[ন’ কাকা বিষয়ক নানা কথা আলোচনা করা হচ্ছিল। উনি যখন শ্রীরামপুরে(হুগলি) যেতেন, তখন ওখানকার ভক্তদের সাথে ওনার যে সব কথোপকথন বা ঘটনা ঘটেছিল _সেগুলিই এখন আলোচনা হচ্ছে…]
যাইহোক, এই ঘটনা দুটি উল্লেখ করলাম (আগের সংখ্যায়) এইজন্য যে , এই ধরণের কিছু ঘটনা শ্রীরামপুরে ঐ মাষ্টারমশাই (সুদর্শনবাবু)-এর গ্রুপের সবাই জানতো ! তাই যেদিন প্রথম ন’কাকা ওদের আসরে (মাষ্টারমশায়ের বাড়ীতে) গিয়েছিলেন – সেদিন ঐ আসর ছিল লোকে লোকারণ্য ! বহু ভক্ত মানুষ সেদিন ওখানে জড়ো হয়েছিল ! আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম যে, ওরা নতুন শরীরের’ বামদেব’-কে দেখতে এসেছে!!
আমাদের পরমানন্দ মিশনের অনেক ভক্তরাও সেদিন ওখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন – রমেন বাবু (সোদপুরের রমেন চক্রবর্ত্তী) , চুঁচূড়ার রবীন হালদার , শ্রীরামপুরের গৌতম ভড় , অসীম চ্যাটার্জী , শংকর দাস , আশামা ও ওনার স্বামী (স্কুলটিচার) প্রমুখরা ! সেদিন ওখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তদের সংখ্যাধিক্য থাকায় ঠাকুরের কিছু গানও হয়েছিল ।
সেদিনই প্রথম আমরা সুদর্শন বাবুর মুখ থেকে ওনার জীবনের বিভিন্ন মহাপুরুষের সংযোগের কথা এবং অনেক অলৌকিক ঘটনাসমূহ শুনেছিলাম । আর ন’কাকা মিষ্টি-কোমল হাসি আর সহজ-সরল expression দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন !
ন’কাকার তো বাহ্যিক ঐশ্বর্য্যের কোন প্রকাশই ছিল না – কিন্তু আভ্যন্তরীণ ঐশ্বর্য্য এত বেশী বা গভীর ছিল যে , ওনার “অলৌকিক সরলতা বা সহজতা”– মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করত , বিস্মিত করত !
সুদর্শন মাষ্টারমশাই-এর বাড়ীতে উপস্থিত জনেদেরও তাই হয়েছিল ৷ এরফলে কি হোল , প্রতিবছর অন্ততঃ দু থেকে তিনবার আমাদেরকে ওনার আমন্ত্রণে ওখানে হাজির হতে হোত । শ্রীরামপুরে মাষ্টারমশাই-এর বাড়ী যাওয়ার সুবাদে ‘আশা মা’ – এর বাড়ী , অরুণ ব্রহ্মচারীর বাড়ী , অসীম ব্যানার্জীর বাড়ী , ভদ্রেশ্বরের বাবুলের বাড়ী , সালকিয়া (হাওড়ার)-র দেবকুমারের বাড়ী ইত্যাদি স্থানগুলিতেও ন’কাকার আসা-যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ ইতিমধ্যে বোলপুরের সন্নিকট আদিত্যপুর পরমানন্দ মিশনের দায়িত্ব স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ (নন্দ মহারাজ)-এর উপর ন্যস্ত হ’ল । উনি খুবই কর্মঠ , আমুদে এবং মিশুকে মানুষ হওয়ায় অল্পদিনের মধ্যেই বীরভূমের বোলপুর , কীর্ণাহার , লাভপুর ইত্যাদি স্থানের বিভিন্ন পরমানন্দ ভক্তদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করায় – তাদের অনেকেই আদিত্যপুর আশ্রমে যাওয়া-আসা শুরু করে দিয়েছিল ৷ এদের মধ্যে কীর্ণাহারের সনৎকুমার ব্যানার্জীর (পার্থ চ্যাটার্জীর কাকা ৷ পার্থ চ্যাটার্জী বা পার্থর বাবা সুশীল চ্যাটার্জী বহু আগে থেকেই পরমানন্দ মিশনের ভক্ত) সাথে নন্দ মহারাজের খুবই ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায় । সনৎ বাবু (Retired Railway Employee) একজন কর্মী লোক হওয়ায় উনি আদিত্যপুর আশ্রমের বিভিন্ন collection – এর কাজে এবং ‘চরৈবেতি’ পত্রিকার কাজে প্রচুর সময় দিতেন । এই সময়েই বনগ্রামে যাওয়া-আসা করতে করতে ওনার সাথে ন’কাকার যোগাযোগ হয়ে যায় । আর ঐ একটা লোকের সাথে যোগাযোগ হওয়াতেই সমগ্র বীরভূমের বিভিন্ন স্থানে “ন’কাকার মহিমা”– ঐ সনৎবাবুই এমনভাবে প্রচার করে দেন_ যে দলে দলে মানুষ ন’কাকার ভক্ত হতে শুরু করে দিয়েছিল !
