গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত ভিখারিদের রাস্তাঘাটে দেখতেন– উনি তাদেরকে ওনার পকেটে টাকা পয়সা (ডলার) থাকলে সাধ্যমতো দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করতেন ! উনি বলেছিলেন – ” উন্নত দেশগুলোতে দেখেছিলাম বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাই সবচাইতে একা , নিঃসঙ্গ ! ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় স্নেহ , প্রেম , প্রীতি , ভালোবাসা এগুলি রয়েছে , তাছাড়া পারিবারিক এবং আত্মীয়তার একটা বন্ধন রয়েছে – বার্ধক্যে মানুষের এগুলি সাথী হয় – বাঁচার সাহারা হয় । এখন অবশ্য যদিও বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা এদেশেও বাড়ছে – তবুও এখানে জনসংখ্যার বিচারে তার সংখ্যা খুবই নগণ্য ! কিন্তু ওদেশে এই সংখ্যাটাই বেশি – বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পারিবারিক সম্পর্ক এখনও রয়েছে , এমন সংখ্যা হাতে গুনে বলা যায় !”
তবে গুরু মহারাজ এই প্রসঙ্গে আরও বলেছিলেন – ” ওখানে এই ধরনের সাহায্যকামী মহিলা বা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই প্রতারক দলের সদস্য বা সদস্যা ! তোমার সহানুভূতির সুযোগ নিয়ে তোমাকে Exploit করবে! একবার ভূমধ্যসাগরের তীরে আমি কয়েকজন ইউরোপীয় ভক্তদের সাথে ঘুরছি । হঠাৎ এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা আমাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে তার নানান দুরবস্থার কথা বলতে শুরু করল । আমি তাকে কিছু সাহায্য করতেই – সে আমাকে তার কি কি প্রয়োজন , তার কতটা অভাব , কেন তার আরও অর্থের প্রয়োজন – এসব বোঝাতে লাগলো এবং আমাকে বারবার অনুরোধ জানাতে লাগলো যে একটু পাশেই তার আস্তানা – আমি যেন তার ওখানে গিয়ে নিজের চোখে সবকিছু দেখে আসি ! ওই ভদ্র মহিলার সাথে আমার দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন দেখেই ইউরোপীয় ভক্তরা এগিয়ে এসে আমাকে টেনে নিয়ে অন্য দিকে চলে গেল ! ওরা বলল – ” ওই ভদ্রমহিলা একজন Pimp ! এই Sea-beach -এ এই ধরনের অনেকে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে এবং তারা বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে নানান সুযোগ-সুবিধা আদায় করে ! এছাড়াও ওদের দলবল রয়েছে – যদি একবার কাউকে ওদের ডেরায় নিয়ে যেতে পারে , সেখানেই ওর দলবল আপনাকে সমস্যায় ফেলে দেবে ৷” আমি ওদের বললাম – ” দ্যাখো ! কোন নারী চোখের জল ফেললে আমার কোনো বুদ্ধি আর কাজ করে না ! এক্ষেত্রে আমি অসহায় !”
তখন ওরা আমাকে বলল একটা ঘটনার কথা – কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া আমাদের এক ইতালীয় বন্ধুর দুর্দশার ঘটনা ! বেচারা সন্ধ্যার দিকে ওই রকমই এক Sea-beach -এ বসে বসে সমুদ্রের শোভা দেখছিল , এমন সময় একটি মহিলা এসে ওকে তার জীবনে নানান অসুবিধা ও অভাবের কথা জানিয়ে ওর সাথে আলাপ জমিয়ে ফেলেছিল ! কিছুক্ষণ হাসি-গল্প চলার পর ওই যুবক ছেলেটিকে অন্যরকম একটু প্রস্তাব দিয়ে Beach -এর একপাশে যেখানে আলো অপেক্ষাকৃত কম বা নির্জনতা বেশি সেদিকে নিয়ে যেতে থাকে !! হঠাৎ করে তিন-চারজন যুবক অস্ত্র হাতে সেখানে চলে আসতেই মেয়েটি তখন তার আপন মূর্তি ধারণ করে এবং ওই যুবক গুলির সাথে একজোট হয়ে ওর সবকিছু কেড়ে-কুরে নেয় ! এমনকি আমাদের পরিচিত ওই ছেলেটির জামা-প্যান্টও কেড়ে নিয়েছিল ৷ সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় ওই ছেলেটি হোটেলের রুমে ফিরবে কি করে – তা জানালে ওই প্রতারকের দল ওর দিকে একটা খবরের কাগজ বা Paper ছুঁড়ে দিয়ে চলে যায় ! ফলে ছেলেটিকে কোনক্রমে কোমরে ওই Paper জড়িয়ে হোটেলের রুমে ফিরতে হয়েছিল !”
