গুরু মহারাজ :- In quest of self বা In quest of truth___ Western -রা ভারতে আসছে বা আসতে চাইছে। West -এর মানুষ তো Mainly__Bible আর Koran -কে ধর্মগ্রন্থ হিসাবে পায়, আর চার্চ বা মসজিদে যায় ধর্মীয় প্রার্থনায় যোগ দিতে এবং হয়তো পাদ্রী বা মোল্লাদের কাছে ধর্মচর্চা, ধর্মীয় জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা শোনে। এতে কিন্তু এখন আর ইউরোপ, আমেরিকার মানুষ সন্তুষ্ট হচ্ছে না। শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি — মানুষের মনকে অনেক উন্নত, স্বাধীন, মুক্ত চিন্তার অধিকারী করে তুলেছে । Church , Bible , Koran – ইত্যাদির মধ্যে-ই মানুষ আর নিজেকে সীমায়িত করে রাখতে চাইছে না ৷ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা এসেছে – সে নিজে স্বাধীন হতে চাইছে । অবশ্য এটা চাইবেই, কারণ এই চাওয়াটাই তো মানুষের সহজতা! দ্যাখো, যা মানুষকে স্বাধীন করে তোলে বা বলা ভালো প্রকৃত স্বাধীন করে তোলে — তাই তো Spirituality বা আধ্যাত্মিকতা! সুতরাং যে ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে নিয়ম ও নিষেধের নিগড়ে বাঁধে না, পরস্পরকে হিংসাশ্রয়ী করে তোলে না — প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হতে শেখায় — সেই শিক্ষাই আধ্যাত্মিকতা! ভারতবর্ষ এই মুক্ত চিন্তা বা বেদান্তের শিক্ষা বহুদিন আগে থেকেই নিজেরা গ্রহন করেছে এবং Western দেশগুলোয় পৌঁছে দিয়েছে! ইউরোপের নবজাগরনের যুগে ভারতীয় দর্শন ইউরোপীয় বনিকদের হাত ধরে ঐসব দেশে ঢুকে পড়েছিল। সুতরাং ওই দেশের যাবতীয় উৎকর্ষতার পিছনে ভারতেরই অবদান এটা জেনে রাখবে। বিশেষত: স্বামী বিবেকানন্দ এবং তাঁর পরবর্তী কিছু যোগগুরুর মাধ্যমে আধুনিক পাশ্চাত্য দেশগুলির সাধারণ মানুষ ও ভারতীয় দর্শনের সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছে ৷ তারা যত পরিচিত হচ্ছে ততই অবাক হচ্ছে! তাই আরও রহস্য জানার জন্য ছুটে আসছে ভারতবর্ষে!
ভারতবর্ষের গুরু পরম্পরার যে শিক্ষা বা সাধন-প্রণালী তা প্রথমটায় মনে হতে পারে যে, এটাও তো বন্ধন ৷ কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে সাধন-ভজন করা, নির্দিষ্ট মন্ত্র জপ করা – ইত্যাদিকেও বন্ধন বলে মনে হতে পারে ৷ কিন্তু কিছুদিন নিয়ম ও নিষ্ঠা সহকারে পদ্ধতিগুলি পালন করতে পারলেই সাধক পেতে পারবে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ! অষ্টাঙ্গিক যোগ-সাধনে পাতঞ্জল যম-নিয়ম-আসন-প্রাণায়াম ইত্যাদি আটপ্রকার ধাপের কথা বলেছেন — যেগুলি সাধনার ক্রম ৷ এই এক একটি ক্রম অতিক্রম করতে পারলেই শরীরের ও মনের নানান জট বা গিঁট অথবা গ্রন্থি খুলতে থাকে ৷ জটিলতা-কুটিলতা কেটে যায় এবং মানুষের জীবনে সহজতা নেমে আসে ৷
সুপ্রাচীন কাল থেকে গুরু পরম্পরায় এইসব সাধন পদ্ধতি মানুষকে দেওয়া হয়ে আসছে, আর প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার তত্ত্ব সকলকে শোনানোও হয়ে আসছে।
ঋষিরা “শৃণ্বন্তু বিশ্বে …” ইত্যাদি বলে যে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন — ভারতবর্ষের সেই আধ্যাত্মিক স্রোত আজও প্রবহমান এবং তা চিরন্তন, সুতরাং চলতেও থাকবে আবহমান কাল ধরে ৷ এই শিক্ষায় আপন-পর নাই, স্বদেশী-বিদেশী নাই, ধর্মীয় গোঁড়ামি-কুসংস্কার নাই — যারা অধিকারী তারা always welcome! স্বদেশী বলে অথবা হিন্দুধর্মালম্বী বলে যে তার বিশেষ অধিকার তা মোটেই নয় ৷ যে বা যিনি জীবনে এই শিক্ষাগ্রহণ বা সাধনপদ্ধতি অাচরণ করেন তিনি-ই অধিকারী , তিনি-ই প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা লাভ করে সহজ হন, সমস্ত রকম বন্ধন থেকে মুক্ত হন। ধর্মের বা আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত রহস্য তখন তাঁর কাছে উন্মোচিত হয়ে যায় । তখন তিনি বুঝতে পারেন সারা পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে যে উন্মাদনা – যে হিংসার বাতাবরণ – তা কতটা মূর্খামি !
কেউ ভাবে না ‘ঈশ্বর কি চাইছে’ – প্রত্যেকেই তার নিজের ভাবনাটাকেই সবার মধ্যে জোর করে ঢোকাতে চাইছে অথবা অপরকে হেয় করে নিজের প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছে! তাইতো এত দ্বন্দ্ব বা হানাহানি! সকলেই যদি সহজ সত্যকে সরলভাবে অন্তরে গ্রহণ করতে পারতো – তাহলে এত অসহিষ্ণুতার কি সৃষ্টি হতো! সহজিয়া সাধক কত সুন্দরভাবে বলতে পারল – “আমি মরছি ঘুরে সেই শহরের সহজ-ঠিকানা , যেথা আল্লা-হরি-রাম-কালী-গড এক থালাতে খায় খানা”৷৷ কিন্তু ধর্মান্ধ, গোঁড়ারা পারল না!
প্রাশ্চাত্ত্যের মানুষের ভারতবর্ষমুখী হবার কারণ তাদের অনেকেই এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছে ৷ শান্তির সন্ধানে, পূর্ণতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই ছুটে আসছে এখানে। সেমেটিক চিন্তা থেকে উৎপন্ন ধর্মমতগুলি (খ্রীষ্টান , ইসলাম …ইত্যাদি) -তে যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তাতে “মানো”, “মানো” আর “মানো” ৷ “কেন মানবো” – এই ধরণের কোন কারণ জানতে চেয়ো না — ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে, অতএব “মানো”, ধর্মগুরু বলেছেন, অতএব মানো। আজকাল কিন্তু প্রাশ্চাত্ত্যের শিক্ষিতমহল এটা মানতে চাইছে না! ধর্মীয় মৌলবাদ দিয়ে উন্নতমনস্ক মানুষদের আর আটকানো যাচ্ছে না! সেমেটিক ধর্মযাজক বা ধর্মগুরুরা এতদিন কি বলে এসেছে — এ খ্রীষ্টান আর ও খ্রীষ্টান নয়, অতএব হয় ওকে Baptise করো অথবা মারো ৷ কেউ বলেছে — এ ইসলাম আর ও ইসলাম নয়, অতএব ও কাফের — তাহলে হয় ওকে ধর্মান্তরিত করো নয় মারো ৷ Communist দেরও সৃষ্টি ঐ প্রাশ্চাত্তে — সেমেটিক চিন্তার ফসল! ফলে ওরাও মৌলবাদী দল । ওরাও ঐ একই কথা বলে — আমরা Communist আর ওরা Communist নয় — অতএব হয় ওদের Communist করো নয় ওদের মারো ।৷
নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যদি বিচার করো তাহলে দেখবে যে – এই পৃথিবীতে কেউ ধর্মীয় অনুশাসন দিয়ে নিজেদের অধিকার কায়েম করতে চাইছে — কেউ রাজনৈতিকভাবে তা চাইছে । মানসিকতার কোন পরিবর্ত্তন নাই, সবক্ষেত্রেই তা একই ৷ এইসব দেখে পশ্চিমী দুনিয়ার শিক্ষিত মানুষেরা হতাশাগ্রস্থ ৷ ধর্মীয় মৌলবাদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য তারা রাজনৈতিক মৌলবাদ বা Communism -কে গ্রহণ করেছিল, কিন্তু তারও যখন অন্ত:সারশূন্য, নগ্ন রূপ বেড়িয়ে পড়ল__তখন প্রাশ্চাত্তে Communism তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল! এখন কি করে ! সমাজ ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে ওখানকার চিন্তাবিদ্ ও শিক্ষিত সমাজ খুবই দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ ৷ এছাড়াও ব্যক্তিজীবনে প্রাশ্চাত্ত্যের মানুষেরা বেশীরভাগই চরম অসুখী ৷ টাকা-পয়সা , বৈভব , বিলাস-ব্যাসন, অন্ন-বস্ত্রের প্রাচুর্য্য -এ সবই রয়েছে কিন্তু ব্যক্তিজীবনে শান্তি নেই । একাকীত্ব বা Loanliness -এ ভুগছে বেশীরভাগ মানুষ! এ এক যন্ত্রণা — এটা জীবনযন্ত্রণা! সমাজজীবনে থেকে হাজার মানুষের মধ্যে বাস করে-ও ‘একাকীত্ব’ যে কি যন্ত্রণার — তা যে ঐ অবস্থায় রয়েছে সে ছাড়া আর কে বুঝবে ! প্রাশ্চাত্তে বেশীরভাগ মানুষের জীবনে পরিবার নেই । মা, বাবা, স্ত্রী, পুত্র-কন্যা নিয়ে যে পরিবার — এই Concept -টাই উঠে গেছে ৷ কিছু কিছু orthodox family এখনও এই ধারাটা ধরে রেখেছে, বাকীদের মধ্যে শুধু একাকীত্ব! নারীও একা, পুরুষ-ও একা ৷ শুধু জৈবিক চাহিদায় get together বা Live together করছে! সন্তান-সন্ততি নারীর শখে হয়! অর্থাৎ মা হবার ইচ্ছা জাগল — তাই সন্তান , বাবা – who ever may be ! এবার ভাবো — যে জীবনে প্রেম-ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধা-করুণা-স্নেহ নেই — সে জীবন তো মরুভূমি! যতদিন যৌবন থাকে ততদিন disco, dance, wine, outing, casino — তারপর নি:সঙ্গতা, ভয়াবহ একাকীত্ব !!
এইসব ক্ষেত্রে একমাত্র আলোর দিশারী , আশার আলো — ভারতবর্ষ! ওরা সব দর্শন ঘেঁটে দেখেছে যে একমাত্র ভারতীয় দর্শন সমূহে যা আছে , জীবনে যোজনা করলে তা কখনও failure হয় নি ৷ Modern Science -এর উন্নতি ভারতীয় দর্শনকেই সিদ্ধ করছে, গৌরবান্বিত করছে ৷ আর আধুনিক জড়বিজ্ঞান যত বেশী উন্নত হচ্ছে — প্রাশ্চাত্ত্যবাসীর ভারতের প্রতি Interest তত বেশী বাড়ছে ৷
ওরা ভারতের ইতিহাস Study করে দেখছে যে এই দেশটা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশীদের দ্বারা পদানত হয়ে থাকল, অর্থনৈতিকভাবে চরমতম দুর্বল জায়গায় চলে গেল, জনসংখ্যার ভারে নুইয়ে পড়ল , অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা বলপূর্বক ধর্মান্তরণ হল — এসব সত্ত্বেও স্বধর্ম ত্যাগ করল না (কেউ কেউ করল কিন্তু বেশীরভাগই নয়) , প্রাচীন ঋষিকুলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হ’ল না, এত ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও নিজেদেরকে ঠিকই ধরে রেখেছে , জাতিটার আদর্শচ্যুতি ঘটেনি । ভারতীয় নারীদের কে দেখেও ওরা অবাক হয়েছে! একটি পুরুষকে বিবাহ করে সারাজীবন শতদু:খকে বরণ করে হাসিমুখে কি করে একজন নারী সারাজীবন কাটিয়ে দেয় ! আধুনিক বিশ্বের প্রলোভনকে অগ্রাহ্য করে ভারতীয় নারী এখনও পতিব্রতা ধর্ম পালন করছে — এটাও আধুনিক প্রাশ্চাত্ত্য দেশসমূহের কাছে বিস্ময় ! সীতা , বেহুলা , সাবিত্রীর উদাহরণ যেভাবে এখানকার নারীদের মনে গেঁথে রয়েছে — সেটা ওরা দেখেছে । ওরাও বুঝেছে ভারতীয় প্রাচীন শিক্ষা ও সংস্কৃতিই এই জাতিটার মেরুদন্ড ৷ ওরা দেখেছে ভারতীয়রাই বুদ্ধের প্রজ্ঞা , প্রেম , করুণা নিয়ে বিশ্বজয়ে বেরোল , অস্ত্র নিয়ে নয় — আদর্শ নিয়ে! বাকী বিশ্বের মানুষ তো রাজ্যজয় করেছে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে, অকারণ রক্তপাতের পরিণতিতে! অথচ দ্যাখো, ভারতবর্ষের দেশজয়ের পদ্ধতি — বৌদ্ধরা ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে বিশ্বজয় করল, স্বামী বিবেকানন্দ করলেন গেরুয়া, যোগ এবং বেদান্ত নিয়ে , আর বৈষ্ণবরা করল হাতে খঞ্জনী নিয়ে!
