[ন’কাকা শ্রীরামপুর, হুগলি – তে যখন বিভিন্ন ভক্তদের বাড়ি যেতেন, তখনকার কথা হচ্ছিল…]
এইভাবে ন’কাকা অন্ততঃ ১৫ বছর ধরে বছরে একবার , দু-বার এমনকি তিনবারও শ্রীরামপুরে গেছেন এবং ওখানকার বিভিন্ন ভক্তদের বাড়ীতেও গেছেন । মাষ্টারমশাই (সুদর্শন বাবু)-এর বাড়ী গেলে – উনি ন’কাকার সাথে আলাপ করানোর জন্য , ওনার আত্মীয়-স্বজন বা বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসতেন । মাষ্টারমশাই যেমন আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করতেন যে ন’কাকা একজন উন্নত মহাপুরুষ – উনি সেই বিশ্বাস তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন । এরপর ধীরে ধীরে মাষ্টারমশাই বয়সের ভারে এবং ওনার একমাত্র পুত্রসন্তানের কর্মহীনতার (রোজগার না থাকা) জন্য দ্রুত অসুস্থ ও কমজোরী হয়ে পড়লেন , ওনার মনটাও ভেঙে যেতে থাকলো ! তাই শেষের দিকটায় (২০১৭/১৮) উনি আর ন’কাকাকে বাড়ীতে নিয়ে যেতে সাহস করতেন না ! কারণ ন’কাকা যাওয়া মানেই অন্ততঃ ২৫/৩o জন লোক ওনার বাড়ী যেতো ! ওনার স্ত্রীবিয়োগ হয়েছিল অনেকদিন , অতিবৃদ্ধা শীর্ণকায়া নারী (ওনার দিদি) কম্পিত হস্তে সবার জন্য চা করতেন । কিন্তু বর্তমানে তা-ও পারছিলেন না ! একবার (২০১৭/১৮) ন’কাকা শ্রীরামপুরে গেছেন – অথচ মাষ্টারমশাই-এর সাথে দেখা করবেন না তা কি হয় ? ন’কাকা শ্রীরামপুরে গৗেতম ভড়ের বাড়ীতে থাকাকালীন সময়ে ন’কাকা আমাকে বললেন – ” একবার মাষ্টারমশাইকে ফোন কর তো ! মাষ্টারমশাই-এর সময় বুঝে একবার দেখা করে আসবো ! মাষ্টারমশাই-কে বলবে বেশী লোকজন সঙ্গে যাবে না – শুধুমাত্র আমাদের দুজনকে গৌতম মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যাবে ৷” মাষ্টারমশাইকে তাই বলা হ’ল , ন’কাকা নিজে গিয়ে দেখা করে এলেন ভক্তবর মাষ্টারমশাইকে ! ফেরার পথে বললেন – ” মাষ্টারমশাই-এর মনটা ভেঙে গেছে ৷ সন্তানের জন্য ভীষণ চিন্তা করেন ! বয়স হয়ে গেল (পুত্রের তখন ৪০/৪২ বছর বয়স) অথচ ছেলের কোন রোজগার নাই , – তাই চিন্তা !” উনি মারা গেলে ছেলেটির কি হবে !” এরপর থেকে মাষ্টারমশাই-এর সাথে ন’কাকার যোগাযোগ ছিল শুধু ফোনে ! স্থূলে যোগাযোগ আর হয়নি l
শ্রীরামপুরে মাষ্টারমশাই (সুদর্শন বাবু) ন’কাকার সঙ্গসুধা বা সান্নিধ্য থেকে সরে এলেও তিনি তাঁর ছাত্র বা followers-দের জুড়ে দিয়ে গেলেন ন’কাকার সাথে ! এদের মধ্যে হাওড়ার দেবকুমার , ভূতনাথ (…….) , স্বরূপ (উকিলবাবু) প্রমুখরা ন’কাকাকেই তাদের জীবনের ধ্রুবতারা হিসাবে মেনে নিয়েছিল ৷
