যান । যাইহোক, সেই অর্থে বলা যেতে পারে হিমালয় হচ্ছে সভ্য মানুষদের সাধনাস্থল, মিলনস্থল বা পৃথিবীর ভালোমন্দের পরিকল্পনা বা পরিচালনার আধ্যাত্মিক কেন্দ্র।

হিমালয়ান সভ্যতা বলতে যেন হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলের স্থানীয় লোকেদের কথা ভেবে বসো না _ ওরা পার্বত্যজাতি বা উপজাতি, ওরা আর কোথায় উন্নত? ঐ সমস্ত অঞ্চলের মানুষেরা প্রচণ্ড গরিব, খেটে খেটে স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই জীবনপাত হয়ে যায়তবে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোটে। তিব্বত অঞ্চলের লোকেদেরও সেই একই অবস্থা ! দ্যাখো, প্রকৃতপক্ষে সভ্যতা কখনও কোনদিনই পর্বতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেনা, সেই অর্থে সভ্যতা নদীমাতৃক। যে কোন দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবে সেখানকার উন্নত নগর সভ্যতার বিকাশ, কৃষির বিকাশ, শিল্পের বিকাশ গড়ে উঠেছে কোন না কোন নদীকে কেন্দ্র করে। ভারতবর্ষেও তাই হয়েছে, নদী-উপকূলবর্তী মানুষরাই সাহিত্যে, শিল্পে, সংস্কৃতিতে এগিয়ে রয়েছে। এমনকি কোন দেশের সিদ্ধ, মহাত্মাদেরও অধিকাংশই_ কোন না কোন নদীতীরবর্তী স্থানের লোক। পরে হয়তো তাঁরা হিমালয়ে বা অন্য কোথাও সাধন ভজন করেছেন বা সিদ্ধ হয়ে কোন কর্মস্থল বেছে নিয়ে সেখানে settled হয়েছেন। ভারতবর্ষে এইজন্যই গঙ্গা-যমুনা-সিন্ধু বিধৌত সমভূমিই আজও গরীয়সী হয়ে রয়েছে। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ সন্তানগণ এইসব অঞ্চল থেকেই এসেছেন। অবশ্য কথায় রয়েছে_ ভগবানের লীলা বোঝা ভার ! যেমন দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ জন্মাতে পারে_ তেমনই বন্ধুর, রুক্ষ প্রকৃতি থেকেও অনেক মহাত্মা-মহাজন জন্মেছেন ঠিকই, তবে বেশিরভাগ মহাত্মা-মহাজনেরা নদীবিধৌত অঞ্চল থেকেই এসেছেন। এই theory শুধু ভারতবর্ষের নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও দেখবে_এই এক‌ই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানিতে যত মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের বেশিরভাগই দানিয়ুব, রাইন ইত্যাদি নদীতীরবর্তী অঞ্চলের লোক। জার্মানির দক্ষিণভাগে জন্মেছেন আইনস্টাইন, হ্যানিম্যান, হেগেল, কার্ল মার্কস, ফুয়ারব্যাখ্ ইত্যাদি অনেকে। ইতালির মনীষীদের মধ্যেও বেশিরভাগ দক্ষিণ ইতালির লোক অর্থাৎ এঁরাও নদী উপকূলবর্তী স্থানের লোক। South ককেশীয় লোকেরা দেখা গেছে cultural হয় কারণ এরাও নদীমাতৃক অঞ্চলের লোক, আর north ককেশীয় বা পার্বত্য এলাকার লোকেরা তুলনামূলকভাবে পরে সভ্য জীবনে এসেছে। তাই বহুদিন পর্যন্ত এরা পশুপালক গোষ্ঠীভুক্ত ছিল। প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে এই অঞ্চলের লোকেদের ‘হয়গ্রীব’ জাতি বলা হয়েছে। এরা প্রচণ্ড তামসিক। এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত অঞ্চলের লোকেরা স্নান করে না, পায়খানা করে জলশৌচ করে না।

