গুরুমহারাজকে একবার চারিদিকে যে ভন্ড, ঠগি ‘বাবারা'(তান্ত্রিক, জ্যোতিষী, তাবিজ কবজ বাবা, ভন্ড সাধুবাবা) ক্রিয়াশীল হয়ে উঠেছে _সেই সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল! উনি বলেছিলেন – তা কিছু মানুষ করেকম্মে খাচ্ছে _তাদের পিছনে পড়ছিস কেন! বড় বড় নেতা মন্ত্রীরা হাজার হাজার লোক ঠকাচ্ছে, বড় বড় অফিসাররা সরকারকে চুষে খাচ্ছে _আর ও বেচারারা আর এমন বেশি কি করছে বল্ তো!!
তুই কি ঐ ধরনের ব্যবসা করবি_God Business? আমি কায়দা শিখিয়ে দিতে পারি__তুই যদি God Businessকরতে চাস তাহলে তোকে প্রথমেই একটু Smart হতে হবে , কথার জাদুকরী শিখতে হবে , আর অন্তত দুইজন চালাক-চতুর চেলা জোগাড় করতে হবে । তোর চেলারা প্রথমে যে কোন একটা এলাকাকে Select করে আগেই সেখানে চলে গিয়ে বিভিন্ন জনবহুল স্থানে তোর হয়ে প্রচার করবে _ তা সে লিফলেট বিলি করেই হোক বা মাইকিং করে! তারা এইভাবে প্রচার করবে – “আসছেন – আসছেন – আসছেন ! আপনাদের এই অঞ্চলে খুব শিগগিরী ‘মাদুলি বাবা’ আসছেন ! এ বাবা যে সে বাবা নয় – হিমালয়ে বহুবছর সাধনা করে সিদ্ধ এই ‘মাদুলি বাবা’ ! ‘বাবা’ অন্য কোন ব্যাপারে মাদুলি দেন না , শুধুমাত্র যে সমস্ত দম্পতির পুত্রসন্তান হচ্ছে না – তারা মাদুলি বাবার “মাদুলি” একবার গ্রহণ করলেই সাক্ষাৎ ফল পাবেন ! “মাদুলি” দেবার জন্য কোন টাকা-পয়সা লাগে না – বাবা মানব কল্যাণের ব্রত হিসাবে এই কাজ করছেন ! ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সত্ত্বর আমার সাথে অথবা এই ঠিকানায় যোগাযোগ করুন !”
এইভাবে হাটে-বাজারে বা যে কোন জনবহুল স্থানে কয়েক দিন প্রচার করার পর নিশ্চয় দু-চারজন যোগাযোগ করবেই ! আর তখনই একটা দিন fixed করে “মাদুলি বাবার” আগমন হবে _সেই এলাকায় ! স্থান – কোন গাছতলা বা রাস্তার ধারে অবস্থিত কোন মন্দির প্রাঙ্গন !
“বাবা”-র আগমনের পূর্বেই সেই নির্দিষ্ট স্থানে একটি ছোট কালীঠাকুরের মূর্তি বা ফটো , ফুল , বেলপাতা – ইত্যাদি যোগাড় করবে ৷ এইসব দেখে সেখানে অনেক লোকজনের ভিড় হয়ে যাবে । এদের মধ্যে অনেকে মাদুলি নেবার লোক , আবার অনেকেইএমনি কৌতুহলী জনতা ! তুই যদি মাদুলি বাবার Roll Play করিস তাহলে তোকে আগে থেকে কিছুদিন ঘি-দুধ খেয়ে শরীরটাকে একটু চর্বি-পুষ্ট করতে হবে ৷ পরনে লাল রঙের পোশাক থাকবে , কপালে সিঁদুরের বড় তিলক – হাতে লম্বা সিঁদুর মাখানো ত্রিশূল ! বাবার শরীর একটু থলথলে, পোশাক পরিচ্ছদের ঝকমকে বাহার – এসব না থাকলে সহজ-সরল সাধারণ মানুষের মনে ভক্তিভাব আসবে না এবং তোর ব্যবসা তেমন জমবে না! তাই লোক ঠকাতে হলে বাহ্যিক “ভরঙ-ভারঙের” খুবই প্রয়োজন হয়!