শ্রীরামপুর-এর আর একজন ভক্তের কথা না বললে প্রসঙ্গটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! ঐ ভক্তের নাম ছিল ডঃ ভোলানাথ ঘোষ। উনি শ্রীরামপুরের খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিলেন। ষ্টেশন থেকে গঙ্গার ঘাট যাবার main রাস্তার উপরে ওনার চেম্বার ছিল। কতবার যে উনি ন’কাকা কে নিয়ে গিয়ে ওনার চেম্বারে বসিয়েছেন!! নিজের গদি চেয়ারটা ন’কাকা কে ছেড়ে দিয়ে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন! ওনার বাড়িতেও আমরা কয়েকবারই গেছি। ন’কাকা গেলে ডাক্তারবাবু এবং ওনার ভক্তিমান ছেলে (যে পরে ন’কাকার কাছে দীক্ষা নিয়েছিল) কুন্তল _ন’কাকা কে নিয়ে ‘কি করবে’ _’কোথায় বসাবে’_’ কিভাবে আরও যত্ন করবে’__তা বুঝতেই পারতো না!
ডঃ ঘোষের রাজপুরুষের মতো চেহারা ছিল! উনি যোগী শ্যামাচরন লাহিড়ী পরম্পরার দীক্ষিত ছিলেন। শ্রীরামপুরের সাথে যোগী শ্যামাচরন লাহিড়ী পরম্পরার যথেষ্টই যোগ রয়েছে। লাহিড়ীমশাই-এর শিষ্য যুক্তেশ্বর গিরিজী শ্রীরামপুরেই থাকতেন। এখানেই তাঁর সাধন-ভজন এবং সিদ্ধিলাভ! প্রকৃতপক্ষে গঙ্গাতীরবর্তী এই প্রাচীন শহরটিতে বিভিন্ন পরম্পরার বহু মনিষী জন্মগ্রহণ করেছিলেন অথবা সাধন-ভজন করে উন্নত হয়েছিলেন। সেই অর্থে শ্রীরামপুর কিন্তু পুন্যভূমি! আমার মনে আছে _গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ যখন শ্রীরামপুরে অসীমদার বাড়িতে রাত্রে ছিলেন, তখন তৃষান মহারাজ রাতের বেলায় অন্যত্র চলে যাবার আগে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেলেন যে সকালে গুরুমহারাজের ঘরের (যে ঘরে উনি শুয়েছিলেন) দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে যেন ওনার বিছানা তুলে ফিটফাট করে দেওয়া হয় এবং ওনার স্নানের জল, দাঁত মাজার সরঞ্জাম ready রাখা হয়! সেইমতো আমি প্রায় ভোর থেকে গুরুমহারাজের ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে বসে সময় অতিবাহিত করছিলাম, কখন উনি দরজা খোলেন!! সময় চলে যায় _দরজা আর উনি খোলেন না! এই করতে করতে বেশ বেলা হয়ে গেল বলা চলে!! হটাৎ উনি দরজা খুলে দিলেন! পড়ি কি মড়ি করে দৌড়ে ওনার ঘরে ঢুকে নতুন মাজন-টুথপেষ্ট টা হাতে দিয়ে, ওনার মশারী খুলে পাট করতে করতে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম _”গুরুমহারাজ! এতটা দেরি হোল!!”
উনি বলেছিলেন _” উঠেছি তো অনেকক্ষণ! কিন্তু অনেকে দেখা করতে এসেছিল! ওরা আমাকে দরজা খুলতে নিষেধ করছিল, বলছিল_’আমাদের কাছে আর একটু থাকো!’ ওরাই আমাকে খবর দিচ্ছিল যে এদের তো একটা বাথরুম _এইমাত্র একটা মেয়ে ঢুকল বাথরুমে! ওর তো দেরি হবে _ততক্ষণ থাকো!”
