একটিগ্রামে এক ধোবা ছিল – তার নাম ছিল গব্বর সিং, আর তার মালপত্র বওয়ার জন্য সে যে গাধাটি পুষেছিল, তারও তো একটা নামের দরকার – তাই সে নিজের নামের সাথে সামঞ্জস্য করে গাধার নাম রেখে দিল গদর সিং। ধোবার আদরের পোষ্য – নয়নের মনি ৷ দীর্ঘ দিন ধরে গাধাটি ধোবার সঙ্গী থাকায় ধোবা আর তার স্ত্রী গাধাটিকে নিজ-পুত্রের ন্যায় স্নেহ করত। গাধাটিও মালিক বা মালকিনের যাবতীয় ভার-বোঝা নিজের পিঠে বহন করে — তাদের সেবা করত। এইভাবেই চলছিল, কিন্তু বহুদিন এভাবে চলার পর গাধাটির বয়স বারার ফলে সেটি বৃদ্ধ হয়ে গেল – এখন আর সে কাজ করতে পারে না ৷ ধোবা কিন্তু তাকে বিক্রি না করে পালন পোষন করতে থাকল – যতদিন না অসুস্থ হয়ে গাধাটি মারা যায় ৷
অবশেষে একদিন গাধাটি মারাও গেল ৷ ধোবার স্ত্রী ধোবাকে বলল – “দ্যাখো , গদর সিং তো আমাদের ছেলের মতোই ছিল , সুতরাং ও যখন মারা-ই গেল__ তাহলে আমাদের ওর সৎকার করা প্রয়োজন । চলো – আমরা ওর মৃতদেহ গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে সৎকার করি এবং আর যা যা পালনীয় বা করণীয় তা করি ।”
যা ভাবা তাই কাজ ! গাধাটি রাত্রে মারা গিয়েছিল – তাই ভোর থাকতে থাকতেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ওরা ঠ্যালা-গাড়ী করে ঠেলে ঠেলে গাধার মৃতদেহ গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণ ডেকে মুখাগ্নি করে ওর অন্তিম সংস্কার সেরে ফেলল । তারপর ব্রাহ্মণ-এর বিধান মেনে নাপিত ডেকে মস্তক মুন্ডন করে গঙ্গাস্নান সেরে নিল ।
ওরা তাদের প্রিয় গাধা কে বিদায় দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে গঙ্গার ঘাট থেকে উঠে আসছে দেখে অতি সকালে স্নান করতে আসা দু-একজন প্রতিবেশী জিজ্ঞাসা করল – “কি হল গব্বর ! মাথা ন্যাড়া করলে কেন ? আর কাঁদছ-ই বা কেন ?” গব্বর ব্যথিত হৃদয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল – “গদর সিং গুজর গয়া !” – এই বলেই সে কি কান্না ! ওদের মধ্যে দু-একজন ভাবল গব্বর বড় বড় মানুষের কাপড় কাচে – নিয়মিত শহরে যায় , কে জানে – হয়ত গদর সিং কেউ বড় মাপের লোক হবে – তাই তারাও নাপিতের কাছে গিয়ে নিজেদের মাথা ন্যাড়া করে নিল । এই লোকগুলির মাথা ন্যাড়া করা দেখে প্রত্যহ গঙ্গাস্নান করতে আসা জনগণের কৌতুহল হ’ল , তারা জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল যে , “গদর সিং গুজর গয়া”৷ তারা ভাবল হয়তো সকাল সকাল বড় কোন ব্যক্তির প্রয়াণ ঘটেছে।_’ঐ মাথা ন্যাড়া করা ব্যক্তিরা সেটা জানতে পারলো _আর আমরা জানি না! ‘ _তাই লজ্জিত হয়ে ওরাও মস্তক মুন্ডন ঘটিয়ে ফেলল!
