গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বাউল-বৈষ্ণবদের নারী নিয়ে সাধনের যে সমস্ত তত্ত্ব আলোচনা করেছিলেন– সেইগুলি এখানে বলা হচ্ছিল । আগের দিন যে বিশেষ ক্রিয়াটির আলোচনা শুরু করেছিলাম – ওটা গুরুমহারাজের নিকট একজন বলছিল এবং গুরুজী তাতে সায় দিয়েছিলেন ! সেই হিসাবে পদ্ধতিটা এখানে বলা হচ্ছে ।
আগের দিন বলা হয়েছিল যে, প্রাণায়াম সিদ্ধ সাধকেরা (বাউল-বৈষ্ণব মতে) লিঙ্গনালের সাহায্যে একটা vacuum সৃষ্টি করে বায়ু, জল, দুধ – ইত্যাদি অনেকটা পরিমাণ টেনে নিতে পারে ! এটাই ওদের practice ! অবশ্য এই practice-এ সিদ্ধ হোতে হয়তো বেশ কয়েক বৎসর লেগে যায় – ফলে ধৈর্য্য হারিয়ে ওইসব পরম্পরার বেশিরভাগ সাধকই ব্যর্থ হয়ে যায় এবং আর পাঁচটা সাধারণ গৃহস্থীর ন্যায় জীবন-যাপন করে ! কিন্তু যারা সিদ্ধ হয় – তাদের ব্যাপারটা কেমন হয়, সেটাই আমাদের এখনকার আলোচনার বিষয় !
ঐ ধরনের প্রাণায়াম সিদ্ধ সাধকেরা, ‘নারী নিয়ে সাধন’-এর উপযুক্ত বিবেচিত হলে ওদের গুরুরা তারজন্য উপযুক্ত সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করে দেন। যে কোনো নারীকে সাথে নিয়ে ক্রিয়া হবে – কিন্তু সাধন হবে না বা সাধনায় সিদ্ধিলাভ হবে না । এইজন্যেই এই মতে strictly নির্দেশ দেওয়া হয়েছে – “রমণী বাছিয়া লবে”৷ কারণ সেই নারীটিকেও সাধিকা হতে হবে – তবেই পুরুষ-প্রকৃতির মিলনের যে সম্পূর্ণতা, সেটা সম্পন্ন হবে ৷
অন্যথায়, যেখানে পুরুষটি প্রাণায়াম সিদ্ধ কিন্তু নারীটি নয়__সেক্ষেত্রে ওই নারী শারীরিকভাবে অসম্ভব আনন্দ পাবে, যা সে সাধারন কোনো পুরুষের কাছে কখনই পায়নি বা পেতে পারেও না ! এতে কিন্তু তার আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে না, আবার পুরুষটিরও ক্ষতিসাধন হতে থাকবে এবং এমনটা চলতে থাকলে ওই সাধকটি অনেক নারীর সন্তুষ্টি বিধানের পাত্র হয়ে দাঁড়াবে ও শেষে তার চূড়ান্ত অধঃগতি হবে ৷ যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে (সমাজে এমন উদাহরণ তো অনেক রয়েছে, কিন্তু বর্তমান কালের উল্লেখযোগ্য সাধকদের মধ্যে রজনীশের নাম করা যায়। চৌষট্টি কলার মধ্যে রজনীশ ঐ একটি কলায় সিদ্ধ ছিলেন।উনিও একসাথে একাধিক নারীর তৃপ্তি-সাধন করাতে পারতেন।আর এই সিদ্ধি কাজে লাগিয়ে উনি প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। কিন্তু অপপ্রয়োগের ফলে শেষ বয়সে ওনার সিদ্ধি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল)।
কিন্তু সেই ক্রিয়াটি কি ? সেটা খোলাখুলি আলোচনা করা যেতে পারে । ঐ যে পুরুষ(সাধক)টির বিশেষ প্রাণায়াম সিদ্ধি ঘটেছে – এবার সে যখনই কোনো নারীর সঙ্গে মিলিত হবে – তখন তার শরীরের কোনো অঙ্গের movement-এর প্রয়োজন হবে না, সে শুধু নির্দিষ্ট প্রাণায়াম ক্রিয়াটি করে যাবে– এর ফলে তার লিঙ্গনালে ঐ vacuum সৃষ্টি হয়ে একটা ঊর্দ্ধটান সৃষ্টি হবে ! এর ফলে নারী-শরীরের বিশেষ অঙ্গের অভ্যন্তরে একটা আলোড়ন পড়ে যাবে এবং নিজস্ব কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই automatically রতিরস secretion হতে শুরু করবে – কিন্তু তা বাইরে বেরোতে পারবে না ! কারণ পুরুষটি লিঙ্গনালের ঊর্ধ্ব আকর্ষণ ক্রিয়ায় _নিঃসৃত সমস্ত রতি-রস নিজের শরীরের অভ্যন্তরে টেনে নেবে !
