“গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ) এই ব্যাপারে [করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেবার ব্যাপারে] কি বলেছিলেন_শ্রীধরদা?”_ কদিন ধরেই এই জিজ্ঞাসা গুরুভাই-বোনেদের অনেকেই রাখছেন! প্রথমেই বলে রাখি_গুরুজী অনেক কথাই বলে গেছেন। একবার বললেন_”আগামী পঞ্চাশ হাজার বছরের ঘটনাসমূহ সব বলে দিতে পারি। কিন্তু তাতে তোদের আধ্যাত্মিক উন্নতি কিছু হবে কি?”তাই এসব কথা পরে হবে।এখন বর্তমানে আসি।
বর্ধমানের তারক পরমানিক ফোন করে বলল, “একটা বইয়ে পড়েছিলাম পীত বর্ণের মানুষেরা পৃথিবী শাসন করবে, তাহলে কি চীনারা পৃথিবীর দখল নিয়ে নেবে?”
আজিম গঞ্জের সৌমেন এবং মিতার সাথে কথা হচ্ছিল। একটা সময় সৌমেন, দেবাশীষ, পিনাকী, সুব্রত এবং আরো অনেক এই ধরনের ইয়ং ছেলেরা গুরুমহারাজের সাথে কি মধুর স্মৃতি মাখা দিন গুলো কাটিয়েছে_সেইসব স্মৃতিচারণ করছিল ওরা, একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানো, হৈ-হুল্লোড় করা, নাচ- গান করা, গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া এবং তার সাথে প্রচুর আধ্যাত্মিক আলোচনা! গুরুমহারাজ ওদেরকে বলেছিলেন, “জীবনের শেষপ্রান্তে এসে যদি তোরা হিসাব-নিকাশ করিস, তাহলে দেখবি _তোদের জীবনে আমার এই সঙ্গ-লাভের দিনগুলোই ছিল _সোনালী দিন_সোনার খাতায় বাঁধিয়ে রাখার মতো দিন! বাকি যা কিছু তা গতানুগতিক, তার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই।”
সৌমেন বলছিল,১৯৮৯_সালের সেই ভয়ঙ্কর দিনটির কথা_ যেদিন চীন সরকারের নির্দেশে রেডগার্ড বাহিনী দশ হাজার চীনা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নির্বিচারে গুলি করে মেরেছিল! গুরু মহারাজ সেইসময় আজিমগঞ্জেই ছিলেন।
ঘটনার পরদিন সকালে , ওদের কাছে এই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে গুরু মহারাজের মুখ করুনাদ্র হয়ে উঠেছিল! উনি বলেছিলেন,”কি নিষ্ঠুর দেখেছিস চীনারা! নিজেদের দেশের ১০,০০০ তরতাজা যুবক ছেলে মেয়েদেরকে এইভাবে গুলি করে মেরে ফেলল? কি ছিল ওদের অপরাধ? ওরা শুধু হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য তিয়েন আন মেন স্কোয়ারে জমা হয়েছিল_ এইটুকু অপরাধে অতো ছেলেমেয়েদের একেবারে মেরে ফেলা!”_ বেদনার্ত হয়ে উঠেছিল গুরুমহারাজের কণ্ঠস্বর !
আমারও মনে পড়ে যাচ্ছিল বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনেও উনি এই প্রসঙ্গ অনেকবার উত্থাপন করে বলেছিলেন, “মঙ্গোলিয়ানরা খুবই নিষ্ঠুর হয়! চেঙ্গিস খান, তৈমুরলঙ, এটিলা সহ অন্যান্য হুন-নেতারা_ সবাই ছিল মঙ্গোলিয়ান। যারা পৃথিবীতে শুধু ধ্বংসলীলা_ হত্যালীলাই চালিয়েছে।যাদের নিষ্ঠুরতার ইতিহাস জানলে মানুষ এখনো শিউরে ওঠে!”
তিয়েন আন মেন স্কোয়ারের ঘটনার রেশ সমগ্র চীন জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল কিন্তু আরো কয়েক হাজার আহত এবং নিহতের পরিসংখ্যানের বিনিময়ে রেড গার্ড বাহিনী দেশবাসীকে শান্ত থাকতে বাধ্য করেছিল। গুরু মহারাজ আরো বলেছিলেন, “কিন্তু ঐ জাতির জনজীবনে এই ক্ষোভ বংশপরম্পরায় বাহিত হবে এবং একদিন এর out-burst হবে!”
