গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ ইউরোপ পরিভ্রমণ কালে একবার জাহাজে করে গ্রীস , ক্রীট ইত্যাদি দেশগুলি যাচ্ছিলেন। সেখানে যাবার সময় জাহাজের ডেকে একদল আমেরিকান যুবক-যুবতীর সাথে ওনার সাক্ষাৎ হয়েছিল , যারা তাদের উচ্ছলতা-প্রাণচঞ্চলতার জন্য জাহাজের বেশিরভাগ যাত্রীরই নজর কেড়েছিল – কিন্তু ওই ছেলে-মেয়েগুলি লক্ষ্য করেছিল যে ,ঐ জাহাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন স্বামী পরমানন্দ, যিনি এদের প্রতি কোন রকম interest দেখান নি ! Practically কোন দিকেই যেন তাঁর কোন নজর ছিল না। তাই একদিন পর ওরা নিজেরাই গুরু মহারাজের সাথে আলাপ করতে জাহাজের ডেকে যেখানে উনি বসেছিলেন সেখানে চলে গিয়েছিল এবং ওনাকে উত্যক্ত করতে গিয়ে নিজেরাই ওনার কথার জাদুতে বশ মানা প্রাণীর ন্যায় ওনার চারিপাশে চুপ করে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছিল !
ওই জাহাজের ডেকেই সেদিন দেড় থেকে দু-ঘন্টার একটা সৎসঙ্গ (Sitting) হয়ে গিয়েছিল যেটা ছিল “ঐ ছেলেমেয়েগুলির সাথে গুরুমহারাজের জিজ্ঞাসা উত্তরের আসর ! ওই ছেলেমেয়ে গুলি ভারতবর্ষের প্রাচীনত্ব , ওখানকার আদর্শ বা উন্নত চরিত্রসমূহ যেগুলি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং পুরুষানুক্রমে কিভাবে মা-ঠাকুমা-ঠাকুরদার মুখে মুখে পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরপুরুষে সেইগুলি সঞ্চারিত হয় _এসব কথা বলেছিলেন! তাছাড়াও গৃহ-ই যে মানুষের মানবিক গুণগুলির বিকাশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, আর তা শিশু। অবস্থা থেকেই ছেলেমেয়েরা বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে লাভ করতে হয় – এইসব কথা গুরু মহারাজ ওদেরকে বোঝাচ্ছিলেন ।
এরপর গুরুমহারাজ আমেরিকান Culture-এর সাথে ভারতীয় Culture-এর কি পার্থক্য , কেন পার্থক্য এগুলোও ওদেরকে বুঝিয়ে বলে দিচ্ছিলেন । উনি আমেরিকার (USA) নবীনত্বের ইতিহাস ওদেরকে বলেছিলেন যে , – ” মাত্র কয়েকশো বছর আগে জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে USA-এর নতুন করে জন্ম হয় । এরপর ওখানকার আদিম অধিবাসীদের সম্পূর্ণরূপে সড়িয়ে ফেলে (মেরে দিয়েছিল, কারণ পরবর্তীতে কোন রেড ইন্ডিয়ান বা অন্য আদি বাসিন্দাদের পাওয়াই যায় না) ধীরে ধীরে উত্তর আমেরিকার এই রাষ্ট্রটি(USA) বিস্তার ও বিকাশ লাভ করে ! তাছাড়া আগে থাকতেই বিভিন্ন দেশের বণিকেরা ইউরোপে বাণিজ্যের জন্য যাওয়া আসার পথে এখানে জাহাজ নোঙ্গর করতো ! তাদের অনেকেরই এখানে গোডাউন ছিল , পরে রাষ্ট্রটি স্বাধীনতা ঘোষণা করায় (জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে , ১৯২২ সালে) ব্রিটিশ শাসিত বহু ঔপনিবেশিক দেশসমূহ থেকে বিভিন্নভাবে ব্রিটিশের চোখে অপরাধী ব্যবসায়ীরা বা সামরিক ব্যক্তি , বিভিন্ন দেশের রাজন্যবর্গ এবং সাধারন মানুষ যে কোন ভাবে(জাহাজে, নৌকায়, ভেলায়) দলে দলে এই দেশটিতে এসে ভিড় জমাতে থাকে !
