স্থানবনগ্রাম পরমানন্দ মিশন। সময় ১৯৯১সাল।

উপস্থিত ব্যক্তিগণ_ পঙ্কজবাবু,গঙ্গাবাবু,স্বামী স্বরূপানন্দ,নগেন প্রমূখ।

~~~~~~

    জিজ্ঞাসু:--ব্রহ্ম, ঈশ্বর, ভগবান_ এই শব্দগুলি কি সমার্থক? যদি তা না হয় _তাহলে এগুলির সঠিক অর্থ কি হবে _যদি একটু বুঝিয়ে বলেন?

গুরু মহারাজ:—দ্যাখো বাবা! শব্দের অর্থ দিয়ে ব্রহ্ম, ঈশ্বর, ভগবান বোঝাতে গেলে বড় বড় গ্রন্থ হয়ে যাবে কিন্তু তবুও বোঝানো যাবে না । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব বিদ্যাসাগরের মতো পণ্ডিত কে বলেছিলেন “ব্রহ্ম যে কি জিনিস তা মুখে বলা যাবেনা! আর সবকিছু উচ্ছিষ্ট হয়েছে কিন্তু ব্রহ্ম উচ্ছিষ্ট হয়নি” ! তাহলে আমি তোমাদের কি বলি বলোতো ! তবু তোমাদের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবার জন্য আমাকে অনেক কথাই বলতে হয়! তাছাড়া ব্রহ্মবিদদের মুখের কথা ‘উচ্ছিষ্ট’-ই বা কেন হবেতা ‘প্রসাদ’ হিসাবে বিতরণ করা যেতেই পারে ! প্রসাদ হিসাবে আজকেও বলছি, মন দিয়ে শোনো !

          সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আদি কারণ "ব্রহ্ম"। সৃষ্টির আদিতে তিনি অস্ফুট ছিলেন! তাঁর প্রথম "স্ফুট" অবস্থাই

“প্রণব”! সমগ্র জগত এই প্রণবেই অবস্থিত এবং ধৃত হয়ে রয়েছে । এককথায় বলা যায়_ প্রণব‌ই সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে ব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে! যাইহোক, এই যে প্রণবের বিস্তার এটাকেই আধুনিক বিজ্ঞানে বলা হয়েছে _ “Theory of expansion”! আমাদের শাস্ত্রে এই বিস্তারের principle -কে বলা হয়েছে “মহাবিষ্ণু”! যিনি ক্ষীরোদ সাগরে অনন্ত শয্যায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন। “বিষ্ণু” কথাটির অর্থ বিস্তার বা ব্যাপ্ত! ‘যিনি বিস্তারিত হয়েছেন’ _ তিনিই বিষ্ণু। ক্ষীরোদ সাগর অর্থে কসমিক সুপ(cosmic soup)! বিজ্ঞানীদের ধারণা এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড, সৃষ্টির আদিতে জগতের সমস্ত contents ঘন অবস্থা থেকেও আরো ঘন বা অতি ঘন অবস্থায় অর্থাৎ ওই কসমিক সুপ(cosmic soup) অবস্থাতেই ছিল! এই প্রণব নাদের বিস্তার হতে হতেই ব্রহ্মের নিজেকে আস্বাদনের ইচ্ছা জাগ্রত হোল। ফলে এক থেকে তিনি বহু হলেন “একোহহম্ বহুস্যাম্ প্রজায়েয়েতি।”

শাস্ত্রকারেরা প্রণবকেই 'ঈশ্বর' বলেছেন । "ঈক্ষয়তি যঃ_ স ঈশ্বরঃ"। যিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সকল কিছুকে ঈক্ষণ করে চলেছেন _তিনিই ঈশ্বর! এই ভাবেই শুরু হয়েছিল ব্রহ্মের বিবর্তবিলাস! ধীরে ধীরে ব্রহ্ম' নিজেকে বিভিন্ন কলায় প্রকাশ করতে শুরু করলেন জড় থেকে চেতনে এবং চেতনা থেকে পুনরায় চৈতন্য স্থিতিতে! কিন্তু কেন এই প্রকাশের তারতম্য ? উত্তর হোল _ শুধুমাত্র আস্বাদনের নিমিত্ত! এই জন্যই বলা হয় কীটপতঙ্গ, পশুপাখি থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেহেতু সব ই ব্রহ্মের প্রকাশ _এবং সকলের মধ্যেই পূর্ণত্বের সম্ভাবনা বিদ্যমান! সকলেই সেই ব্রহ্মের‌ই প্রকাশ _শুধু name and from-এর তফাৎ!