যাইহোক “বীরভূমে ন’কাকা”– সেটা অন্যসময় বিস্তারিত আলোচনা হবে – এখন শ্রীরামপুরে ফের ফিরে আসি। কিন্তু এখানে বীরভূমের সনৎকাকার (সনৎ চ্যাটার্জীকে আদিত্যপুর আশ্রমের সবাই ঐ নামেই ডাকতো) উল্লেখ করতে হোল এইজন্য যে , ঐ সময়েই আদিত্যপুর আশ্রমের নন্দ মহারাজ এবং অসিত দা (অসিত …..,কীর্ণাহার) ন’কাকার খুবই ঘনিষ্ঠ হয়েছিল । এর ফলে তখন আদিত্যপুর আশ্রমকে কেন্দ্র করে ন’কাকার একটা ছোটখাটো দল তৈরি হয়ে গিয়েছিল! ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছিল _”ন’কাকা যেখানে তারাও সেখানে”! এই দলে ছিল – নন্দ মহারাজ , অসিত দা , মধুমিতা , আসানসোলের মুকুল, আমি আর সনৎকাকা।
কিন্তু ন’কাকা যখন শ্রীরামপুর বা অন্য কোথাও যেতেন তখন এদের মধ্যে শুধুমাত্র নন্দ মহারাজ ন’কাকার সাথে যোগদান করতেন। তখন আমাদের ছোট এই দলে ন’কাকা , ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ ও আমি ! এইভাবে ন’কাকার স্নেহাশ্রয়ে থেকে আমরা ওনার সাথে তখন বীরভূম জেলার প্রান্তে প্রান্তে , আসানসোল , দূর্গাপুর , বর্ধমান ,মেদিনীপুর, দীঘার নিকটস্থ তাজপুর আশ্রম, শ্রীরামপুর , হাওড়ার শিবপুর-সালকিয়া , হুগলীর ডানকুনি এলাকা , সিঙ্গুর , ভদ্রেশ্বর , কোলকাতা (দমদম) ইত্যাদি কত জায়গাতেই না গেছি!
তবে আদিত্যপুর আশ্রম ছাড়া সবচাইতে বেশীবার যেখানে গেছি, সেটা হল শ্রীরামপুরে গৌতম ভড় এবং মাষ্টারমশাই সুদর্শন বাবুর বাড়ী! ঐ বাড়ীতে(মাষ্টারমশাই-এর বাড়ি) ন’কাকা গেলেই ৩/৪ ঘণ্টা ধরে আনন্দের হাট বসে যেতো । ন’কাকা এমনিতে খুবই স্বল্পভাষী লোক ছিলেন ৷ এবার মা জগদম্বা বোধয় ন’কাকাকে সমস্ত রকম ঐশ্বর্য্য ঢাকা দিয়ে রাখতে বলেছিলেন – তাই ন’কাকার বাহ্যিক রূপের glamour ছিল না , বাক্-পটুতা বা বাক্-চাতুর্য্য ছিল না , পোষাক-আষাকের চাকচিক্য ছিল না – তবু যে কি অদ্ভুত কায়দায় উনি মানুষজনকে একেবারে বশীভূত করে ফেলতে পারতেন , সেটা যে না দেখল – তাকে কি করে বোঝানো যায়!!! (ক্রমশঃ)
যাইহোক, এই ঘটনা দুটি উল্লেখ করলাম (আগের সংখ্যায়) এইজন্য যে , এই ধরণের কিছু ঘটনা শ্রীরামপুরে ঐ মাষ্টারমশাই (সুদর্শনবাবু)-এর গ্রুপের সবাই জানতো ! তাই যেদিন প্রথম ন’কাকা ওদের আসরে (মাষ্টারমশায়ের বাড়ীতে) গিয়েছিলেন – সেদিন ঐ আসর ছিল লোকে লোকারণ্য ! বহু ভক্ত মানুষ সেদিন ওখানে জড়ো হয়েছিল ! আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম যে, ওরা নতুন শরীরের’ বামদেব’-কে দেখতে এসেছে!!