এইভাবে সেজেগুজে মাদুলি বাবা তার নির্দিষ্ট আসনে গিয়ে বসবেন । তোর চেলারা আগেই ভক্তদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে – তারা এইবার একে একে জোড়ায় জোড়ায় (দম্পতি) এসে বাবাকে(তোকে) প্রনাম করতে থাকবে – তাদের সবার হাতে একটি করে নতুন মাদুলি (বাবা নিজে মাদুলি সাপ্লাই করবে না) ! বাবা সেই দম্পতির প্রণাম গ্রহণ করে – তাদের দুঃখের কথা মনযোগ সহকারে শুনে শাস্ত্রীয় আর্শিবাচন পাঠ করবে ! তারপর তাদের হাত থেকে মাদুলিটি নিয়ে ফুল বেলপাতা দিয়ে মা কালীর পুজো করবে এবং দম্পতিকে বলবে – জোড়হাত করে মায়ের সামনে বসে মনে মনে পুত্র সন্তানের জন্য কামনা করো — প্রার্থনা করো ! বল – ” মা জগদম্বা ! প্রসন্ন হও মা – আমাদের কোলে আলো করে একটা পুত্রসন্তান দাও মা !” সেই দম্পতি যেমনি চোখ বন্ধ করে ভক্তি গদগদ চিত্তে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করবে , অমনি তুই তোর ঝোলা থেকে ‘আগে থেকে লিখে রাখা কাগজের ছোট ছোট টুকরোর’ মধ্যে যেকোনো ‘একটা’_ মাদুলির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ‘মোম’ বা ‘গালা’ ভরে খোলা মুখটা seal করে দিবি ৷
এবার ওই দম্পতির কপালে সিঁদুরের বড় বড় টিপ পরিয়ে দিয়ে বলবি – ” যাও মা ! এইবার এই মাদুলি তোমার বাম বাহুতে লাল কাড় ( শক্ত মোটা সুতো) এর সাথে বেঁধে পড়বে । শীঘ্রই তোমার মনোবাসনা পূর্ণ হবে মা !”
এখন কথা হচ্ছে ওই যে গুপ্ত কাগজের টুকরোটি মাদুলিতে ভরা হল – ওটাতে কি লেখা ছিল ?? …… [ক্রমশঃ]
তুই কি ঐ ধরনের ব্যবসা করবি_God Business? আমি কায়দা শিখিয়ে দিতে পারি__তুই যদি God Businessকরতে চাস তাহলে তোকে প্রথমেই একটু Smart হতে হবে , কথার জাদুকরী শিখতে হবে , আর অন্তত দুইজন চালাক-চতুর চেলা জোগাড় করতে হবে । তোর চেলারা প্রথমে যে কোন একটা এলাকাকে Select করে আগেই সেখানে চলে গিয়ে বিভিন্ন জনবহুল স্থানে তোর হয়ে প্রচার করবে _ তা সে লিফলেট বিলি করেই হোক বা মাইকিং করে! তারা এইভাবে প্রচার করবে – “আসছেন – আসছেন – আসছেন ! আপনাদের এই অঞ্চলে খুব শিগগিরী ‘মাদুলি বাবা’ আসছেন ! এ বাবা যে সে বাবা নয় – হিমালয়ে বহুবছর সাধনা করে সিদ্ধ এই ‘মাদুলি বাবা’ ! ‘বাবা’ অন্য কোন ব্যাপারে মাদুলি দেন না , শুধুমাত্র যে সমস্ত দম্পতির পুত্রসন্তান হচ্ছে না – তারা মাদুলি বাবার “মাদুলি” একবার গ্রহণ করলেই সাক্ষাৎ ফল পাবেন ! “মাদুলি” দেবার জন্য কোন টাকা-পয়সা লাগে না – বাবা মানব কল্যাণের ব্রত হিসাবে এই কাজ করছেন ! ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সত্ত্বর আমার সাথে অথবা এই ঠিকানায় যোগাযোগ করুন !”
