জিজ্ঞাসু—তাহলে ঐ লোকটি আপনাকে হেনস্তা করার জন্যই কি ওর এই অধোগতি ?

গুরুমহারাজ – না না, তাই বা কি করে বলি ! ছোটবেলায় তো আমাকে বহুবার নানাভাবে হেনস্তা হতে হয়েছে। তখন আমার বাড়ির লোকেরা কি আমাকে হেনস্তা করেনি ? বন্ধুরা মাথায় মারতো। একবার এক ভদ্রলোক ২/৩ ডজন কলা নিয়ে বসে বসে খাচ্ছিল – আমি চাইওনি শুধু ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। লোকটি ওর সামনে জমা হয়ে থাকা কলার খোসাগুলো আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলল, ‘নে খা’। আমি অম্লান বদনে সেগুলোই ওর সামনেই বসে বসে খেলাম। আমার খারাপ লাগেনি। আর কলার খোসাতেও তো খাদ্যগুণ রয়েছে, তাতেই আমার উদরপুতি, পুষ্টি উভয়ই হল। লোকটাও দেখে একটু অবাক হ’ল কিন্তু আমি অপ্রসন্ন হইনি। সন্ন্যাস নেবার পরও বিদেশে বিভিন্ন অফিসারেরা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, বিশেষত রাশিয়ানরা। আমার একটা ব্যাগভর্তি জিনিষই চুরি করে নিল, যাতে কিছু দুষ্প্রাপ্য দামি বই ছিল কনফুসিয়াস বা অন্যান্য মহাপুরুষদের উপর লেখা। আমার নিজের লেখা কিছু manuscript ছিল, যেটা থাকলে আরও দু’তিনটে বই হয়ে যেতো। এসব আর ফেরত দিল না । হয়তো এগুলো নিয়ে ওরা research করবে। তাছাড়া আমার কিছু শিষ্য-ভক্তরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে false position-এ ফেলেছে সময়ে সময়ে। কিন্তু এগুলোতে আমি কখনই অপ্রসন্ন হই না। কিন্তু দেখ একটা অনাহারক্লিষ্ট ছেলের পেটে বা বুকে লাথি মারাটা তো অমানবিক ! মনুষ্যোচিত তো নয়, ফলে তার চেতনার downward গতি তো হবে। এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল।