[ যে কোন মহাপুরুষের শরীর ধারণ শুধু মাত্র সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য। নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজ করে অনুন্নত মানব, উন্নত মানব সকলের জন্য চিন্তা করে। এইসব আলোচনা চলছিল। ]
আমরা গুরু মহারাজের কাছে এইসব কথা শুনেছিলাম, ন’কাকাও তাঁর বিভিন্ন কথাবার্তায় এই কথাগুলিকেই পুষ্ট করতেন । তাঁর নিজের যে কাজকর্ম – তাঁর চলাফেরা এগুলির মধ্যে (আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি) তাঁর নিজের কোন সুবিধাগ্রহণ করার মানসিকতা তো কোনদিন দেখিইনি – বরং যেখানেই গেছেন শুধুমাত্র সেখানকার মানুষের মঙ্গলের জন্য, তাদের কল্যাণের জন্যই গেছেন ৷ মানুষকে অকাতরে তিনি তো শুধু দিয়েই গেলেন – আমরা কি তাঁকে কিছু দিতে পেরেছি ? আমরা হয়তো পঞ্চাশ টাকা তাঁর পায়ের কাছে নামিয়ে দিয়ে প্রণাম করে ভেবেছি – ‘ যাক্ , ওনাকে কিছু দিলাম !’ কেউ হয়তো ফল-ফুল বা মিষ্টির প্যাকেট এনেছি ! সেইটা ওনাকে দিয়ে ভেবেছি _”এইতো অনেক কিছুই দিলাম!”
কিন্তু সেগুলির সবই তো ওনাকে পুনরায় সকলের মধ্যে বিলিয়ে দিতে দেখেছি ! অবশ্য পরে এটা বুঝেছিলাম যে, যিনি কিছু নেন না, মানুষ তাকেই দেয়! আর মানুষ কেন দিতে চায়__ কারণ ঈশ্বর যে তাকে ধনী করেই রেখেছেন, তাই দেয় ! গুরু মহারাজ একটা গল্প বলতেন (ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও বলেছিলেন), – একটি বালিকা (মা জগদম্বা) এক আঁচল মনি-মুক্তা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর তাই দেখে প্রচুর লোক তার পিছন পিছন ছুটছে আর বলছে – “ও মা , আমাকে দাও – আমাকে দাও !”– কিন্তু বালিকাটি কাউকে তাকিয়েও দেখছে না বা কাউকে কিছু দিচ্ছেও না ! সেই সময় ওই বালিকার উল্টোদিক থেকে একটি ক্ষ্যাপা-পাগল মতো লোক আসছিল ! সে বালিকাটিকে এবং ওই ‘দাও-দাও’ করা লোকগুলোকে দেখলো কিন্তু কারূকেই কোন গুরুত্ব না দিয়ে বালিকাটির পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলো ! আর ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বালিকাটি ঐ ক্ষ্যাপা মতো লোকটিকে বললো – ” এ্যাই ! চলে যাচ্ছো যে ! এই দ্যাখো আমার কাছে কত মণিমুক্তো-হিরে-জহরত ! কত ধনরত্ন – এগুলো তুমি নেবে ?” লোকটি উদাসীনভাবে উত্তর দিল – ” না ! ওগুলি আমার চাই না ! আমার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আমাকে যেতে দাও !” এই বলে লোকটি আবার উল্টো দিকে হাঁটা লাগালো ৷ এইবার ঘটলো এতক্ষণ যা ঘটছিল, তার ঠিক বিপরীত চিত্র ! এতক্ষন অনেক লোকে বালিকার পিছুপিছু “দাও-দাও” করে দৌড়াচ্ছিল, কিন্তু বালিকা কারুকে দিচ্ছিলো না ! আর এখন মনিমুক্তা আঁচলে নিয়ে বালিকাটিই, ওই ক্ষ্যাপা পাগলের মতো লোকটির পিছুপিছু দৌড়াতে লাগল, আর বলতে লাগল – ” এই যে শোনো – শোনো ! তুমি চলে যাচ্ছ কেন – কিছু তো নাও !” লোকটি ওই বালিকাটির কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে হাঁটতেই থাকলো ৷ তখন বালিকাটি এক দৌড়ে লোকটির কাছে গিয়ে তার আঁচলের সব ধনরত্ন-মণিমুক্তো ওই লোকটির গায়ে ঢেলে দিল !
গুরু মহারাজ অবশ্য রূপকাকারে এই গল্পটি বলেছিলেন –– এই কথাটা বোঝানোর জন্য যে, মা জগদম্বা এই ভাবে নির্বাসনাযুক্ত, মোহমুক্ত, এষণামুক্ত সাধককেই আধ্যাত্মিক সম্পদ দান করেন ! কিন্তু জাগতিক ক্ষেত্রেও এই নিয়মের কিছুটা প্রতিফলন দেখা যায় বৈ কি ? জগতের মানুষ মুখে যাই বলুক – অন্তর্জগতে সে কিন্তু ত্যাগ দেখতেই ভালোবাসে, ত্যাগীকেই সে আন্তরিক শ্রদ্ধা করে । বাকিদেরকে শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালোবাসা দেখালেও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তা উঠে আসে না I এগুলি একদম প্র্যাকটিক্যাল ! যে কোনো মানুষ তার নিজের জীবনেই যদি এই কথাগুলির সত্যতা প্রমাণ করতে চায় – তাহলে সে তা করতে পারবে !
কোনো মানুষ তার পিতা-মাতা বা গুরুকে যেভাবে শ্রদ্ধা করে, তেমনটা এদের বাইরে জগতের আর কারোকে করতে পারে না । কারণ বাবা-মা-গুরুই মানবের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ ত্যাগী ! বাবা-মা তাঁদের সন্তানের জন্য সমস্ত সুখ, সম্পদ, জীবনের মূল্যবান সময় – এমনকি প্রয়োজনে তাঁদের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হন না ! তাই সন্তানের কাছে পিতা-মাতার স্থান এতটা উচ্চে ! আর গুরু-র স্থান সবার ঊর্ধ্বে ! পিতা-মাতারও ঊর্ধ্বে ! কারণ পিতা-মাতা ইহকালের দেবতা, কিন্তু গুরু হলেন মানবের ইহকাল এবং পরকালের কান্ডারী ৷ এই জন্মের পিতা-মাতা, পরবর্তী জন্মগুলিতে পরিবর্তন হয়েও যেতে পারে – কিন্তু সদগুরু একবার যে শিষ্যের ভার নেন, তাকে অন্তিম লক্ষ্যে পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত ছাড়েন না। গুরুর গুরুত্ব এখানেই — কারন এই কাজটি পিতা-মাতা কখনোই করতে পারেন না ৷
যাইহোক, আমরা ফিরে যাই ন’কাকার কথায় । ন’কাকা ছিলেন গুরু মহারাজের বলা গল্পের ওই ক্ষ্যাপাটির মতই একজন ৷ এখানে বালিকা হলো মা জগদম্বা ! মা তাঁর ‘কিছুই না চাওয়া’ ছেলেটিকে – “এই নে – সব তুই নে !”- বলে তাঁর সবকিছু ধনসম্পদ-ই ন’কাকাকে দিয়ে দিয়েছিলেন ! ন’কাকার কাছে অষ্টসিদ্ধির সব সিদ্ধি-ই যে ছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম, কিন্তু ভগবানের লক্ষণ যে ষড়ৈশ্বর্য – সেটা ছিল কিনা আমি জানি না ! কিন্তু আমার বিশ্বাস__ ইচ্ছা করলেই ন’কাকা ঐ ঐশ্বর্যগুলিও প্রকাশ ঘটাতে পারতেন । আমার একজন কাছের বন্ধুর একবার দর্শন হয়েছিল – “শান্ত সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে একটা সুদৃশ্য তরণীতে সে বসে রয়েছে, আর ওই তরণীর একদিকে হাল ধরে রয়েছেন গুরুমহারাজ আর অন্যদিকে দাঁড় ধরে রয়েছেন ন’কাকা !”
