একবার মা সরস্বতী তার ভান্ডারের সমস্ত রকম ‘বিদ্যা’- জাহাজে বোঝাই করে নিয়ে এসে একটি বিশেষ অঞ্চলে এসে হাজির ! খবরটা চাউর হতেই সেই অঞ্চলের যে পারল __সে-ই পড়িমড়ি করে ছুটল মা সরস্বতীর কাছে কোন না কোন বিদ্যা ‘মুফতে’ নেবার জন্য ! বিদ্যা তো বিদ্যাই ! তা সে কলাবিদ্যা , শিক্ষাবিদ্যা , সঙ্গীতবিদ্যা ইত্যাদি-ই হোক আর চুরিবিদ্যা , ছিনতাইবিদ্যা-ই হোক । সবরকম বিদ্যার-ই গ্রাহক রয়েছে! তাই একে একে মা সরস্বতীর এক জাহাজ ভর্ত্তি ‘বিদ্যা’ খালি হতে লাগল! আর খালি হতে হতে একসময় সত্যিই খালি হয়ে গেল জাহাজ!
গ্রামের এক মাতব্বর যে সবসময় ‘মিথ্যাকথা’ বলে লোক ঠকায়, সে প্রথমে খবরটা পায়নি! অনেক পরে পেয়েছিল, তাই সে শেষকালে গিয়ে হাজির হ’ল ৷ সেখানে গিয়েই সে মা সরস্বতীর পা-দুটো ধরে খুব কান্নাকাটি করতে লাগল , “দোহাই মা ! আমাকে কিছু বিদ্যা দাও ৷”
মা বললেন , “তোকে আর কি দেবো ? ভালো ভালো বিদ্যার পাত্রগুলো তো খালি হয়ে গেল রে , তবে দেখছি মিথ্যার ঝুড়িগুলো এখনো রয়েছে! ওগুলো এখনও কেউ নেয়নি! ওইগুলো কি তুই নিবি ?” মাতব্বর খুব খুশী হোল, সে তো মনে মনে এটাই চাইছিল! মা তার মনের কথা বুঝতে পেরে _তাই দিতে চাইল!!
যাইহোক,সেই মাতব্বর মা সরস্বতীর কাছ থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি ‘মিথ্যা’_ নিয়ে গেল । সেই খবর শুনে সেই গ্রামের আর একজন মাতব্বর ছুটতে ছুটতে নদীর ধারে গিয়ে হাজির ! মা তখন জাহাজ ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে । ঐ মাতব্বরের সে কি কান্নাকাটি ! তার কান্নাকাটিতে মা বিচলিত হয়ে পড়লেন , বললেন _ “তোকে আর কি দিই বলতো ! আমার তো আর কিছুই নাই যে তোকে দেবো !”
“ওই যে তুমি ঐ মাতব্বরকে ‘কয়েক ঝুড়ি’ _মিথ্যা দিয়েছ , আমাকে দাও ৷”
মা বললেন , “ওঃ তুই মিথ্যা বিদ্যা নিবি ! তাহলে তোকে আর্শীবাদ করছি আজ থেকে তুই যা বলবি তাই মিথ্যা হয়ে যাবে ৷”
মা সরস্বতীর বর পেয়ে তো দ্বিতীয় মাতব্বর মহাখুশী। সেই থেকে প্রথম মাতব্বর ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা বলতো আর দ্বিতীয় মাতব্বর যা বলত সবই ছিল মিথ্যা!
গুরু মহারাজ বললেন , _” জানো সমাজে অন্যদের সাথে এই দুই ধরণের মানুষও রয়েছে! এরা যেন মিথ্যাসিদ্ধ! মিথ্যাকথা এমন সুন্দরভাবে পরিবেশন করবে যে তুমি Impressed হয়ে যাবে! এটাও একটা কলা ৷ বিভিন্ন ঠক , ঠ্যাঁটা , fraud ব্যাক্তিরা কিন্তু অসম্ভব ধূর্ত!
সাধারণভাবে কোন মানুষকে cheat করা অতটা সহজ নয় কিন্তু ঐ দুই ধরনের লোকেরা মিথ্যাকে এমন সত্যের মত করে তোমার সামনে পরিবেশন করবে যে তুমি Convinced হয়ে যাবে , তার কথা বিশ্বাস করে ফেলবে , তারপর ঠকবে!
আমাদের এখানেই (বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন) কয়েকজন fraud ব্যাক্তি এমনভাবে এসে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিল যে মিশনের আশ্রমিকরা ধরতেই পারেনি যে এরা fraud বা প্রতারক! কয়েকজন এসেছিল সাধু-সন্তের বেশ ধরে – ফলে এদের recognise করাটাও ছিল খুব মুস্কিল!
