শ্রী শ্রী গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দের আলোচনা সমূহের কিছু অংশ এখানে বলার চেষ্টা করা হচ্ছিল । গুরু মহারাজ মহাজাগতিক বিরাট এক বিস্ময়ের কথা ইউরোপীয় ভক্তদের কাছে বলেছিলেন – সেটাই যতটা সম্ভব পরিষ্কার করে এখানে পরিবেশিত হলো ৷ গুরু মহারাজের বলা এক একটা মনুর অন্ত হওয়ার রহস্য-ও আমরা বুঝতে পারলাম । এইজন্যেই গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন সচ্চিদানন্দ সাগরের কথা । সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম যেন অনন্ত সাগর স্বরূপ আর এক একজন অবতার পুরুষ যেন সেই সচ্চিদানন্দ সাগরের এক একটা ঢেউ ! ভগবান বুদ্ধ যেন সেই মহাসাগরের একটা ঢেউ ! যীশু, মহম্মদ, শ্রীচৈতন্য, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ – সবাই সেই সচ্চিদানন্দ সাগরের-ই এক একটা ঢেউ ! সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম-রূপ সাগর যেমনকার তেমনি থেকে যায় – শুধু সেখান থেকে এক একটা ঢেউ বা তরঙ্গ উত্থিত হয়ে কোন না কোন নাম-রূপ অবলম্বন করে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় বা অনেক কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, কিছু অঞ্চলকে প্লাবিত করে ৷ এইভাবে অবতার পুরুষেরা বড় ঢেউ, অন্যান্য মহাপুরুষেরা ছোট ছোট ঢেউ, আর সাধারণ মানুষেরা (অর্থাৎ আমরা) যেন সেই মহাসমুদ্রের বুকেই উৎপন্ন হওয়া ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বুদবুদ, যারা উৎপন্ন হয়ে সেখানেই তাৎক্ষণিকভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ! যারা দূর থেকে তেমন পৃথকভাবে সকলের দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠতে পারছে না ! যেমন আমরা সাধারণ মানুষেরা _মৃত্যুর পরেই যারা জগতের সবার মনোজগত থেকে হারিয়ে যাচ্ছে !
মানব সভ্যতার ইতিহাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কত শত-সহস্র, কোটি কোটি মানুষ এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল – নির্দিষ্ট সময়কাল শেষ করে তারা আবার কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ! কিন্তু ওই শত-সহস্র, কোটি কোটি মানুষের মধ্যে মানুষের মনোজগতে ক’জন মানুষ ঠাঁই পেয়েছে ? হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন ! কত ধর্মীয় নেতা, কত রাজা, কত সম্রাট, কত সাম্রাজ্য, কত অহংকার, দম্ভ, কত অত্যাচার-অনাচার, কত দুঃখ-লাঞ্ছনা – এই পৃথিবী গ্রহ প্রত্যক্ষ করেছে,– কিন্তু সেসব এখন কই ? এখানকার অর্থাৎ বর্তমানের পৃথিবী হয়তো আবার কিছু ধর্মীয় নেতা, কিছু রাজনেতা বা দেশনেতা (রাজা বা সম্রাট), কিছু দম্ভ-অহংকার, অত্যাচার-অনাচার ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করেছে – কিন্তু এরাও তো সাময়িক, অত্যন্ত ক্ষণিক ! মানবসভ্যতা থেকে আজ পর্যন্ত কোটি কোটি বছরের বিচারে একটা অত্যাচারী সম্রাটের রাজত্বকাল অথবা একজন দেশনেতা বা ধর্মীয়নেতার অনুশাসন কতটুকু ? এক সাগর জলের কাছে যেন এক বিন্দু জল । মহাকালের বুকে এসবের কি মূল্য আছে ? তবে রাজা বা দেশনেতা অথবা শক্তিশালী ধর্মীয় নেতা যদি অত্যাচারী বা অনাচারী হয় – তাহলে সমসাময়িক মানুষেরা বা প্রজারা কষ্ট পায়, নিদারুন অত্যাচারিত হয় – তখন তাদের মনে হয় – ” এই সময় বুঝি আর কোনদিন কাটবে না । এই ভোগান্তি বুঝি চিরকালই রয়ে যাবে, তারা ভোগ করছে আবার তাদের উত্তর পুরুষেরাও ভোগ করবে ৷” – কিন্তু তা তো হবার নয় ! সময়ের চাকা ঘুরে গেলেই সামাজিক অবস্থার-ও পরিবর্তন হয় – মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন হয় ।
এইসব ঘটনা মানব সমাজে বারবার ঘটেছে, ইতিহাসে এর বহু সাক্ষ্য রয়েছে, তাছাড়া পুরাণাদি শাস্ত্র এবং মহাকাব্যগুলির ঘটনা সমূহ পর্যালোচনা করলেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ মেলে । এখনকার কোন কমিউনিস্ট বা ক্যাপিটালিস্ট রাষ্ট্রনেতা অথবা কোনো শক্তিশালী ধর্মীয় নেতার কিছু কিছু সিদ্ধান্তে হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে ; হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ মানুষ কষ্ট পেয়েছে – এইসব কথা যখন গুরু মহারাজকে বলা হতো, তখন গুরুমহারাজ রামায়ণের অন্যতম খলনায়ক চরিত্র রাবন অথবা মহাভারতের এক খলনায়ক চরিত্র দুর্যোধনের উল্লেখ করতেন । বলতেন_”এই দুজনের মতো শক্তির অহংকার পৃথিবী খুবই কম দেখেছে!”
