গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দের বলা কথাগুলি নিয়ে আলোচনা চলছিল ৷ আমরা গুরুকুল প্রথা ও চতুরাশ্রমের কিছু কথা আগের দিন বলেছিলাম – আজ সেখান থেকেই শুরু করা যাক !
গুরুগৃহে ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমে মানব জীবনের ভিত্তিভূমি তৈরি কোরে (৭ থেকে ২১ বা ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত), যে যুবকেরা (যুবতীরা) সমাজে বা পরিবারে ফিরে আসত তারা হতো – স্বাস্থ্যবান, সংযমী, নিষ্ঠাবান, শ্রদ্ধাবান, শৃঙ্খলাপরায়ণ ইত্যাদি অর্থাৎ এককথায় পরিবারের শুধু নয় – সমাজের এক একটা রত্ন ! এই যে যুবকেরা পরিবারে ফিরে এসে গার্হস্থ্য জীবন এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করতো – এরা-ই ঠিক ঠিক একটি শিশুসন্তানের পিতা হবার উপযুক্ততা অর্জনকারী ব্যক্তি ! কারণ ছোটবেলা থেকেই শরীর, মন ও প্রাণকে কিভাবে নির্মল রাখতে হয় – আসন, ধ্যান, প্রাণায়াম, সৎ উপদেশ, সৎ শিক্ষা এবং মহাজ্ঞানী – মহাপ্রেমিক কোন না কোন শিক্ষকের (ঋষির) উপস্থিতি এবং তাঁর devine touch এই ছেলেমেয়েগুলিকে সবরকম ভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতো । কোন রোগ ব্যাধি-ই চট করে বাসা বাঁধতে পারতো না – এমনকি জেনেটিক রোগসমূহ-ও নিয়মিত শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন-যাপনের ফলে এবং কিছু সহজ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগে (স্বমূত্র চিকিৎসা, আসন-প্রাণায়ামের প্রয়োগ) সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হতো ৷
গুরুমহারাজ এই মাতা-পিতাদের কথাই বলেছিলেন ! যারা সন্তান উৎপাদন করতে হবে বলে___ ছোটবেলা থেকে শরীর-মন-প্রাণকে শুদ্ধ করছে, পবিত্র করছে, দেহকে নীরোগ করছে – জীবনে সুস্বাস্থ্য-সুশিক্ষা লাভ করছে, যথাযথ চরিত্রবান হয়ে উঠছে – তারপর সে গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ করছে এবং বিবাহ করছে, তাও শুধুমাত্র ”পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা” ! এই সমস্ত মানুষদের ছিল একদম অভিনব দাম্পত্য জীবন ! বিবাহের পর পুত্রেষ্ঠী যজ্ঞের আয়োজন করতো গুরুস্থানীয়রা, সেখানে উপযুক্ত দিন-ক্ষণ দেখে দস্তুরমতো যজ্ঞের আয়োজন করে স্বামী-স্ত্রীকে পুত্র কামনায় তপস্যা করতে হতো – সেইসব জীবনে কামনা-রিরংসা-lustfullness -ইত্যাদির কোনই স্থান ছিল না৷ আজকের দিনের শিশুদের যারা পিতামাতা, তাদেরকে গুরুমহারাজ – ঐ সকল ১৪ বছর /১৫ বছর ব্রহ্মচর্য্য পালনকারী গৃহস্থীদের কথা স্মরণ করাতেন ৷ বলতেন – “বিবাহের পূর্বেই তো তোরা হীনবীর্য্য হয়ে পড়েছিস । শৃঙ্খলা এবং সংযমের অভাবে, নিজেদের দোষে __তোদের শরীরে তো নানান রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে! তাহলে বিবাহের পরে তোদের যে সন্তানেরা জন্ম নেবে – তারাও তো নানারকম অক্ষমতা-অসম্পূর্ণতা নিয়ে জন্মাবেই !!
বর্তমানে, অর্থাৎ ঐ সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর এখন তার রোগ-ব্যাধির জন্য রাত্রি জাগছিস – ম্লানমুখে ডাক্তারের কাছে বসে আছিস – এগুলো কি !! এগুলো কি ভালবাসা? এগুলো মূর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে ! সেই জন্যেই বলছিলাম সন্তানকে যদি ভালবাসতে হয় – তাহলে বিবাহ করার অন্ততঃ আরো ১২ বছর আগে থেকে ভাব্ !”