প্রাশ্চাত্ত্যের শিক্ষিতদের চোখে এই ঘটনাগুলি তুচ্ছ নয় – ওখানকার বিরাট বিরাট মণীষীরাও এই নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভেবেছে , আজও ভাবছে বা গবেষণা করছে! “ব্যাপারটা কি” – তা জানতে প্রাশ্চাত্ত্যের বিভিন্ন University -তে Indology Section রয়েছে এবং সেখানে নিরন্তর গবেষণা হয়ে চলেছে ৷ ইউরোপ , আমেরিকার উন্নত দেশগুলির প্রায় সব দেশ-ই এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে ৷ ওরা দেখেছে ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতা বা Spirituality -ই মানুষকে প্রকৃত স্বাধীনতা দেয়! সমস্ত রকম বন্ধন থেকে মুক্তির স্বাদ এনে দেয় জীবনে! এইজন্যই তো ওখানকার মানুষ সুফী হচ্ছে , হিপি হচ্ছে , বাউলের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে বা অনেকে বাউল হয়ে যাচ্ছে!
তবে মজাটা হোল এই যে, ভারতবর্ষের বহু মানুষ আবার প্রাশ্চাত্ত্যের নকল করতে চাইছে — ওখানকার Technological উন্নতি বা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি-তে আকর্ষিত হচ্ছে ৷ বহু শিক্ষিত ব্যক্তি Western Philosophy থেকে সৃষ্ট Communism -নিয়ে মাখা ঘামিয়ে নিজেদের-কে Intellectual প্রতিপন্ন করতে চাইছে ৷ এটাই জগৎ!!
এই জগতে এই ভাবেই হয়ে চলে মহামায়ার বিচিত্র লীলা! তবে ভারতীয় যোগ-বিজ্ঞান তো Practical! আসন-প্রাণায়াম গুরুর নির্দেশে ঠিক ঠিক নিয়মিত অভ্যাস করলে অল্প সময়েই__ ফল! এইজন্য ভারতীয় যোগ এখন পাশ্চাত্ত্যে খুবই জনপ্রিয় ৷ আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রচুর যোগ সেন্টার দেখেছি ৷ শুধু ভারতীয়-ই নয় চীন , জাপান ইত্যাদি দেশের বেশ কিছু মানুষ তাদের যোগ সেন্টারগুলি চালিয়ে ভালো রোজগারও করছে ৷
এখন দ্যাখো — সেই অর্থে ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণকারী যে কোন মানুষকে ভাগ্যবান বলতে হয় কারণ তারা চাইলে অন্তত: স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে ৷ সেই ধরণের কোন ধর্মীয় গোঁড়ামি বা বাধ্যবাধকতা তাদের নেই ৷ আন্তরিকভাবে চাইলে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সেই ঘরানার গুরুলাভও এখানে সম্ভব ৷ এইভাবে ভারতবর্ষে সমাজের একেবারে নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত সাধকদের পাবে, যাদের ত্যাগ_তিতিক্ষা পূর্ণ সাধন-জীবন___ইতিহাস হয়ে আছে! যাদের উপদেশাবলী বা সাধন-পদ্ধতি দীর্ঘকাল ধরে সেই সমাজের মানুষ অনুসরণ করে আসছে এবং ফলও পাচ্ছে ৷ বিভিন্ন বাউল-মেলা বা গ্রামীন বড় মেলায় গেলে এরকম তুমি সমাজের অনেক নীচু স্তরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যেও(আউল, বাউল, দরবেশ, কর্তাভজা ইত্যাদি) জ্ঞানী বা যোগীগুরুর সন্ধান পাবে ৷ এইজন্যই ভারতবর্ষকে বলা হচ্ছে আধ্যাত্মিকতার দেশ ৷ The land of spirituality!