আজিমগন্জে সেদিন চীনাদের বিষয়ে বলতে গিয়ে গুরুজী বলেছিলেন,”চীনারা এক বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ওরা কোনদিনই বুদ্ধের অন্যতম শিক্ষা “অহিংসা”-কে গ্রহণ করেনি! ওই জাতির মধ্যে সবসময়ই “হিংসা” ব্যাপারটা রয়েই গেছে! আগামীদিনে দেখবি চীনারা বিশ্বে “big giant” হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
তবে ‘পীতবর্ণ লোকেরা পৃথিবী শাসন করবে’_ এই কথার উত্তরে গুরুমহারাজ বলেছিলেন তিব্বত, নেপাল, হিমালয়ান জনজাতিসমূহ সহ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষও পীতবর্ণের! ভবিষ্যৎ-দ্রষ্টারা চীনাদের কথা বলেননি ভারতীয়দের কথাই বলেছেন।”
বর্ধমানের তারক পরমানিক ফোন করে বলল, “একটা বইয়ে পড়েছিলাম পীত বর্ণের মানুষেরা পৃথিবী শাসন করবে, তাহলে কি চীনারা পৃথিবীর দখল নিয়ে নেবে?”
আজিম গঞ্জের সৌমেন এবং মিতার সাথে কথা হচ্ছিল। একটা সময় সৌমেন, দেবাশীষ, পিনাকী, সুব্রত এবং আরো অনেক এই ধরনের ইয়ং ছেলেরা গুরুমহারাজের সাথে কি মধুর স্মৃতি মাখা দিন গুলো কাটিয়েছে_সেইসব স্মৃতিচারণ করছিল ওরা, একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানো, হৈ-হুল্লোড় করা, নাচ- গান করা, গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া এবং তার সাথে প্রচুর আধ্যাত্মিক আলোচনা! গুরুমহারাজ ওদেরকে বলেছিলেন, “জীবনের শেষপ্রান্তে এসে যদি তোরা হিসাব-নিকাশ করিস, তাহলে দেখবি _তোদের জীবনে আমার এই সঙ্গ-লাভের দিনগুলোই ছিল _সোনালী দিন_সোনার খাতায় বাঁধিয়ে রাখার মতো দিন! বাকি যা কিছু তা গতানুগতিক, তার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই।”
সৌমেন বলছিল,১৯৮৯_সালের সেই ভয়ঙ্কর দিনটির কথা_ যেদিন চীন সরকারের নির্দেশে রেডগার্ড বাহিনী দশ হাজার চীনা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নির্বিচারে গুলি করে মেরেছিল! গুরু মহারাজ সেইসময় আজিমগঞ্জেই ছিলেন।
ঘটনার পরদিন সকালে , ওদের কাছে এই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে গুরু মহারাজের মুখ করুনাদ্র হয়ে উঠেছিল! উনি বলেছিলেন,”কি নিষ্ঠুর দেখেছিস চীনারা! নিজেদের দেশের ১০,০০০ তরতাজা যুবক ছেলে মেয়েদেরকে এইভাবে গুলি করে মেরে ফেলল? কি ছিল ওদের অপরাধ? ওরা শুধু হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য তিয়েন আন মেন স্কোয়ারে জমা হয়েছিল_ এইটুকু অপরাধে অতো ছেলেমেয়েদের একেবারে মেরে ফেলা!”_ বেদনার্ত হয়ে উঠেছিল গুরুমহারাজের কণ্ঠস্বর !
আমারও মনে পড়ে যাচ্ছিল বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনেও উনি এই প্রসঙ্গ অনেকবার উত্থাপন করে বলেছিলেন, “মঙ্গোলিয়ানরা খুবই নিষ্ঠুর হয়! চেঙ্গিস খান, তৈমুরলঙ, এটিলা সহ অন্যান্য হুন-নেতারা_ সবাই ছিল মঙ্গোলিয়ান। যারা পৃথিবীতে শুধু ধ্বংসলীলা_ হত্যালীলাই চালিয়েছে।যাদের নিষ্ঠুরতার ইতিহাস জানলে মানুষ এখনো শিউরে ওঠে!”
তিয়েন আন মেন স্কোয়ারের ঘটনার রেশ সমগ্র চীন জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল কিন্তু আরো কয়েক হাজার আহত এবং নিহতের পরিসংখ্যানের বিনিময়ে রেড গার্ড বাহিনী দেশবাসীকে শান্ত থাকতে বাধ্য করেছিল। গুরু মহারাজ আরো বলেছিলেন, “কিন্তু ঐ জাতির জনজীবনে এই ক্ষোভ বংশপরম্পরায় বাহিত হবে এবং একদিন এর out-burst হবে!”
আজিমগন্জে সেদিন চীনাদের বিষয়ে বলতে গিয়ে গুরুজী বলেছিলেন,”চীনারা এক বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ওরা কোনদিনই বুদ্ধের অন্যতম শিক্ষা “অহিংসা”-কে গ্রহণ করেনি! ওই জাতির মধ্যে সবসময়ই “হিংসা” ব্যাপারটা রয়েই গেছে! আগামীদিনে দেখবি চীনারা বিশ্বে “big giant” হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
তবে ‘পীতবর্ণ লোকেরা পৃথিবী শাসন করবে’_ এই কথার উত্তরে গুরুমহারাজ বলেছিলেন তিব্বত, নেপাল, হিমালয়ান জনজাতিসমূহ সহ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষও পীতবর্ণের! ভবিষ্যৎ-দ্রষ্টারা চীনাদের কথা বলেননি ভারতীয়দের কথাই বলেছেন।”