এরপর থেকে স্নানের ঘাটে যারাই আসতে থাকে তারাই শোনে যে – “গদর সিং গুজর গয়া”৷ তারা কেউই অজ্ঞ সাজতে চায় না – সবাই বিজ্ঞের মত বলে “আরে ! পহলে বুলানা চাইয়ে থা – The great গদর সিং ! আজ গুজর গয়া ? ক্যায়া দুখ্ কি বাত !!!” তারাও দলে দলে মাথা ন্যাড়া করে ফেলল ৷
সেই রাজ্যের নগরপাল প্রতিদিনকার মতো সেদিন সকালে চারিদিক পরিভ্রমণে বেড়িয়ে দ্যাখে _যে, গঙ্গাতীরবর্ত্তী অঞ্চলে অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেছে ৷ কারণ জানতে চেয়ে সে উত্তর পেল — “আরে আপ জানতা নেহি আজ মহামান্য গদর সিং গুজর গয়া !!” নগরপালের আর লজ্জায় সাহস হ’ল না জিজ্ঞাসা করার__ যে গদর সিং টি কে ?? সে ভেবে নিল –‘গদর সিং’ নিশ্চয়ই এই অঞ্চলের কেউ গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন – যার সম্বন্ধে তার আগেই জানা উচিৎ ছিল ৷ অতএব সে আর সময় নষ্ট না করে মাথাটা ন্যাড়া করে নিল – আর পাগড়ী খুলে রেখে সবাইকে বোঝাতে চাইল যে ‘গদর সিং’-কে সে পূর্ব হতেই জানত!
নগরপালের মাথা ন্যাড়া দেখে নগরের লোকজন অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করল , “মহাশয় কি এমন ঘটল যে অাপনি মাথা ন্যাড়া করলেন ?” গভীর প্রত্যয় নিয়ে নগরপাল সকলকে জানালো – “আরে ! জানতা নেহি ! মহান গদর সিংজী আজ গুজর গয়া !”
যেই না নগরপালের কাছে এসে ‘গাধা’ গদর সিং-জী হয়ে গেল __ আর দলে দলে নগরবাসী মাথা মুড়িয়ে শোক প্রকাশ করতে লাগল ৷ সেনাপতির কানে এই কথাটা পৌঁছাতে বিলম্ব হ’ল না ৷ সেনাবাহিনীর অনেকেই ইতিমধ্যে মাথা ন্যাড়া করেই ফেলেছে ! সে নগরপালের কাছে লোক পাঠাল আর সৈন্যদেরও জিজ্ঞাসা করল — ব্যাপারটা কি ? সবাই একই কথা শোনাল যে আজ সকালে মহামান্য মান্যবর গদর সিংজীর মৃত্যু ঘটেছে ! এ তো মৃত্যু নয়_এ যেন মহামৃত্যু !!!!
সেনাপতি কথাটা শোনার পর _সবার আগে পাগড়ী খুলে নাপিত ডেকে মাথাটা মুড়িয়ে নিল ( যেন জাতে উঠল !)! ন্যাড়া মাথা সবাইকে দেখাতে দেখাতে চলল রাজপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে ৷ প্রথমেই মহামন্ত্রীর সাথে দেখা –! মহামন্ত্রী ওর ন্যাড়া মাথা দেখে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করল – “একি সেনাপতি মহাশয় ! আপনার বাবা অথবা মা কি হঠাৎ মারা গেল ?” সেনাপতি প্রবীন বিজ্ঞের মত গম্ভীর মুখে , বেদনার্ত গলায় বলল – “শুনা নেহি , আজ মহামান্য গদর সিংজী গুজর গয়া !” এই বলে ভেউভেউ করে খানিকটা কেঁদেই ফেলল!
এই কথা শোনামাত্র মহামন্ত্রী আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি মাথাটা আগে মুড়িয়ে নিল ! বাকি মন্ত্রীরাও আর বাদ যায় কেন ? কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজসভার সদস্যদের সবার ন্যাড়া মাথা!!!!