সেইসময় আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম _” গুরুমহারাজ! যারা এসেছিল _তারা কি উন্নত আধার না স্পিরিট?”
উনি মৃদু হেসে হাতের ইঙ্গিতে বলেছিলেন _” higher!!”
ওনার ভাব দেখে আমার মনে হয়েছিল বোধহয় স্থানীয় দেব-দেবীরা বা উন্নত মহাপুরুষেররা হয়তো হবেন!
সেজন্যই বলছিলাম শ্রীরামপুরকে কেন্দ্র করে অনেক উন্নত মানুষের ক্রিয়াশীলতা রয়েছে!
যাইহোক, আজকের আলোচনার প্রসঙ্গে ফিরে আসি__! বই এ পড়েছিলাম যে লাহিড়ী মশাই খুব রাজকীয় ভাবে সেজেগুজে থাকতে ভালবাসতেন! ডঃ ঘোষ কে দেখে তার অনেকটাই আমরা বুঝতে পারতাম! কি সুন্দর সাজপোষাক ছিল ওনার! চওড়া পাড়ের দামী ধুতি, কাজ করা দামী পান্জাবী, হাতে দামী দামী পাথর বসানো একাধিক আংটি _তাঁর ঐ রাজপুরুষের মতো চেহারায় কি যে মানানসই হোত, তা আর কি বলব! ঐ হেন বহুদর্শী মানুষটি ন’কাকার মধ্যে যে কি দেখেছিলেন তা উনিই ভালো জানতেন! ডদ্রলোক সুস্থ শরীর থাকতে থাকতেই হটাৎ করে মারা গেলেন। কিন্তু আমার মনে আছে শেষ বারে উনি ন’কাকার পা ধরে বিদায় প্রার্থনা করেছিলেন! ঠিক এমনটাই বোলপুরে দেখেছিলাম প্রদীপ দত্তের বাবা বিশুমামার ক্ষেত্রে!! বোলপুরের প্রসঙ্গ পরের দিন থেকে। (ক্রমশঃ)
এইভাবে ন’কাকা অন্ততঃ ১৫ বছর ধরে বছরে একবার , দু-বার এমনকি তিনবারও শ্রীরামপুরে গেছেন এবং ওখানকার বিভিন্ন ভক্তদের বাড়ীতেও গেছেন । মাষ্টারমশাই (সুদর্শন বাবু)-এর বাড়ী গেলে – উনি ন’কাকার সাথে আলাপ করানোর জন্য , ওনার আত্মীয়-স্বজন বা বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসতেন । মাষ্টারমশাই যেমন আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করতেন যে ন’কাকা একজন উন্নত মহাপুরুষ – উনি সেই বিশ্বাস তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন । এরপর ধীরে ধীরে মাষ্টারমশাই বয়সের ভারে এবং ওনার একমাত্র পুত্রসন্তানের কর্মহীনতার (রোজগার না থাকা) জন্য দ্রুত অসুস্থ ও কমজোরী হয়ে পড়লেন , ওনার মনটাও ভেঙে যেতে থাকলো ! তাই শেষের দিকটায় (২০১৭/১৮) উনি আর ন’কাকাকে বাড়ীতে নিয়ে যেতে সাহস করতেন না ! কারণ ন’কাকা যাওয়া মানেই অন্ততঃ ২৫/৩o জন লোক ওনার বাড়ী যেতো ! ওনার স্ত্রীবিয়োগ হয়েছিল