গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের মানব বিবর্তন বা মানব সমাজের বিবর্তন সম্বন্ধীয় আলোচনাগুলি এখানে বলা হচ্ছিল । কিন্তু সেই কথা বলতে গিয়ে আমরা মানুষের Art of Life and Art of Living -এর কথা বলবো বলে ঠিক করেছিলাম, – কিছুটা বলতে শুরু করেছিলাম, Need of life, Necessity of life ও Purpose of life নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কখন যে অনেকটা দূরে চলে এসেছি তা বুঝতেই পারিনি । কিন্তু এখন যেগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলোও গুরু মহারাজেরই আলোচনা – তাই ঘটনার গতিপ্রকৃতি যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে, আমিও সেই পথেই হাঁটছি এবং আপনাদেরকেও সেই পথেই নিয়ে যাচ্ছি । আমরা Need of life, Necessity of life এবং Purpose of life সংক্রান্ত আলোচনাগুলিও করবো কিন্তু সেগুলি পরে হবে – এখন যে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে – এটাকেই শেষ করা যাক্ !
আমরা আগের দিন আলোচনা করেছিলাম, ইউরোপে গুরু মহারাজের বলা একটা সাংঘাতিক মহাজাগতিক তত্ত্ব নিয়ে ! যেখানে গুরুমহারাজ বলেছিলেন শুধুমাত্র পৃথিবী গ্রহেই নয়, মঙ্গল এবং শুক্র গ্রহেও প্রাণের বিবর্তন হয়, কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব ? কারণ – পৃথিবী থেকে সূর্যের যে দূরত্ব – একমাত্র সেই নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকা গ্রহতেই প্রাণের স্পন্দন বা অভিবিকাশ সম্ভব – অন্য কোন দূরত্বে থাকা গ্রহগুলিতে নয় ! এইখানেই গুরুমহারাজ সাংঘাতিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি বলেছিলেন ! উনি বলেছিলেন এই পৃথিবীগ্রহের জীব-বিবর্তন এবং মানবের সংবর্তন যখন সম্পূর্ণ হয় – অর্থাৎ এই গ্রহটি যখন Mature হয়ে যায় (বেশিরভাগ মানুষ ই যখন আধ্যাত্মিকভাবে অত্যন্ত উন্নত হয়ে যাবে)– তখনই এই গ্রহটি (পৃথিবী) হঠাৎ করে মঙ্গল বা শুক্র গ্রহের সাথে স্থান বিনিময় করে (একবার মঙ্গলের সাথে এবং পরে আবার সেটি শুক্রের সঙ্গে স্থান বিনিময় করে, তারও পরে শুক্র আবার পৃথিবীর সাথে স্থান বিনিময় করবে ।)। আর যেইমাত্র সেই নতুন গ্রহটি পৃথিবীর অবস্থানে আসে – অর্থাৎ সূর্য থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের কক্ষপথে বিরাজ করতে থাকে, ঠিক তখনই সেইখানে আবার বৃষ্টিপাত হতে থাকে, সমগ্র স্থান জলমগ্ন হয়ে যায় এবং সেখানে আবার প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়ে যায় (গুরুমহারাজ ঠিক ঠিক যে Term টি ব্যবহার করেছিলেন, তা হলো – ” সেই জলের মধ্যে আবার নতুন করে বীজাণু-জীবাণু-কীটানুর লার্ভারা ‘পিরিক্’, ‘পিরিক্’ করে ঘুরে বেড়াতে থাকে।” এইভাবে সেখানে প্রানের স্পন্দন শুরু হয়ে আবার নতুন করে দীর্ঘ জীব বিবর্তনের সূত্রপাত ঘটে।।
এখন কথা হচ্ছে, এই যে বিরাট মহাজাগতিক ঘটনাটা ঘটে – এটা কিভাবে ঘটে এবং এর ফল কি হয় ? গুরুমহারাজ ওদেরকে বলেছিলেন – এই ঘটনাটা ‘চকিতে’ ঘটে যায় ! চকিতে মানে_ Fraction of a second !