     এককলায় ব্রহ্ম জড়জগৎ রুপে প্রকাশিত হলেন। দুই কলায় স্বেদজ(জীবাণু, কীটাণু, বীজাণু), চার কলায় অন্ডজ (কীটপতঙ্গ, পাখি,সরীসৃপ), ষষ্ঠ কলায় জরায়ুজ (পশু,বানর) এবং অষ্টকলায় ব্রহ্ম মানুষরূপে প্রকাশিত হোলেন। মানুষ রূপে প্রকাশিত হবার পর evolution-এর ধারা শেষ হলো, কারণ জীব সকলের মধ্যে মনুষ্য শরীর সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ শরীর! মনুষ্য শরীর-ই ব্রহ্মানন্দ আস্বাদনের উপযুক্ত শরীর। এরপর আর evolution হয় না এখান থেকে শুরু হয় involution!

 মানব শরীরেই ঈশ্বরের অবতরণ হয় সর্বাপেক্ষা বেশি, আর এই শরীরেই ঈশ্বরের লীলাবিলাস হয় । তাই মানব শরীর-ই পৃথিবী গ্রহের সর্বোৎকৃষ্ট শরীর । শাশ্ত্রকারেরা এইজন্যই বারবার বলেছেন_ "মনুষ্য শরীর পাওয়া বহু ভাগ্যের ব্যাপার"।

মনুষ্য শরীর লাভের পর এইবার evolution না হয়ে হয় involution ! বিবেক এবং শ্রদ্ধা যুক্ত হয়ে দশম কলায় ব্রহ্ম নিজেকে দেবতারূপে প্রকাশ করেন। ‘দেবতা’ অর্থে সেই মানুষ, যার মধ্যে দেওয়ার প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়েছে। এরপর ব্রহ্ম দ্বাদশ কলায় ঋষিরূপে প্রকাশিত হলেন। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে_বিবেক-শ্রদ্ধা ছাড়াও জ্ঞান এবং বৈরাগ্য জাগ্রত হয়। এটি জীবের সিদ্ধাবস্থা। জীব সাধনার দ্বারা এই অবস্থা পর্যন্ত‌ই পৌঁছাতে পারে।এই অবস্থায় জীবের আমিত্বের মৃত্যু ঘটে_ফলে তার সমস্ত বাসনা জ্ঞানাগ্নিতে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জীবকে আর জন্ম-মৃত্যুর চক্রে বারবার ঘুরে ঘুরে বেড়াতে হয় না।ঐ সাধক তখন মহাপ্রকৃতি বা মা জগদম্বার ইচ্ছাধীন হয়ে যান।

ব্রহ্ম এরপর প্রকাশিত হন চতুর্দশ কলায় "অবতার" রূপে। পৃথিবীর জীবনের স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে এই অবতার তত্ত্বকে ফেলা যাবে না, কারণ পৃথিবীর মানুষ সহ অন্যান্য জীব ascending order-এ এক কলা, দুই কলা থেকে অষ্ট কলা, দ্বাদশ কলা পর্যন্ত যেতে পারে বা পৌঁছাতে পারে। কিন্তু অবতাররা হচ্ছেন descending অর্থাৎ এদের অবতরণ হয়। জীবজগৎ-এর কল্যাণের জন্য‌ই এদের অবতরণ হয়! অবতরণের ও নির্দিষ্ট মহাজাগতিক নিয়ম রয়েছে ঠিকই_ কিন্তু তা জগতের মানুষের বোধগম্যতার উর্দ্ধে! 

ব্রহ্ম এই অবস্থাতেও(চতুর্দশ কলায়) পূর্ণ আনন্দের আস্বাদন করতে পারেন না, কারণ এখানে এই অবস্থায় তিনি হয়তো পূর্ণ কিন্তু অপরকে পূর্ণতা দান করতে পারেন না বা অপরকে পূর্ণ আস্বাদন করাতে পারেন না। তাই এরপর ষোল কলায় "পুরুষোত্তম" রূপে প্রকাশিত হয়ে নিজেই নিজেকে পূর্ণভাবে সাধন করেন। এইভাবে জড় থেকে চেতনে এবং চেতনা থেকে চৈতন্যে ব্রহ্মের  বিবর্তন এবং সংবর্তন হয়ে চলেছে_ নিজেই নিজেকে আস্বাদনে নিমিত্ত ! এই জন্যই বলা হয় "পূর্ণ-ই যেন অপূর্ণতার জ্বালা বুকে নিয়ে ছুটে চলেছে পূর্ণত্বের দিকে"!

যে অবস্থায় বা যে শরীরে ব্রহ্ম নিজেই নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আস্বাদন করেন, সেই ভোগায়তন শরীরধারী কে বলা হয় “ভগবান”। যে শরীরে ব্রহ্মের সম্পূর্ণ আস্বাদন হয় সেই লীলা শরীরকেই “ভগবান” বলে। ভগবানের শরীরে শুধু যে নিজের‌ই আস্বাদন হয় তাই নয়_ তার চারিপাশে উপস্থিত ব্যক্তিগণের মধ্যেও সেই আস্বাদনের স্বাদ পাইয়ে দিতে পারেন। এই জন্যই লীলা বিলাসের সঙ্গীদের বলা হয় “ভক্ত” এবং লীলাময় কে বলা হয় “ভগবান” ।

এইসব তত্ত্ব অনুভবের জিনিস রে বাবা_ শুধু শুনে আর কতটুকু লাভ হবে? সত্যি সত্যিই যদি কেউ এসব তত্ত্ব বোধে আনতে চায়_তাহলে তাকে গভীরে যেতে হবে, জ্ঞানের গভীরে-প্রেমের গভীরে-সেবার গভীরে!

জিজ্ঞাসু:–এইসব কথা বোঝার জন্য academic qualification- টাও তো দরকার হয়? না হলে ধারণাই বা হবে কি করে?

গুরু মহারাজ:– কি বলছো গঙ্গা বাবু! Academic qualification ? এটা জীবনকে কি দেয় ? কিছুটা বাহ্যিক স্থুলজগতের
জ্ঞান,কিছুটা ঐশ্বর্যকিন্তু জীবনে মাধূর্য এনে দিতে পারে কি? বর্তমানের শিক্ষাপদ্ধতি তো বিদেশিদের দেওয়া_ “মেকলে”-র শিক্ষানীতি! এটা তো প্রাশ্চাত্য পদ্ধতি_ তাই না ! তারপর বেশিরভাগ Academic গ্রন্থ‌ই তো বিদেশিদের‌ই লেখা, যেটা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়ে ভারতবর্ষের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় যোগ হয়েছে । এর ফলে আমাদের দেশের students-রা প্রকৃত তথ্য জানতেই তো পারছে না_ ভুলভাল শিখছে! বিশেষত ইতিহাস এটা তো পুরোটাই ভুলে ভরা!

  সর্বোপরি এই শিক্ষাপদ্ধতি ছাত্র-ছাত্রীদের বিবেক এবং শ্রদ্ধার জাগরণ ঘটায় কি? _একদমই না! বরং নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যেতে সাহায্য করে পড়ুয়াদের ! কারণ বর্তমানে __শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষক উভয়ের ভিতরেই নৈতিকতার চরম অভাব দেখা যাচ্ছে। ফলে আজকের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিবেক বা শ্রদ্ধাবোধ কোথায়?

 কিন্তু আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রগুলিতে দেখা যায়_ মুনি-ঋষিদের সৃষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থায়_ শ্রদ্ধার উপর কি ভীষণ জোর দেওয়া হয়েছিল!  বলা হতো "শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম্"

 আমি তো দেখছি_ বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতর শ্রদ্ধার কি নিদারুণ অভাব ! হয়তো তুমি বলবে 5% ছাত্রদেরও তো আছে, কিন্তু আমি বলবো_95%-এর তো নাই !

আর জেনে রাখবে যে, শতকরা পাঁচ ভাগের মধ্যে যে বিবেক এবং শ্রদ্ধাবোধ দেখা যায়_ খবর নিয়ে দেখবে তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা অথবা পুস্তক দায়ী নয় ! ওটা সেই ছাত্র বা ছাত্রীরা পেয়েছে_ তাদের বংশপরম্পরায়, তাদের 'হেরিডিটি' থেকে! হয়তো তার পিতা-মাতা উভয়েই অথবা তাঁদের মধ্যে যে কোন একজনের কাছ থেকে ছাত্রটি শ্রদ্ধা, ভক্তি বা অন্যান্য মানবিক গুণগুলি পেয়েছে! কোনো কোনো ক্ষেত্রে দু-একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকাও থাকতে দেখা যায়।

বর্তমানের যে  শিক্ষাব্যবস্থা চলছে_ এমনটা যদি আরো কিছুকাল এইভাবেই চলে__ তো আগামীতে ভারতবর্ষ এক ভয়ংকর অবস্থার সম্মুখীন হবে ! অনেকেই 'বর্তমানে শিক্ষিতের হার বাড়ছে' বলে একধরনের আত্মতুষ্টিতে ভুগছে, কিন্তু এটা নিয়ে এতো লাফালাফি করার কিছুই নাই ! কারণ, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে __এই তথাকথিত শিক্ষিতরাই তো এক একটা দেশের সবচাইতে বড় আবর্জনা!!

