গুরুমহারাজ :– আর ভালো ! মন্দের ভালো একথা বলা যায়। Tripple antigen, Polio-vaccine ইত্যাদি ওষুধ প্রয়োগের ফলে শিশুর কয়েকটি বিশেষ রোগ হয়তো কম হবে কিন্তু একেবারে বন্ধ হবে না, তার উপর ভারতবর্ষে আবার ভেজাল ওষুধ প্রয়োগ হয় !
যাইহোক_এটা জেনে রাখবে যে, ঐ যেগুলোর কথা বলছিলাম অর্থাৎ vaccination বা antigen প্রয়োগ __এগুলো কিন্তু ভালো নয় ! প্রথমবিশ্ব দ্রুতহারে এসবের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে আর তৃতীয়বিশ্ব এইসবই এখন বেশী করে গ্রহণ করছে। এইগুলি মানব শরীরে প্রয়োগের ফলে Foreign antibody ঢুকে শরীরের স্বাভবিক immunity power-কে নষ্ট করছে। কোনো কোনো vaccine প্রতিবছর ব্যবহার করতে হোচ্ছে, আবার কোনো-কোনোটা শুধু একবার ব্যবহার করলেই সেটা সারাজীবনের জন্য কার্যকরী হোচ্ছে ! কিন্তু এই সমস্ত Foreign antibody-গুলোর মানবশরীরে reaction যে কি হোতে পারে, তার ফল তো এই generation-এই বোঝা যাবে না ! এটা তো experiment period চলছে __আর এই generation-এর ছেলেমেয়েরা গিনিপিগের মতো ব্যবহৃত হোচ্ছে। একদল আধুনিক বিজ্ঞানীর ধারণা হোলো এই যে, পরের generation থেকেই Genetic crisis দেখা দেবে। এই সব বুঝেই প্রথমবিশ্ব vaccine , antigen ইত্যাদির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানের এই vaccine ঢোকানোর পদ্ধতি চালু হওয়ায় এটি মানবদেহের স্বাভাবিক ধর্মকে ব্যাহত করছে। যে কোনো কৃত্রিমতার আশ্রয় নেওয়া মানেই সহজতাকে বিকৃত করা __তাই নয় কি ! আর এর ফল অর্থাৎ এই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া কিন্তু একদিন না একদিন মনুষ্যসমাজের বুকেই নেমে আসবে । আর তখন মানব সমাজকেই তার জন্য ভুগতে হবে।
‘ধর্মের গ্লানি’ বলতে শুধু কয়েকটি পাষণ্ড, অত্যাচারী জন্মগ্রহণ করে ঠাকুরের মন্দির ভাঙলো, ব্রাহ্মণের টিকি কাটলো –এইগুলোই নয়! এর ত্রিবিধ ভাগ রয়েছে, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক এবং আধ্যাত্মিক। আধিভৌতিক গ্লানির মধ্যে আগে যেগুলি বললাম _ঐগুলি পড়ে। আর যে বিভিন্ন কারণে সামাজিক অবক্ষয়, মনুষ্যজাতির মানসিকতা ও স্বাস্থ্যের অবক্ষয় এগুলো সবই ধর্মের গ্লানির অন্তর্ভুক্ত। আর এই গ্লানি যখনই একটা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করবে তখনই ঈশ্বরকে ভগবানরূপে অবতীর্ণ হোতে হবে ভূভার হরণ করার জন্য।
জিজ্ঞাসু:—আজকাল গাছপালা, পশুপাখী সবার উপরই vaccine প্রয়োগ করা হোচ্ছে, তাহলে এরও কুফল সমাজে পড়বে তো ?
গুরুমহারাজ—তা পড়বে না কেন, নিশ্চয় পড়বে ! বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদেরকে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে হয়েছে production । ফলে Hybrid ব্যাপারটাকে আনতে হয়েছে। তাতে যত অসহজতাই আসুক না কেন ! কিন্তু এর ফলটা কি হোচ্ছে—মানুষ সহ সমস্ত জীবের রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে ! এইবার রোগের প্রতিষেধক বা প্রতিরোধক হিসাবে গবেষণাগারে উৎপাদন হোচ্ছে বিভিন্ন ঔষধ এবং ঐ যে বলছিলে-vaccine, antigen ইত্যাদি। ঔষধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর যা অবস্থা সে আর কহতব্য নয়। বিভিন্ন কোম্পানি লিভার টনিকগুলো তৈরী করছে গরু আর ভেড়ার Liver থেকে। আমার ইউরোপ ভ্রমণের সময় Sweden-এ দেখেছিলাম এক-একটা Firm-house- এ হাজার হাজার গরু ও ভেড়া অথবা অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদেরকে পালন করা হোচ্ছে। এর মধ্যে matured গুলিকে এক বিশেষ ধরণের injection দেওয়া হোচ্ছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম ঐ ঔষধগুলি regular inject করার ফলে পশুগুলির Liver বড় হয়ে যায় । তখন সেগুলিকে মেরে ফেলে ঔষধ তৈরির কারখানায় তাদের Liver-গুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওরা সেই Liver-গুলিকে extract করে অন্যান্য composition মিশিয়ে Liver Tonic তৈরি করে!
লাল রঙের রক্ত আছে এমন যে কোনো প্রাণীরই Liver নামক যন্ত্র আছে। তবে, যে সমস্ত প্রাণীর digestive power খুব বেশী তাদের Liver থেকেই Liver Tonic তৈরী করা হয়।