পুরো এই সৌরমন্ডলটি পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণ টানের ফলে একটা ব্যালেন্স অবস্থায় রয়েছে এবং যে কোন টান , কোন কারণে ব্যাহত হলেই অন্য টান গুলির-ও ব্যত্যয় ঘটবে আর প্রত্যেকে কে কোন দিকে ছিটকে চলে যাবে – এটাই হওয়া উচিত ! কিন্তু সেটা ঘটে না ! এত দ্রুত দুটি গ্রহ পরস্পরের স্থান বিনিময় করে নেয় যে, বাকি গ্রহগুলির কক্ষপথে ঘূর্ণন বন্ধ হবার বা পারস্পারিক টান নষ্ট হবার বিশেষ কোন সময়-ই পায় না ! তবে যে গ্রহ দুটি স্থান বিনিময় করে, তাদের নিজেদের অভ্যন্তরে বিশাল পরিবর্তন হয় । পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা হয়_এর সমস্ত জীবের প্রাণস্পন্দন সহসা স্তব্ধ হয়ে যায় – এখানকার জল, মাটি, বাতাস ইত্যাদি সমস্ত উপাদানগুলির Sudden change হয়ে অন্যরকম অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং যে গ্রহটি (শুক্র অথবা মঙ্গল) পৃথিবীর জায়গায় এল তার উপাদানগুলির মধ্যেও ব্যাপক রদবদল হতে থাকে! ধীরে ধীরে সেখানে বায়ুমণ্ডল তৈরি হতে থাকে এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায় অর্থাৎ প্রাণধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বাতাবরণ প্রস্তুত হয়ে যায় ।৷ এইভাবেই একটা বিশাল মহাজাগতিক ঘটনা নিঃশব্দে ঘটে যায় !
এমন কত শত ঘটনা-ই যে মহাবিশ্বে সতত ঘটে চলেছে – তার হিসাব কোন জড়বিজ্ঞানীর পক্ষেই নির্ণয় করা সম্ভব নয় । মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়কর ঘটনাসমূহের খবর একটু-আধটু জানতে পেরেই মহাকাশ গবেষণাকারীরা হতবাক হয়ে যায় ! একমাত্র ব্রহ্মজ্ঞানী ব্যক্তিরাই সমস্ত রহস্য জেনে চুপ মেরে যান। কাউকে সবকথা বলতেও পারেন না_আর বলতে চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ তাঁদের কথাগুলি সব বুঝতেও পারে না।।
গুরু মহারাজ ইউরোপীয় ভক্তদের কাছে আরও বলেছিলেন – বর্তমানের এই যে পৃথিবীগ্রহের যথার্থ বয়স বিজ্ঞানীরা যেভাবেই গণনা করে বের করুক না কেন – এই যে বারবার স্থান পরিবর্তনের রহস্য এবং এরফলে এই তিন গ্রহের পর্যায়ক্রমে বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি, জল সৃষ্টি এবং জীবন সৃষ্টির রহস্য, আর সর্বোপরি পুনরায় স্থান পরিবর্তনের ফলে সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার রহস্য__সেগুলি কি করে বের করবে ? কারণ এক একবার এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা ঘটার জন্য সময়ের ব্যবধান থাকে বেশ কয়েক কোটি বছর ! এখনকার তথাকথিত সভ্য, শিক্ষিত, উন্নত, বিজ্ঞানমনস্ক ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত পন্ডিতমহল_ মাত্র পাঁচ হাজার বছর আগের ইতিহাস (হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, মেহেরগড় ইত্যাদি) জানে না বা বলা ভালো জানতে পারছে না। তাহলে তারা লক্ষ লক্ষ বছরের বা কোটি কোটি বছরের ইতিহাস কি বলবে ? হয়তো কিছু বলবে, কিন্তু যা বলবে – তা তো hypothesis, কিছু calculation কষে অংক মিলিয়ে দিলেই কি Reality কে জানা যায় ?
