গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন যোগীদের বিশ্রামের জন্য প্রয়োজন হয় মাত্র ২১ মিনিট ! বাকি সময়টা তাঁরা যাগে-যোগে থাকেন ! শিশুরা সাধারণত ১৮/২০ ঘন্টা ঘুমায়, বাল্য-কিশোর এসব বয়সেও ১০/১২ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয় – যৌবনের প্রারম্ভে কিশোর বা কিশোরীদের নিদ্রা বা ঘুম খুব প্রবল হয়! এমনটা দেখা যায় যে মা হয়তো বিরক্ত হয়ে তার কিশোর বয়সী ছেলে বা কিশোরী মেয়েটিকে জোর করে হাত ধরে বিছানা থেকে তুলে দিয়েছে – তবুও ওই ছেলেটি বা মেয়েটি আবার শুয়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে ! এরকমটা হয় কেন ? এর উত্তরে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – এই বয়স থেকেই মানবশরীরের এন্ডোক্রিন গ্রন্থিগুলির ক্রিয়াশীলতা শুরু হয়ে যায় – মানবশরীরে পুরুষ-লক্ষণ বা স্ত্রী-লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেতে শুরু করে । সেইজন্য শরীরের বর্হিঃঅঙ্গগুলিকে বিশ্রাম দিয়ে ওই শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণ করে নেয় শরীর ।
যৌবনে মানুষের সাত-আট ঘন্টার বেশি ঘুমানো একদমই উচিত নয় ৷ ছাত্র_ছাত্রীদের ছয় থেকে সাত ঘন্টা এবং তারা দিবানিদ্রা একদমই করবে না_কারণ এতে ব্রহ্মচর্য্যের হানি হবে!
পরিশ্রমী মানুষেরা (শ্রমজীবী) আটঘণ্টা ঘুমাবে কিন্তু যাদের শারীরিক পরিশ্রম কম হয় – তাদের নিদ্রার অতো প্রয়োজন নাই ! এইসব মানুষেরা অধিক ঘুমালেই তাদের শরীরে অকারণ চর্বি জমে যাবে, শরীরে নানান রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধবে ৷ তাই যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী মানুষেরা রয়েছে অর্থাৎ যাদের শারীরিক পরিশ্রম খুবই কম – তাদেরকে গুরুমহারাজ আসন,প্রাণায়াম ইত্যাদি যোগের ক্রিয়া করতে বলেছিলেন এবং নিদ্রা কম করতে বলেছিলেন।
গুরুমহারাজ সারা ভারত পরিক্রমা করে, হিমালয়ের বিভিন্ন গিরি-গুহা-কন্দরে ঘুরে ঘুরে প্রচুর যোগী-মহাত্মাদের সঙ্গ করে সাড়ে তিন হাজার যৌগিক ক্রিয়ার সার হিসাবে _মাত্র আটটি সহজ ক্রিয়ার কথা বলে গেছেন – যেগুলি বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন থেকে ‘জীবনতত্ত্ব’- বইয়ে লিপিবদ্ধ রয়েছে । এই আসনগুলি ৭ থেকে ৭০ যে কোন বয়সী মানুষেরা খুব সহজেই প্র্যাকটিস করতে পারবে এবং তাদের শরীর সুস্থ, সবল ও নিরোগ থাকবে ।
প্রৌঢ়ত্বে ঘুমের পরিমাণ আরও কমে আসবে এবং বার্ধক্যে মানুষের ঘুম আসতেই চায় না – শুধু চেয়ে চেয়ে জেগে থাকা, আর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করা ! গুরু মহারাজের কাছে আমরা শুনেছিলাম বার্ধক্যের যন্ত্রণার কথা ! একটু অপ্রাসঙ্গিক হোলেও এই প্রসঙ্গে কথাগুলো বলে নেওয়া যাক্!
উনি বলেছিলেন_ শুধু রোগ যন্ত্রণা বা মৃত্যুযন্ত্রণা-ই নয়, বার্ধক্যে বিছানায় শোয়া অবস্থায় অধিককাল বেঁচে থাকার যন্ত্রণাই সর্বাধিক – কারণ এই অবস্থায় ওই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা সম্পূর্ণরূপে একা হয়ে যায় ! তার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন – সবাই হয়তো আসে, খোঁজ নেয় – কিন্তু ওই ব্যক্তির মনের কাছাকাছি কেউ আসে না ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইধরনের Bed-ridden বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে হতশ্রদ্ধভাবে বাড়ির সব চাইতে ছোট ঘরটায় রেখে দেওয়া হয়, যার সামর্থ্য রয়েছে সে হয়তো মা বা বাবার জন্য একটা মাইনে করা কাজের লোক রেখে দেয় – না হলে পুত্র বা কন্যারা নিজেরাই সেবা-যত্নের চেষ্টা করে ! কিন্তু ওই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাটির মনের কাছাকাছি কেউ আসে না । ওই ব্যক্তির সারা জীবনের কত স্মৃতি – যে সংসারকে সে নিজের হাতে একটু একটু করে সাজিয়েছে, ছেলে বা মেয়েদের বড় করেছে – তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে, তাদের বিয়ে-থা দিয়েছে, কত ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে ওই পরিবারটির উপর দিয়ে – সে একা হাতে সব সামলেছে – আর আজ সে অসহায় – সবাই আসে হয়তো “কেমন আছো”- তা জিজ্ঞাসা করে কিন্তু তার সঙ্গে বসে বসে তার মনের কোণে জমানো সমস্ত কথা শোনার লোক পায়না ! (বৃদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণার বাকিটা পরের দিন) … [ক্রমশঃ]
যৌবনে মানুষের সাত-আট ঘন্টার বেশি ঘুমানো একদমই উচিত নয় ৷ ছাত্র_ছাত্রীদের ছয় থেকে সাত ঘন্টা এবং তারা দিবানিদ্রা একদমই করবে না_কারণ এতে ব্রহ্মচর্য্যের হানি হবে!