রাবণ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী রাজা, তাছাড়া তার সাধন শক্তিও ছিল, বলা হতো সোনার লঙ্কাপুরী ! এই কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে কি সাংঘাতিক অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্য ছিল সেখানে ! এছাড়া রাবনের রাজপ্রাসাদে সমস্ত দেবদেবীদের-কে আটকে রাখা হয়েছিল (এই কথার সঠিক অর্থ গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে তৎকালের বিভিন্ন বিষয়ের সেরা সেরা মানব-মানবী অর্থাৎ পন্ডিত, জ্ঞানী, শিল্পী, বিজ্ঞানী ইত্যাদিদেরকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে পুষে রাখতো)- যাতে তারা রাবণকে এবং তার সাধের লঙ্কাপুরীকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে । উনি আরও বলেছিলেন – রাবণের Security System এতই অত্যাধুনিক ছিল যে একটা মাছিও গলতে পারতো না ৷ হনুমান যখন লঙ্কায় ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল তখন সে অতিক্ষুদ্র শরীর ধারণ করে তবেই ঢুকেছিল আর এই ব্যাপারে সাহায্য করেছিল বিভীষণ ! বিভীষণ রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় (রাজভ্রাতা) রাবণের অনেক Security code তারও জানা ছিল। লঙ্কাপুরীর প্রধান গবেষণা কেন্দ্র ‘নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার’ (যা এখনকার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নাসা-র ন্যায় ছিল) – যেখান থেকে রাজ্যের সমস্ত Security Control হতো এবং সমস্ত রকম যুদ্ধাস্ত্র ওখানেই তৈরি হতো । শত্রুপক্ষের যুদ্ধাস্ত্র কতটা আধুনিক তা বিচার করে (সেই খবরটা গুপ্তচরেরা নিয়ে আসতো অথবা যুদ্ধের প্রথম দিকে সেইসব অস্ত্রের প্রয়োগ দেখা হতো) – সঙ্গে সঙ্গে সেইসব অস্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দেবার মতো অস্ত্র বা শত্রুপক্ষের অস্ত্রের চাইতেও শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করা হতো !
লক্ষণ যেদিন ইন্দ্রজিৎ-কে হত্যা করেছিল – সেদিনও বিভীষণ-ই নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারের Security System নষ্ট করে লক্ষণকে সঙ্গে করে একেবারে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ! তারপর ওরা যেটা করেছিল সেটা হলো –নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে(গবেষণাগার)-র একেবারে মূল control system -টাই ধ্বংস করে দিয়েছিল_যেটা রূপকাকারে বলা হয়েছে “ইন্দ্রজিৎকে যজ্ঞ করতে দেওয়া হয়নি বলেই সে দূর্বল হয়ে গিয়েছিল”! প্রকৃতপক্ষে ঐ control system-টা ধ্বংস হয়ে যেতেই লঙ্কার total security system. Communication system ইত্যাদি সবকিছু ই ভেঙে পড়েছিল। তাই ইন্দ্রজিৎ-এর মৃত্যুর পর রাবন-বধ শুধুমাত্র ছিল সময়ের অপেক্ষা!!(ক্রমশঃ)
মানব সভ্যতার ইতিহাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কত শত-সহস্র, কোটি কোটি মানুষ এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল – নির্দিষ্ট সময়কাল শেষ করে তারা আবার কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ! কিন্তু ওই শত-সহস্র, কোটি কোটি মানুষের মধ্যে মানুষের মনোজগতে ক’জন মানুষ ঠাঁই পেয়েছে ? হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন ! কত ধর্মীয় নেতা, কত রাজা, কত সম্রাট, কত সাম্রাজ্য, কত অহংকার, দম্ভ, কত অত্যাচার-অনাচার, কত দুঃখ-লাঞ্ছনা – এই পৃথিবী গ্রহ প্রত্যক্ষ করেছে,– কিন্তু সেসব এখন কই ? এখানকার অর্থাৎ বর্তমানের পৃথিবী হয়তো আবার কিছু ধর্মীয় নেতা, কিছু রাজনেতা বা দেশনেতা (রাজা বা সম্রাট), কিছু দম্ভ-অহংকার, অত্যাচার-অনাচার ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করেছে – কিন্তু এরাও তো সাময়িক, অত্যন্ত ক্ষণিক ! মানবসভ্যতা থেকে আজ পর্যন্ত কোটি কোটি বছরের বিচারে একটা অত্যাচারী সম্রাটের রাজত্বকাল অথবা একজন দেশনেতা বা ধর্মীয়নেতার অনুশাসন কতটুকু ? এক সাগর জলের কাছে যেন এক বিন্দু জল । মহাকালের বুকে এসবের কি মূল্য আছে ? তবে রাজা বা দেশনেতা অথবা শক্তিশালী ধর্মীয় নেতা যদি অত্যাচারী বা অনাচারী হয় – তাহলে সমসাময়িক মানুষেরা বা প্রজারা কষ্ট পায়, নিদারুন অত্যাচারিত হয় – তখন তাদের মনে হয় – ” এই সময় বুঝি আর কোনদিন কাটবে না । এই ভোগান্তি বুঝি চিরকালই রয়ে যাবে, তারা ভোগ করছে আবার তাদের উত্তর পুরুষেরাও ভোগ করবে ৷” – কিন্তু তা তো হবার নয় ! সময়ের চাকা ঘুরে গেলেই সামাজিক অবস্থার-ও পরিবর্তন হয় – মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন হয় ।