যে কোন ছেলের বা মেয়ের শরীর, মন এবং প্রাণের সুস্থতা ও শুদ্ধতার জন্য অন্তত সাত (৭) বছর সময় লাগে । একেবারে নিষ্ঠা সহকারে পালন করা যায় না বলেই বারো বছর নিয়ম-সংযম পালনের কথা বলা হয় ।
একটা সুন্দর ও সুস্থ সন্তান পাবার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও – এ ব্যাপারে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন সমাজে একটা সুস্থ-সুন্দর শিশুসন্তান জন্ম নেবার জন্য ওই সমাজের সকল সদস্যদের-ই দায়িত্ব পালন করা উচিত – কারণ ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে,একজন মানুষ-রতনই পুরো সমাজকে, দেশকে এমনকি সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে , পৃথিবীর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ঘটাতে পারে !! তাহলে এমন একটি শিশু তৈরির দায়-দায়িত্ব সকলেরই নেওয়া উচিৎ ! একটি সুস্থ-সুন্দর শিশু পাবার জন্য পরিবারের সদস্যদেরও প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংযমের প্রয়োজন হয় । ওই যে প্রথমেই বলা হয়েছিল__ কৈশোরের প্রারম্ভেই স্নেহ-মায়া-মমতা বিসর্জন দিয়ে সন্তানকে গুরুগৃহে রেখে আসতে হয়_পিতামাতার ক্ষেত্রে সেটাও কি কম স্বার্থত্যাগ! এরপর সেই সন্তান যুবক হয়ে বাড়িতে ফেরার পর এবং কর্মজগতে settled হবার পর__ওই ছেলেটির উপযুক্ত পাত্রী দেখে (এখানে কুলগুরুদের দ্বারা রাজযোটক মিল ঘটানো হোত!চারপ্রকার পুরুষের জন্য _চার প্রকারের নারীর ব্যবস্থা রয়েছে!শশ-পুরুষের জন্য পদ্মিনী নারী ,অশ্ব-পুরুষের জন্য হস্তিনী নারী ,মৃগ-পুরুষের জন্য চিত্রিণী নারী এবং বৃষ-পুরুষের জন্য শঙ্খিনী নারী-র বিবাহ দেওয়া হতো! এই ক্রম না মানলে বা অন্যথা করলে__ সুসন্তান পাবার পুরো বিষয়টা-ই ব্যর্থ হতে হয়ে যেতো।) বিবাহ দিয়ে দেওয়া হতো।
নববধূর গর্ভে সন্তান এলে পরিবারের সকলের দায়িত্ব পড়ে যেত ওই গর্ভস্থ শিশুর প্রতি সবদিক থেকে যত্নশীল হওয়া।যে শিশুটিকে বাড়ির সকলে, ভূমিষ্ঠ হবার পর আদর করবে স্নেহ করবে_ তাদেরকে আগে থাকতে ওই গর্ভস্থ শিশুর প্রতি যত্নশীল হতেই হবে।পরিবারের সকলকেই দেখতে হবে যাতে কোরে গর্ভবতী মা-টির শরীরে বা মনে যেন কোনরকম ক্লেশ সৃষ্টি না হয়! শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খারাপ আচরনে ,গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের চোখের জল পড়লে _ সন্তান চোখের রোগ নিয়েই জন্মগ্রহণ করে, গর্ভাবস্থায় মায়ের অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারনে যদি সর্দি কাশি হয়_ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সন্তান ও ঠান্ডা রাখার দাঁত নিয়েই জন্মাবে,গর্ভাবস্থায় মাকে যদি মানসিকভাবে দীর্ঘদিন পীড়ন করা হয় তাহলে সন্তান হার্ট বা লাঙে-র রোগ নিয়ে জন্মাবে। গুরু মহারাজ এইসব উদাহরণ টেনে সিটিংয়ে বসে থাকা সকল কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন _”বাড়ির সকলেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য গর্ভস্থ শিশুটির যাতে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হয় তার চেষ্টা করা! শিশুকে ভালবাসতে হলে অনেক আগে থেকে ভালোবাসো__ না হলে সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ভালোবাসার অধিকার ই তো জন্মায় না! তাই এইরকমটা দেখলে আমার সেটাকে অজ্ঞানতাপ্রসূত আদিখ্যেতা বলে মনে হয়।”