আমাদের পরমানন্দ মিশনের অনেক ভক্তরাও সেদিন ওখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন – রমেন বাবু (সোদপুরের রমেন চক্রবর্ত্তী) , চুঁচূড়ার রবীন হালদার , শ্রীরামপুরের গৌতম ভড় , অসীম চ্যাটার্জী , শংকর দাস , আশামা ও ওনার স্বামী (স্কুলটিচার) প্রমুখরা ! সেদিন ওখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তদের সংখ্যাধিক্য থাকায় ঠাকুরের কিছু গানও হয়েছিল ।
সেদিনই প্রথম আমরা সুদর্শন বাবুর মুখ থেকে ওনার জীবনের বিভিন্ন মহাপুরুষের সংযোগের কথা এবং অনেক অলৌকিক ঘটনাসমূহ শুনেছিলাম । আর ন’কাকা মিষ্টি-কোমল হাসি আর সহজ-সরল expression দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন !
ন’কাকার তো বাহ্যিক ঐশ্বর্য্যের কোন প্রকাশই ছিল না – কিন্তু আভ্যন্তরীণ ঐশ্বর্য্য এত বেশী বা গভীর ছিল যে , ওনার “অলৌকিক সরলতা বা সহজতা”– মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করত , বিস্মিত করত !
সুদর্শন মাষ্টারমশাই-এর বাড়ীতে উপস্থিত জনেদেরও তাই হয়েছিল ৷ এরফলে কি হোল , প্রতিবছর অন্ততঃ দু থেকে তিনবার আমাদেরকে ওনার আমন্ত্রণে ওখানে হাজির হতে হোত । শ্রীরামপুরে মাষ্টারমশাই-এর বাড়ী যাওয়ার সুবাদে ‘আশা মা’ – এর বাড়ী , অরুণ ব্রহ্মচারীর বাড়ী , অসীম ব্যানার্জীর বাড়ী , ভদ্রেশ্বরের বাবুলের বাড়ী , সালকিয়া (হাওড়ার)-র দেবকুমারের বাড়ী ইত্যাদি স্থানগুলিতেও ন’কাকার আসা-যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ ইতিমধ্যে বোলপুরের সন্নিকট আদিত্যপুর পরমানন্দ মিশনের দায়িত্ব স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ (নন্দ মহারাজ)-এর উপর ন্যস্ত হ’ল । উনি খুবই কর্মঠ , আমুদে এবং মিশুকে মানুষ হওয়ায় অল্পদিনের মধ্যেই বীরভূমের বোলপুর , কীর্ণাহার , লাভপুর ইত্যাদি স্থানের বিভিন্ন পরমানন্দ ভক্তদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করায় – তাদের অনেকেই আদিত্যপুর আশ্রমে যাওয়া-আসা শুরু করে দিয়েছিল ৷ এদের মধ্যে কীর্ণাহারের সনৎকুমার ব্যানার্জীর (পার্থ চ্যাটার্জীর কাকা ৷ পার্থ চ্যাটার্জী বা পার্থর বাবা সুশীল চ্যাটার্জী বহু আগে থেকেই পরমানন্দ মিশনের ভক্ত) সাথে নন্দ মহারাজের খুবই ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায় । সনৎ বাবু (Retired Railway Employee) একজন কর্মী লোক হওয়ায় উনি আদিত্যপুর আশ্রমের বিভিন্ন collection – এর কাজে এবং ‘চরৈবেতি’ পত্রিকার কাজে প্রচুর সময় দিতেন । এই সময়েই বনগ্রামে যাওয়া-আসা করতে করতে ওনার সাথে ন’কাকার যোগাযোগ হয়ে যায় । আর ঐ একটা লোকের সাথে যোগাযোগ হওয়াতেই সমগ্র বীরভূমের বিভিন্ন স্থানে “ন’কাকার মহিমা”– ঐ সনৎবাবুই এমনভাবে প্রচার করে দেন_ যে দলে দলে মানুষ ন’কাকার ভক্ত হতে শুরু করে দিয়েছিল !