যাইহোক, তাহলে এই সিদ্ধান্তে আসা গেল যে, বর্তমানের এই পৃথিবী যখন সম্পূর্ণভাবে Mature হবে – তারপরে-ই ওই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে, এবং হঠাৎ করে নতুন পরিবেশে গিয়ে এখানকার সমস্ত প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে –, আর নতুন কোন গ্রহ এই কক্ষপথে স্থাপিত হবে এবং সেখানে আবার নতুন করে প্রাণের অভিবিকাশের যাত্রা শুরু হবে ! এইরকম টা কেন হবে ? কারন_ এটাই মায়ের লীলা ! Which is eternal but beginingless !
তাহলে বন্ধু ! কি হবে ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র বুদ্ধি খাটিয়ে ? তুমি শ্বেতাঙ্গ অথবা কৃষ্ণাঙ্গ, তুমি হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান অথবা অন্যকিছু, তুমি ধনী দেশের সভ্য – ক্ষমতাশালী দেশের সভ্য অথবা অনুন্নত দেশের, তুমি উচ্চশিক্ষিত কিম্বা অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত– কিন্তু এগুলির কোনটা দিয়ে কি বিশ্ব-বিরাটের যে বিশাল লীলা, তার কি এতটুকু পরিমাপ করা যায় ? কোনরকম কূলকিনারা করা যায় ? – যায় না ! এইজন্যেই গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ) একবার পৃথিবীর বর্তমান অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন – “জানিস তো ! এই পৃথিবী গ্রহের বাইরে থেকে যদি উন্নত চেতনার কেউ বর্তমান পৃথিবীর অশান্তি, মারামারি, যুদ্ধ, হিংসা – এগুলো দেখে , তাহলে তার মনোজগতে এখানকার অধিবাসীদের জন্য করুণা জাগবে ! সে ভাববে – এরা কি ছেলেমানুষ (অনুন্নত চেতনাসম্পন্ন)! এখানকার বাচ্চা ছেলেরা যেমন তুচ্ছ-তুচ্ছ জিনিস নিয়ে নিজেরা মারামারি করে –অধ্যাত্ন বিজ্ঞানীদের চোখে পৃথিবীর তথাকথিত উন্নত মানবদের হিংসা-মারামারিও ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছুই নয় ! … [ক্রমশঃ]
আমরা আগের দিন আলোচনা করেছিলাম, ইউরোপে গুরু মহারাজের বলা একটা সাংঘাতিক মহাজাগতিক তত্ত্ব নিয়ে ! যেখানে গুরুমহারাজ বলেছিলেন শুধুমাত্র পৃথিবী গ্রহেই নয়, মঙ্গল এবং শুক্র গ্রহেও প্রাণের বিবর্তন হয়, কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব ? কারণ – পৃথিবী থেকে সূর্যের যে দূরত্ব – একমাত্র সেই নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকা গ্রহতেই প্রাণের স্পন্দন বা অভিবিকাশ সম্ভব – অন্য কোন দূরত্বে থাকা গ্রহগুলিতে নয় ! এইখানেই গুরুমহারাজ সাংঘাতিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি বলেছিলেন ! উনি বলেছিলেন এই পৃথিবীগ্রহের জীব-বিবর্তন এবং মানবের