অনেকদিন , অতিবৃদ্ধা শীর্ণকায়া নারী (ওনার দিদি) কম্পিত হস্তে সবার জন্য চা করতেন । কিন্তু বর্তমানে তা-ও পারছিলেন না ! একবার (২০১৭/১৮) ন’কাকা শ্রীরামপুরে গেছেন – অথচ মাষ্টারমশাই-এর সাথে দেখা করবেন না তা কি হয় ? ন’কাকা শ্রীরামপুরে গৗেতম ভড়ের বাড়ীতে থাকাকালীন সময়ে ন’কাকা আমাকে বললেন – ” একবার মাষ্টারমশাইকে ফোন কর তো ! মাষ্টারমশাই-এর সময় বুঝে একবার দেখা করে আসবো ! মাষ্টারমশাই-কে বলবে বেশী লোকজন সঙ্গে যাবে না – শুধুমাত্র আমাদের দুজনকে গৌতম মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যাবে ৷” মাষ্টারমশাইকে তাই বলা হ’ল , ন’কাকা নিজে গিয়ে দেখা করে এলেন ভক্তবর মাষ্টারমশাইকে ! ফেরার পথে বললেন – ” মাষ্টারমশাই-এর মনটা ভেঙে গেছে ৷ সন্তানের জন্য ভীষণ চিন্তা করেন ! বয়স হয়ে গেল (পুত্রের তখন ৪০/৪২ বছর বয়স) অথচ ছেলের কোন রোজগার নাই , – তাই চিন্তা !” উনি মারা গেলে ছেলেটির কি হবে !” এরপর থেকে মাষ্টারমশাই-এর সাথে ন’কাকার যোগাযোগ ছিল শুধু ফোনে ! স্থূলে যোগাযোগ আর হয়নি l
শ্রীরামপুরে মাষ্টারমশাই (সুদর্শন বাবু) ন’কাকার সঙ্গসুধা বা সান্নিধ্য থেকে সরে এলেও তিনি তাঁর ছাত্র বা followers-দের জুড়ে দিয়ে গেলেন ন’কাকার সাথে ! এদের মধ্যে হাওড়ার দেবকুমার , ভূতনাথ (…….) , স্বরূপ (উকিলবাবু) প্রমুখরা ন’কাকাকেই তাদের জীবনের ধ্রুবতারা হিসাবে মেনে নিয়েছিল ৷
শ্রীরামপুর-এর আর একজন ভক্তের কথা না বললে প্রসঙ্গটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! ঐ ভক্তের নাম ছিল ডঃ ভোলানাথ ঘোষ। উনি শ্রীরামপুরের খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিলেন। ষ্টেশন থেকে গঙ্গার ঘাট যাবার main রাস্তার উপরে ওনার চেম্বার ছিল। কতবার যে উনি ন’কাকা কে নিয়ে গিয়ে ওনার চেম্বারে বসিয়েছেন!! নিজের গদি চেয়ারটা ন’কাকা কে ছেড়ে দিয়ে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন! ওনার বাড়িতেও আমরা কয়েকবারই গেছি। ন’কাকা গেলে ডাক্তারবাবু এবং ওনার ভক্তিমান ছেলে (যে পরে ন’কাকার কাছে দীক্ষা নিয়েছিল) কুন্তল _ন’কাকা কে নিয়ে ‘কি করবে’ _’কোথায় বসাবে’_’ কিভাবে আরও যত্ন করবে’__তা বুঝতেই পারতো না!
