জিজ্ঞাসু :– কর্মযোগ যাদের সংস্কারে রয়েছে__ তারাই ‘নিষ্কাম কর্ম’ করতে পারে, অন্যরা কি তা করতে পারে না ?
গুরুমহারাজ :– কর্মযোগী_যারা, তারা কর্ম করবে ঠিকই কিন্তু তা সবসময়েই যে অনাসক্ত হয়ে করবে, এমন নয় তো ! কর্মযোগীর কর্মেও প্রাপ্তির আসক্তি রয়েছে। অনাসক্ত হয়ে কর্ম করা যায় জ্ঞানলাভের পর। জ্ঞান ছাড়া অনাসক্তি আসে না বা অনাসক্ত হয়ে কর্ম করা হয় না!
শাস্ত্রে রয়েছে চতুর্বর্ণের কথা। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। ব্রাহ্মণের গুণ patience বা ধৈর্য, ক্ষত্রিয়ের courage বা সাহস, বৈশ্যের tolarance বা সহ্যগুণ, আর শূদ্রের মধ্যে ঐ তিন প্রকার গুনের কোনোটাই থাকে না। এইজন্যেই যুগে যুগে এই শ্রেনীর মানুষেরা__বাকিদের কাছে soft target ! বাকি তিন শ্রেনীর লোকেরা এদেরকে শোষণ,নির্যাতন,অত্যাচার, অনাচার করে এসেছে ।
প্রাচীন আর্যসমাজে এই চতুর্বর্ণের মানুষদেরকে, তাদের নিজ নিজ গুণ এবং কর্ম অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছিল। Patience বা ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ, বৈরাগ্য যাদের সংস্কারে রয়েছে তারাই ব্রাহ্মণ। Courage বা সাহস, শৌর্য্য, বীর্য্য যাদের রয়েছে – তারাই ক্ষত্রিয়। সহ্যগুণ বৈশ্যের অন্যতম গুণ। দেখবে মানুষ ব্যবসায়ীদের গালাগালি দিচ্ছে, তবুও তারা রাগ করবে না। বহু টাকার মাল ধার হিসাবে খরিদ্দারদের দিয়ে দেয় – কিন্তু পরে ধীরে ধীরে interest-সহ ঠিক আদায় করে নেয়। এই অসম্ভব সহ্যগুন একমাত্র বৈশ্যদের মধ্যেই দেখা যায়। আর শুদ্রশ্রেনীর মানুষের শারীরিক শক্তি, অল্পে সন্তুষ্টি ইত্যাদি অন্যান্য অনেক গুন থাকলেও শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতি না ঘটায় এরা বহুকাল ধরে মার খেয়ে এসেছে।
নিজস্ব গুণ অনুযায়ী-ই আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে সাধকেরা তাদের নিজ নিজ পদ্ধতি খুঁজে নেয়। ব্রাহ্মণের জন্য জ্ঞানযোগ, ক্ষত্রিয়দের জন্য রাজযোগ, বৈশ্যদের জন্য কর্মযোগ আর শুদ্রদের জন্য ঋষিদের বিধান ছিল ভক্তিযোগ ! শুধু চোখের জল ফেলে ঈশ্বরের জন্য অশ্রুবিসর্জন ! শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এইটাকেই নতুন করে যেন জীবনীশক্তি দান করে গেলেন! উনি বললেন_”কলিহত জীবের শুধু নামেই মুক্তি!” খুব করে খোল-করতাল বাজিয়ে লম্ফঝম্ফ করে নামগান করলে, কুলকুন্ডলিনীর জাগরণ ঘটে যায়__তাই মহাপ্রভুর এই বিধান ছিল। নিত্যানন্দও বলেছিলেন_”কেঁদে কেঁদে হরিনাম করো_তাহলেই মহাপ্রভুর কৃপা হবে।”
যাইহোক, তাহলে বুঝতে পারলে কি যে কর্মযোগ সবাই করবে না_বা কর্মযোগী সবাই হবে না! আর কর্মযোগী হোলেই যে, সে নিস্কাম কর্ম করতে পারবে _এটাও হয় না। তবে পরহিতায় কর্ম করা শুরু করলে, বা কোনো মহাপুরুষের এই ধরণের আরব্ধ কাজে সহায়তা করলে _কিছুটা হোলেও ‘নিস্কাম কর্ম’ করা হয়।। কিন্তু জেনে রাখবে যে, ঠিক ঠিক নিস্কাম কর্ম করতে পারেন ঋষি-স্থিতির মানুষেরা বা জ্ঞানীরা।।
গুরুমহারাজ :– কর্মযোগী_যারা, তারা কর্ম করবে ঠিকই কিন্তু তা সবসময়েই যে অনাসক্ত হয়ে করবে, এমন নয় তো ! কর্মযোগীর কর্মেও প্রাপ্তির আসক্তি রয়েছে। অনাসক্ত হয়ে কর্ম করা যায় জ্ঞানলাভের পর। জ্ঞান ছাড়া অনাসক্তি আসে না বা অনাসক্ত হয়ে কর্ম করা হয় না!