  আমার মনে হয় একজন শ্রদ্ধাবান, বিবেকবান, অশিক্ষিত ব্যক্তি অপর একজন শ্রদ্ধাহীন, বিবেকহীন শিক্ষিতের চেয়ে সুস্থ মানব সমাজের পক্ষে ঢের ভালো!!

কারণ, তারা আর যাই করুক অন্তত সমাজের কোনো ক্ষতি করবে না __এটা নিশ্চিত! এটা জেনে রাখবে যে, শ্রদ্ধাহীন ও বিবেকহীন একজন উচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তি যেন নানা অলংকার পরিহিত উলঙ্গ নারী ! নিজেকে সাজানোর জন্য নানান আভরণ পরে রয়েছে  _কিন্তু কুৎসিত-অশ্লীল লাগছে , যেহেতু সেই নারী উলঙ্গিনী, তার শরীরে কোনো আবরণ নেই ! অপরপক্ষে আভরণহীন অথচ সাধারণ বস্ত্র পরিহিত অর্থাৎ আবরণযুক্ত অন্য একজন নারী কি পূর্বের জন অপেক্ষা অধিক সভ্য নয়?

 এই ভাবেই সভ্য ও অসভ্য-এর পার্থক্য করতে হয় ! স্বামী বিবেকানন্দ এই ব্যাপারে দেশে ও বিদেশে অনেক মন্তব্য করেছেন ! সেগুলি follow করলে তোমাদের এই বিষয়ে ধারণা আরো clear হবে। দ্যাখো, মনুর পুত্র মানব! তাই মানব মন-প্রধান! যে শিক্ষা মানুষের মনকে বিভ্রান্ত করে তোলে, তাকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়ায়, তাকে একমুখী করতে শেখায় না__ তা কখনোই মানুষের গ্রহনযোগ্য শিক্ষা হোতে পারে না _ তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য! তাতে সমাজের মানুষ তথাকথিত শিক্ষিত না হয়ে অশিক্ষিত থাক্  কিন্তু মননশীল হোক! এমনটা হোলে সেই সমাজে অনেক বেশি বেশি করে মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটবে_ সত্য বলছি এটা!

আমার এই কথাগুলোর সপক্ষে একাধিক প্রমাণও দিতে পারি ! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, গুরু নানক, ভক্ত কবীর_ মানব কল্যাণের জন্য অথবা মানবকে শিক্ষাদানের জন্য এঁদের কি লেখাপড়া শেখার প্রয়োজন হয়েছিল? অথচ যুগে যুগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সমাজের প্রকৃত কল্যাণ এই ধরনের আধ্যাত্মিক মানুষের দ্বারাই হয়ে এসেছে।

আমার নিজের ক্ষেত্রটা বিচার করেই দ্যাখো না _ স্বামী পরমানন্দ-ও তথাকথিত কোন বিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি লাভ করেনি তো!  কিন্তু তাই বলে কি তার জীবনে জগতজ্ঞান এবং আত্মজ্ঞান লাভের কোন অসুবিধা হয়েছে? _ হয়নি তো!

প্রকৃতির পাঠশালা থেকে পাঠ গ্রহণ করে এবং নিজেকে জেনে__ যে কোনো মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারে ! তবে প্রাথমিক শর্ত একটাই _শ্রদ্ধা! যে কোনো জ্ঞান লাভ করতে হলে প্রথমেই দরকার শ্রদ্ধা! শ্রদ্ধাবানেরাই জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হ'ন, আর শ্রদ্ধাযুক্ত ব্যক্তির জ্ঞান লাভ হোলেই তার বিবেক জাগ্রত হয় ! _বুঝতে পারছো ব্যাপারটা? এবার বিবেকযুক্ত বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে করতে প্রকৃত সত্যের ধারণা হয়! এই ধারণা _ধ্যানে রূপ নিলে মানুষ সমাধিতে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। আর সমাধিতেই আসে বোধে বোধ।