সংবর্তন যখন সম্পূর্ণ হয় – অর্থাৎ এই গ্রহটি যখন Mature হয়ে যায় (বেশিরভাগ মানুষ ই যখন আধ্যাত্মিকভাবে অত্যন্ত উন্নত হয়ে যাবে)– তখনই এই গ্রহটি (পৃথিবী) হঠাৎ করে মঙ্গল বা শুক্র গ্রহের সাথে স্থান বিনিময় করে (একবার মঙ্গলের সাথে এবং পরে আবার সেটি শুক্রের সঙ্গে স্থান বিনিময় করে, তারও পরে শুক্র আবার পৃথিবীর সাথে স্থান বিনিময় করবে ।)। আর যেইমাত্র সেই নতুন গ্রহটি পৃথিবীর অবস্থানে আসে – অর্থাৎ সূর্য থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের কক্ষপথে বিরাজ করতে থাকে, ঠিক তখনই সেইখানে আবার বৃষ্টিপাত হতে থাকে, সমগ্র স্থান জলমগ্ন হয়ে যায় এবং সেখানে আবার প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়ে যায় (গুরুমহারাজ ঠিক ঠিক যে Term টি ব্যবহার করেছিলেন, তা হলো – ” সেই জলের মধ্যে আবার নতুন করে বীজাণু-জীবাণু-কীটানুর লার্ভারা ‘পিরিক্’, ‘পিরিক্’ করে ঘুরে বেড়াতে থাকে।” এইভাবে সেখানে প্রানের স্পন্দন শুরু হয়ে আবার নতুন করে দীর্ঘ জীব বিবর্তনের সূত্রপাত ঘটে।।
এখন কথা হচ্ছে, এই যে বিরাট মহাজাগতিক ঘটনাটা ঘটে – এটা কিভাবে ঘটে এবং এর ফল কি হয় ? গুরুমহারাজ ওদেরকে বলেছিলেন – এই ঘটনাটা ‘চকিতে’ ঘটে যায় ! চকিতে মানে_ Fraction of a second !
পুরো এই সৌরমন্ডলটি পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণ টানের ফলে একটা ব্যালেন্স অবস্থায় রয়েছে এবং যে কোন টান , কোন কারণে ব্যাহত হলেই অন্য টান গুলির-ও ব্যত্যয় ঘটবে আর প্রত্যেকে কে কোন দিকে ছিটকে চলে যাবে – এটাই হওয়া উচিত ! কিন্তু সেটা ঘটে না ! এত দ্রুত দুটি গ্রহ পরস্পরের স্থান বিনিময় করে নেয় যে, বাকি গ্রহগুলির কক্ষপথে ঘূর্ণন বন্ধ হবার বা পারস্পারিক টান নষ্ট হবার বিশেষ কোন সময়-ই পায় না ! তবে যে গ্রহ দুটি স্থান বিনিময় করে, তাদের নিজেদের অভ্যন্তরে বিশাল পরিবর্তন হয় । পৃথিবীর ক্ষেত্রে যেটা হয়_এর সমস্ত জীবের প্রাণস্পন্দন সহসা স্তব্ধ হয়ে যায় – এখানকার জল, মাটি, বাতাস ইত্যাদি সমস্ত উপাদানগুলির Sudden change হয়ে অন্যরকম অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং যে গ্রহটি (শুক্র অথবা মঙ্গল) পৃথিবীর জায়গায় এল তার উপাদানগুলির মধ্যেও ব্যাপক রদবদল হতে থাকে! ধীরে ধীরে সেখানে বায়ুমণ্ডল তৈরি হতে থাকে এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায় অর্থাৎ প্রাণধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বাতাবরণ প্রস্তুত হয়ে যায় ।৷ এইভাবেই একটা বিশাল মহাজাগতিক ঘটনা নিঃশব্দে ঘটে যায় !
