[ গুরু মহারাজের প্রথম বনগ্রামে আগমন এবং আশ্রম প্রতিষ্ঠার কথা নিয়েই উনি আলোচনা করছিলেন।]
জিজ্ঞাসু :– আপনি বনগ্রামে আসার পর থেকেই কি পরমানন্দ মিশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল ?
গুরুমহারাজ :– না – তা ঠিক নয় ! সব কিছুরই দশা বা stage থাকে। যেমন যে কোনো বস্তুর দশাগুলি হোলো__প্রাক্উৎপত্তি, উৎপত্তি, প্রবৃদ্ধি, রূপান্তর, ক্ষয় ও লয়। তেমনি এই যে মিশন প্রতিষ্ঠা – এরও প্রাক্উৎপত্তি, উৎপত্তি ইত্যাদি ব্যাপারগুলি রয়েছে। এখানে প্রথম ও প্রধান শর্ত ছিল মা জগদম্বার ইচ্ছা ! তারপরের শর্ত ছিল সেই মহতী ইচ্ছার সাথে অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইচ্ছার যোগসাজশ স্থাপন !
তবে, মা জগদম্বা আমাকে যে সুবিধা করে দিয়েছিল, সেটা হোলো এই যে_ Rural electrification-এ চাকরি করার সময় যে ছেলে-মেয়েরা এখানে কাজ করবে, তাদের বেশির ভাগের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়ে গিয়েছিল। ফলে আমি বনগ্রামে আসার পর থেকে ওরা নিঃস্বার্থভাবে সেবা করার ব্রত নিয়ে একে একে এখানে এসে গিয়েছিল ! তাই এই মিশনের কাজের সূচনাটা বলতে পারো প্রথম থেকেই হয়ে গেছিলো।
প্রথম প্রথম আমার এবং আমার কাজ করার জন্য আসা নিঃস্বার্থ সেবকদের খাওয়া-দাওয়া, থাকা সবই বনগ্রামের মুখার্জি বাড়ি থেকেই হোতো। ✓-রীমা আমাকে বলে দিয়েছিল – এই বাড়ির অন্ন – মায়ের অন্ন। তাই নিঃসংকোচে এই বাড়ির অন্ন আমি গ্রহণ করতে পেরেছিলাম। ধীরে ধীরে বনগ্রামের এবং পাশাপাশি গ্রামের কিছু কিছু পরিবার আমাকে ভালোবেসে কিছু কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছিল ! বনগ্রামের বহু বাড়ি থেকে ভাজা মুড়ি আশ্রমে পাঠিয়ে দিতো, অনেকে কিছু কিছু পয়সাও পাঠাতো। আশ্রমে আমার কুঁড়েঘর তৈরীর পরে প্রথম যে চালাঘরটি হয়েছিল – সেটাই ঠাকুর ঘর এবং ব্রহ্মচারীদের থাকার ঘর। পাশে একটা ছোট রান্নার চালা ! তারপরে মাটির দেড়তলা ঘরটা হয়েছিল। প্রথম যে চার-পাঁচজন ছেলেদেরকে ‘অনাথ’-হিসাবে নেওয়া হয়েছিল – ওরা ওই ঘরের নিচের একটা ঘরে থাকতো। এই ছেলেগুলিকে আশ্রমে থাকা, খাওয়া ও লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব নেবার সাথে সাথেই আশ্রমের সেবামূলক কাজের পুরোপুরিভাবে সূচনা হয়ে গেল।
আশ্রমে আগেই কিছু ধানের জমি কেনা হয়েছিল_তারপর অনাথ-আশ্রমের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরপর অফিস ঘর অর্থাৎ যেখানে মুরারী মহারাজ বসে–ঐ ঘরটি তৈরি করা হয়েছিলো।
যখন ইঁটের তিনতলা ‘বালক ভবন’টি তৈরির কাজ শুরু হোলো, তখন থেকেই ছাত্রসংখ্যা বাড়তে শুরু করলো। ছেলেদের দায়িত্ব_ মদন মহারাজ (চিৎবিলাসানন্দ), নানু মহারাজ (নির্বেদানন্দ) এদেরকে দেওয়া হোলো, পরে জ্যোতির্ময়ানন্দ, সুন্দরানন্দ, কমল (সিঙ্গুর), নচিকেতা (সিঙ্গুর) – এরা ওদেরকে সাহায্য করতে শুরু করলো। ব্রহ্মচারীরা বেশিরভাগই শিক্ষিত ছিল, তাই ছাত্রদেরকে পড়ানোর ব্যাপারে সমস্যা হোতো না ! তখন ছেলেগুলিকে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হোতো। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পাশ করলে সামন্তীতে হাইস্কুলে পাঠানো হোতো– এইভাবেই চলছিল !
কিন্তু আমাদের ছাত্রসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়,এই ব্যাপারগুলিতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিলো ! তাই প্রথমে একটা ‘প্রাইমারি স্কুল’ করার কথা ভাবনা চিন্তা করা হোলো। বটতলার কাছে তিনতলা বিল্ডিংটা সম্পূর্ণ হোলে ওটাতেই প্রথমে প্রাইমারি স্কুল start করে দেওয়া হোলো, পরে সাধনা ভবনের বিল্ডিংগুলি হয়ে গেলে Secondary school- চালু করা হয়েছিলো। মুল স্কুল বিল্ডিং-এর কাজ সবে শুরু হয়েছে, এই চারতলা বিল্ডিং-টি তৈরি হয়ে গেলেই স্কুল-সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে যাবে।।
জিজ্ঞাসু :– আপনি বনগ্রামে আসার পর থেকেই কি পরমানন্দ মিশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল ?