এইবার ঐ সাধক একেবারে অনেকটা পরিমাণ রতি-রস পুনরায় আকুঞ্চন-প্রসারন ক্রিয়ার দ্বারা প্রবল বেগে নারীটির শরীর অভ্যন্তরস্থ নির্দিষ্ট অঙ্গে পুনরায় নিক্ষেপ করবে – এবং আবার সঙ্গে সঙ্গে তা টেনে নেবে ! এইভাবে এই ক্রিয়া নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে কারোর কোনো রকম স্খলন বিনাই পুনঃপুনঃ চলতে থাকবে।।
সাধারণ নারী হোলে সে শারীরিক আনন্দে পাগলের মতো হয়ে যাবে । সেই নারী ঐ পুরুষকে আর কখনোই ত্যাগ করবে না । একজন বৈষ্ণবের অনেকগুলি সঙ্গিনী রাখার এটাই রহস্য !
এইভাবে ওই পুরুষ সাধকটি অবলীলাক্রমে শারীরিক কোন ক্ষয়-ব্যতিরেকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সময় পর্যন্ত রতিক্রিয়ায় সমর্থ হবে ৷ কিন্তু ওই নারীর যদি উপযুক্ত না হয় – তাহলে বেশিক্ষণ এই আনন্দের-আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবে না – প্রচন্ড শান্তিতে অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বে । কিন্তু এই ক্রিয়ায় নারীও যদি যথার্থ হয় বা উপযুক্ত হয় – তাহলেই আসল ‘যুগল সাধনা’ হবে । ওই ক্রিয়ার সময়ে পুরুষ সাধকের শ্বাস পিঙ্গলায় (ডান নাসায়) বইবে এবং নারী সাধিকার শ্বাস বইবে ইরা-য় (বাম নাসায়)। উভয়েই প্রাণায়াম সিদ্ধ হওয়ায় – পুরুষের রস এবং নারীর রতি-র মিশ্রণ হয়ে – তখন ওই রস-রতি পুরুষ শরীর থেকে নারী শরীরে এবং নারী শরীর থেকে পুরুষ শরীরে – ক্রমাগত যাতায়াত করতে থাকবে বা আবর্তিত হতে থাকবে ! সে এক অনির্বচনীয় আনন্দের আস্বাদন ! সারারাত অথবা রাতের পর রাত এই যুগল সাধনায় মত্ত থাকেন সাধক-সাধিকারা। দুই-রস তখন ‘একরসে’ বা ‘সমরসে’ পরিণত হয় তখন ঐ সাধক-সাধিকা নিজেরাই কৃষ্ণ-রাধায় পরিণত হয়ে যান !!