প্রকৃতপক্ষে, প্রাচীনকাল থেকেই দুটো শাখায় বিভক্ত ছিল আদিম মানবসমাজ। একদল নদীতীরবর্তী স্থানে বসবাস করে বা কৃষিকার্য দ্বারা নিজের প্রয়োজন নিজে মিটিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করে settled হয়েছিল, আরঅন্যদল জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত, তৃণভূমি ইত্যাদিকে আশ্রয় করে পশুপালন করত বা যাযাবর জীবনযাপন করত। এরফলে প্রথম group-এর লোকজন অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানে নিজেদেরকে secured করে তুলতে সমর্থ হয়েছিল, তাদের খাদ্যসমস্যা দূর হওয়ায় মানসিক উদ্বেগ ছিল না, অবসর সময় হাতে পেল আর এখান থেকেই মস্তিষ্ককোষের বিকাশের শুরু। চিন্তার গভীরতায় যত যেতে লাগল মানুষ ততই তার মস্তিষ্ক উন্নত হতে শুরু করল – বহু অজানা তত্ত্ব ও তথ্য তার কাছে ধরা দিল, সৃষ্টি হল শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভিন্ন শাখার। আর অন্যদলের ভ্রাম্যমান জীবনে শুধুই গতি আর গতি। নিজেদের জীবনধারণের সমস্যা মেটাতেই সারাদিন চলে যায় – মস্তিষ্ক উন্নত হবে কি করে! ফলে ধীরে ধীরে এই গোষ্ঠীর লোকেরাও ওদের দেখাদেখি settled হতে শুরু করল। এইভাবে যেটা দেখছ আজকের সমাজ – এইরকমটা তৈরি হয়েছে।

এইভাবে যত পাহাড়ি উপজাতি, বন-জঙ্গলের উপজাতিসমূহ রয়েছে, মরুভূমির বিভিন্ন উপজাতি রয়েছে, এরা এরকমভাবেই পশুপালন বৃত্তিকে পুরোপুরি ছাড়তে পারেনি আবার কৃষিভিত্তিক সভ্যতার মূলস্রোতেও ঢুকতে পারেনি, তাই তারা সভ্য-শিক্ষিত মানবসমাজ থেকে দূরে রয়ে গেছে, সমস্ত রকম নাগরিক সুযোগ সুবিধা আজও তারা পায়নি। তবে কিছু উপজাতি রয়েছে যারা cultured – এরা হয়ত কোন সময় বহিঃশত্রুর আক্রমণে ভীত হয়ে বনে-জঙ্গলে বা পাহাড়-পর্বতে আশ্রয় নিয়েছিল পরে আর ফিরতে পারেনি – এমনও দু’একটা জনগোষ্ঠী রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে বক্সার জঙ্গলে এরকম একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে ‘মারিয়া’ উপজাতি। এরা উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় জীবনযাপন করে কিন্তু গায়ের রঙ ফর্সা এবং এদের কিছু পুরোনো culture রয়েছে। যাইহোক বাকিরাও দ্রুত সভ্য সমাজ জীবনে মিশে যাচ্ছে। এছাড়া রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এদেরকে দ্রুত সমাজে ফিরিয়ে আনার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে অর্থাৎ বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধা এদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এগুলো খুবই ভালো দিক। হয়ত আগামীতে সকলেই একই ধরণের সুযোগ সুবিধার আওতায় আসবে – এমনটাই আশা করি।

জিজ্ঞাসু :— প্রাচীন ভারতবর্ষ আর প্রাচীন গ্রীস-এর মধ্যে সংস্কৃতির মিল ছিল শোনা যায়। গ্রীস বিশ্বকে কি দিয়েছে?