ডঃ ঘোষের রাজপুরুষের মতো চেহারা ছিল! উনি যোগী শ্যামাচরন লাহিড়ী পরম্পরার দীক্ষিত ছিলেন। শ্রীরামপুরের সাথে যোগী শ্যামাচরন লাহিড়ী পরম্পরার যথেষ্টই যোগ রয়েছে। লাহিড়ীমশাই-এর শিষ্য যুক্তেশ্বর গিরিজী শ্রীরামপুরেই থাকতেন। এখানেই তাঁর সাধন-ভজন এবং সিদ্ধিলাভ! প্রকৃতপক্ষে গঙ্গাতীরবর্তী এই প্রাচীন শহরটিতে বিভিন্ন পরম্পরার বহু মনিষী জন্মগ্রহণ করেছিলেন অথবা সাধন-ভজন করে উন্নত হয়েছিলেন। সেই অর্থে শ্রীরামপুর কিন্তু পুন্যভূমি! আমার মনে আছে _গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ যখন শ্রীরামপুরে অসীমদার বাড়িতে রাত্রে ছিলেন, তখন তৃষান মহারাজ রাতের বেলায় অন্যত্র চলে যাবার আগে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেলেন যে সকালে গুরুমহারাজের ঘরের (যে ঘরে উনি শুয়েছিলেন) দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে যেন ওনার বিছানা তুলে ফিটফাট করে দেওয়া হয় এবং ওনার স্নানের জল, দাঁত মাজার সরঞ্জাম ready রাখা হয়! সেইমতো আমি প্রায় ভোর থেকে গুরুমহারাজের ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে বসে সময় অতিবাহিত করছিলাম, কখন উনি দরজা খোলেন!! সময় চলে যায় _দরজা আর উনি খোলেন না! এই করতে করতে বেশ বেলা হয়ে গেল বলা চলে!! হটাৎ উনি দরজা খুলে দিলেন! পড়ি কি মড়ি করে দৌড়ে ওনার ঘরে ঢুকে নতুন মাজন-টুথপেষ্ট টা হাতে দিয়ে, ওনার মশারী খুলে পাট করতে করতে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম _”গুরুমহারাজ! এতটা দেরি হোল!!”
উনি বলেছিলেন _” উঠেছি তো অনেকক্ষণ! কিন্তু অনেকে দেখা করতে এসেছিল! ওরা আমাকে দরজা খুলতে নিষেধ করছিল, বলছিল_’আমাদের কাছে আর একটু থাকো!’ ওরাই আমাকে খবর দিচ্ছিল যে এদের তো একটা বাথরুম _এইমাত্র একটা মেয়ে ঢুকল বাথরুমে! ওর তো দেরি হবে _ততক্ষণ থাকো!”
সেইসময় আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম _” গুরুমহারাজ! যারা এসেছিল _তারা কি উন্নত আধার না স্পিরিট?”
উনি মৃদু হেসে হাতের ইঙ্গিতে বলেছিলেন _” higher!!”
ওনার ভাব দেখে আমার মনে হয়েছিল বোধহয় স্থানীয় দেব-দেবীরা বা উন্নত মহাপুরুষেররা হয়তো হবেন!
সেজন্যই বলছিলাম শ্রীরামপুরকে কেন্দ্র করে অনেক উন্নত মানুষের ক্রিয়াশীলতা রয়েছে!
যাইহোক, আজকের আলোচনার প্রসঙ্গে ফিরে আসি__! বই এ পড়েছিলাম যে লাহিড়ী মশাই খুব রাজকীয় ভাবে সেজেগুজে থাকতে ভালবাসতেন! ডঃ ঘোষ কে দেখে তার অনেকটাই আমরা বুঝতে পারতাম! কি সুন্দর সাজপোষাক ছিল ওনার! চওড়া পাড়ের দামী ধুতি, কাজ করা দামী পান্জাবী, হাতে দামী দামী পাথর বসানো একাধিক আংটি _তাঁর ঐ রাজপুরুষের মতো চেহারায় কি যে মানানসই হোত, তা আর কি বলব! ঐ হেন বহুদর্শী মানুষটি ন’কাকার মধ্যে যে কি দেখেছিলেন তা উনিই ভালো জানতেন! ডদ্রলোক সুস্থ শরীর থাকতে থাকতেই হটাৎ করে মারা গেলেন। কিন্তু আমার মনে আছে শেষ বারে উনি ন’কাকার পা ধরে বিদায় প্রার্থনা করেছিলেন! ঠিক এমনটাই বোলপুরে দেখেছিলাম প্রদীপ দত্তের বাবা বিশুমামার ক্ষেত্রে!! বোলপুরের প্রসঙ্গ পরের দিন থেকে। (ক্রমশঃ)