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_এই ক্রিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ! ষোড়শ (অর্থাৎ ষোলজন,ষোল-শ নয়!) রমনীকে নিয়ে একসাথে উনি সবার সাথে রাসক্রীড়া করেছিলেন এবং সকলকে সমানভাবে তৃপ্ত করেছিলেন।রাধাকৃষ্ণ-তত্ত্ব যেমন আধ্যাত্মিকভাবে সত্য, তেমনি স্থুলভাবেও ঐ সমস্ত ঘটনা সেই সময় ঘটেছিল! পরম্পরাগতভাবে সেই সাধন প্রক্রিয়াই আজো বাউল-বৈষ্ণবদের মধ্যে চলে আসছে।… [ক্রমশঃ]
আগের দিন বলা হয়েছিল যে, প্রাণায়াম সিদ্ধ সাধকেরা (বাউল-বৈষ্ণব মতে) লিঙ্গনালের সাহায্যে একটা vacuum সৃষ্টি করে বায়ু, জল, দুধ – ইত্যাদি অনেকটা পরিমাণ টেনে নিতে পারে ! এটাই ওদের practice ! অবশ্য এই practice-এ সিদ্ধ হোতে হয়তো বেশ কয়েক বৎসর লেগে যায় – ফলে ধৈর্য্য হারিয়ে ওইসব পরম্পরার বেশিরভাগ সাধকই ব্যর্থ হয়ে যায় এবং আর পাঁচটা সাধারণ গৃহস্থীর ন্যায় জীবন-যাপন করে ! কিন্তু যারা সিদ্ধ হয় – তাদের ব্যাপারটা কেমন হয়, সেটাই আমাদের এখনকার আলোচনার বিষয় !
ঐ ধরনের প্রাণায়াম সিদ্ধ সাধকেরা, ‘নারী নিয়ে সাধন’-এর উপযুক্ত বিবেচিত হলে ওদের গুরুরা তারজন্য উপযুক্ত সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করে দেন। যে কোনো নারীকে সাথে নিয়ে ক্রিয়া হবে – কিন্তু সাধন হবে না বা সাধনায় সিদ্ধিলাভ হবে না । এইজন্যেই এই মতে strictly নির্দেশ দেওয়া হয়েছে – “রমণী বাছিয়া লবে”৷ কারণ সেই নারীটিকেও সাধিকা হতে হবে – তবেই পুরুষ-প্রকৃতির মিলনের যে সম্পূর্ণতা, সেটা সম্পন্ন হবে ৷
অন্যথায়, যেখানে পুরুষটি প্রাণায়াম সিদ্ধ কিন্তু নারীটি নয়__সেক্ষেত্রে ওই নারী শারীরিকভাবে অসম্ভব আনন্দ পাবে, যা সে সাধারন কোনো পুরুষের কাছে কখনই পায়নি বা পেতে পারেও না ! এতে কিন্তু তার আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে না, আবার পুরুষটিরও ক্ষতিসাধন হতে থাকবে এবং এমনটা চলতে থাকলে ওই সাধকটি অনেক নারীর সন্তুষ্টি বিধানের পাত্র হয়ে দাঁড়াবে ও শেষে তার চূড়ান্ত অধঃগতি হবে ৷ যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে (সমাজে এমন উদাহরণ তো অনেক রয়েছে, কিন্তু বর্তমান কালের উল্লেখযোগ্য সাধকদের মধ্যে রজনীশের নাম করা যায়। চৌষট্টি কলার মধ্যে রজনীশ ঐ একটি কলায় সিদ্ধ ছিলেন।উনিও একসাথে একাধিক নারীর তৃপ্তি-সাধন করাতে পারতেন।আর এই সিদ্ধি কাজে লাগিয়ে উনি প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। কিন্তু অপপ্রয়োগের ফলে শেষ বয়সে ওনার সিদ্ধি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল)।
কিন্তু সেই ক্রিয়াটি কি ? সেটা খোলাখুলি আলোচনা করা যেতে পারে । ঐ যে পুরুষ(সাধক)টির বিশেষ প্রাণায়াম সিদ্ধি ঘটেছে – এবার সে যখনই কোনো নারীর সঙ্গে মিলিত হবে – তখন তার শরীরের কোনো অঙ্গের movement-এর প্রয়োজন হবে না, সে শুধু নির্দিষ্ট প্রাণায়াম ক্রিয়াটি করে যাবে– এর ফলে তার লিঙ্গনালে ঐ vacuum সৃষ্টি হয়ে একটা ঊর্দ্ধটান সৃষ্টি হবে ! এর ফলে নারী-শরীরের বিশেষ অঙ্গের অভ্যন্তরে একটা আলোড়ন পড়ে যাবে এবং নিজস্ব কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই automatically রতিরস secretion হতে শুরু করবে – কিন্তু তা বাইরে বেরোতে পারবে না ! কারণ পুরুষটি লিঙ্গনালের ঊর্ধ্ব আকর্ষণ ক্রিয়ায় _নিঃসৃত সমস্ত রতি-রস নিজের শরীরের অভ্যন্তরে টেনে নেবে !