এইভাবে __বর্তমান USA-তে এক জাতি – এক মত বা পথের মানুষ কোনদিনই ছিল না আর তা হওয়া সম্ভবও নয় ! তাই যে দেশের প্রাচীন কোন ইতিহাস নাই , সংস্কৃতি নাই , পরম্পরা নাই , সেখানে আধ্যাত্মিক ভাবে উন্নত আদর্শের সন্ধান করতে যাওয়া বৃথা ! মহাপ্রকৃতির ইচ্ছায় অনেক উচ্চমানের খনিজ সম্পদ এবং তৈল সম্পদ এই দেশটিতে থাকায় এবং দুটি মহাসাগরের বন্দর শহরের সুবিধা থাকায় মাত্র ২০০ – ২৫০ বছরের মধ্যে দেশটি সম্পদে সমৃদ্ধিতে পৃথিবীর শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে – কিন্তু মহা প্রকৃতির দান পেয়ে তাকে অপমান করলে , অবহেলা করলে একদিন তার কাছ থেকে শাস্তি গ্রহণের জন্যেও প্রস্তুত থাকতে হবে ৷”
ছেলেমেয়েগুলি গুরু মহারাজের কথা শেষ হবার পরও অনেকক্ষণ চুপচাপ ছিল ৷ তারপর ওদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে শুধু বলেছিল – ” তোমার শেষের কথাগুলো আমরা অনেকটাই জানি! কিন্তু তোমার দেশ ভারতবর্ষ সম্পর্কে আমরা সত্যিই বিশেষ কিছু জানতাম না! আজ তোমার কাছে শুনে মনে খুবই কৌতূহল জাগছে! আমি নিশ্চয়ই কোন সময় তোমার দেশ ভারতবর্ষে যাব ! সেখানে গিয়ে ওই হতভাগ্য মহিলাদের (এত কিছু শোনার পরও ‘মহীয়সী মহিলা’ বলেনি , বলেছিল ‘that poor girl’) দেখে আসবো , এত আধুনিকতার যুগে, যেখানে মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে চাঁদে বা মহাকাশে চলে গেছে, সেখানে এখনও মহিলারা একটা মাত্র পুরুষের সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দেয় ! – এইটা গিয়ে নিজের চোখে দেখে আসব যে সত্যিই এমন মেয়েও পৃথিবীতে রয়েছে !”
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” নিশ্চয়ই যাবে , ওই রকম মহিলা একটা আধটা নয় – তুমি গেলে দেখবে ভারতবর্ষে এমন নারী হাজারে হাজারে রয়েছে ৷ভারতবর্ষের বেশিরভাগ মহিলাই এই জীবনযাপনকেই আদর্শ মানে!”
তারপর বলেছিলেন _” দ্যাখো , ভালো ‘মা’ না হলে কখনোই ভালো সন্তান হয় না । ভারতবর্ষের ত্যাগী-সংযমী-বৈরাগ্যবতী মায়েদের সংখ্যাধিক্যের কারণেই ওই দেশে প্রচুর মহাপুরুষেরা জন্ম নিতে পারে! মহাপুরুষদের জন্মের ক্ষেত্রে পিতার ভূমিকা অনেকটাই কম, কিন্তু মায়ের আধারটি পবিত্র হোতেই হবে! এটি না হোলে কখনোই কোন মহাপুরুষের জন্ম হয় না! আর শুধু সুসন্তান_ ধারন বা প্রতিপালনই নয় _তাকে দেবতা বা ঋষি বানাতে পারেন একমাত্র মহিয়সী মাতা! এইরকম বহু উদাহরণ রয়েছে _প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস ঘাঁটলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। মদালসার কাহিনীতে জানা যায় যে, এই মহিয়সী নারী তার স্বামীর অনুমতিক্রমে পরপর ছয়টি সন্তানকে নিজের জিম্মায় রেখে শিক্ষা দিয়ে _তাদেরকে ঋষিত্ত্বে পরিনত করেছিলেন! শেষের সন্তান অর্থাৎ সপ্তমটিকে রাজামশাই_রানী মদালসার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে শিক্ষালাভের জন্য রানীর থেকে দূরে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন! ফলে ঐ ছেলেটি পরে রাজত্বের ভার নিয়েছিল!! রানীর শিক্ষায় থাকলে _সেও ঋষিত্ত্বে উপনীত হোত!
ভারতের প্রাচীন শাশ্ত্রের আরও একটা ঘটনার উল্লেখ করা যায় _বিশ্বশ্রবা মুনির পুত্র হওয়া সত্ত্বেও রাবন, কুম্ভকর্ন প্রমুখরা রাক্ষসস্বভাবের মানুষ ছিল! কারণ বিশ্বশ্রবার স্ত্রী ছিল রাক্ষসী!একমাত্র বিভীষন পিতার গুন পেয়েছিল বাকি দুটি পুত্রই(রাবন এবং কুম্ভকর্ন) _মায়ের গুনসম্পন্ন হোল। এইভাবেই দেখা যায় সন্তানের পরবর্তী জীবনের স্বভাব-চরিত্র গঠনের উপরেও মায়ের জীবনধারার প্রভাব, তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রভাব, তাঁর শিক্ষাদানের ক্ষমতা ইত্যাদির ভূমিকা অপরিসীম!”