মিথ্যা বলাটা বড় কথা নয় , সেটা সবাই কিছু না কিছু বলে থাকে , কিন্তু শুধুমাত্র মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে নিজের মত কে সকলের কাছে প্রতিষ্ঠা করাটা সত্যিই একটা Art! ওইজন্যই বলা হল এটাও সরস্বতীর কাছ থেকে পাওয়া বর বা আশীর্বাদ! [ক্রমশঃ]
গ্রামের এক মাতব্বর যে সবসময় ‘মিথ্যাকথা’ বলে লোক ঠকায়, সে প্রথমে খবরটা পায়নি! অনেক পরে পেয়েছিল, তাই সে শেষকালে গিয়ে হাজির হ’ল ৷ সেখানে গিয়েই সে মা সরস্বতীর পা-দুটো ধরে খুব কান্নাকাটি করতে লাগল , “দোহাই মা ! আমাকে কিছু বিদ্যা দাও ৷”
মা বললেন , “তোকে আর কি দেবো ? ভালো ভালো বিদ্যার পাত্রগুলো তো খালি হয়ে গেল রে , তবে দেখছি মিথ্যার ঝুড়িগুলো এখনো রয়েছে! ওগুলো এখনও কেউ নেয়নি! ওইগুলো কি তুই নিবি ?” মাতব্বর খুব খুশী হোল, সে তো মনে মনে এটাই চাইছিল! মা তার মনের কথা বুঝতে পেরে _তাই দিতে চাইল!!
যাইহোক,সেই মাতব্বর মা সরস্বতীর কাছ থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি ‘মিথ্যা’_ নিয়ে গেল । সেই খবর শুনে সেই গ্রামের আর একজন মাতব্বর ছুটতে ছুটতে নদীর ধারে গিয়ে হাজির ! মা তখন জাহাজ ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে । ঐ মাতব্বরের সে কি কান্নাকাটি ! তার কান্নাকাটিতে মা বিচলিত হয়ে পড়লেন , বললেন _ “তোকে আর কি দিই বলতো ! আমার তো আর কিছুই নাই যে তোকে দেবো !”
“ওই যে তুমি ঐ মাতব্বরকে ‘কয়েক ঝুড়ি’ _মিথ্যা দিয়েছ , আমাকে দাও ৷”
মা বললেন , “ওঃ তুই মিথ্যা বিদ্যা নিবি ! তাহলে তোকে আর্শীবাদ করছি আজ থেকে তুই যা বলবি তাই মিথ্যা হয়ে যাবে ৷”
মা সরস্বতীর বর পেয়ে তো দ্বিতীয় মাতব্বর মহাখুশী। সেই থেকে প্রথম মাতব্বর ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা বলতো আর দ্বিতীয় মাতব্বর যা বলত সবই ছিল মিথ্যা!
গুরু মহারাজ বললেন , _” জানো সমাজে অন্যদের সাথে এই দুই ধরণের মানুষও রয়েছে! এরা যেন মিথ্যাসিদ্ধ! মিথ্যাকথা এমন সুন্দরভাবে পরিবেশন করবে যে তুমি Impressed হয়ে যাবে! এটাও একটা কলা ৷ বিভিন্ন ঠক , ঠ্যাঁটা , fraud ব্যাক্তিরা কিন্তু অসম্ভব ধূর্ত!
সাধারণভাবে কোন মানুষকে cheat করা অতটা সহজ নয় কিন্তু ঐ দুই ধরনের লোকেরা মিথ্যাকে এমন সত্যের মত করে তোমার সামনে পরিবেশন করবে যে তুমি Convinced হয়ে যাবে , তার কথা বিশ্বাস করে ফেলবে , তারপর ঠকবে!
আমাদের এখানেই (বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন) কয়েকজন fraud ব্যাক্তি এমনভাবে এসে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিল যে মিশনের আশ্রমিকরা ধরতেই পারেনি যে এরা fraud বা প্রতারক! কয়েকজন এসেছিল সাধু-সন্তের বেশ ধরে – ফলে এদের recognise করাটাও ছিল খুব মুস্কিল!
মিথ্যা বলাটা বড় কথা নয় , সেটা সবাই কিছু না কিছু বলে থাকে , কিন্তু শুধুমাত্র মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে নিজের মত কে সকলের কাছে প্রতিষ্ঠা করাটা সত্যিই একটা Art! ওইজন্যই বলা হল এটাও সরস্বতীর কাছ থেকে পাওয়া বর বা আশীর্বাদ! [ক্রমশঃ]