গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো । মা জগদম্বা যখন যখনই তাঁর প্রিয় পুত্রদের জগতের প্রয়োজনে অবতরণ ঘটান, তখনই তাঁদেরকে নানারকম আবরণ বা আভরণে সাজিয়েই পাঠান, তারপর যখন ঈশ্বরের অবতরণ হয় তখন তো ব্যাপারটাই অন্যরকম হয় । অবতারদের রূপের বর্ণনা দিতে গিয়ে গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন– সমস্ত অবতার পুরুষদের মধ্যে সবচাইতে সুদর্শন ছিলেন ভগবান বুদ্ধ ! ভগবান বুদ্ধের শরীরে যেন কেউ কোনো খুঁত বের করতেই পারতো না –এতোটাই নিখুঁত ছিল ওনার শরীরের গঠন ! উচ্চতা, গাত্রবর্ণ, অঙ্গগুলির বিন্যাস, চোখ-মুখ-নাক-কান সবকিছুর গঠনই ছিল নিখুঁত ! তবে গাত্রবর্ণের দিকে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ছিলেন সবচাইতে এগিয়ে ! গুরুমহারাজ বলেছিলেন– যববর্ণ অর্থাৎ প্রায় white, আর গুরুমহারাজের ছিল সুপরিপক্ক গমবর্ণ ! যীশু লম্বা ছিলেন কিন্তু শরীরের গঠন ছিল রোগাটে ! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের গায়ের রঙ ছিল চাপা, দাঁতগুলি ছিল একটু ফাঁক ফাঁক, ঠোঁটদুটি ছিল মোটা, উচ্চতাও তেমন ছিল না, মাথার চুলও কম ছিল –বিশেষত: কপালের দু’পাশের !
গুরুমহারাজের সাথে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের একটি বিশেষ অঙ্গের সাদৃশ্য ছিল, অথবা বলা যায়_ স্বামী পরমানন্দের যেহেতু পুরুষ শরীর, তাই মা জগদম্বা সেই বিশেষ অঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ-টা দিয়েছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ন্যায় ! গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে, মহাপুরুষের অন্যতম একটা লক্ষণ হলো অন্ডকোষ এবং লিঙ্গ খুবই ছোট হবে ৷ শক্তিশালী পুরুষের অন্ডকোষ হয় খুব ছোট _পশুরাজ সিংহের মতো ! ষাঁড়ের বা পুরুষ মহিষের অণ্ডকোষ বড় হয় এবং এরাও শক্তিশালী হয়, কিন্তু সিংহের এক থাবাতেই ষাঁড়ের মাথা চূর্ণ হয়ে যেতে পারে ! অন্ডকোষ ছোট, এমন পুরুষের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা immunity power বেশি হয় । অন্যান্য পুরুষ অপেক্ষা তাদের যৌনক্ষমতাও বেশি হয় ।
গুরুমহারাজ বলেছিলেন মহাপুরুষদের লিঙ্গ হয় শিশুর মতো ! যোগসাধনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই অঙ্গটি একেবারে ভিতরের দিকে ঢুকে যায় ৷
গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন _উনি এমন অনেক যোগীকে দেখেছিলেন যাঁদের লিঙ্গ ধানের মত ছোট্ট, শুধু চিহ্ন রয়েছে –আলাদা কোন অঙ্গ বলে বোধই হয় না ! গুরুমহারাজ উল্লেখ করেছিলেন ওনার গুরুদেব রামানন্দ অবধূত, তৈলঙ্গস্বামী এবং আরো অনেকের নাম, এমনকি উনি এও বলেছিলেন যে, এঁরা সবাই নাঙ্গা বা উলঙ্গ হয়ে থাকতেন কিন্তু বাইরে থেকে ছবি দেখে ওনাদের পুরুষাঙ্গের চিহ্ন দেখাই যায় না !
এরকমটা কেন হয় ? –তা বোঝাতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন বিশেষ বিশেষ আসন বা মুদ্রা অনেকটাই কার্য্যকরী, তাছাড়া স্বাধিষ্ঠান চক্র বা gonad gland-এর উপর নিয়ন্ত্রণ আসায় যোগীর শরীরে এই gland থেকে নিঃসৃত হরমোন ক্ষরণেরও পরিবর্তন ঘটে ৷ ফলে পুরো যৌনগ্রন্থি এবং সংলগ্ন অঙ্গগুলির কোনো ক্রিয়াশীলতা থাকে না –তাই ওই অঙ্গগুলি শিশুর মতো হয়ে যায় !
