[আগের দিনের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছিলাম _ন’কাকা “গৃহ যবে হোল মোর বৈকুণ্ঠধাম”_নামে লেখাটি খুব বেশিদিন চরৈবেতি পত্রিকায় দিতে পারেননি । তারপর উনি শাস্ত্র থেকে বিভিন্ন বৈষ্ণব সাধকদের জীবনী তুলে এনে চরৈবেতি পত্রিকায় পত্রিকায় লিখতে শুরু করেছিলেন।]
সেই শুরু হয়েছিল ! স্বরূপানন্দ মহারাজ ন’কাকার লেখাগুলির নামকরণ করেছিলেন – “ভগবৎ-তত্ত্বকথা”। যদিও ন’কাকা ‘তত্ত্ব’ নিয়ে কখনোই খুব একটা তেমন আলোচনা করতেন না ৷ উনি খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন – তাই ওনার লেখার স্টাইল-ও ছিল খুবই সহজ-সরল । কখনোই উনি কোন ভারী ভারী তত্ত্বকথা আলোচনা করা বা সেইসব তত্ত্বের ব্যাখ্যা করার পক্ষপাতী ছিলেন না । বরং তিনি কোন কোন দুরূহ তত্ত্বকে সহজ-সরলভাবে বুঝিয়ে বলে দিতেন ৷ ওই লেখাগুলিতে ন’কাকা মূলতঃ বৈষ্ণব সাধক এবং ধর্মচার্য্যগনের জীবনী ও তাঁদের শিক্ষার কথাগুলি আলোচনা করেছেন ৷ পরে হয়তো ন’কাকার এই সমস্ত লেখাগুলি এক জায়গা করে – কোন ‘গ্রন্থ’ হিসাবে প্রকাশিত করবে ন’কাকার ভক্তরা ! ‘চরৈবেতি’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত ন’কাকার ঐ লেখাগুলির অনেক পাঠকও ছিল ৷ বহু পাঠক, বিশেষতঃ বোলপুর এলাকার বিভিন্ন মাস্টারমশাইরা ন’কাকার লেখার খুবই প্রশংসা করতেন । এনাদের মধ্যে একজন আমাকে বলেছিলেন – ন’কাকার লেখাগুলি পড়ে বিশেষ উপকৃত হই ! বৈষ্ণব ধর্মের বিভিন্ন ধর্মাচার্য্য এবং তাদের শিক্ষার সব কথা তো বই পড়ে জানা যায় না – ন’কাকার লেখা থেকে সেই সবগুলোকে এক জায়গায় পেয়ে যাই, তাই খুব সুবিধা হয় !”
ন’কাকা যখন থেকে ‘চরৈবেতি’ পত্রিকায় লিখতে শুরু করলেন , তারপর থেকেই আমাদের বনগ্রাম আশ্রমের বিভিন্ন স্থানের ভক্তরা – যারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ছাপা বা লেখালেখির সাথে যুক্ত অথবা যারা ‘সুভেনিয়র’ প্রকাশ করতো, তারা ন’কাকার কাছ থেকে ‘লেখা’ চাইতো ! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সকলকে, ন’কাকা ‘লেখা’ (Article) দিতেন ৷ ন’কাকার ‘চরৈবেতি’-তে প্রকাশিত লেখাগুলি এবং অন্যান্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখাগুলোকে এক জায়গা করে ন’কাকার ভক্তরা যদি সেগুলিকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে তাহলে খুবই ভালো হয় । ন’কাকার সমস্ত ভক্তকুলকে আমার এটা অনুরোধ – যেন তারা এই ব্যাপারটিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন থেকেই হয়তো একদিন এই ধরনের সমস্ত সংকলন-ই প্রকাশিত হবে – কিন্তু তার দেরি আছে ৷ কারণ এখনো (২০২০) পর্যন্ত ‘চরৈবেতি কার্যালয়ে’-র প্রেসের যা মেশিনপত্র এবং বিশেষতঃ D.T.P বা printing-এর কাজ করার জন্য যেসব ‘অ্যাপস’_ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বহু পুরোনো ভার্সন ! এই সব গুলিকে Modernise করতে গেলে এখনই বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে – তাছাড়া মডার্ন টেকনোলজির সাথে accustomed হতে গেলে ‘চরৈবেতি কার্যালয়ে’-র ২/৩ জনকে ঐ আধুনিকতম টেকনোলজির ট্রেনিংও নিতে হবে ! খুব সম্ভবতঃ ব্যাঙ্গালোর বা ঐ ধরনের কোন জায়গা থেকেই প্রিন্টিং-এর এই নতুন ভার্সন কিনতে হয় বা ট্রেনিং নিতে হয় (বনগ্রাম আশ্রমের গুরু মহারাজের সময়কার সৌরভ ব্রহ্মচারী এই ব্যাপারে খুবই expert ! সে-ই আমাকে এতো কথা জানিয়েছিল)
এইসব করতে পারলে আমাদের বনগ্রাম আশ্রমের প্রেস একদম মর্ডান হয়ে যাবে এবং তখন খুব তাড়াতাড়ি এত বেশি বেশি কাজ পাওয়া যাবে যে, ‘চরৈবেতি কার্যালয়’-কে তখন কাজ খুঁজে বেড়াতে হবে । সেইজন্যেই বলছিলাম যে, এমন একটা সময় আসবে যখন গুরুমহারাজ সংক্রান্ত সব লেখকের সমস্ত লেখাই তখন খুঁজে খুঁজে বের করে আমাদের মিশন থেকেই ছাপা হবে । কিন্তু যতদিন মিশনের প্রেস মর্ডান না হচ্ছে, ততদিন এগুলি করা সম্ভব হবে না। এখন কিছু করতে গেলে – বাইরে থেকে উদ্যোগ নিয়ে-ই করতে হবে ৷ এইজন্যেই ন’কাকার ভক্তদের কাছে অনুরোধটা জানিয়ে রাখলাম – যাতে তারা উদ্যোগ নিয়ে ন’কাকার লেখাগুলিকে গ্রন্থাকারে ছাপাতে পারে । এতে আর একটা কাজও হবে – ন’কাকার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভক্তরা – এই গ্রন্থ ছাপানোকে কেন্দ্র করে আবার এক জায়গায় আসতেও পারবে ৷
ন’কাকার লেখাগুলি (যেগুলি চরৈবেতি পত্রিকায় প্রকাশিত)-র মধ্যে প্রথম কয়েকটা ” গৃহ যবে হোল মোর বৈকুন্ঠধাম “- নামে প্রকাশিত হলেও পরবর্তী লেখাগুলি অর্থাৎ বিভিন্ন বৈষ্ণব মহাজন-মহাপুরুষদের নিয়ে লেখা – লেখাগুলির নামকরণ স্বামী স্বরূপানন্দ রেখেছিলেন “ভগবৎ তত্ত্বকথা” । কিন্তু যেহেতু তেমন বিশেষ ‘তত্ত্ব’- ন’কাকা খুব একটা আলোচনা করতেন না, শুধুমাত্র বিভিন্ন মহাপুরুষদের জীবনী ও তাঁদের উপদেশ এবং বাণী-ই ওনার লেখার মধ্যে থাকতো। সেইজন্য “ভগবৎ তত্ত্বকথা”- নামকরণটা আমার (একান্ত ব্যক্তিগত ভাবেই আমার) খুব একটা পছন্দের ছিল না ! ন’কাকাকে এই কথাগুলো বলেছিলাম-ও, কিন্তু ন’কাকা যেন সেই নিস্তরঙ্গ-শান্ত-সমুদ্র ! উনি স্বভাবসিদ্ধ শান্তকণ্ঠে বলেছিলেন – ” ঐসব নামকরণ নিয়ে কি হবে বাবা ! – মহারাজ যা ভালো বুঝেছে করেছে ! আমার আবার লেখা ! সবাই মিলে ধরলো বলে লেখা হচ্ছে – আবার দেখবে কবে টুক্ করে বন্ধ হয়ে গেছে !”