এদিকে রাজদরবার শুরু হয়েছে ৷ সকল মন্ত্রী পরিষদ , মায় মহামন্ত্রী , অমাত্যবর্গ , পারিষদেরা সকলেই পাগড়ি খুলে ন্যাড়া মাথা রাজাকে দেখাতে ব্যস্ত – উদগ্রীব ৷ ঘোষক রাজার রাজসভায় আগমন বার্তা ঘোষনা করে দিল। যথারীতি , যথাসময়ে সুকুঞ্চিত দীর্ঘকেশ রাজন স্বর্ণমুকুটে বিভূষিত হয়ে পর্দা ঠেলে রাজসিংহাসনের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন ,– হঠাৎ তার নজর পড়ল সামনের দিকে ৷ একি ! সবার ন্যাড়া মাথা !! কেন ?? শুধু সামনের সারির লোকজনই নয় _তার পিছনের সারি, তারও পিছনে __ সবাই ন্যাড়া — শুধু ন্যাড়া আর ন্যাড়া! নিজের মাথায় হাত দিয়ে রাজা একবার দেখে নিল যে তাঁর চুল রয়েছে তো ! নাকি রাত্রে কোন ভয়ঙ্কর ঝড় এসে আর সবার মত তাঁর চুলও ঝরিয়ে নিয়ে চলে গেছে !! রাজা অনুভব করলেন তাঁর চুল রয়েছে ! কিন্তু বাকীদের নেই কেন ? হয়তো এই রাজ্যের কোন মহান ব্যক্তি মারা গিয়েছে – নাহলে মন্ত্রীপরিষদ , পার্ষদসমূহ , অমাত্যগণ – রাজ্যের প্রজাকুল এমনকি প্রধান সেনাপতি বা মহামন্ত্রী – তারাও ন্যাড়ামাথা হবে কেন ? [চলবে]
অবশেষে একদিন গাধাটি মারাও গেল ৷ ধোবার স্ত্রী ধোবাকে বলল – “দ্যাখো , গদর সিং তো আমাদের ছেলের মতোই ছিল , সুতরাং ও যখন মারা-ই গেল__ তাহলে আমাদের ওর সৎকার করা প্রয়োজন । চলো – আমরা ওর মৃতদেহ গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে সৎকার করি এবং আর যা যা পালনীয় বা করণীয় তা করি ।”
যা ভাবা তাই কাজ ! গাধাটি রাত্রে মারা গিয়েছিল – তাই ভোর থাকতে থাকতেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ওরা ঠ্যালা-গাড়ী করে ঠেলে ঠেলে গাধার মৃতদেহ গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণ ডেকে মুখাগ্নি করে ওর অন্তিম সংস্কার সেরে ফেলল । তারপর ব্রাহ্মণ-এর বিধান মেনে নাপিত ডেকে মস্তক মুন্ডন করে গঙ্গাস্নান সেরে নিল ।
ওরা তাদের প্রিয় গাধা কে বিদায় দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে গঙ্গার ঘাট থেকে উঠে আসছে দেখে অতি সকালে স্নান করতে আসা দু-একজন প্রতিবেশী জিজ্ঞাসা করল – “কি হল গব্বর ! মাথা ন্যাড়া করলে কেন ? আর কাঁদছ-ই বা কেন ?” গব্বর ব্যথিত হৃদয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল – “গদর সিং গুজর গয়া !” – এই বলেই সে কি কান্না ! ওদের মধ্যে দু-একজন ভাবল গব্বর বড় বড় মানুষের কাপড় কাচে – নিয়মিত শহরে যায় , কে জানে – হয়ত গদর সিং কেউ বড় মাপের লোক হবে – তাই তারাও নাপিতের কাছে গিয়ে নিজেদের মাথা ন্যাড়া করে নিল । এই লোকগুলির মাথা ন্যাড়া করা দেখে প্রত্যহ গঙ্গাস্নান করতে আসা জনগণের কৌতুহল হ’ল , তারা জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল যে , “গদর সিং গুজর গয়া”৷ তারা ভাবল হয়তো সকাল সকাল বড় কোন ব্যক্তির প্রয়াণ ঘটেছে।_’ঐ মাথা ন্যাড়া করা ব্যক্তিরা সেটা জানতে পারলো _আর আমরা জানি না! ‘ _তাই লজ্জিত হয়ে ওরাও মস্তক মুন্ডন ঘটিয়ে ফেলল!
এরপর থেকে স্নানের ঘাটে যারাই আসতে থাকে তারাই শোনে যে – “গদর সিং গুজর গয়া”৷ তারা কেউই অজ্ঞ সাজতে চায় না – সবাই বিজ্ঞের মত বলে “আরে ! পহলে বুলানা চাইয়ে থা – The great গদর সিং ! আজ গুজর গয়া ? ক্যায়া দুখ্ কি বাত !!!” তারাও দলে দলে মাথা ন্যাড়া করে ফেলল ৷
সেই রাজ্যের নগরপাল প্রতিদিনকার মতো সেদিন সকালে চারিদিক পরিভ্রমণে বেড়িয়ে দ্যাখে _যে, গঙ্গাতীরবর্ত্তী অঞ্চলে অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেছে ৷ কারণ জানতে চেয়ে সে উত্তর পেল — “আরে আপ জানতা নেহি আজ মহামান্য গদর সিং গুজর গয়া !!” নগরপালের আর লজ্জায় সাহস হ’ল না জিজ্ঞাসা করার__ যে গদর সিং টি কে ?? সে ভেবে নিল –‘গদর সিং’ নিশ্চয়ই এই অঞ্চলের কেউ গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন – যার সম্বন্ধে তার আগেই জানা উচিৎ ছিল ৷ অতএব সে আর সময় নষ্ট না করে মাথাটা ন্যাড়া করে নিল – আর পাগড়ী খুলে রেখে সবাইকে বোঝাতে চাইল যে ‘গদর সিং’-কে সে পূর্ব হতেই জানত!
