দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই-এর বিখ্যাত শ্রী মীনাক্ষী/লক্ষ্মী মন্দিরের কাছাকাছি একজন ছদ্মবেশী মহাযোগী থাকতেন। উনি পাগলের ছদ্মবেশে এখান ওখান ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু মা মীনাক্ষীর আরতির সময় তিনি ঠিক মূর্ত্তির সামনে এসে দাঁড়াতেন। উনি খ্যাপা-পাগলের মত থাকতেন বলে লোকে তাকে রাগাতো , ছোট ছেলে-মেয়েরা একটু-আধটু অত্যাচারও করতো!
একদিন এই যোগী সন্ধ্যার সময় মীনাক্ষী মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আরতি দেখছিলেন। প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য ৷ আর ছেলের দল ছদ্মবেশী যোগীকে উৎপাত করছে , খোঁচাখুচি করছে আর বলছে ” এই খ্যাপা ! একটু আগুন দে তো , ধূমপান করব !”
আসলে ব্যাপারটা হোত কি ঐ ছদ্মযোগীর মধ্যে নানান সিদ্ধাই ছিল, ফলে ছেলেরা যা চাইতো অনেক সময় তা পেয়েও যেতো! সেইজন্যই হয়তো ঐরকম উৎপাত করত। সে যাই হোক , আরতির সময়টা ঐ পাগল-যোগী, তন্ময় অবস্থায় থাকতেন আর জগৎ কল্যাণের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা কোরতেন। সেদিনও উনি ঐ একইভাবে ছিলেন। ছেলেরা ক্রমাগত বিরক্ত করছে দেখে _ঐ অবস্থায় যোগী বলে উঠলেন , ” মা ! এই ছেলেদেরকে একটু আগুন দাও তো ৷” আর উপস্থিত সকলকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ চারিদিক আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে গেল , এবং জ্যোতির্ময়ী বালিকার রূপ ধরে মূর্ত্তি থেকে মা স্বয়ং বেড়িয়ে এলেন আগুন হাতে করে! বালিকারুপিনী মা ঐ যোগীর হাতে আগুন দিয়েই আবার অন্তর্হিত হয়ে গেলেন! এই ঘটনাটা বহু মানুষের সামনে ঘটেছিল , – মন্দিরের ইতিহাসে এই ঘটনাটির Record-ও রয়েছে!
সেদিন গুরু মহারাজ ঘটনাটির উল্লেখ করেছিলেন, পরমভক্ত বা মহাসাধকদের সরল বিশ্বাসের যে কতটা জোর – তা বোঝাতে! উনি বললেন সরল বিশ্বাসের সাথে, ঈশ্বরের কাছে কোন কিছু যাচঞা করলে তিনি তা পূর্ণ করেন ৷ অধ্যাত্ম জগতের ইতিহাসে এই ধরণের বহু ঘটনাই ঘটেছে এবং সেগুলি একদম সত্য! তবে শর্ত একটাই _সরল হোতেই হবে!! [ক্রমশঃ]
একদিন এই যোগী সন্ধ্যার সময় মীনাক্ষী মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আরতি দেখছিলেন। প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য ৷ আর ছেলের দল ছদ্মবেশী যোগীকে উৎপাত করছে , খোঁচাখুচি করছে আর বলছে ” এই খ্যাপা ! একটু আগুন দে তো , ধূমপান করব !”
আসলে ব্যাপারটা হোত কি ঐ ছদ্মযোগীর মধ্যে নানান সিদ্ধাই ছিল, ফলে ছেলেরা যা চাইতো অনেক সময় তা পেয়েও যেতো! সেইজন্যই হয়তো ঐরকম উৎপাত করত। সে যাই হোক , আরতির সময়টা ঐ পাগল-যোগী, তন্ময় অবস্থায় থাকতেন আর জগৎ কল্যাণের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা কোরতেন। সেদিনও উনি ঐ একইভাবে ছিলেন। ছেলেরা ক্রমাগত বিরক্ত করছে দেখে _ঐ অবস্থায় যোগী বলে উঠলেন , ” মা ! এই ছেলেদেরকে একটু আগুন দাও তো ৷” আর উপস্থিত সকলকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ চারিদিক আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে গেল , এবং জ্যোতির্ময়ী বালিকার রূপ ধরে মূর্ত্তি থেকে মা স্বয়ং বেড়িয়ে এলেন আগুন হাতে করে! বালিকারুপিনী মা ঐ যোগীর হাতে আগুন দিয়েই আবার অন্তর্হিত হয়ে গেলেন! এই ঘটনাটা বহু মানুষের সামনে ঘটেছিল , – মন্দিরের ইতিহাসে এই ঘটনাটির Record-ও রয়েছে!
সেদিন গুরু মহারাজ ঘটনাটির উল্লেখ করেছিলেন, পরমভক্ত বা মহাসাধকদের সরল বিশ্বাসের যে কতটা জোর – তা বোঝাতে! উনি বললেন সরল বিশ্বাসের সাথে, ঈশ্বরের কাছে কোন কিছু যাচঞা করলে তিনি তা পূর্ণ করেন ৷ অধ্যাত্ম জগতের ইতিহাসে এই ধরণের বহু ঘটনাই ঘটেছে এবং সেগুলি একদম সত্য! তবে শর্ত একটাই _সরল হোতেই হবে!! [ক্রমশঃ]