জিজ্ঞাসু—গুরুজী, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও কতটা স্বনির্ভরশীল ?

গুরুমহারাজ — দ্যাখ, ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের পর ইংরেজদের হাত থেকে ভারত ছাড়পত্র পেলেও, তেজি, বীর নেতৃবৃন্দের অভাবে তাদের অনেককিছুই ভারতে থেকে গেল। যেমন মেকলের শিক্ষানীতি। যেটা কেরানি বানানোর জন্য এদেশে চালু করেছিল ইংরেজরা। তাই এ দিয়ে কি হবে ? ডিগ্রিলাভ হচ্ছে কিন্তু ছেলে-মেয়েরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠছে না, জাতীয়তাবোধ বা দেশপ্রেম তৈরী হচ্ছে না। ডিগ্রিলাভ করে সেটা বলে নিজের পরিচয় দিচ্ছে – আমি M. A; M. Phil, Bar-at-law ইত্যাদি। দেখো না, এখন তো Mining, Textile; Civil ইত্যাদি আরও modern subject-এর Engineering degree বা বিভিন্ন ডাক্তারি ডিগ্রিও ভারতেই লাভ হচ্ছে, আর সেই সব Stream-এ ভারতবর্ষের মেধাবী ছাত্ররাই ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা কি হচ্ছে ? এখানকার সস্তা পাট বিদেশে গিয়ে সেখান থেকে দামী Polyester হয়ে এদেশে ফিরে আসছে। এখানকার সস্তার লোহা বিদেশে গিয়ে দামী steel হয়ে আবার এদেশেই আমদানী হচ্ছে। তাহলে এখানকার ইঞ্জিনীয়ারগুলো কি করছে ? তারা নতুন কি আবিষ্কার করে বিদেশকে কিনতে বাধ্য করছে ? স্বাধীনতার পর থেকে কটা জীবনদায়ী নতুন ঔষধ আবিষ্কার করেছে ভারত ? বরং দেশীয় Patent-গুলো আমেরিকা দাবী করছে। আর করবে নাই বা কেন, এখানে পরিকাঠামো রয়েছে নাকি ? গবেষণা করতে তো বিজ্ঞানীরা ওদের Laboratory-কেই ব্যবহার করে— সেইজন্যই দাবী করছে।