যাইহোক “বীরভূমে ন’কাকা”– সেটা অন্যসময় বিস্তারিত আলোচনা হবে – এখন শ্রীরামপুরে ফের ফিরে আসি। কিন্তু এখানে বীরভূমের সনৎকাকার (সনৎ চ্যাটার্জীকে আদিত্যপুর আশ্রমের সবাই ঐ নামেই ডাকতো) উল্লেখ করতে হোল এইজন্য যে , ঐ সময়েই আদিত্যপুর আশ্রমের নন্দ মহারাজ এবং অসিত দা (অসিত …..,কীর্ণাহার) ন’কাকার খুবই ঘনিষ্ঠ হয়েছিল । এর ফলে তখন আদিত্যপুর আশ্রমকে কেন্দ্র করে ন’কাকার একটা ছোটখাটো দল তৈরি হয়ে গিয়েছিল! ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছিল _”ন’কাকা যেখানে তারাও সেখানে”! এই দলে ছিল – নন্দ মহারাজ , অসিত দা , মধুমিতা , আসানসোলের মুকুল, আমি আর সনৎকাকা।
কিন্তু ন’কাকা যখন শ্রীরামপুর বা অন্য কোথাও যেতেন তখন এদের মধ্যে শুধুমাত্র নন্দ মহারাজ ন’কাকার সাথে যোগদান করতেন। তখন আমাদের ছোট এই দলে ন’কাকা , ভুবনেশ্বরানন্দ মহারাজ ও আমি ! এইভাবে ন’কাকার স্নেহাশ্রয়ে থেকে আমরা ওনার সাথে তখন বীরভূম জেলার প্রান্তে প্রান্তে , আসানসোল , দূর্গাপুর , বর্ধমান ,মেদিনীপুর, দীঘার নিকটস্থ তাজপুর আশ্রম, শ্রীরামপুর , হাওড়ার শিবপুর-সালকিয়া , হুগলীর ডানকুনি এলাকা , সিঙ্গুর , ভদ্রেশ্বর , কোলকাতা (দমদম) ইত্যাদি কত জায়গাতেই না গেছি!
তবে আদিত্যপুর আশ্রম ছাড়া সবচাইতে বেশীবার যেখানে গেছি, সেটা হল শ্রীরামপুরে গৌতম ভড় এবং মাষ্টারমশাই সুদর্শন বাবুর বাড়ী! ঐ বাড়ীতে(মাষ্টারমশাই-এর বাড়ি) ন’কাকা গেলেই ৩/৪ ঘণ্টা ধরে আনন্দের হাট বসে যেতো । ন’কাকা এমনিতে খুবই স্বল্পভাষী লোক ছিলেন ৷ এবার মা জগদম্বা বোধয় ন’কাকাকে সমস্ত রকম ঐশ্বর্য্য ঢাকা দিয়ে রাখতে বলেছিলেন – তাই ন’কাকার বাহ্যিক রূপের glamour ছিল না , বাক্-পটুতা বা বাক্-চাতুর্য্য ছিল না , পোষাক-আষাকের চাকচিক্য ছিল না – তবু যে কি অদ্ভুত কায়দায় উনি মানুষজনকে একেবারে বশীভূত করে ফেলতে পারতেন , সেটা যে না দেখল – তাকে কি করে বোঝানো যায়!!! (ক্রমশঃ)