( সন্তানের প্রতি সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা_উনি কি বলেছিলেন, সেটা পরের দিন ।)[ক্রমশঃ]
গুরুগৃহে ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমে মানব জীবনের ভিত্তিভূমি তৈরি কোরে (৭ থেকে ২১ বা ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত), যে যুবকেরা (যুবতীরা) সমাজে বা পরিবারে ফিরে আসত তারা হতো – স্বাস্থ্যবান, সংযমী, নিষ্ঠাবান, শ্রদ্ধাবান, শৃঙ্খলাপরায়ণ ইত্যাদি অর্থাৎ এককথায় পরিবারের শুধু নয় – সমাজের এক একটা রত্ন ! এই যে যুবকেরা পরিবারে ফিরে এসে গার্হস্থ্য জীবন এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করতো – এরা-ই ঠিক ঠিক একটি শিশুসন্তানের পিতা হবার উপযুক্ততা অর্জনকারী ব্যক্তি ! কারণ ছোটবেলা থেকেই শরীর, মন ও প্রাণকে কিভাবে নির্মল রাখতে হয় – আসন, ধ্যান, প্রাণায়াম, সৎ উপদেশ, সৎ শিক্ষা এবং মহাজ্ঞানী – মহাপ্রেমিক কোন না কোন শিক্ষকের (ঋষির) উপস্থিতি এবং তাঁর devine touch এই ছেলেমেয়েগুলিকে সবরকম ভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতো । কোন রোগ ব্যাধি-ই চট করে বাসা বাঁধতে পারতো না – এমনকি জেনেটিক রোগসমূহ-ও নিয়মিত শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন-যাপনের ফলে এবং কিছু সহজ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগে (স্বমূত্র চিকিৎসা, আসন-প্রাণায়ামের প্রয়োগ) সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হতো ৷
গুরুমহারাজ এই মাতা-পিতাদের কথাই বলেছিলেন ! যারা সন্তান উৎপাদন করতে হবে বলে___ ছোটবেলা থেকে শরীর-মন-প্রাণকে শুদ্ধ করছে, পবিত্র করছে, দেহকে নীরোগ করছে – জীবনে সুস্বাস্থ্য-সুশিক্ষা লাভ করছে, যথাযথ চরিত্রবান হয়ে উঠছে – তারপর সে গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ করছে এবং বিবাহ করছে, তাও শুধুমাত্র ”পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা” ! এই সমস্ত মানুষদের ছিল একদম অভিনব দাম্পত্য জীবন ! বিবাহের পর পুত্রেষ্ঠী যজ্ঞের আয়োজন করতো গুরুস্থানীয়রা, সেখানে উপযুক্ত দিন-ক্ষণ দেখে দস্তুরমতো যজ্ঞের আয়োজন করে স্বামী-স্ত্রীকে পুত্র কামনায় তপস্যা করতে হতো – সেইসব জীবনে কামনা-রিরংসা-lustfullness -ইত্যাদির কোনই স্থান ছিল না৷ আজকের দিনের শিশুদের যারা পিতামাতা, তাদেরকে গুরুমহারাজ – ঐ সকল ১৪ বছর /১৫ বছর ব্রহ্মচর্য্য পালনকারী গৃহস্থীদের কথা স্মরণ করাতেন ৷ বলতেন – “বিবাহের পূর্বেই তো তোরা হীনবীর্য্য হয়ে পড়েছিস । শৃঙ্খলা এবং সংযমের অভাবে, নিজেদের দোষে __তোদের শরীরে তো নানান রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে! তাহলে বিবাহের পরে তোদের যে সন্তানেরা জন্ম নেবে – তারাও তো নানারকম অক্ষমতা-অসম্পূর্ণতা নিয়ে জন্মাবেই !!
বর্তমানে, অর্থাৎ ঐ সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর এখন তার রোগ-ব্যাধির জন্য রাত্রি জাগছিস – ম্লানমুখে ডাক্তারের কাছে বসে আছিস – এগুলো কি !! এগুলো কি ভালবাসা? এগুলো মূর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে ! সেই জন্যেই বলছিলাম সন্তানকে যদি ভালবাসতে হয় – তাহলে বিবাহ করার অন্ততঃ আরো ১২ বছর আগে থেকে ভাব্ !”
