গুরুমহারাজ একদিন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে কোথায় কত বেশি সংখ্যক মহাপুরুষ শরীর ধারণ করেছিলেন _সেই প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন। অবশ্যই বাংলা সবার চেয়ে এগিয়ে! কিন্তু উনি বললেন _বহু পূর্বে বর্তমান বিহার অঞ্চলে অনেক ঋষি – মুনি বা মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল।
তবে সেদিনের আলোচনা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা কয়েকজন মহাপুরুষের জীবন কথা নিয়ে , তাদের মধ্যে গোরাকাকা ছিলেন অন্যতম একজন! এখন হোক গোরাকাকার কথা!!
মারাঠী ভাষায় ‘কাকা’ মানেই ‘বাবা’ । তাই গোরাকাকা মানে আমাদের বাংলায় দাঁড়াবে গোরাবাবা । গোরাকাকা আপনভোলা ধরনের সাধক মানুষ ছিলেন ৷ তখনকার দিনের সমাজব্যবস্থায় অল্পবয়সেই বিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল , তাছাড়া বহুবিবাহ প্রথাও চালু ছিল । গোরাকাকারও অল্পবয়সেই দুটি বিবাহ হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু এইসবের জন্য তাঁর সাধন-ভজনের কোন হানি হয় নি। আধ্যাত্মিক ভাবে তিনি যথেষ্ট উন্নত ছিলেন।
এদিকে সংসারে অভাব, বাস্তব পরিস্থিতি তো সামাল দিতে হবে _তাই গোরাকাকা সংসার চালানোর জন্য কুমোরের কাজ করতেন অর্থাৎ মাটির তৈরী হাঁড়ি , কলসী ইত্যাদি তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করতেন ৷ তখনকার দিনে মানুষের মধ্যে মাটির সামগ্রী ব্যাবহারের-ই রীতি ছিল – ফলে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসের কদর ছিল এবং ওনার প্রতিদিনের তৈরি করা সব মাল-ই প্রায় বিক্রি হয়ে যেতো।অর্থাৎ সংসার চালাতে খুব একটা অসুবিধা হবার কথা ছিল না।
কিন্তু গোরাকাকার স্ত্রীরা ছিল অবিদ্যা-স্ত্রী! তারা সবসময়ই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করত – আর শেষমেশ সবকিছুর জন্য ওরা দায়ী করতো সাদাসিধা ভোলেভালা গোরাকাকাকে। আর তাদের সমস্ত রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটত যে ভাবে _তা হোল তার উপরে পড়ত ঐ দুই মহিলার কিল-চড়-লাথি-ঘুসি!
এতকিছু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গোরাকাকার সাধন-ভজনে কোনদিন কেউ কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি! পারার কথাও নয় _কারন আধ্যাত্মিক ভাবে উন্নত মানুষেরা জানেন যে এই জীবনের সমস্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাই পূর্ব পূর্ব জীবনের প্রারব্ধ কর্মের ফল! তাই তিনি সমস্তকিছুর মধ্যেও অন্তর্জগতে অবিরাম নামজপ করে যেতেন । এইভাবে সাধন করতে করতে মাঝে মাঝেই তিনি এমন তন্ময় হয়ে যেতেন যে বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে যেতো তাঁর!
কালের নিয়মে গোরাকাকার দুজন স্ত্রীর মধ্যে যে কোন একটা স্ত্রীর গর্ভে একটি সন্তানও জন্মাল! সন্তান পাবার পর কিছুদিনের জন্য ওনার সংসারে যেন একটু শান্তি(স্বস্তি) ফিরে এল! দুটি মা একটি শিশুকে নিয়েই মগ্ন থাকতো।
কিন্তু গোরাবাবার জীবনে এই সুখ বা শান্তি(স্বস্তি) স্থায়ী হোল না _একটা বিশেষ ঘটনার জন্য! ঘটনাটা কি ঘটেছিল তা শোনা যাক!