গুরুমহারাজ :— সে কি রে! আধুনিক বিশ্বকে নতুন নতুন দর্শন উপহার দিয়েছে গ্রীস। প্রাচীন ভারতের বেদ উপনিষদের শিক্ষা তো বিশ্ব এখনও গ্রহণই করেনি। সে তুলনায় গ্রীক দার্শনিক চিন্তাধারা বর্তমান বিশ্ব গ্রহণ করেছে। গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস সমাজ নিয়ে খুবই গবেষণা করেছিলেন কিন্তু ওনার ধারণা ছিল স্বর্গভিত্তিক। — সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই পৃথিবীটা স্বর্গে পরিণত হয়ে যাবে। এরপর যে Greek মনীষী এলেন তার নাম Plato। তিনি সক্রেটিস-এর স্বর্গ কল্পনা থেকে বেরিয়ে এসে সমাজ গবেষণায় একটি নতুন নাম সংযোজন করলেন। আর সেটা হল “Republic” বা প্রজাতন্ত্র। প্রজাতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা হলেই সমাজ সমস্তরকম শোষণমুক্ত হবে — এই ধরনের theory দিলেন সমাজকে। এরপর এলেন Aristotle, ইনি আলেকজাণ্ডারের শিক্ষক ছিলেন। সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাসে ইনিও একজন স্মরণীয় ব্যক্তি। সমাজ নিয়ে একদম আধুনিক মতবাদ দিয়ে গেছেন তিনি। আজও অভিজাত বা আধুনিক বোঝাতে aristocratic বা aristocrat কথাটা যে ব্যবহৃত হয় — তা ওই Aristotle-এর নাম অনুসারেই।

তবে দ্যাখ্, এ জগৎটাই তো ঈশ্বরের একটা বিশাল network, তাই তুমি যে ভারত, গ্রীস ইত্যাদি ভেদ দেখছ, আসলে কিন্তু ওরকম কোন ব্যাপার নয়। পৃথিবীতে কোথায় কোন মহাপুরুষ জন্মাবেন — তিনি কি শিক্ষা দেবেন, কোন জাতি উন্নত হবে, কে অনুন্নত থাকবে — সবই সেই great network-এর মধ্যেই পড়ে। আমরা Great-কে জানিনা বলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দৃষ্টি দিয়ে দেখি আর ক্ষুদ্রত্ব দিয়েই সবকিছু মাপতে চাই। তাই মহাপ্রকৃতির রহস্য অধরাই থেকে যায়। আগেই তো বলছিলাম পৃথিবী গ্রহের মস্তিষ্ক হিমালয়। কাজেই সমস্ত চিন্তার উৎস ওখানে। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষেরই জ্ঞানরাশি আচার্যের মাধ্যমে, পুঁথিপত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তৎকালে জলপথে এবং স্থলপথে ভারতের সাথে গ্রীস, পারস্য, মেসোপটেমিয়া, চীনইত্যাদি দেশগুলির যোগাযোগ ছিল, ফলে জ্ঞানচর্চার আদান-প্রদান ঘটাটাই স্বাভাবিক। এই কথাগুলি কোথাও লেখা নেই বলে ঐতিহাসিকরা অস্বীকার করে। কিন্তু যখনই পৃথিবীতে কোন মহাপুরুষ আসেন, তিনি প্রকৃত সত্য অনুধাবন করেন, তাঁর চোখের সামনে সত্য দিনের আলোর মতো ভেসে ওঠে। স্বামীজীও (বিবেকানন্দ) অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করেছিলেন — সবকিছু লিখতে পারেন নি। অন্তরঙ্গদের কাছে অনেককিছু বলেছিলেন, আজও তাঁর রচনাবলীতে অনেক জায়গায় ‘…..’ (ডট্-ডট্)দেওয়া আছে। বলা হয় ভাষান্তর করার সময় দুর্বোধ্য হওয়ায় লিপিবদ্ধ হয়নি। হয়তো তা ঠিক নয় — তাঁর সময়ে ইংরেজরা এদেশের শাসনকর্তা — ওরা ভুলভাল ইতিহাস লিখে এদেশে চালিয়ে দিল। তার বিরোধ করলে রাজরোষে হয়তো মিশনের ক্ষতি হতে পারে এসব বিবেচনা করেই তিনি হয়তো ক্ষান্ত ছিলেন। তবে “সময় বহুৎ বলবান” — ঠিক সময় উপস্থিত হলে, সঠিক সত্য আবার জনসমক্ষে এসে যাবে।

ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ৷৷