জিজ্ঞাসু:– জীবের চেতনা থেকেই কি ‘চৈতন্য’ কথাটি এসেছে _গুরুজী ?
গুরু মহারাজ:– চেতনা স্থুল, এটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। শরীর চেতনা, ইন্দ্রিয় চেতনা_ এই কথাগুলি থেকেই বুঝতে পারা যায় যে, ‘চেতনা’ স্থুল অর্থে ব্যবহার করা হয় । আর ‘চৈতন্য’ হোলো pure consciousness ! একটু আগে এই নিয়েই আলোচনা হচ্ছিলো। ব্রহ্মই চৈতন্যস্বরূপ, এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ঐ যে বললাম pure consciousness ! তাছাড়া একটু আগে ‘self’-এর কথাও হচ্ছিলো_যা individual। এই individual চেতনাকে আশ্রয় করেই প্রথমে আগাতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে ওই চেতনাই চৈতন্যের সন্ধান দেয়। তারপর চেতনা, চৈতন্যে মিশে নিজেই চৈতন্যময় হয়ে ওঠে । তখন আর individual বা স্থূল চেতনার কোনো পৃথক অস্তিত্ব থাকে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সাগরের সহস্র সহস্র বুদবুদ যেমন সাগর থেকেই ওঠে__ আবার সাগরেই মিশে যায় ! ঠিক তেমনি চৈতন্য থেকে জাত__ ‘চেতন স্বরূপ আমি’ বা ‘ক্ষুদ্র আমি’ গুরুকৃপায় এবং সাধনার সহায়ে অন্তিমে চৈতন্য স্বরূপ ‘বিরাট আমি’-তেই মিলিত হয়। এই মিলন-ই মহামিলন ! আর এই মহামিলনই জীবের বা জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য।।