গুরুমহারাজ :– না – তা ঠিক নয় ! সব কিছুরই দশা বা stage থাকে। যেমন যে কোনো বস্তুর দশাগুলি হোলো__প্রাক্উৎপত্তি, উৎপত্তি, প্রবৃদ্ধি, রূপান্তর, ক্ষয় ও লয়। তেমনি এই যে মিশন প্রতিষ্ঠা – এরও প্রাক্উৎপত্তি, উৎপত্তি ইত্যাদি ব্যাপারগুলি রয়েছে। এখানে প্রথম ও প্রধান শর্ত ছিল মা জগদম্বার ইচ্ছা ! তারপরের শর্ত ছিল সেই মহতী ইচ্ছার সাথে অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইচ্ছার যোগসাজশ স্থাপন !
তবে, মা জগদম্বা আমাকে যে সুবিধা করে দিয়েছিল, সেটা হোলো এই যে_ Rural electrification-এ চাকরি করার সময় যে ছেলে-মেয়েরা এখানে কাজ করবে, তাদের বেশির ভাগের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়ে গিয়েছিল। ফলে আমি বনগ্রামে আসার পর থেকে ওরা নিঃস্বার্থভাবে সেবা করার ব্রত নিয়ে একে একে এখানে এসে গিয়েছিল ! তাই এই মিশনের কাজের সূচনাটা বলতে পারো প্রথম থেকেই হয়ে গেছিলো।
প্রথম প্রথম আমার এবং আমার কাজ করার জন্য আসা নিঃস্বার্থ সেবকদের খাওয়া-দাওয়া, থাকা সবই বনগ্রামের মুখার্জি বাড়ি থেকেই হোতো। ✓-রীমা আমাকে বলে দিয়েছিল – এই বাড়ির অন্ন – মায়ের অন্ন। তাই নিঃসংকোচে এই বাড়ির অন্ন আমি গ্রহণ করতে পেরেছিলাম। ধীরে ধীরে বনগ্রামের এবং পাশাপাশি গ্রামের কিছু কিছু পরিবার আমাকে ভালোবেসে কিছু কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছিল ! বনগ্রামের বহু বাড়ি থেকে ভাজা মুড়ি আশ্রমে পাঠিয়ে দিতো, অনেকে কিছু কিছু পয়সাও পাঠাতো। আশ্রমে আমার কুঁড়েঘর তৈরীর পরে প্রথম যে চালাঘরটি হয়েছিল – সেটাই ঠাকুর ঘর এবং ব্রহ্মচারীদের থাকার ঘর। পাশে একটা ছোট রান্নার চালা ! তারপরে মাটির দেড়তলা ঘরটা হয়েছিল। প্রথম যে চার-পাঁচজন ছেলেদেরকে ‘অনাথ’-হিসাবে নেওয়া হয়েছিল – ওরা ওই ঘরের নিচের একটা ঘরে থাকতো। এই ছেলেগুলিকে আশ্রমে থাকা, খাওয়া ও লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব নেবার সাথে সাথেই আশ্রমের সেবামূলক কাজের পুরোপুরিভাবে সূচনা হয়ে গেল।
আশ্রমে আগেই কিছু ধানের জমি কেনা হয়েছিল_তারপর অনাথ-আশ্রমের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরপর অফিস ঘর অর্থাৎ যেখানে মুরারী মহারাজ বসে–ঐ ঘরটি তৈরি করা হয়েছিলো।
যখন ইঁটের তিনতলা ‘বালক ভবন’টি তৈরির কাজ শুরু হোলো, তখন থেকেই ছাত্রসংখ্যা বাড়তে শুরু করলো। ছেলেদের দায়িত্ব_ মদন মহারাজ (চিৎবিলাসানন্দ), নানু মহারাজ (নির্বেদানন্দ) এদেরকে দেওয়া হোলো, পরে জ্যোতির্ময়ানন্দ, সুন্দরানন্দ, কমল (সিঙ্গুর), নচিকেতা (সিঙ্গুর) – এরা ওদেরকে সাহায্য করতে শুরু করলো। ব্রহ্মচারীরা বেশিরভাগই শিক্ষিত ছিল, তাই ছাত্রদেরকে পড়ানোর ব্যাপারে সমস্যা হোতো না ! তখন ছেলেগুলিকে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হোতো। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পাশ করলে সামন্তীতে হাইস্কুলে পাঠানো হোতো– এইভাবেই চলছিল !
কিন্তু আমাদের ছাত্রসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়,এই ব্যাপারগুলিতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিলো ! তাই প্রথমে একটা ‘প্রাইমারি স্কুল’ করার কথা ভাবনা চিন্তা করা হোলো। বটতলার কাছে তিনতলা বিল্ডিংটা সম্পূর্ণ হোলে ওটাতেই প্রথমে প্রাইমারি স্কুল start করে দেওয়া হোলো, পরে সাধনা ভবনের বিল্ডিংগুলি হয়ে গেলে Secondary school- চালু করা হয়েছিলো। মুল স্কুল বিল্ডিং-এর কাজ সবে শুরু হয়েছে, এই চারতলা বিল্ডিং-টি তৈরি হয়ে গেলেই স্কুল-সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে যাবে।।