তবে নাঙ্গা সন্ন্যাসী বা জৈন দিগম্বর পরম্পরার অনেক সন্ন্যাসীরা লিঙ্গ-সাধনা করেন, লিঙ্গ নিয়ে নানান এক্সপেরিমেন্ট করেন, তাই সবারই লিঙ্গ শিশুর ন্যায় হবে _এমন কোনো মানে নাই !
তবে একটা কথা আমার মনে পড়ছে –সেইটা আপনাদের কাছে বলি ! গুরুমহারাজের এই আলোচনাটি শোনার পর আমাদের আশ্রমের ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসীদের মনেও এটা দৃঢ়মূল হয়ে যায় যে, যে কোনো উন্নত সাধু-মহাত্মার লিঙ্গ শিশুর মতো হতেই হবে ! পরমানন্দ মিশনের একজন সন্ন্যাসী কৃষ্ণানন্দ মহারাজ (যিনি এখন আজিমগঞ্জ কনসাস্ স্পিরিচুয়ালে থাকেন) হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চল ঘোরার সুযোগ পেয়ে হরিদ্বার-হৃষীকেশ-উত্তরকাশী ইত্যাদি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরছিলেন ৷ হৃষীকেশে কোনো এক ধর্মশালায় ওঁরা ছিলেন এবং সেই স্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে বেড়াচ্ছিলেন ৷ সেই রকমই একদিন সকালের দিকে ওঁরা কোনো দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য বেরোবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ এমন সময় দেখলেন যে, স্থানীয় মানুষজন, পাশাপাশি দোকান-মালিক ইত্যাদি সবার মধ্যে একটা ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেলো –সবাই রাস্তার দিকে দৌড়াচ্ছে ! কৃষ্ণানন্দ কৌতুহলী হয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন – ” আচ্ছা ভাই ! কি ব্যাপার–সবাই ওই দিকে ছুটছে কেন ?” সেও ছুটতে ছুটতে উত্তর দিয়েছিল – “একজন মহাত্মা হিমালয়ের উচ্চভূমি থেকে আজ কৃপা করে নিচে নেমে এসেছেন ! উনি বড় একটা নিচে নামেন না–কোথায় থাকেন কেউ জানে না ! অনেকদিন পরে আজ নিচে নেমেছেন, তাই সবাই তাঁকে দেখতে বা একবার স্পর্শ করার জন্য ছুটছে !” এই কথা শুনে কৃষ্ণানন্দও ছুটলেন ! প্রচুর ভিড় ঠেলে ঠেলে উনি সেই মহাত্মার কাছেও পৌঁছেছিলেন, প্রণামও করেছিলেন । কিন্তু অতো কান্ডের মধ্যেও কৃষ্ণানন্দ মহারাজ ঐ মহাত্মার লিঙ্গের দিকে তাকাতে ভোলেন নি ! দেখেছিলেন সত্যি সত্যিই ঐ অঙ্গটি ছিল একেবারে শিশুর মতো ! … [ক্রমশঃ]
গুরুমহারাজের সাথে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের একটি বিশেষ অঙ্গের সাদৃশ্য ছিল, অথবা বলা যায়_ স্বামী পরমানন্দের যেহেতু পুরুষ শরীর, তাই মা জগদম্বা সেই বিশেষ অঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ-টা দিয়েছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ন্যায় ! গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে, মহাপুরুষের অন্যতম একটা লক্ষণ হলো অন্ডকোষ এবং লিঙ্গ খুবই ছোট হবে ৷ শক্তিশালী পুরুষের অন্ডকোষ হয় খুব ছোট _পশুরাজ সিংহের মতো ! ষাঁড়ের বা পুরুষ মহিষের অণ্ডকোষ বড় হয় এবং এরাও শক্তিশালী হয়, কিন্তু সিংহের এক থাবাতেই ষাঁড়ের মাথা চূর্ণ হয়ে যেতে পারে ! অন্ডকোষ ছোট, এমন পুরুষের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা immunity power বেশি হয় । অন্যান্য পুরুষ অপেক্ষা তাদের যৌনক্ষমতাও বেশি হয় ।
গুরুমহারাজ বলেছিলেন মহাপুরুষদের লিঙ্গ হয় শিশুর মতো ! যোগসাধনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই অঙ্গটি একেবারে ভিতরের দিকে ঢুকে যায় ৷
গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন _উনি এমন অনেক যোগীকে দেখেছিলেন যাঁদের লিঙ্গ ধানের মত ছোট্ট, শুধু চিহ্ন রয়েছে –আলাদা কোন অঙ্গ বলে বোধই হয় না ! গুরুমহারাজ উল্লেখ করেছিলেন ওনার গুরুদেব রামানন্দ অবধূত, তৈলঙ্গস্বামী এবং আরো অনেকের নাম, এমনকি উনি এও বলেছিলেন যে, এঁরা সবাই নাঙ্গা বা উলঙ্গ হয়ে থাকতেন কিন্তু বাইরে থেকে ছবি দেখে ওনাদের পুরুষাঙ্গের চিহ্ন দেখাই যায় না !