আমার মনে হয়েছিল – এটা যথার্থ দর্শন ! যে কোনো মানুষকে জীবন সমুদ্রের অপর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জীবন প্রবাহের অন্তিম লক্ষ্যে এঁরা দুজনেই তো পৌঁছে দিতে পারেন ! মা মহামায়ার জগতে লীলা রয়েছে এবং লীলা মানেই বৈচিত্র, আর এই বৈচিত্রময়তার মধ্যে দিয়ে জীব সকলকে এগিয়ে যেতে হয় ! এইসব নানান জটিল ব্যাপার-স্যাপার রয়েছে বলেই এঁরা সমস্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে এক লাফে জীবনের অন্তিম লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন না ! স্বয়ং ভগবান স্বামী পরমানন্দের কথা সবার ঊর্ধ্বে – কিন্তু ন’কাকার মধ্যেও ভগবত শক্তির পুরোপুরি ভান্ডার ছিল । তবে এই লীলায় তো ন’কাকার একদম ছদ্মবেশ –তাই সবকিছুই ঢাকা-চাপা ! [ক্রমশঃ]
আমরা গুরু মহারাজের কাছে এইসব কথা শুনেছিলাম, ন’কাকাও তাঁর বিভিন্ন কথাবার্তায় এই কথাগুলিকেই পুষ্ট করতেন । তাঁর নিজের যে কাজকর্ম – তাঁর চলাফেরা এগুলির মধ্যে (আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি) তাঁর নিজের কোন সুবিধাগ্রহণ করার মানসিকতা তো কোনদিন দেখিইনি – বরং যেখানেই গেছেন শুধুমাত্র সেখানকার মানুষের মঙ্গলের জন্য, তাদের কল্যাণের জন্যই গেছেন ৷ মানুষকে অকাতরে তিনি তো শুধু দিয়েই গেলেন – আমরা কি তাঁকে কিছু দিতে পেরেছি ? আমরা হয়তো পঞ্চাশ টাকা তাঁর পায়ের কাছে নামিয়ে দিয়ে প্রণাম করে ভেবেছি – ‘ যাক্ , ওনাকে কিছু দিলাম !’ কেউ হয়তো ফল-ফুল বা মিষ্টির প্যাকেট এনেছি ! সেইটা ওনাকে দিয়ে ভেবেছি _”এইতো অনেক কিছুই দিলাম!”
কিন্তু সেগুলির সবই তো ওনাকে পুনরায় সকলের মধ্যে বিলিয়ে দিতে দেখেছি ! অবশ্য পরে এটা বুঝেছিলাম যে, যিনি কিছু নেন না, মানুষ তাকেই দেয়! আর মানুষ কেন দিতে চায়__ কারণ ঈশ্বর যে তাকে ধনী করেই রেখেছেন, তাই দেয় ! গুরু মহারাজ একটা গল্প বলতেন (ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও বলেছিলেন), – একটি বালিকা (মা জগদম্বা) এক আঁচল মনি-মুক্তা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর তাই দেখে প্রচুর লোক তার পিছন পিছন ছুটছে আর বলছে – “ও মা , আমাকে দাও – আমাকে দাও !”– কিন্তু বালিকাটি কাউকে তাকিয়েও দেখছে না বা কাউকে কিছু দিচ্ছেও না ! সেই সময় ওই বালিকার উল্টোদিক থেকে একটি ক্ষ্যাপা-পাগল মতো লোক আসছিল ! সে বালিকাটিকে এবং ওই ‘দাও-দাও’ করা লোকগুলোকে দেখলো কিন্তু কারূকেই কোন গুরুত্ব না দিয়ে বালিকাটির পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলো ! আর ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বালিকাটি ঐ ক্ষ্যাপা মতো লোকটিকে বললো – ” এ্যাই ! চলে যাচ্ছো যে ! এই দ্যাখো আমার কাছে কত মণিমুক্তো-হিরে-জহরত ! কত ধনরত্ন – এগুলো তুমি নেবে ?” লোকটি উদাসীনভাবে উত্তর দিল – ” না ! ওগুলি আমার চাই না ! আমার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আমাকে যেতে দাও !” এই বলে লোকটি আবার উল্টো দিকে হাঁটা লাগালো ৷ এইবার ঘটলো এতক্ষণ যা ঘটছিল, তার ঠিক বিপরীত চিত্র ! এতক্ষন অনেক লোকে বালিকার পিছুপিছু “দাও-দাও” করে দৌড়াচ্ছিল, কিন্তু বালিকা কারুকে দিচ্ছিলো না ! আর এখন মনিমুক্তা আঁচলে নিয়ে বালিকাটিই, ওই ক্ষ্যাপা পাগলের মতো লোকটির পিছুপিছু দৌড়াতে লাগল, আর বলতে লাগল – ” এই যে শোনো – শোনো ! তুমি চলে যাচ্ছ কেন – কিছু তো নাও !” লোকটি ওই বালিকাটির কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে হাঁটতেই থাকলো ৷ তখন বালিকাটি এক দৌড়ে লোকটির কাছে গিয়ে তার আঁচলের সব ধনরত্ন-মণিমুক্তো ওই লোকটির গায়ে ঢেলে দিল !