একদিন দুই স্ত্রী কোলের ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে গোরাকাকার উপর ভার দিয়ে নদীতে স্নান করতে চলে গেল । গোরাকাকা তখন হাঁড়ি/কলসী তৈরীর জন্য মাটির ‘পাট’ করছিলেন । (মাটিতে জল দিয়ে কাদা তৈরী করে তাতে পা দিয়ে দিয়ে চটকে চটকে হাঁড়ি-কুঁড়ি তৈরির উপযুক্ত করে তোলাকে_’পাট’ করা বলা হয়।) এদিকে শিশুটি তো কখন উঁচু পিঁড়ি(দাওয়া) থেকে পড়ে গেছে নিচের উঠোনে একেবারে কাদার মধ্যে ! গোরাকাকা তন্ময় হয়ে জপ করতে করতে অনেকটা কাদা পায়ে করে চটকাচ্ছিলেন – কখন শিশুটিকেও কাদার মধ্যেই পায়ে করে চটকে শেনে পুঁতে দিয়েছেন –তা তাঁর আর খেয়ালই নাই ৷ স্ত্রীরা নদী থেকে স্নান সেরে বাড়ি ফিরে দেখে যে তাদের নয়নমনি, অন্তরের নাড়ীছেঁড়া ধনের মৃতদেহ কাদার মধ্যে গোঁজা, আর গোরা একমনে ঠাকুরের নাম গুনগান করতে করতে পা দিয়ে কাদার সাথে তাদের ছেলেকে মারাচ্ছে যেন আরও বেশি করে কাদায় ঢোকানোর চেষ্টা করছে! “হায়! হায়! কি সর্বনাশ করলে গো!” _বলে ওরা কাদার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুটিকে টেনে তুলল বটে _কিন্তু শিশুটি তো ততক্ষণে মরে কাঠ হয়ে গেছে! রাগে – দুঃখে-ক্ষোভে ফেটে পড়ল ঐ দুই নারী, জ্ঞানশুন্য হয়ে নির্দয়ভাবে গোরাবাবাকে পেটাতে লাগল ওরা। ভাবাবিষ্ট অবস্থা কেটে সাধারণ অবস্থায় যখন এল গোরা _তখন মার খেতে খেতে সেও মৃতপ্রায়!
এই প্রকারে সাধনার পরিপন্থী পরিবেশে, দুঃসহ পরিস্থিতিতে সাধক গোরাকাকার জীবন কাটছিল! কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর অত সে কাজ করতে পারতেন না ৷ মনে মনে ভাবছিলেন_একজন সহকারী ছেলে পেলে বেশ হয়! অন্তরের সঙ্গে প্রার্থনা করতে লাগলেন তিনি ৷ এদিকে মাল বেশী তৈরী হয় না , আর যাও বা হয়, সেগুলি হাটে নিয়ে যাওয়ার লোক নেই! ফলে সংসারে অভাব – আর তার ফল গোরাকাকার উপর নিদারুণ অত্যাচার!
এ রকম আর কতদিন চলতে পারে ! গোরাকাকার ইষ্ট কৃষ্ণ-কানাইয়া কি অার ঠিক থাকতে পারে ? ঠিক একদিন বালকের বেশ ধরে এসে হাজির ! এসেই বলল “আমায় কাজে নেবে ? আমি তোমার মাটির হাঁড়ি-কলসী তৈরী করা, বিক্রি করা _সব কাজ করে দেবো । শুধু আমাকে এখানে একটু থাকা এবং খাবার সুযোগ করে দাও_তাহলেই চলবে। কোন মাইনে দিতে হবে না!” গোরাকাকা তো হাতে চাঁদ পেল । সেই কৃষ্ণবর্ণ কিশোর একাহাতে সারাদিন পরিশ্রম করে মাটি আনে, কাদা তৈরী করে,মাটির নানান সামগ্রী তৈরি করে __তারপর আবার সেই হাঁড়ি-কলসী হাটে বিক্রি করতে যায়! কি সুন্দর সেই হাঁড়ি-কলসীর গড়ন ! যে দেখে সেই অবাক হয় ! কে বানাল এমন সামগ্রী ? কে সেই কারিগর ??
কে আবার হবে – এই বিশ্ব-চরাচর যার সৃষ্টি সে স্বয়ং এখন গোরাকাকার কাছে কাজের লোক হিসাবে হাঁড়ি-কলসী তৈরী করছে !! তাই তো এত চমকপ্রদ সামগ্রী !!
যাইহোক , এইভাবে ভক্ত-সাধক গোরাকাকার কাছে স্বয়ং তার ইষ্ট বালকবেশে তার ফাই-ফরমাস খেটেছিলেন , তার পরিবারের মুখে অন্ন জোটানোর ভার স্বয়ং নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন । গোরাকাকার শেষ সময়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখনই হয়েছিল ভক্তের সঙ্গে ভগবানের মিলন!
