গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বিভিন্ন স্থানে সিটিং-এ পৌরাণিক আখ্যানগুলির যে বৈজ্ঞানিক, সামাজিক, তাত্ত্বিক ইত্যাদি ব্যাখ্যাসমূহ করতেন – সেইগুলিকে এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো । আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি সেইটি আমার কাছে খুবই সংক্ষিপ্ত note রয়েছে, তাই এই ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা যাবে না – অথচ করতে পারলে কি ভালোই হতো ! গুরুমহারাজ কিন্তু এই পৌরাণিক কাহিনীটিকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছিলেন – সেইটা আমাদের আশ্রমের ভক্তদের অনেকেই শুনেছিলেন ; যদি তাদের মধ্যে কারো আরো দু-চারটে point মনে পড়ে – তাহলে মন্তব্যে লিখে জানালে সকলেরই প্রভূত উপকার হবে ।
এবার কোন্ ঘটনার কথা বলতে চাইছি – সেটা বলি ! পৌরাণিক আখ্যানে বর্ণিত হিরণ্যাক্ষ-হিরণ্যকশিপুর কথা ! গুরুমহারাজ এই দু’টি চরিত্রকেই তত্ত্বগতভাবে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছিলেন ! দিতির পুত্রদ্বয় হিরণ্যাক্ষ ও হিরণ্যকশিপু নামক দুই অসুর তৎকালীন মনুষ্যসমাজ ও দেবসমাজের কাছে চরম ত্রাসস্বরূপ হয়ে উঠেছিল । তাদের অত্যাচারে সকলে অতিষ্ঠ, দেবতারা স্বর্গচ্যুত, মুনি-ঋষিরা আশ্রমচ্যুত, সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত – সে এক চরম পরিস্থিতি ! চারিদিকে ‘ত্রাহি – ত্রাহি’ রব ! এমন পরিস্থিতিতে বিষ্ণু স্বয়ং বরাহ অবতার এবং নৃসিংহ অবতার রূপে অবতীর্ণ হয়ে যথাক্রমে হিরণ্যাক্ষকে এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে আবার তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় একটা balance এনেছিলেন । পুরাণে কথিত আছে যে হিরণ্যাক্ষকে বধ করার পর ওই বরাহের সাথে পৃথিবীর বিবাহ হয়েছিল এবং এরপর পৃথিবীর শস্য-শ্যামলা হয়ে উঠেছিল ।
গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে, এই কাহিনীটি একটি রূপক । এটির মাধ্যমে পৃথিবীর প্রাথমিক অবস্থার কথা বলা হয়েছিল ৷ হিরণ্যাক্ষ নামটা দেখেই (হিরণ্য মানে সোনা) বোঝা যাচ্ছে যে, তখনও পৃথিবী চরম উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল এবং হাজার হাজার বছর ধরে একনাগারে বৃষ্টি হবার পর উপরিভাগ একটু একটু শীতল হয়ে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হচ্ছিলো ! কিন্তু তখনও vegetation জন্মাবার মতো কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি ৷ এখানে বিষ্ণুর অবতার ‘বরাহ’ বলতে যা বোঝানো হয়েছে তা হলো – ‘বিষ্ণু’- অর্থে বিস্তার, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্টির পর থেকে ক্রমাগত বিস্তার হয়ে চলেছে । এই বিস্তারিত হবার প্রতিটি পরতে পরতে যে ক্রমবিবর্তন সেইগুলিকে এক একটি “অবতার তত্ত্ব” দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ঋষিরা ! এই যে বিস্তার _এইটা বোঝাতেই বিষ্ণুর অবতার ! যখন সমগ্র পৃথিবী জলমগ্ন, একেবারেই স্থলভাগ তৈরি হয়নি – সেই সময় প্রাণের প্রথম অভিব্যক্তি বোঝাতে বিষ্ণুর প্রথম প্রকাশ “মৎস্য-অবতার”! যখন একটু স্থলভাগ জাগলো – তখন প্রথম উভচররূপে প্রাণের বিবর্তনের প্রকাশ বোঝাতে “কূর্ম্ম-অবতার”!