শাস্ত্রে রয়েছে চতুর্বর্ণের কথা। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। ব্রাহ্মণের গুণ patience বা ধৈর্য, ক্ষত্রিয়ের courage বা সাহস, বৈশ্যের tolarance বা সহ্যগুণ, আর শূদ্রের মধ্যে ঐ তিন প্রকার গুনের কোনোটাই থাকে না। এইজন্যেই যুগে যুগে এই শ্রেনীর মানুষেরা__বাকিদের কাছে soft target ! বাকি তিন শ্রেনীর লোকেরা এদেরকে শোষণ,নির্যাতন,অত্যাচার, অনাচার করে এসেছে ।
প্রাচীন আর্যসমাজে এই চতুর্বর্ণের মানুষদেরকে, তাদের নিজ নিজ গুণ এবং কর্ম অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছিল। Patience বা ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ, বৈরাগ্য যাদের সংস্কারে রয়েছে তারাই ব্রাহ্মণ। Courage বা সাহস, শৌর্য্য, বীর্য্য যাদের রয়েছে – তারাই ক্ষত্রিয়। সহ্যগুণ বৈশ্যের অন্যতম গুণ। দেখবে মানুষ ব্যবসায়ীদের গালাগালি দিচ্ছে, তবুও তারা রাগ করবে না। বহু টাকার মাল ধার হিসাবে খরিদ্দারদের দিয়ে দেয় – কিন্তু পরে ধীরে ধীরে interest-সহ ঠিক আদায় করে নেয়। এই অসম্ভব সহ্যগুন একমাত্র বৈশ্যদের মধ্যেই দেখা যায়। আর শুদ্রশ্রেনীর মানুষের শারীরিক শক্তি, অল্পে সন্তুষ্টি ইত্যাদি অন্যান্য অনেক গুন থাকলেও শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতি না ঘটায় এরা বহুকাল ধরে মার খেয়ে এসেছে।
নিজস্ব গুণ অনুযায়ী-ই আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে সাধকেরা তাদের নিজ নিজ পদ্ধতি খুঁজে নেয়। ব্রাহ্মণের জন্য জ্ঞানযোগ, ক্ষত্রিয়দের জন্য রাজযোগ, বৈশ্যদের জন্য কর্মযোগ আর শুদ্রদের জন্য ঋষিদের বিধান ছিল ভক্তিযোগ ! শুধু চোখের জল ফেলে ঈশ্বরের জন্য অশ্রুবিসর্জন ! শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এইটাকেই নতুন করে যেন জীবনীশক্তি দান করে গেলেন! উনি বললেন_”কলিহত জীবের শুধু নামেই মুক্তি!” খুব করে খোল-করতাল বাজিয়ে লম্ফঝম্ফ করে নামগান করলে, কুলকুন্ডলিনীর জাগরণ ঘটে যায়__তাই মহাপ্রভুর এই বিধান ছিল। নিত্যানন্দও বলেছিলেন_”কেঁদে কেঁদে হরিনাম করো_তাহলেই মহাপ্রভুর কৃপা হবে।”
যাইহোক, তাহলে বুঝতে পারলে কি যে কর্মযোগ সবাই করবে না_বা কর্মযোগী সবাই হবে না! আর কর্মযোগী হোলেই যে, সে নিস্কাম কর্ম করতে পারবে _এটাও হয় না। তবে পরহিতায় কর্ম করা শুরু করলে, বা কোনো মহাপুরুষের এই ধরণের আরব্ধ কাজে সহায়তা করলে _কিছুটা হোলেও ‘নিস্কাম কর্ম’ করা হয়।। কিন্তু জেনে রাখবে যে, ঠিক ঠিক নিস্কাম কর্ম করতে পারেন ঋষি-স্থিতির মানুষেরা বা জ্ঞানীরা।।