এইসব ঘটনা বলে গুরু মহারাজও হাসছিলেন – সিটিং-এ উপস্থিত জনেরাও খুব হাসছিল ৷ এইবার গুরু মহারাজ অতীত ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছিলেন ৷ বলেছিলেন – ” জানো ! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর খুবই সৌখিন ব্যক্তি ছিলেন । সব সময় ভীষণ ধোপদুরস্ত-ফিটফাট থাকতেন , আর দেখতেও খুব সুশ্রী ছিলেন – তার উপর জমিদার , তখনকার দিনে জাহাজের ব্যবসা এবং অন্যান্য ব্যবসাও ছিল ! তখনকার দিনে উনি-ই ছিলেন একমাত্র ভারতীয় যিনি বিনা বাধায় ‘বাকিংহাম প্যালেসে’র অন্দরে ঢুকে যেতে পারতেন । “প্রিন্স” উপাধি-টা তো এমনি এমনি পাননি !! ঐসব উপাধি ওদেরই দেওয়া!!
দ্বারকানাথের পোষাক_পরিচ্ছদও ছিল gorgeous!! তার লম্বা বহুমুল্য পোষাকে সোনার জরি দেওয়া থাকত – এমনকি তিনি যে জুতো পড়তেন সেটাতেও সোনার জরির কাজ ! এ হেন প্রিন্স যখন ব্যবসার কাজে বা অন্যান্য কাজে ইংল্যান্ডের বন্দরে জাহাজ থেকে মাটিতে পা রাখতেন (তখন ভারত থেকে ইংল্যান্ড যাবার জন্য জলপথে জাহাজ-ই একমাত্র মাধ্যম ছিল) , তখন বন্দরে অনেক ভিখারি কিছু পাবার প্রত্যাশায় দাঁড়িয়ে থাকতো ! প্রিন্স দ্বারকানাথ জাহাজ থেকে নেমেই তার সোনা বাঁধানো সুদৃশ্য ছড়ি হাতে হাঁটতে হাঁটতে লম্বা জরির পোশাকের পকেট থেকে সোনার ছোট ছোট Coin বের করে বিলোতে বিলোতে এগিয়ে যেতেন! ওই সব বন্দরের মানুষজন দ্বারকানাথের এইরকম `রহিসি` আচরণ দেখে বিস্মিত হোত এবং ভাবতো ভারতবর্ষ দেশটি থেকে আসা এই ব্যক্তি বোধয় বিরাট রাজা-বাদশা কেউ একটা হবে ! সাধে কি দ্বারকানাথ ইংল্যান্ডের রাজ অন্তঃপুরে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন!!
তবে ঐ রকম ‘রহিসি’ দেখাতে গিয়েই ওনার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছিল_শেষটায় উনি অনেক দেনার দায়ে পড়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওনার ছেলে দেবেন্দ্র ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের বাবা) ব্যবসার ভার নিয়ে সমস্ত ধার শোধ করে দিয়েছিলেন।
যাইহোক, এরপর আর একজনের কথাও গুরুমহারাজ বলেছিলেন। ইনিও ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেই অদ্ভুত আচরন করতেন_এই ব্যক্তির নাম ছিল অরবিন্দ ঘোষ, হ্যাঁ _ঠিকই ভাবছেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। উনি যখন পড়াশোনার জন্য বা অন্য কাজে ইংল্যান্ডে যেতেন, তখন উনি রাস্তায় জুতোপালিশ-ওয়ালা দেখতে পেলেই _তার সাথে বেশি পয়সা দিয়ে contract করে নিতেন, যাতে জুতো পালিশ করার সময় ঐ মুচি তাঁর জুতোসুদ্ধ পা কোলের উপর রেখে বা বুকের সামনে রেখে পালিশ করে!! এটা উনি ইচ্ছা করে এটা করতেন_কারন উনি ভাবতেন _’পরাধীন ভারতবর্ষে ইংরেজরা ভারতীয়দেরকে চরম লান্ছনা, অপমান, অত্যাচার, শোষন করে যাচ্ছে _তাদের প্রতি ওনার মনে এত ঘৃনা ছিল যে উনি ভাবতেন, এখানে অর্থাৎ ইংল্যান্ডে এসে উনি অন্ততঃ একজনের শরীরে জুতোসমেত পা তুলে দিতে পেরেছেন!! একজন দেশপ্রেমিকের ছোটবেলার আচরন দেখেই তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে ধারণা করা যায়!! (ক্রমশঃ)
