জিজ্ঞাসু :– গুরু মহারাজ! আপনার কথা শুনে তো আমার মনে হোচ্ছে যে, ছেলেকে কলকাতায় St.Xaviers-এ ভর্ত্তি করাটা ঠিক হয় নি – তাহলে কি ওখান থেকে ওকে সড়িয়ে অন্য কোথাও ভর্ত্তি করে দেবো ?
গুরুমহারাজ :– এই দেখেছো তো__কোনোকিছু আলোচনা করাটাও মুস্কিল ! তুমি অনেক কষ্ট করে ছেলেকে ওখানে ভর্তি করেছো_এখনি সড়াবে কেন ? প্রতিষ্ঠান যে কোনো শিক্ষাই দিক না কেন__তোমরা ওকে ছোটো বয়েস থেকে সৎ-শিক্ষা দিও। আমি তোমাদের সাথে যেভাবে জীবনমুখী আলোচনা করি_সেইসব কথা ওকেও শোনাবে। তাহলে দেখবে ও আর পাঁচটা আধুনিক ছেলেদের মতো হবে না_ভালো মানুষ হয়ে উঠবে ! পিতা-মাতার ত্যাগ ও সংযমের জীবন সন্তানদেরকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে।।
জানো__St.Xavier’s স্কুল বা কলেজ কলকাতায় অনেক পুরোনো নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভারতবর্ষের অন্যান্য বড় শহরেও এদের শাখা রয়েছে। তবে– যার নামে এই প্রতিষ্ঠানটি অর্থাৎ ওই জেভিয়ার সাহেব – ইউরোপীয় দৃষ্টিতে হয়তো ও ভালো লোক ছিল, কিন্তু ভারতীয় দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে লোকটি মোটেই ভালো মানুষ ছিল না ! জেভিয়ার সাহেব তার জীবনে বহু মানুষকে ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান ধর্মে শামিল করেছে ! এই যে St.(সেন্ট) উপাধি – এটা পাবার একটা অন্যতম শর্ত হোলো_ঐ ব্যক্তি কতো বেশীসংখ্যক মানুষকে ধর্মান্তরিত কোরে খ্রীষ্টান ধর্মমতে আনতে পেরেছে ! যদিও ভ্যাটিক্যান সবার সামনে অন্যান্য শর্তের কথা বলে ! কিন্তু আসল কারণটা আমি বলে দিলাম।।
এই যে কোলকাতার ….মা-টির St. উপাধি পেতে দেরি হোচ্ছে(১৯৯২-৯৩) মানেই জানবে –অলৌকিক কান্ড-কারখানার কথা বাহানা, আসলে ওদের বিচারে মা-টি জীবনে অতো বেশি মানুষকে ধর্মান্তরিত করতে পারেন নি – সোজা কথা !!
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, __জোর করে ধর্মান্তরকরণ যখন করা হয়, তখন যাকে করা হোলো _ তার কোনো কর্মফল হয় না, যে বা যারা ঐ কর্মটি করলো তাদেরকেই কর্মফল ভোগ করতে হয়। শুধু ধর্মান্তরকরণের ক্ষেত্রেই নয় – যে কোনো ব্যাপারে জোর করে বা বলপূর্বক কোনো কিছু করাকেই ভারতীয় শাশ্ত্রে ‘বলাৎকার’ বলা হয়েছে ! বলপ্রয়োগের দ্বারা অপরের অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু ‘আদায়’ করা বা কিছু করিয়ে নেওয়াকেই বলা হয় ‘বলাৎকার’।
তবে ঐ যে বলছিলাম__ এইসব ক্ষেত্রে যাকে এইরূপ করা হোলো, তার কর্মফল হয় না, যে করলো_ সমস্ত কর্মফল তার উপর বর্তায় এবং ঐ ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিদেরকে জন্ম-জন্মান্তর ধরে অপরিসীম কষ্ট ভোগ করতে হয় !
গুরুমহারাজ :– এই দেখেছো তো__কোনোকিছু আলোচনা করাটাও মুস্কিল ! তুমি অনেক কষ্ট করে ছেলেকে ওখানে ভর্তি করেছো_এখনি সড়াবে কেন ? প্রতিষ্ঠান যে কোনো শিক্ষাই দিক না কেন__তোমরা ওকে ছোটো বয়েস থেকে সৎ-শিক্ষা দিও। আমি তোমাদের সাথে যেভাবে জীবনমুখী আলোচনা করি_সেইসব কথা ওকেও শোনাবে। তাহলে দেখবে ও আর পাঁচটা আধুনিক ছেলেদের মতো হবে না_ভালো মানুষ হয়ে উঠবে ! পিতা-মাতার ত্যাগ ও সংযমের জীবন সন্তানদেরকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করে।।
জানো__St.Xavier’s স্কুল বা কলেজ কলকাতায় অনেক পুরোনো নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভারতবর্ষের অন্যান্য বড় শহরেও এদের শাখা রয়েছে। তবে– যার নামে এই প্রতিষ্ঠানটি অর্থাৎ ওই জেভিয়ার সাহেব – ইউরোপীয় দৃষ্টিতে হয়তো ও ভালো লোক ছিল, কিন্তু ভারতীয় দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে লোকটি মোটেই ভালো মানুষ ছিল না ! জেভিয়ার সাহেব তার জীবনে বহু মানুষকে ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান ধর্মে শামিল করেছে ! এই যে St.(সেন্ট) উপাধি – এটা পাবার একটা অন্যতম শর্ত হোলো_ঐ ব্যক্তি কতো বেশীসংখ্যক মানুষকে ধর্মান্তরিত কোরে খ্রীষ্টান ধর্মমতে আনতে পেরেছে ! যদিও ভ্যাটিক্যান সবার সামনে অন্যান্য শর্তের কথা বলে ! কিন্তু আসল কারণটা আমি বলে দিলাম।।
এই যে কোলকাতার ….মা-টির St. উপাধি পেতে দেরি হোচ্ছে(১৯৯২-৯৩) মানেই জানবে –অলৌকিক কান্ড-কারখানার কথা বাহানা, আসলে ওদের বিচারে মা-টি জীবনে অতো বেশি মানুষকে ধর্মান্তরিত করতে পারেন নি – সোজা কথা !!
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, __জোর করে ধর্মান্তরকরণ যখন করা হয়, তখন যাকে করা হোলো _ তার কোনো কর্মফল হয় না, যে বা যারা ঐ কর্মটি করলো তাদেরকেই কর্মফল ভোগ করতে হয়। শুধু ধর্মান্তরকরণের ক্ষেত্রেই নয় – যে কোনো ব্যাপারে জোর করে বা বলপূর্বক কোনো কিছু করাকেই ভারতীয় শাশ্ত্রে ‘বলাৎকার’ বলা হয়েছে ! বলপ্রয়োগের দ্বারা অপরের অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু ‘আদায়’ করা বা কিছু করিয়ে নেওয়াকেই বলা হয় ‘বলাৎকার’।
তবে ঐ যে বলছিলাম__ এইসব ক্ষেত্রে যাকে এইরূপ করা হোলো, তার কর্মফল হয় না, যে করলো_ সমস্ত কর্মফল তার উপর বর্তায় এবং ঐ ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিদেরকে জন্ম-জন্মান্তর ধরে অপরিসীম কষ্ট ভোগ করতে হয় !