পরিশ্রমী মানুষেরা (শ্রমজীবী) আটঘণ্টা ঘুমাবে কিন্তু যাদের শারীরিক পরিশ্রম কম হয় – তাদের নিদ্রার অতো প্রয়োজন নাই ! এইসব মানুষেরা অধিক ঘুমালেই তাদের শরীরে অকারণ চর্বি জমে যাবে, শরীরে নানান রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধবে ৷ তাই যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী মানুষেরা রয়েছে অর্থাৎ যাদের শারীরিক পরিশ্রম খুবই কম – তাদেরকে গুরুমহারাজ আসন,প্রাণায়াম ইত্যাদি যোগের ক্রিয়া করতে বলেছিলেন এবং নিদ্রা কম করতে বলেছিলেন।
গুরুমহারাজ সারা ভারত পরিক্রমা করে, হিমালয়ের বিভিন্ন গিরি-গুহা-কন্দরে ঘুরে ঘুরে প্রচুর যোগী-মহাত্মাদের সঙ্গ করে সাড়ে তিন হাজার যৌগিক ক্রিয়ার সার হিসাবে _মাত্র আটটি সহজ ক্রিয়ার কথা বলে গেছেন – যেগুলি বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন থেকে ‘জীবনতত্ত্ব’- বইয়ে লিপিবদ্ধ রয়েছে । এই আসনগুলি ৭ থেকে ৭০ যে কোন বয়সী মানুষেরা খুব সহজেই প্র্যাকটিস করতে পারবে এবং তাদের শরীর সুস্থ, সবল ও নিরোগ থাকবে ।
প্রৌঢ়ত্বে ঘুমের পরিমাণ আরও কমে আসবে এবং বার্ধক্যে মানুষের ঘুম আসতেই চায় না – শুধু চেয়ে চেয়ে জেগে থাকা, আর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করা ! গুরু মহারাজের কাছে আমরা শুনেছিলাম বার্ধক্যের যন্ত্রণার কথা ! একটু অপ্রাসঙ্গিক হোলেও এই প্রসঙ্গে কথাগুলো বলে নেওয়া যাক্!
উনি বলেছিলেন_ শুধু রোগ যন্ত্রণা বা মৃত্যুযন্ত্রণা-ই নয়, বার্ধক্যে বিছানায় শোয়া অবস্থায় অধিককাল বেঁচে থাকার যন্ত্রণাই সর্বাধিক – কারণ এই অবস্থায় ওই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা সম্পূর্ণরূপে একা হয়ে যায় ! তার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন – সবাই হয়তো আসে, খোঁজ নেয় – কিন্তু ওই ব্যক্তির মনের কাছাকাছি কেউ আসে না ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইধরনের Bed-ridden বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে হতশ্রদ্ধভাবে বাড়ির সব চাইতে ছোট ঘরটায় রেখে দেওয়া হয়, যার সামর্থ্য রয়েছে সে হয়তো মা বা বাবার জন্য একটা মাইনে করা কাজের লোক রেখে দেয় – না হলে পুত্র বা কন্যারা নিজেরাই সেবা-যত্নের চেষ্টা করে ! কিন্তু ওই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাটির মনের কাছাকাছি কেউ আসে না । ওই ব্যক্তির সারা জীবনের কত স্মৃতি – যে সংসারকে সে নিজের হাতে একটু একটু করে সাজিয়েছে, ছেলে বা মেয়েদের বড় করেছে – তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে, তাদের বিয়ে-থা দিয়েছে, কত ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে ওই পরিবারটির উপর দিয়ে – সে একা হাতে সব সামলেছে – আর আজ সে অসহায় – সবাই আসে হয়তো “কেমন আছো”- তা জিজ্ঞাসা করে কিন্তু তার সঙ্গে বসে বসে তার মনের কোণে জমানো সমস্ত কথা শোনার লোক পায়না ! (বৃদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণার বাকিটা পরের দিন) … [ক্রমশঃ]