তবে গুরু মহারাজ এই প্রসঙ্গে আরও বলেছিলেন – ” ওখানে এই ধরনের সাহায্যকামী মহিলা বা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই প্রতারক দলের সদস্য বা সদস্যা ! তোমার সহানুভূতির সুযোগ নিয়ে তোমাকে Exploit করবে! একবার ভূমধ্যসাগরের তীরে আমি কয়েকজন ইউরোপীয় ভক্তদের সাথে ঘুরছি । হঠাৎ এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা আমাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে তার নানান দুরবস্থার কথা বলতে শুরু করল । আমি তাকে কিছু সাহায্য করতেই – সে আমাকে তার কি কি প্রয়োজন , তার কতটা অভাব , কেন তার আরও অর্থের প্রয়োজন – এসব বোঝাতে লাগলো এবং আমাকে বারবার অনুরোধ জানাতে লাগলো যে একটু পাশেই তার আস্তানা – আমি যেন তার ওখানে গিয়ে নিজের চোখে সবকিছু দেখে আসি ! ওই ভদ্র মহিলার সাথে আমার দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন দেখেই ইউরোপীয় ভক্তরা এগিয়ে এসে আমাকে টেনে নিয়ে অন্য দিকে চলে গেল ! ওরা বলল – ” ওই ভদ্রমহিলা একজন Pimp ! এই Sea-beach -এ এই ধরনের অনেকে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে এবং তারা বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে নানান সুযোগ-সুবিধা আদায় করে ! এছাড়াও ওদের দলবল রয়েছে – যদি একবার কাউকে ওদের ডেরায় নিয়ে যেতে পারে , সেখানেই ওর দলবল আপনাকে সমস্যায় ফেলে দেবে ৷” আমি ওদের বললাম – ” দ্যাখো ! কোন নারী চোখের জল ফেললে আমার কোনো বুদ্ধি আর কাজ করে না ! এক্ষেত্রে আমি অসহায় !”
তখন ওরা আমাকে বলল একটা ঘটনার কথা – কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া আমাদের এক ইতালীয় বন্ধুর দুর্দশার ঘটনা ! বেচারা সন্ধ্যার দিকে ওই রকমই এক Sea-beach -এ বসে বসে সমুদ্রের শোভা দেখছিল , এমন সময় একটি মহিলা এসে ওকে তার জীবনে নানান অসুবিধা ও অভাবের কথা জানিয়ে ওর সাথে আলাপ জমিয়ে ফেলেছিল ! কিছুক্ষণ হাসি-গল্প চলার পর ওই যুবক ছেলেটিকে অন্যরকম একটু প্রস্তাব দিয়ে Beach -এর একপাশে যেখানে আলো অপেক্ষাকৃত কম বা নির্জনতা বেশি সেদিকে নিয়ে যেতে থাকে !! হঠাৎ করে তিন-চারজন যুবক অস্ত্র হাতে সেখানে চলে আসতেই মেয়েটি তখন তার আপন মূর্তি ধারণ করে এবং ওই যুবক গুলির সাথে একজোট হয়ে ওর সবকিছু কেড়ে-কুরে নেয় ! এমনকি আমাদের পরিচিত ওই ছেলেটির জামা-প্যান্টও কেড়ে নিয়েছিল ৷ সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় ওই ছেলেটি হোটেলের রুমে ফিরবে কি করে – তা জানালে ওই প্রতারকের দল ওর দিকে একটা খবরের কাগজ বা Paper ছুঁড়ে দিয়ে চলে যায় ! ফলে ছেলেটিকে কোনক্রমে কোমরে ওই Paper জড়িয়ে হোটেলের রুমে ফিরতে হয়েছিল !”