এরকমটা কেন হয় ? –তা বোঝাতে গিয়ে গুরুমহারাজ বলেছিলেন বিশেষ বিশেষ আসন বা মুদ্রা অনেকটাই কার্য্যকরী, তাছাড়া স্বাধিষ্ঠান চক্র বা gonad gland-এর উপর নিয়ন্ত্রণ আসায় যোগীর শরীরে এই gland থেকে নিঃসৃত হরমোন ক্ষরণেরও পরিবর্তন ঘটে ৷ ফলে পুরো যৌনগ্রন্থি এবং সংলগ্ন অঙ্গগুলির কোনো ক্রিয়াশীলতা থাকে না –তাই ওই অঙ্গগুলি শিশুর মতো হয়ে যায় !
তবে নাঙ্গা সন্ন্যাসী বা জৈন দিগম্বর পরম্পরার অনেক সন্ন্যাসীরা লিঙ্গ-সাধনা করেন, লিঙ্গ নিয়ে নানান এক্সপেরিমেন্ট করেন, তাই সবারই লিঙ্গ শিশুর ন্যায় হবে _এমন কোনো মানে নাই !
তবে একটা কথা আমার মনে পড়ছে –সেইটা আপনাদের কাছে বলি ! গুরুমহারাজের এই আলোচনাটি শোনার পর আমাদের আশ্রমের ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসীদের মনেও এটা দৃঢ়মূল হয়ে যায় যে, যে কোনো উন্নত সাধু-মহাত্মার লিঙ্গ শিশুর মতো হতেই হবে ! পরমানন্দ মিশনের একজন সন্ন্যাসী কৃষ্ণানন্দ মহারাজ (যিনি এখন আজিমগঞ্জ কনসাস্ স্পিরিচুয়ালে থাকেন) হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চল ঘোরার সুযোগ পেয়ে হরিদ্বার-হৃষীকেশ-উত্তরকাশী ইত্যাদি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরছিলেন ৷ হৃষীকেশে কোনো এক ধর্মশালায় ওঁরা ছিলেন এবং সেই স্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে বেড়াচ্ছিলেন ৷ সেই রকমই একদিন সকালের দিকে ওঁরা কোনো দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য বেরোবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ এমন সময় দেখলেন যে, স্থানীয় মানুষজন, পাশাপাশি দোকান-মালিক ইত্যাদি সবার মধ্যে একটা ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেলো –সবাই রাস্তার দিকে দৌড়াচ্ছে ! কৃষ্ণানন্দ কৌতুহলী হয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন – ” আচ্ছা ভাই ! কি ব্যাপার–সবাই ওই দিকে ছুটছে কেন ?” সেও ছুটতে ছুটতে উত্তর দিয়েছিল – “একজন মহাত্মা হিমালয়ের উচ্চভূমি থেকে আজ কৃপা করে নিচে নেমে এসেছেন ! উনি বড় একটা নিচে নামেন না–কোথায় থাকেন কেউ জানে না ! অনেকদিন পরে আজ নিচে নেমেছেন, তাই সবাই তাঁকে দেখতে বা একবার স্পর্শ করার জন্য ছুটছে !” এই কথা শুনে কৃষ্ণানন্দও ছুটলেন ! প্রচুর ভিড় ঠেলে ঠেলে উনি সেই মহাত্মার কাছেও পৌঁছেছিলেন, প্রণামও করেছিলেন । কিন্তু অতো কান্ডের মধ্যেও কৃষ্ণানন্দ মহারাজ ঐ মহাত্মার লিঙ্গের দিকে তাকাতে ভোলেন নি ! দেখেছিলেন সত্যি সত্যিই ঐ অঙ্গটি ছিল একেবারে শিশুর মতো ! … [ক্রমশঃ]