এইসব ঘটনা মানব সমাজে বারবার ঘটেছে, ইতিহাসে এর বহু সাক্ষ্য রয়েছে, তাছাড়া পুরাণাদি শাস্ত্র এবং মহাকাব্যগুলির ঘটনা সমূহ পর্যালোচনা করলেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ মেলে । এখনকার কোন কমিউনিস্ট বা ক্যাপিটালিস্ট রাষ্ট্রনেতা অথবা কোনো শক্তিশালী ধর্মীয় নেতার কিছু কিছু সিদ্ধান্তে হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে ; হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ মানুষ কষ্ট পেয়েছে – এইসব কথা যখন গুরু মহারাজকে বলা হতো, তখন গুরুমহারাজ রামায়ণের অন্যতম খলনায়ক চরিত্র রাবন অথবা মহাভারতের এক খলনায়ক চরিত্র দুর্যোধনের উল্লেখ করতেন । বলতেন_”এই দুজনের মতো শক্তির অহংকার পৃথিবী খুবই কম দেখেছে!”
রাবণ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী রাজা, তাছাড়া তার সাধন শক্তিও ছিল, বলা হতো সোনার লঙ্কাপুরী ! এই কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে কি সাংঘাতিক অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্য ছিল সেখানে ! এছাড়া রাবনের রাজপ্রাসাদে সমস্ত দেবদেবীদের-কে আটকে রাখা হয়েছিল (এই কথার সঠিক অর্থ গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে তৎকালের বিভিন্ন বিষয়ের সেরা সেরা মানব-মানবী অর্থাৎ পন্ডিত, জ্ঞানী, শিল্পী, বিজ্ঞানী ইত্যাদিদেরকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে পুষে রাখতো)- যাতে তারা রাবণকে এবং তার সাধের লঙ্কাপুরীকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে । উনি আরও বলেছিলেন – রাবণের Security System এতই অত্যাধুনিক ছিল যে একটা মাছিও গলতে পারতো না ৷ হনুমান যখন লঙ্কায় ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল তখন সে অতিক্ষুদ্র শরীর ধারণ করে তবেই ঢুকেছিল আর এই ব্যাপারে সাহায্য করেছিল বিভীষণ ! বিভীষণ রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় (রাজভ্রাতা) রাবণের অনেক Security code তারও জানা ছিল। লঙ্কাপুরীর প্রধান গবেষণা কেন্দ্র ‘নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার’ (যা এখনকার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নাসা-র ন্যায় ছিল) – যেখান থেকে রাজ্যের সমস্ত Security Control হতো এবং সমস্ত রকম যুদ্ধাস্ত্র ওখানেই তৈরি হতো । শত্রুপক্ষের যুদ্ধাস্ত্র কতটা আধুনিক তা বিচার করে (সেই খবরটা গুপ্তচরেরা নিয়ে আসতো অথবা যুদ্ধের প্রথম দিকে সেইসব অস্ত্রের প্রয়োগ দেখা হতো) – সঙ্গে সঙ্গে সেইসব অস্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দেবার মতো অস্ত্র বা শত্রুপক্ষের অস্ত্রের চাইতেও শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করা হতো !
লক্ষণ যেদিন ইন্দ্রজিৎ-কে হত্যা করেছিল – সেদিনও বিভীষণ-ই নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারের Security System নষ্ট করে লক্ষণকে সঙ্গে করে একেবারে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ! তারপর ওরা যেটা করেছিল সেটা হলো –নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে(গবেষণাগার)-র একেবারে মূল control system -টাই ধ্বংস করে দিয়েছিল_যেটা রূপকাকারে বলা হয়েছে “ইন্দ্রজিৎকে যজ্ঞ করতে দেওয়া হয়নি বলেই সে দূর্বল হয়ে গিয়েছিল”! প্রকৃতপক্ষে ঐ control system-টা ধ্বংস হয়ে যেতেই লঙ্কার total security system. Communication system ইত্যাদি সবকিছু ই ভেঙে পড়েছিল। তাই ইন্দ্রজিৎ-এর মৃত্যুর পর রাবন-বধ শুধুমাত্র ছিল সময়ের অপেক্ষা!!(ক্রমশঃ)