গল্পের শেষে লেখক কি বলছে __”ভক্তের সাথে ভগবানের মিলন হয়ে গেল।
চাঁদবদনে সবাই মিলে হরি হরি বলো।।”_হরিবোল হরিবোল!
[ক্রমশঃ]
তবে সেদিনের আলোচনা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা কয়েকজন মহাপুরুষের জীবন কথা নিয়ে , তাদের মধ্যে গোরাকাকা ছিলেন অন্যতম একজন! এখন হোক গোরাকাকার কথা!!
মারাঠী ভাষায় ‘কাকা’ মানেই ‘বাবা’ । তাই গোরাকাকা মানে আমাদের বাংলায় দাঁড়াবে গোরাবাবা । গোরাকাকা আপনভোলা ধরনের সাধক মানুষ ছিলেন ৷ তখনকার দিনের সমাজব্যবস্থায় অল্পবয়সেই বিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল , তাছাড়া বহুবিবাহ প্রথাও চালু ছিল । গোরাকাকারও অল্পবয়সেই দুটি বিবাহ হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু এইসবের জন্য তাঁর সাধন-ভজনের কোন হানি হয় নি। আধ্যাত্মিক ভাবে তিনি যথেষ্ট উন্নত ছিলেন।
এদিকে সংসারে অভাব, বাস্তব পরিস্থিতি তো সামাল দিতে হবে _তাই গোরাকাকা সংসার চালানোর জন্য কুমোরের কাজ করতেন অর্থাৎ মাটির তৈরী হাঁড়ি , কলসী ইত্যাদি তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করতেন ৷ তখনকার দিনে মানুষের মধ্যে মাটির সামগ্রী ব্যাবহারের-ই রীতি ছিল – ফলে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসের কদর ছিল এবং ওনার প্রতিদিনের তৈরি করা সব মাল-ই প্রায় বিক্রি হয়ে যেতো।অর্থাৎ সংসার চালাতে খুব একটা অসুবিধা হবার কথা ছিল না।
কিন্তু গোরাকাকার স্ত্রীরা ছিল অবিদ্যা-স্ত্রী! তারা সবসময়ই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করত – আর শেষমেশ সবকিছুর জন্য ওরা দায়ী করতো সাদাসিধা ভোলেভালা গোরাকাকাকে। আর তাদের সমস্ত রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটত যে ভাবে _তা হোল তার উপরে পড়ত ঐ দুই মহিলার কিল-চড়-লাথি-ঘুসি!
এতকিছু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গোরাকাকার সাধন-ভজনে কোনদিন কেউ কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি! পারার কথাও নয় _কারন আধ্যাত্মিক ভাবে উন্নত মানুষেরা জানেন যে এই জীবনের সমস্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাই পূর্ব পূর্ব জীবনের প্রারব্ধ কর্মের ফল! তাই তিনি সমস্তকিছুর মধ্যেও অন্তর্জগতে অবিরাম নামজপ করে যেতেন । এইভাবে সাধন করতে করতে মাঝে মাঝেই তিনি এমন তন্ময় হয়ে যেতেন যে বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে যেতো তাঁর!
কালের নিয়মে গোরাকাকার দুজন স্ত্রীর মধ্যে যে কোন একটা স্ত্রীর গর্ভে একটি সন্তানও জন্মাল! সন্তান পাবার পর কিছুদিনের জন্য ওনার সংসারে যেন একটু শান্তি(স্বস্তি) ফিরে এল! দুটি মা একটি শিশুকে নিয়েই মগ্ন থাকতো।
কিন্তু গোরাবাবার জীবনে এই সুখ বা শান্তি(স্বস্তি) স্থায়ী হোল না _একটা বিশেষ ঘটনার জন্য! ঘটনাটা কি ঘটেছিল তা শোনা যাক!