যে কোন ছেলের বা মেয়ের শরীর, মন এবং প্রাণের সুস্থতা ও শুদ্ধতার জন্য অন্তত সাত (৭) বছর সময় লাগে । একেবারে নিষ্ঠা সহকারে পালন করা যায় না বলেই বারো বছর নিয়ম-সংযম পালনের কথা বলা হয় ।
একটা সুন্দর ও সুস্থ সন্তান পাবার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও – এ ব্যাপারে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন সমাজে একটা সুস্থ-সুন্দর শিশুসন্তান জন্ম নেবার জন্য ওই সমাজের সকল সদস্যদের-ই দায়িত্ব পালন করা উচিত – কারণ ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে,একজন মানুষ-রতনই পুরো সমাজকে, দেশকে এমনকি সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে , পৃথিবীর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ঘটাতে পারে !! তাহলে এমন একটি শিশু তৈরির দায়-দায়িত্ব সকলেরই নেওয়া উচিৎ ! একটি সুস্থ-সুন্দর শিশু পাবার জন্য পরিবারের সদস্যদেরও প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংযমের প্রয়োজন হয় । ওই যে প্রথমেই বলা হয়েছিল__ কৈশোরের প্রারম্ভেই স্নেহ-মায়া-মমতা বিসর্জন দিয়ে সন্তানকে গুরুগৃহে রেখে আসতে হয়_পিতামাতার ক্ষেত্রে সেটাও কি কম স্বার্থত্যাগ! এরপর সেই সন্তান যুবক হয়ে বাড়িতে ফেরার পর এবং কর্মজগতে settled হবার পর__ওই ছেলেটির উপযুক্ত পাত্রী দেখে (এখানে কুলগুরুদের দ্বারা রাজযোটক মিল ঘটানো হোত!চারপ্রকার পুরুষের জন্য _চার প্রকারের নারীর ব্যবস্থা রয়েছে!শশ-পুরুষের জন্য পদ্মিনী নারী ,অশ্ব-পুরুষের জন্য হস্তিনী নারী ,মৃগ-পুরুষের জন্য চিত্রিণী নারী এবং বৃষ-পুরুষের জন্য শঙ্খিনী নারী-র বিবাহ দেওয়া হতো! এই ক্রম না মানলে বা অন্যথা করলে__ সুসন্তান পাবার পুরো বিষয়টা-ই ব্যর্থ হতে হয়ে যেতো।) বিবাহ দিয়ে দেওয়া হতো।
নববধূর গর্ভে সন্তান এলে পরিবারের সকলের দায়িত্ব পড়ে যেত ওই গর্ভস্থ শিশুর প্রতি সবদিক থেকে যত্নশীল হওয়া।যে শিশুটিকে বাড়ির সকলে, ভূমিষ্ঠ হবার পর আদর করবে স্নেহ করবে_ তাদেরকে আগে থাকতে ওই গর্ভস্থ শিশুর প্রতি যত্নশীল হতেই হবে।পরিবারের সকলকেই দেখতে হবে যাতে কোরে গর্ভবতী মা-টির শরীরে বা মনে যেন কোনরকম ক্লেশ সৃষ্টি না হয়! শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খারাপ আচরনে ,গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের চোখের জল পড়লে _ সন্তান চোখের রোগ নিয়েই জন্মগ্রহণ করে, গর্ভাবস্থায় মায়ের অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারনে যদি সর্দি কাশি হয়_ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সন্তান ও ঠান্ডা রাখার দাঁত নিয়েই জন্মাবে,গর্ভাবস্থায় মাকে যদি মানসিকভাবে দীর্ঘদিন পীড়ন করা হয় তাহলে সন্তান হার্ট বা লাঙে-র রোগ নিয়ে জন্মাবে। গুরু মহারাজ এইসব উদাহরণ টেনে সিটিংয়ে বসে থাকা সকল কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন _”বাড়ির সকলেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য গর্ভস্থ শিশুটির যাতে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হয় তার চেষ্টা করা! শিশুকে ভালবাসতে হলে অনেক আগে থেকে ভালোবাসো__ না হলে সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ভালোবাসার অধিকার ই তো জন্মায় না! তাই এইরকমটা দেখলে আমার সেটাকে অজ্ঞানতাপ্রসূত আদিখ্যেতা বলে মনে হয়।”
( সন্তানের প্রতি সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা_উনি কি বলেছিলেন, সেটা পরের দিন ।)[ক্রমশঃ]