এইসব ঘটনা বলে গুরু মহারাজও হাসছিলেন – সিটিং-এ উপস্থিত জনেরাও খুব হাসছিল ৷ এইবার গুরু মহারাজ অতীত ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছিলেন ৷ বলেছিলেন – ” জানো ! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর খুবই সৌখিন ব্যক্তি ছিলেন । সব সময় ভীষণ ধোপদুরস্ত-ফিটফাট থাকতেন , আর দেখতেও খুব সুশ্রী ছিলেন – তার উপর জমিদার , তখনকার দিনে জাহাজের ব্যবসা এবং অন্যান্য ব্যবসাও ছিল ! তখনকার দিনে উনি-ই ছিলেন একমাত্র ভারতীয় যিনি বিনা বাধায় ‘বাকিংহাম প্যালেসে’র অন্দরে ঢুকে যেতে পারতেন । “প্রিন্স” উপাধি-টা তো এমনি এমনি পাননি !! ঐসব উপাধি ওদেরই দেওয়া!!
দ্বারকানাথের পোষাক_পরিচ্ছদও ছিল gorgeous!! তার লম্বা বহুমুল্য পোষাকে সোনার জরি দেওয়া থাকত – এমনকি তিনি যে জুতো পড়তেন সেটাতেও সোনার জরির কাজ ! এ হেন প্রিন্স যখন ব্যবসার কাজে বা অন্যান্য কাজে ইংল্যান্ডের বন্দরে জাহাজ থেকে মাটিতে পা রাখতেন (তখন ভারত থেকে ইংল্যান্ড যাবার জন্য জলপথে জাহাজ-ই একমাত্র মাধ্যম ছিল) , তখন বন্দরে অনেক ভিখারি কিছু পাবার প্রত্যাশায় দাঁড়িয়ে থাকতো ! প্রিন্স দ্বারকানাথ জাহাজ থেকে নেমেই তার সোনা বাঁধানো সুদৃশ্য ছড়ি হাতে হাঁটতে হাঁটতে লম্বা জরির পোশাকের পকেট থেকে সোনার ছোট ছোট Coin বের করে বিলোতে বিলোতে এগিয়ে যেতেন! ওই সব বন্দরের মানুষজন দ্বারকানাথের এইরকম `রহিসি` আচরণ দেখে বিস্মিত হোত এবং ভাবতো ভারতবর্ষ দেশটি থেকে আসা এই ব্যক্তি বোধয় বিরাট রাজা-বাদশা কেউ একটা হবে ! সাধে কি দ্বারকানাথ ইংল্যান্ডের রাজ অন্তঃপুরে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন!!
তবে ঐ রকম ‘রহিসি’ দেখাতে গিয়েই ওনার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছিল_শেষটায় উনি অনেক দেনার দায়ে পড়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওনার ছেলে দেবেন্দ্র ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের বাবা) ব্যবসার ভার নিয়ে সমস্ত ধার শোধ করে দিয়েছিলেন।
যাইহোক, এরপর আর একজনের কথাও গুরুমহারাজ বলেছিলেন। ইনিও ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেই অদ্ভুত আচরন করতেন_এই ব্যক্তির নাম ছিল অরবিন্দ ঘোষ, হ্যাঁ _ঠিকই ভাবছেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। উনি যখন পড়াশোনার জন্য বা অন্য কাজে ইংল্যান্ডে যেতেন, তখন উনি রাস্তায় জুতোপালিশ-ওয়ালা দেখতে পেলেই _তার সাথে বেশি পয়সা দিয়ে contract করে নিতেন, যাতে জুতো পালিশ করার সময় ঐ মুচি তাঁর জুতোসুদ্ধ পা কোলের উপর রেখে বা বুকের সামনে রেখে পালিশ করে!! এটা উনি ইচ্ছা করে এটা করতেন_কারন উনি ভাবতেন _’পরাধীন ভারতবর্ষে ইংরেজরা ভারতীয়দেরকে চরম লান্ছনা, অপমান, অত্যাচার, শোষন করে যাচ্ছে _তাদের প্রতি ওনার মনে এত ঘৃনা ছিল যে উনি ভাবতেন, এখানে অর্থাৎ ইংল্যান্ডে এসে উনি অন্ততঃ একজনের শরীরে জুতোসমেত পা তুলে দিতে পেরেছেন!! একজন দেশপ্রেমিকের ছোটবেলার আচরন দেখেই তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে ধারণা করা যায়!! (ক্রমশঃ)