একদিন দুই স্ত্রী কোলের ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে গোরাকাকার উপর ভার দিয়ে নদীতে স্নান করতে চলে গেল । গোরাকাকা তখন হাঁড়ি/কলসী তৈরীর জন্য মাটির ‘পাট’ করছিলেন । (মাটিতে জল দিয়ে কাদা তৈরী করে তাতে পা দিয়ে দিয়ে চটকে চটকে হাঁড়ি-কুঁড়ি তৈরির উপযুক্ত করে তোলাকে_’পাট’ করা বলা হয়।) এদিকে শিশুটি তো কখন উঁচু পিঁড়ি(দাওয়া) থেকে পড়ে গেছে নিচের উঠোনে একেবারে কাদার মধ্যে ! গোরাকাকা তন্ময় হয়ে জপ করতে করতে অনেকটা কাদা পায়ে করে চটকাচ্ছিলেন – কখন শিশুটিকেও কাদার মধ্যেই পায়ে করে চটকে শেনে পুঁতে দিয়েছেন –তা তাঁর আর খেয়ালই নাই ৷ স্ত্রীরা নদী থেকে স্নান সেরে বাড়ি ফিরে দেখে যে তাদের নয়নমনি, অন্তরের নাড়ীছেঁড়া ধনের মৃতদেহ কাদার মধ্যে গোঁজা, আর গোরা একমনে ঠাকুরের নাম গুনগান করতে করতে পা দিয়ে কাদার সাথে তাদের ছেলেকে মারাচ্ছে যেন আরও বেশি করে কাদায় ঢোকানোর চেষ্টা করছে! “হায়! হায়! কি সর্বনাশ করলে গো!” _বলে ওরা কাদার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুটিকে টেনে তুলল বটে _কিন্তু শিশুটি তো ততক্ষণে মরে কাঠ হয়ে গেছে! রাগে – দুঃখে-ক্ষোভে ফেটে পড়ল ঐ দুই নারী, জ্ঞানশুন্য হয়ে নির্দয়ভাবে গোরাবাবাকে পেটাতে লাগল ওরা। ভাবাবিষ্ট অবস্থা কেটে সাধারণ অবস্থায় যখন এল গোরা _তখন মার খেতে খেতে সেও মৃতপ্রায়!
এই প্রকারে সাধনার পরিপন্থী পরিবেশে, দুঃসহ পরিস্থিতিতে সাধক গোরাকাকার জীবন কাটছিল! কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর অত সে কাজ করতে পারতেন না ৷ মনে মনে ভাবছিলেন_একজন সহকারী ছেলে পেলে বেশ হয়! অন্তরের সঙ্গে প্রার্থনা করতে লাগলেন তিনি ৷ এদিকে মাল বেশী তৈরী হয় না , আর যাও বা হয়, সেগুলি হাটে নিয়ে যাওয়ার লোক নেই! ফলে সংসারে অভাব – আর তার ফল গোরাকাকার উপর নিদারুণ অত্যাচার!
এ রকম আর কতদিন চলতে পারে ! গোরাকাকার ইষ্ট কৃষ্ণ-কানাইয়া কি অার ঠিক থাকতে পারে ? ঠিক একদিন বালকের বেশ ধরে এসে হাজির ! এসেই বলল “আমায় কাজে নেবে ? আমি তোমার মাটির হাঁড়ি-কলসী তৈরী করা, বিক্রি করা _সব কাজ করে দেবো । শুধু আমাকে এখানে একটু থাকা এবং খাবার সুযোগ করে দাও_তাহলেই চলবে। কোন মাইনে দিতে হবে না!” গোরাকাকা তো হাতে চাঁদ পেল । সেই কৃষ্ণবর্ণ কিশোর একাহাতে সারাদিন পরিশ্রম করে মাটি আনে, কাদা তৈরী করে,মাটির নানান সামগ্রী তৈরি করে __তারপর আবার সেই হাঁড়ি-কলসী হাটে বিক্রি করতে যায়! কি সুন্দর সেই হাঁড়ি-কলসীর গড়ন ! যে দেখে সেই অবাক হয় ! কে বানাল এমন সামগ্রী ? কে সেই কারিগর ??
কে আবার হবে – এই বিশ্ব-চরাচর যার সৃষ্টি সে স্বয়ং এখন গোরাকাকার কাছে কাজের লোক হিসাবে হাঁড়ি-কলসী তৈরী করছে !! তাই তো এত চমকপ্রদ সামগ্রী !!
যাইহোক , এইভাবে ভক্ত-সাধক গোরাকাকার কাছে স্বয়ং তার ইষ্ট বালকবেশে তার ফাই-ফরমাস খেটেছিলেন , তার পরিবারের মুখে অন্ন জোটানোর ভার স্বয়ং নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন । গোরাকাকার শেষ সময়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখনই হয়েছিল ভক্তের সঙ্গে ভগবানের মিলন!
গল্পের শেষে লেখক কি বলছে __”ভক্তের সাথে ভগবানের মিলন হয়ে গেল।
চাঁদবদনে সবাই মিলে হরি হরি বলো।।”_হরিবোল হরিবোল!
[ক্রমশঃ]