হ্যাঁ, সত্যি সত্যিই বন্ধ হলো, টুক্ করেই বন্ধ হয়ে গেল ! ‘চরৈবেতি’-তে দেবার জন্য শেষ কয়েক পাতা লেখা আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ন’কাকা ! লেখাটা পেয়ে আমি ফোনে ন’কাকাকে বললাম – ” ন’কাকা ! এবার যা লেখা পাঠিয়েছেন তাতে তো তিন-চারটে সংখ্যা চালিয়ে দেওয়া যাবে৷” উত্তরে উনি বলেছিলেন – ” বাঃ – বাঃ – তাহলেই হবে ৷ ঐ – শেষ হোক্ তো !” আমি আবার বলেছিলাম (চরম অজ্ঞানী, অপরিণামদর্শী, মহামূর্খ আমি) – ” ন’কাকা ! তাহলে এই সুযোগে নতুন কোন লেখা শুরু করে দিন !” উনি বলেছিলেন – ” সে হবে ! তেমন সময়-সুযোগ পেলে দেখা যাবে ৷ এখন ওই গুলোই ছাপা হোক তো ! এখন তো দেখছো_সব সংখ্যায় এই লেখা ছাপাও হচ্ছে না (সেই সময় চরৈবেতি পত্রিকার কোন একটি সংখ্যায় ন’কাকার লেখা ছাপা হয় নি) – এবার দেখবে একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে । আমিও আর ভেতর থেকে লেখার তেমন প্রেরণা পাচ্ছি না !” ……. [ক্রমশঃ]
সেই শুরু হয়েছিল ! স্বরূপানন্দ মহারাজ ন’কাকার লেখাগুলির নামকরণ করেছিলেন – “ভগবৎ-তত্ত্বকথা”। যদিও ন’কাকা ‘তত্ত্ব’ নিয়ে কখনোই খুব একটা তেমন আলোচনা করতেন না ৷ উনি খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন – তাই ওনার লেখার স্টাইল-ও ছিল খুবই সহজ-সরল । কখনোই উনি কোন ভারী ভারী তত্ত্বকথা আলোচনা করা বা সেইসব তত্ত্বের ব্যাখ্যা করার পক্ষপাতী ছিলেন না । বরং তিনি কোন কোন দুরূহ তত্ত্বকে সহজ-সরলভাবে বুঝিয়ে বলে দিতেন ৷ ওই লেখাগুলিতে ন’কাকা মূলতঃ বৈষ্ণব সাধক এবং ধর্মচার্য্যগনের জীবনী ও তাঁদের শিক্ষার কথাগুলি আলোচনা করেছেন ৷ পরে হয়তো ন’কাকার এই সমস্ত লেখাগুলি এক জায়গা করে – কোন ‘গ্রন্থ’ হিসাবে প্রকাশিত করবে ন’কাকার ভক্তরা ! ‘চরৈবেতি’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত ন’কাকার ঐ লেখাগুলির অনেক পাঠকও ছিল ৷ বহু পাঠক, বিশেষতঃ বোলপুর এলাকার বিভিন্ন মাস্টারমশাইরা ন’কাকার লেখার খুবই প্রশংসা করতেন । এনাদের মধ্যে একজন আমাকে বলেছিলেন – ন’কাকার লেখাগুলি পড়ে বিশেষ উপকৃত হই ! বৈষ্ণব ধর্মের বিভিন্ন ধর্মাচার্য্য এবং তাদের শিক্ষার সব কথা তো বই পড়ে জানা যায় না – ন’কাকার লেখা থেকে সেই সবগুলোকে এক জায়গায় পেয়ে যাই, তাই খুব সুবিধা হয় !”
ন’কাকা যখন থেকে ‘চরৈবেতি’ পত্রিকায় লিখতে শুরু করলেন , তারপর থেকেই আমাদের বনগ্রাম আশ্রমের বিভিন্ন স্থানের ভক্তরা – যারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ছাপা বা লেখালেখির সাথে যুক্ত অথবা যারা ‘সুভেনিয়র’ প্রকাশ করতো, তারা ন’কাকার কাছ থেকে ‘লেখা’ চাইতো ! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সকলকে, ন’কাকা ‘লেখা’ (Article) দিতেন ৷ ন’কাকার ‘চরৈবেতি’-তে প্রকাশিত লেখাগুলি এবং অন্যান্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখাগুলোকে এক জায়গা করে ন’কাকার ভক্তরা যদি সেগুলিকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে তাহলে খুবই ভালো হয় । ন’কাকার সমস্ত ভক্তকুলকে আমার এটা অনুরোধ – যেন তারা এই ব্যাপারটিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন থেকেই হয়তো একদিন এই ধরনের সমস্ত সংকলন-ই প্রকাশিত হবে – কিন্তু তার দেরি আছে ৷ কারণ এখনো (২০২০) পর্যন্ত ‘চরৈবেতি কার্যালয়ে’-র প্রেসের যা মেশিনপত্র এবং বিশেষতঃ D.T.P বা printing-এর কাজ করার জন্য যেসব ‘অ্যাপস’_ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বহু পুরোনো ভার্সন ! এই সব গুলিকে Modernise করতে গেলে এখনই বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে – তাছাড়া মডার্ন টেকনোলজির সাথে accustomed হতে গেলে ‘চরৈবেতি কার্যালয়ে’-র ২/৩ জনকে ঐ আধুনিকতম টেকনোলজির ট্রেনিংও নিতে হবে ! খুব সম্ভবতঃ ব্যাঙ্গালোর বা ঐ ধরনের কোন জায়গা থেকেই প্রিন্টিং-এর এই নতুন ভার্সন কিনতে হয় বা ট্রেনিং নিতে হয় (বনগ্রাম আশ্রমের গুরু মহারাজের সময়কার সৌরভ ব্রহ্মচারী এই ব্যাপারে খুবই expert ! সে-ই আমাকে এতো কথা জানিয়েছিল)
এইসব করতে পারলে আমাদের বনগ্রাম আশ্রমের প্রেস একদম মর্ডান হয়ে যাবে এবং তখন খুব তাড়াতাড়ি এত বেশি বেশি কাজ পাওয়া যাবে যে, ‘চরৈবেতি কার্যালয়’-কে তখন কাজ খুঁজে বেড়াতে হবে । সেইজন্যেই বলছিলাম যে, এমন একটা সময় আসবে যখন গুরুমহারাজ সংক্রান্ত সব লেখকের সমস্ত লেখাই তখন খুঁজে খুঁজে বের করে আমাদের মিশন থেকেই ছাপা হবে । কিন্তু যতদিন মিশনের প্রেস মর্ডান না হচ্ছে, ততদিন এগুলি করা সম্ভব হবে না। এখন কিছু করতে গেলে – বাইরে থেকে উদ্যোগ নিয়ে-ই করতে হবে ৷ এইজন্যেই ন’কাকার ভক্তদের কাছে অনুরোধটা জানিয়ে রাখলাম – যাতে তারা উদ্যোগ নিয়ে ন’কাকার লেখাগুলিকে গ্রন্থাকারে ছাপাতে পারে । এতে আর একটা কাজও হবে – ন’কাকার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভক্তরা – এই গ্রন্থ ছাপানোকে কেন্দ্র করে আবার এক জায়গায় আসতেও পারবে ৷
ন’কাকার লেখাগুলি (যেগুলি চরৈবেতি পত্রিকায় প্রকাশিত)-র মধ্যে প্রথম কয়েকটা ” গৃহ যবে হোল মোর বৈকুন্ঠধাম “- নামে প্রকাশিত হলেও পরবর্তী লেখাগুলি অর্থাৎ বিভিন্ন বৈষ্ণব মহাজন-মহাপুরুষদের নিয়ে লেখা – লেখাগুলির নামকরণ স্বামী স্বরূপানন্দ রেখেছিলেন “ভগবৎ তত্ত্বকথা” । কিন্তু যেহেতু তেমন বিশেষ ‘তত্ত্ব’- ন’কাকা খুব একটা আলোচনা করতেন না, শুধুমাত্র বিভিন্ন মহাপুরুষদের জীবনী ও তাঁদের উপদেশ এবং বাণী-ই ওনার লেখার মধ্যে থাকতো। সেইজন্য “ভগবৎ তত্ত্বকথা”- নামকরণটা আমার (একান্ত ব্যক্তিগত ভাবেই আমার) খুব একটা পছন্দের ছিল না ! ন’কাকাকে এই কথাগুলো বলেছিলাম-ও, কিন্তু ন’কাকা যেন সেই নিস্তরঙ্গ-শান্ত-সমুদ্র ! উনি স্বভাবসিদ্ধ শান্তকণ্ঠে বলেছিলেন – ” ঐসব নামকরণ নিয়ে কি হবে বাবা ! – মহারাজ যা ভালো বুঝেছে করেছে ! আমার আবার লেখা ! সবাই মিলে ধরলো বলে লেখা হচ্ছে – আবার দেখবে কবে টুক্ করে বন্ধ হয়ে গেছে !”
হ্যাঁ, সত্যি সত্যিই বন্ধ হলো, টুক্ করেই বন্ধ হয়ে গেল ! ‘চরৈবেতি’-তে দেবার জন্য শেষ কয়েক পাতা লেখা আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ন’কাকা ! লেখাটা পেয়ে আমি ফোনে ন’কাকাকে বললাম – ” ন’কাকা ! এবার যা লেখা পাঠিয়েছেন তাতে তো তিন-চারটে সংখ্যা চালিয়ে দেওয়া যাবে৷” উত্তরে উনি বলেছিলেন – ” বাঃ – বাঃ – তাহলেই হবে ৷ ঐ – শেষ হোক্ তো !” আমি আবার বলেছিলাম (চরম অজ্ঞানী, অপরিণামদর্শী, মহামূর্খ আমি) – ” ন’কাকা ! তাহলে এই সুযোগে নতুন কোন লেখা শুরু করে দিন !” উনি বলেছিলেন – ” সে হবে ! তেমন সময়-সুযোগ পেলে দেখা যাবে ৷ এখন ওই গুলোই ছাপা হোক তো ! এখন তো দেখছো_সব সংখ্যায় এই লেখা ছাপাও হচ্ছে না (সেই সময় চরৈবেতি পত্রিকার কোন একটি সংখ্যায় ন’কাকার লেখা ছাপা হয় নি) – এবার দেখবে একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে । আমিও আর ভেতর থেকে লেখার তেমন প্রেরণা পাচ্ছি না !” ……. [ক্রমশঃ]