গুরু মহারাজ অবশ্য রূপকাকারে এই গল্পটি বলেছিলেন –– এই কথাটা বোঝানোর জন্য যে, মা জগদম্বা এই ভাবে নির্বাসনাযুক্ত, মোহমুক্ত, এষণামুক্ত সাধককেই আধ্যাত্মিক সম্পদ দান করেন ! কিন্তু জাগতিক ক্ষেত্রেও এই নিয়মের কিছুটা প্রতিফলন দেখা যায় বৈ কি ? জগতের মানুষ মুখে যাই বলুক – অন্তর্জগতে সে কিন্তু ত্যাগ দেখতেই ভালোবাসে, ত্যাগীকেই সে আন্তরিক শ্রদ্ধা করে । বাকিদেরকে শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালোবাসা দেখালেও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তা উঠে আসে না I এগুলি একদম প্র্যাকটিক্যাল ! যে কোনো মানুষ তার নিজের জীবনেই যদি এই কথাগুলির সত্যতা প্রমাণ করতে চায় – তাহলে সে তা করতে পারবে !
কোনো মানুষ তার পিতা-মাতা বা গুরুকে যেভাবে শ্রদ্ধা করে, তেমনটা এদের বাইরে জগতের আর কারোকে করতে পারে না । কারণ বাবা-মা-গুরুই মানবের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ ত্যাগী ! বাবা-মা তাঁদের সন্তানের জন্য সমস্ত সুখ, সম্পদ, জীবনের মূল্যবান সময় – এমনকি প্রয়োজনে তাঁদের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হন না ! তাই সন্তানের কাছে পিতা-মাতার স্থান এতটা উচ্চে ! আর গুরু-র স্থান সবার ঊর্ধ্বে ! পিতা-মাতারও ঊর্ধ্বে ! কারণ পিতা-মাতা ইহকালের দেবতা, কিন্তু গুরু হলেন মানবের ইহকাল এবং পরকালের কান্ডারী ৷ এই জন্মের পিতা-মাতা, পরবর্তী জন্মগুলিতে পরিবর্তন হয়েও যেতে পারে – কিন্তু সদগুরু একবার যে শিষ্যের ভার নেন, তাকে অন্তিম লক্ষ্যে পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত ছাড়েন না। গুরুর গুরুত্ব এখানেই — কারন এই কাজটি পিতা-মাতা কখনোই করতে পারেন না ৷
যাইহোক, আমরা ফিরে যাই ন’কাকার কথায় । ন’কাকা ছিলেন গুরু মহারাজের বলা গল্পের ওই ক্ষ্যাপাটির মতই একজন ৷ এখানে বালিকা হলো মা জগদম্বা ! মা তাঁর ‘কিছুই না চাওয়া’ ছেলেটিকে – “এই নে – সব তুই নে !”- বলে তাঁর সবকিছু ধনসম্পদ-ই ন’কাকাকে দিয়ে দিয়েছিলেন ! ন’কাকার কাছে অষ্টসিদ্ধির সব সিদ্ধি-ই যে ছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম, কিন্তু ভগবানের লক্ষণ যে ষড়ৈশ্বর্য – সেটা ছিল কিনা আমি জানি না ! কিন্তু আমার বিশ্বাস__ ইচ্ছা করলেই ন’কাকা ঐ ঐশ্বর্যগুলিও প্রকাশ ঘটাতে পারতেন । আমার একজন কাছের বন্ধুর একবার দর্শন হয়েছিল – “শান্ত সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে একটা সুদৃশ্য তরণীতে সে বসে রয়েছে, আর ওই তরণীর একদিকে হাল ধরে রয়েছেন গুরুমহারাজ আর অন্যদিকে দাঁড় ধরে রয়েছেন ন’কাকা !”
আমার মনে হয়েছিল – এটা যথার্থ দর্শন ! যে কোনো মানুষকে জীবন সমুদ্রের অপর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জীবন প্রবাহের অন্তিম লক্ষ্যে এঁরা দুজনেই তো পৌঁছে দিতে পারেন ! মা মহামায়ার জগতে লীলা রয়েছে এবং লীলা মানেই বৈচিত্র, আর এই বৈচিত্রময়তার মধ্যে দিয়ে জীব সকলকে এগিয়ে যেতে হয় ! এইসব নানান জটিল ব্যাপার-স্যাপার রয়েছে বলেই এঁরা সমস্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে এক লাফে জীবনের অন্তিম লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন না ! স্বয়ং ভগবান স্বামী পরমানন্দের কথা সবার ঊর্ধ্বে – কিন্তু ন’কাকার মধ্যেও ভগবত শক্তির পুরোপুরি ভান্ডার ছিল । তবে এই লীলায় তো ন’কাকার একদম ছদ্মবেশ –তাই সবকিছুই ঢাকা-চাপা ! [ক্রমশঃ]