এইভাবে হাটে-বাজারে বা যে কোন জনবহুল স্থানে কয়েক দিন প্রচার করার পর নিশ্চয় দু-চারজন যোগাযোগ করবেই ! আর তখনই একটা দিন fixed করে “মাদুলি বাবার” আগমন হবে _সেই এলাকায় ! স্থান – কোন গাছতলা বা রাস্তার ধারে অবস্থিত কোন মন্দির প্রাঙ্গন !
“বাবা”-র আগমনের পূর্বেই সেই নির্দিষ্ট স্থানে একটি ছোট কালীঠাকুরের মূর্তি বা ফটো , ফুল , বেলপাতা – ইত্যাদি যোগাড় করবে ৷ এইসব দেখে সেখানে অনেক লোকজনের ভিড় হয়ে যাবে । এদের মধ্যে অনেকে মাদুলি নেবার লোক , আবার অনেকেইএমনি কৌতুহলী জনতা ! তুই যদি মাদুলি বাবার Roll Play করিস তাহলে তোকে আগে থেকে কিছুদিন ঘি-দুধ খেয়ে শরীরটাকে একটু চর্বি-পুষ্ট করতে হবে ৷ পরনে লাল রঙের পোশাক থাকবে , কপালে সিঁদুরের বড় তিলক – হাতে লম্বা সিঁদুর মাখানো ত্রিশূল ! বাবার শরীর একটু থলথলে, পোশাক পরিচ্ছদের ঝকমকে বাহার – এসব না থাকলে সহজ-সরল সাধারণ মানুষের মনে ভক্তিভাব আসবে না এবং তোর ব্যবসা তেমন জমবে না! তাই লোক ঠকাতে হলে বাহ্যিক “ভরঙ-ভারঙের” খুবই প্রয়োজন হয়!
এইভাবে সেজেগুজে মাদুলি বাবা তার নির্দিষ্ট আসনে গিয়ে বসবেন । তোর চেলারা আগেই ভক্তদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে – তারা এইবার একে একে জোড়ায় জোড়ায় (দম্পতি) এসে বাবাকে(তোকে) প্রনাম করতে থাকবে – তাদের সবার হাতে একটি করে নতুন মাদুলি (বাবা নিজে মাদুলি সাপ্লাই করবে না) ! বাবা সেই দম্পতির প্রণাম গ্রহণ করে – তাদের দুঃখের কথা মনযোগ সহকারে শুনে শাস্ত্রীয় আর্শিবাচন পাঠ করবে ! তারপর তাদের হাত থেকে মাদুলিটি নিয়ে ফুল বেলপাতা দিয়ে মা কালীর পুজো করবে এবং দম্পতিকে বলবে – জোড়হাত করে মায়ের সামনে বসে মনে মনে পুত্র সন্তানের জন্য কামনা করো — প্রার্থনা করো ! বল – ” মা জগদম্বা ! প্রসন্ন হও মা – আমাদের কোলে আলো করে একটা পুত্রসন্তান দাও মা !” সেই দম্পতি যেমনি চোখ বন্ধ করে ভক্তি গদগদ চিত্তে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করবে , অমনি তুই তোর ঝোলা থেকে ‘আগে থেকে লিখে রাখা কাগজের ছোট ছোট টুকরোর’ মধ্যে যেকোনো ‘একটা’_ মাদুলির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ‘মোম’ বা ‘গালা’ ভরে খোলা মুখটা seal করে দিবি ৷
এবার ওই দম্পতির কপালে সিঁদুরের বড় বড় টিপ পরিয়ে দিয়ে বলবি – ” যাও মা ! এইবার এই মাদুলি তোমার বাম বাহুতে লাল কাড় ( শক্ত মোটা সুতো) এর সাথে বেঁধে পড়বে । শীঘ্রই তোমার মনোবাসনা পূর্ণ হবে মা !”
এখন কথা হচ্ছে ওই যে গুপ্ত কাগজের টুকরোটি মাদুলিতে ভরা হল – ওটাতে কি লেখা ছিল ?? …… [ক্রমশঃ]