এরপর গুরুমহারাজ ঐ দলের মেয়েগুলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন _”তোমরাও এক একটা ভালো ‘মা’ হয়ে ওঠো! সুসন্তান অর্থাৎ সৎ-ঢরিত্রবান সন্তানকে গর্ভে ধারণ করো এবং সমাজকে একটা ভালো মানুষ উপহার দাও! অহেতুক উশৃঙ্খলতায় যৌবনের অদম্য শক্তির অপচয় করাটা নিছক বোকামি নয় কি? তোমাদের senior – দের দিকে তাকিয়ে দেখলেই তোমরা আমার কথার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবে! (ক্রমশঃ)
ওই জাহাজের ডেকেই সেদিন দেড় থেকে দু-ঘন্টার একটা সৎসঙ্গ (Sitting) হয়ে গিয়েছিল যেটা ছিল “ঐ ছেলেমেয়েগুলির সাথে গুরুমহারাজের জিজ্ঞাসা উত্তরের আসর ! ওই ছেলেমেয়ে গুলি ভারতবর্ষের প্রাচীনত্ব , ওখানকার আদর্শ বা উন্নত চরিত্রসমূহ যেগুলি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং পুরুষানুক্রমে কিভাবে মা-ঠাকুমা-ঠাকুরদার মুখে মুখে পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরপুরুষে সেইগুলি সঞ্চারিত হয় _এসব কথা বলেছিলেন! তাছাড়াও গৃহ-ই যে মানুষের মানবিক গুণগুলির বিকাশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, আর তা শিশু। অবস্থা থেকেই ছেলেমেয়েরা বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে লাভ করতে হয় – এইসব কথা গুরু মহারাজ ওদেরকে বোঝাচ্ছিলেন ।
এরপর গুরুমহারাজ আমেরিকান Culture-এর সাথে ভারতীয় Culture-এর কি পার্থক্য , কেন পার্থক্য এগুলোও ওদেরকে বুঝিয়ে বলে দিচ্ছিলেন । উনি আমেরিকার (USA) নবীনত্বের ইতিহাস ওদেরকে বলেছিলেন যে , – ” মাত্র কয়েকশো বছর আগে জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে USA-এর নতুন করে জন্ম হয় । এরপর ওখানকার আদিম অধিবাসীদের সম্পূর্ণরূপে সড়িয়ে ফেলে (মেরে দিয়েছিল, কারণ পরবর্তীতে কোন রেড ইন্ডিয়ান বা অন্য আদি বাসিন্দাদের পাওয়াই যায় না) ধীরে ধীরে উত্তর আমেরিকার এই রাষ্ট্রটি(USA) বিস্তার ও বিকাশ লাভ করে ! তাছাড়া আগে থাকতেই বিভিন্ন দেশের বণিকেরা ইউরোপে বাণিজ্যের জন্য যাওয়া আসার পথে এখানে জাহাজ নোঙ্গর করতো ! তাদের অনেকেরই এখানে গোডাউন ছিল , পরে রাষ্ট্রটি স্বাধীনতা ঘোষণা করায় (জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে , ১৯২২ সালে) ব্রিটিশ শাসিত বহু ঔপনিবেশিক দেশসমূহ থেকে বিভিন্নভাবে ব্রিটিশের চোখে অপরাধী ব্যবসায়ীরা বা সামরিক ব্যক্তি , বিভিন্ন দেশের রাজন্যবর্গ এবং সাধারন মানুষ যে কোন ভাবে(জাহাজে, নৌকায়, ভেলায়) দলে দলে এই দেশটিতে এসে ভিড় জমাতে থাকে !
এইভাবে __বর্তমান USA-তে এক জাতি – এক মত বা পথের মানুষ কোনদিনই ছিল না আর তা হওয়া সম্ভবও নয় ! তাই যে দেশের প্রাচীন কোন ইতিহাস নাই , সংস্কৃতি নাই , পরম্পরা নাই , সেখানে আধ্যাত্মিক ভাবে উন্নত আদর্শের সন্ধান করতে যাওয়া বৃথা ! মহাপ্রকৃতির ইচ্ছায় অনেক উচ্চমানের খনিজ সম্পদ এবং তৈল সম্পদ এই দেশটিতে থাকায় এবং দুটি মহাসাগরের বন্দর শহরের সুবিধা থাকায় মাত্র ২০০ – ২৫০ বছরের মধ্যে দেশটি সম্পদে সমৃদ্ধিতে পৃথিবীর শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে – কিন্তু মহা প্রকৃতির দান পেয়ে তাকে অপমান করলে , অবহেলা করলে একদিন তার কাছ থেকে শাস্তি গ্রহণের জন্যেও প্রস্তুত থাকতে হবে ৷”
ছেলেমেয়েগুলি গুরু মহারাজের কথা শেষ হবার পরও অনেকক্ষণ চুপচাপ ছিল ৷ তারপর ওদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে শুধু বলেছিল – ” তোমার শেষের কথাগুলো আমরা অনেকটাই জানি! কিন্তু তোমার দেশ ভারতবর্ষ সম্পর্কে আমরা সত্যিই বিশেষ কিছু জানতাম না! আজ তোমার কাছে শুনে মনে খুবই কৌতূহল জাগছে! আমি নিশ্চয়ই কোন সময় তোমার দেশ ভারতবর্ষে যাব ! সেখানে গিয়ে ওই হতভাগ্য মহিলাদের (এত কিছু শোনার পরও ‘মহীয়সী মহিলা’ বলেনি , বলেছিল ‘that poor girl’) দেখে আসবো , এত আধুনিকতার যুগে, যেখানে মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে চাঁদে বা মহাকাশে চলে গেছে, সেখানে এখনও মহিলারা একটা মাত্র পুরুষের সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দেয় ! – এইটা গিয়ে নিজের চোখে দেখে আসব যে সত্যিই এমন মেয়েও পৃথিবীতে রয়েছে !”
গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” নিশ্চয়ই যাবে , ওই রকম মহিলা একটা আধটা নয় – তুমি গেলে দেখবে ভারতবর্ষে এমন নারী হাজারে হাজারে রয়েছে ৷ভারতবর্ষের বেশিরভাগ মহিলাই এই জীবনযাপনকেই আদর্শ মানে!”
তারপর বলেছিলেন _” দ্যাখো , ভালো ‘মা’ না হলে কখনোই ভালো সন্তান হয় না । ভারতবর্ষের ত্যাগী-সংযমী-বৈরাগ্যবতী মায়েদের সংখ্যাধিক্যের কারণেই ওই দেশে প্রচুর মহাপুরুষেরা জন্ম নিতে পারে! মহাপুরুষদের জন্মের ক্ষেত্রে পিতার ভূমিকা অনেকটাই কম, কিন্তু মায়ের আধারটি পবিত্র হোতেই হবে! এটি না হোলে কখনোই কোন মহাপুরুষের জন্ম হয় না! আর শুধু সুসন্তান_ ধারন বা প্রতিপালনই নয় _তাকে দেবতা বা ঋষি বানাতে পারেন একমাত্র মহিয়সী মাতা! এইরকম বহু উদাহরণ রয়েছে _প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস ঘাঁটলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। মদালসার কাহিনীতে জানা যায় যে, এই মহিয়সী নারী তার স্বামীর অনুমতিক্রমে পরপর ছয়টি সন্তানকে নিজের জিম্মায় রেখে শিক্ষা দিয়ে _তাদেরকে ঋষিত্ত্বে পরিনত করেছিলেন! শেষের সন্তান অর্থাৎ সপ্তমটিকে রাজামশাই_রানী মদালসার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে শিক্ষালাভের জন্য রানীর থেকে দূরে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন! ফলে ঐ ছেলেটি পরে রাজত্বের ভার নিয়েছিল!! রানীর শিক্ষায় থাকলে _সেও ঋষিত্ত্বে উপনীত হোত!
ভারতের প্রাচীন শাশ্ত্রের আরও একটা ঘটনার উল্লেখ করা যায় _বিশ্বশ্রবা মুনির পুত্র হওয়া সত্ত্বেও রাবন, কুম্ভকর্ন প্রমুখরা রাক্ষসস্বভাবের মানুষ ছিল! কারণ বিশ্বশ্রবার স্ত্রী ছিল রাক্ষসী!একমাত্র বিভীষন পিতার গুন পেয়েছিল বাকি দুটি পুত্রই(রাবন এবং কুম্ভকর্ন) _মায়ের গুনসম্পন্ন হোল। এইভাবেই দেখা যায় সন্তানের পরবর্তী জীবনের স্বভাব-চরিত্র গঠনের উপরেও মায়ের জীবনধারার প্রভাব, তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রভাব, তাঁর শিক্ষাদানের ক্ষমতা ইত্যাদির ভূমিকা অপরিসীম!”
এরপর গুরুমহারাজ ঐ দলের মেয়েগুলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন _”তোমরাও এক একটা ভালো ‘মা’ হয়ে ওঠো! সুসন্তান অর্থাৎ সৎ-ঢরিত্রবান সন্তানকে গর্ভে ধারণ করো এবং সমাজকে একটা ভালো মানুষ উপহার দাও! অহেতুক উশৃঙ্খলতায় যৌবনের অদম্য শক্তির অপচয় করাটা নিছক বোকামি নয় কি? তোমাদের senior – দের দিকে তাকিয়ে দেখলেই তোমরা আমার কথার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবে! (ক্রমশঃ)