এমন কত শত ঘটনা-ই যে মহাবিশ্বে সতত ঘটে চলেছে – তার হিসাব কোন জড়বিজ্ঞানীর পক্ষেই নির্ণয় করা সম্ভব নয় । মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়কর ঘটনাসমূহের খবর একটু-আধটু জানতে পেরেই মহাকাশ গবেষণাকারীরা হতবাক হয়ে যায় ! একমাত্র ব্রহ্মজ্ঞানী ব্যক্তিরাই সমস্ত রহস্য জেনে চুপ মেরে যান। কাউকে সবকথা বলতেও পারেন না_আর বলতে চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ তাঁদের কথাগুলি সব বুঝতেও পারে না।।
গুরু মহারাজ ইউরোপীয় ভক্তদের কাছে আরও বলেছিলেন – বর্তমানের এই যে পৃথিবীগ্রহের যথার্থ বয়স বিজ্ঞানীরা যেভাবেই গণনা করে বের করুক না কেন – এই যে বারবার স্থান পরিবর্তনের রহস্য এবং এরফলে এই তিন গ্রহের পর্যায়ক্রমে বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি, জল সৃষ্টি এবং জীবন সৃষ্টির রহস্য, আর সর্বোপরি পুনরায় স্থান পরিবর্তনের ফলে সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার রহস্য__সেগুলি কি করে বের করবে ? কারণ এক একবার এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা ঘটার জন্য সময়ের ব্যবধান থাকে বেশ কয়েক কোটি বছর ! এখনকার তথাকথিত সভ্য, শিক্ষিত, উন্নত, বিজ্ঞানমনস্ক ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত পন্ডিতমহল_ মাত্র পাঁচ হাজার বছর আগের ইতিহাস (হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, মেহেরগড় ইত্যাদি) জানে না বা বলা ভালো জানতে পারছে না। তাহলে তারা লক্ষ লক্ষ বছরের বা কোটি কোটি বছরের ইতিহাস কি বলবে ? হয়তো কিছু বলবে, কিন্তু যা বলবে – তা তো hypothesis, কিছু calculation কষে অংক মিলিয়ে দিলেই কি Reality কে জানা যায় ?
যাইহোক, তাহলে এই সিদ্ধান্তে আসা গেল যে, বর্তমানের এই পৃথিবী যখন সম্পূর্ণভাবে Mature হবে – তারপরে-ই ওই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে, এবং হঠাৎ করে নতুন পরিবেশে গিয়ে এখানকার সমস্ত প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে –, আর নতুন কোন গ্রহ এই কক্ষপথে স্থাপিত হবে এবং সেখানে আবার নতুন করে প্রাণের অভিবিকাশের যাত্রা শুরু হবে ! এইরকম টা কেন হবে ? কারন_ এটাই মায়ের লীলা ! Which is eternal but beginingless !
তাহলে বন্ধু ! কি হবে ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র বুদ্ধি খাটিয়ে ? তুমি শ্বেতাঙ্গ অথবা কৃষ্ণাঙ্গ, তুমি হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান অথবা অন্যকিছু, তুমি ধনী দেশের সভ্য – ক্ষমতাশালী দেশের সভ্য অথবা অনুন্নত দেশের, তুমি উচ্চশিক্ষিত কিম্বা অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত– কিন্তু এগুলির কোনটা দিয়ে কি বিশ্ব-বিরাটের যে বিশাল লীলা, তার কি এতটুকু পরিমাপ করা যায় ? কোনরকম কূলকিনারা করা যায় ? – যায় না ! এইজন্যেই গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ) একবার পৃথিবীর বর্তমান অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন – “জানিস তো ! এই পৃথিবী গ্রহের বাইরে থেকে যদি উন্নত চেতনার কেউ বর্তমান পৃথিবীর অশান্তি, মারামারি, যুদ্ধ, হিংসা – এগুলো দেখে , তাহলে তার মনোজগতে এখানকার অধিবাসীদের জন্য করুণা জাগবে ! সে ভাববে – এরা কি ছেলেমানুষ (অনুন্নত চেতনাসম্পন্ন)! এখানকার বাচ্চা ছেলেরা যেমন তুচ্ছ-তুচ্ছ জিনিস নিয়ে নিজেরা মারামারি করে –অধ্যাত্ন বিজ্ঞানীদের চোখে পৃথিবীর তথাকথিত উন্নত মানবদের হিংসা-মারামারিও ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছুই নয় ! … [ক্রমশঃ]