নগরপালের মাথা ন্যাড়া দেখে নগরের লোকজন অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করল , “মহাশয় কি এমন ঘটল যে অাপনি মাথা ন্যাড়া করলেন ?” গভীর প্রত্যয় নিয়ে নগরপাল সকলকে জানালো – “আরে ! জানতা নেহি ! মহান গদর সিংজী আজ গুজর গয়া !”
যেই না নগরপালের কাছে এসে ‘গাধা’ গদর সিং-জী হয়ে গেল __ আর দলে দলে নগরবাসী মাথা মুড়িয়ে শোক প্রকাশ করতে লাগল ৷ সেনাপতির কানে এই কথাটা পৌঁছাতে বিলম্ব হ’ল না ৷ সেনাবাহিনীর অনেকেই ইতিমধ্যে মাথা ন্যাড়া করেই ফেলেছে ! সে নগরপালের কাছে লোক পাঠাল আর সৈন্যদেরও জিজ্ঞাসা করল — ব্যাপারটা কি ? সবাই একই কথা শোনাল যে আজ সকালে মহামান্য মান্যবর গদর সিংজীর মৃত্যু ঘটেছে ! এ তো মৃত্যু নয়_এ যেন মহামৃত্যু !!!!
সেনাপতি কথাটা শোনার পর _সবার আগে পাগড়ী খুলে নাপিত ডেকে মাথাটা মুড়িয়ে নিল ( যেন জাতে উঠল !)! ন্যাড়া মাথা সবাইকে দেখাতে দেখাতে চলল রাজপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে ৷ প্রথমেই মহামন্ত্রীর সাথে দেখা –! মহামন্ত্রী ওর ন্যাড়া মাথা দেখে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করল – “একি সেনাপতি মহাশয় ! আপনার বাবা অথবা মা কি হঠাৎ মারা গেল ?” সেনাপতি প্রবীন বিজ্ঞের মত গম্ভীর মুখে , বেদনার্ত গলায় বলল – “শুনা নেহি , আজ মহামান্য গদর সিংজী গুজর গয়া !” এই বলে ভেউভেউ করে খানিকটা কেঁদেই ফেলল!
এই কথা শোনামাত্র মহামন্ত্রী আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি মাথাটা আগে মুড়িয়ে নিল ! বাকি মন্ত্রীরাও আর বাদ যায় কেন ? কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজসভার সদস্যদের সবার ন্যাড়া মাথা!!!!
এদিকে রাজদরবার শুরু হয়েছে ৷ সকল মন্ত্রী পরিষদ , মায় মহামন্ত্রী , অমাত্যবর্গ , পারিষদেরা সকলেই পাগড়ি খুলে ন্যাড়া মাথা রাজাকে দেখাতে ব্যস্ত – উদগ্রীব ৷ ঘোষক রাজার রাজসভায় আগমন বার্তা ঘোষনা করে দিল। যথারীতি , যথাসময়ে সুকুঞ্চিত দীর্ঘকেশ রাজন স্বর্ণমুকুটে বিভূষিত হয়ে পর্দা ঠেলে রাজসিংহাসনের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন ,– হঠাৎ তার নজর পড়ল সামনের দিকে ৷ একি ! সবার ন্যাড়া মাথা !! কেন ?? শুধু সামনের সারির লোকজনই নয় _তার পিছনের সারি, তারও পিছনে __ সবাই ন্যাড়া — শুধু ন্যাড়া আর ন্যাড়া! নিজের মাথায় হাত দিয়ে রাজা একবার দেখে নিল যে তাঁর চুল রয়েছে তো ! নাকি রাত্রে কোন ভয়ঙ্কর ঝড় এসে আর সবার মত তাঁর চুলও ঝরিয়ে নিয়ে চলে গেছে !! রাজা অনুভব করলেন তাঁর চুল রয়েছে ! কিন্তু বাকীদের নেই কেন ? হয়তো এই রাজ্যের কোন মহান ব্যক্তি মারা গিয়েছে – নাহলে মন্ত্রীপরিষদ , পার্ষদসমূহ , অমাত্যগণ – রাজ্যের প্রজাকুল এমনকি প্রধান সেনাপতি বা মহামন্ত্রী – তারাও ন্যাড়ামাথা হবে কেন ? [চলবে]