এইবার ঐ সাধক একেবারে অনেকটা পরিমাণ রতি-রস পুনরায় আকুঞ্চন-প্রসারন ক্রিয়ার দ্বারা প্রবল বেগে নারীটির শরীর অভ্যন্তরস্থ নির্দিষ্ট অঙ্গে পুনরায় নিক্ষেপ করবে – এবং আবার সঙ্গে সঙ্গে তা টেনে নেবে ! এইভাবে এই ক্রিয়া নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে কারোর কোনো রকম স্খলন বিনাই পুনঃপুনঃ চলতে থাকবে।।
সাধারণ নারী হোলে সে শারীরিক আনন্দে পাগলের মতো হয়ে যাবে । সেই নারী ঐ পুরুষকে আর কখনোই ত্যাগ করবে না । একজন বৈষ্ণবের অনেকগুলি সঙ্গিনী রাখার এটাই রহস্য !
এইভাবে ওই পুরুষ সাধকটি অবলীলাক্রমে শারীরিক কোন ক্ষয়-ব্যতিরেকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সময় পর্যন্ত রতিক্রিয়ায় সমর্থ হবে ৷ কিন্তু ওই নারীর যদি উপযুক্ত না হয় – তাহলে বেশিক্ষণ এই আনন্দের-আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবে না – প্রচন্ড শান্তিতে অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বে । কিন্তু এই ক্রিয়ায় নারীও যদি যথার্থ হয় বা উপযুক্ত হয় – তাহলেই আসল ‘যুগল সাধনা’ হবে । ওই ক্রিয়ার সময়ে পুরুষ সাধকের শ্বাস পিঙ্গলায় (ডান নাসায়) বইবে এবং নারী সাধিকার শ্বাস বইবে ইরা-য় (বাম নাসায়)। উভয়েই প্রাণায়াম সিদ্ধ হওয়ায় – পুরুষের রস এবং নারীর রতি-র মিশ্রণ হয়ে – তখন ওই রস-রতি পুরুষ শরীর থেকে নারী শরীরে এবং নারী শরীর থেকে পুরুষ শরীরে – ক্রমাগত যাতায়াত করতে থাকবে বা আবর্তিত হতে থাকবে ! সে এক অনির্বচনীয় আনন্দের আস্বাদন ! সারারাত অথবা রাতের পর রাত এই যুগল সাধনায় মত্ত থাকেন সাধক-সাধিকারা। দুই-রস তখন ‘একরসে’ বা ‘সমরসে’ পরিণত হয় তখন ঐ সাধক-সাধিকা নিজেরাই কৃষ্ণ-রাধায় পরিণত হয়ে যান !!
গুরু মহারাজ বলেছিলেন_এই ক্রিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ! ষোড়শ (অর্থাৎ ষোলজন,ষোল-শ নয়!) রমনীকে নিয়ে একসাথে উনি সবার সাথে রাসক্রীড়া করেছিলেন এবং সকলকে সমানভাবে তৃপ্ত করেছিলেন।রাধাকৃষ্ণ-তত্ত্ব যেমন আধ্যাত্মিকভাবে সত্য, তেমনি স্থুলভাবেও ঐ সমস্ত ঘটনা সেই সময় ঘটেছিল! পরম্পরাগতভাবে সেই সাধন প্রক্রিয়াই আজো বাউল-বৈষ্ণবদের মধ্যে চলে আসছে।… [ক্রমশঃ]