এইরকমভাবেই পৃথিবী গ্রহের ক্রমবিকাশে যখন অনেকটা বেশি স্থলভাগ জেগে উঠলো, তখন জলে জন্মানো লক্ষ লক্ষ জীবাণু, বীজাণু ও কীটাণুর মৃত দেহাবশেষের সঙ্গে সদ্য সৃষ্টি হওয়া কঠিন ভূভাগ শক্ত অথচ উপরের অংশ কর্দমের ন্যায় আকার ধারণ করেছিল ৷ সেই ভূভাগ-কে দাঁত দিয়ে চিঁড়ে চিঁড়ে হলকর্ষণ-এর ন্যায় উর্বর করে তোলার বাস্তব প্রয়োগ ঘটায় “বরাহ”! বরাহ বা শুকরদের কাজই হলো মাটি কুঁড়ে কুঁড়ে ঘাসের গোড়া তুলে খাওয়া ! তাছাড়া বরাহ কর্দমাক্ত স্থানে থাকতেই বেশি পছন্দ করে – এমনকি ওরা পচা ড্রেনের মধ্যেও অক্লেশে মুখ-নাক ডুবিয়ে দিয়ে খাবার খুঁজে বের করতে পারে । এই সমস্ত কারণের জন্যেই মহাজ্ঞানী মুনি-ঋষিরা পৃথিবীর ঐ আদিম অবস্থায়__ প্রথম vegetation-এর উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার যে theory, তাকেই “বরাহ-অবতার” হিসাবে represent করেছিলেন ৷
পুরাণে বর্ণিত ওই কাহিনীর মধ্যে রয়েছে যে, বরাহের সাথে পৃথিবীর বিবাহ হয় এবং তাদের সন্তান-সন্ততিরাই বসুন্ধরাকে শস্য-শ্যামলা করে তুলেছিল । এই রূপকটায় সহজেই বোঝা যায় যে, জীববিবর্তনে “বরাহ” প্রজাতির সৃষ্টির পর থেকেই ওরা শক্ত চোয়াল ও তীক্ষ্ণ দাঁতের সাহায্যে পৃথিবীর ভূ-ভাগকে কর্ষণ করতে শুরু করেছিল এবং এরফলেই পৃথিবীতে সবুজ উদ্ভিদসমূহের উদ্ভবের বাতাবরণ তৈরি হয় এবং এর পরেই প্রথমে এককোষী উদ্ভিদ ও পরে বহুকোষী উদ্ভিদসমূহ সৃষ্টি হয়েছিল । এইভাবে পৃথিবীর জন্মলগ্নের প্রথমভাগের জীববিবর্তন ও প্রথম vegetation-এর জন্মের ইতিহাস বোঝাতে এই পৌরাণিক কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছিল ৷
এছাড়াও গুরুমহারাজের কাছে শুনেছিলাম – ওই আখ্যানেই রয়েছে যে, কোন কারণে (?) পৃথিবী কোনো অতলের মধ্যে ডুবে যাচ্ছিলো – আর সেই অবস্থা থেকে পৃথিবীকে ওই বরাহ অবতার তাঁর দাঁতের সাহায্যে তুলে ধরেছিলেন ! এই ঘটনার উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “সেই সময় পৃথিবী সহ সমগ্র সৌরমন্ডলের বিভিন্ন গ্রহগুলিতে নানারকম মহাজাগতিক ঘটনাসমূহ ঘটছিল ! আজ যেমনটা এই সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলির একটা সুস্থিত অবস্থান বা বিন্যাস দেখা যাচ্ছে – পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম দিকে কোন কিছুই এইরকম সুস্থির ছিল না – সবসময়ই অস্থির, অশান্ত একটা ভাব ছিল ৷ মুহুর্মুহু নানান ঘটনা ঘটছিল এবং নিরন্তর হঠাৎ হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছিলো । এইরকমই একটা এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছিল যাতে পৃথিবীগ্রহটিই তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল, অথবা এখন যেভাবে এই গ্রহের অবস্থান দেখা যাচ্ছে (66½⁰কোণে হেলে)– সেই অবস্থান থেকে, অন্য অবস্থানে চলে যাচ্ছিলো !
বিষ্ণুকে শাস্ত্রে পালনকর্তা বলা হয়েছে ৷ সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের স্থিতিকালটা রক্ষা করে চলে যে তত্ত্ব তাই বিষ্ণু – যা বিস্তারিত হয়ে চলেছে ! যাইহোক, সেইসময় অর্থাৎ পৃথিবী গ্রহের চরম সংকটকালে যে principle পৃথিবীগ্রহকে রক্ষা করেছিল এবং তাকে সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে এনেছিল – সেই principle-টাই বিষ্ণুর বরাহ অবতার হিসাবে বর্ণিত করা হয়েছিল শাস্ত্রে ! (ক্রমশঃ)
এবার কোন্ ঘটনার কথা বলতে চাইছি – সেটা বলি ! পৌরাণিক আখ্যানে বর্ণিত হিরণ্যাক্ষ-হিরণ্যকশিপুর কথা ! গুরুমহারাজ এই দু’টি চরিত্রকেই তত্ত্বগতভাবে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছিলেন ! দিতির পুত্রদ্বয় হিরণ্যাক্ষ ও হিরণ্যকশিপু নামক দুই অসুর তৎকালীন মনুষ্যসমাজ ও দেবসমাজের কাছে চরম ত্রাসস্বরূপ হয়ে উঠেছিল । তাদের অত্যাচারে সকলে অতিষ্ঠ, দেবতারা স্বর্গচ্যুত, মুনি-ঋষিরা আশ্রমচ্যুত, সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত – সে এক চরম পরিস্থিতি ! চারিদিকে ‘ত্রাহি – ত্রাহি’ রব ! এমন পরিস্থিতিতে বিষ্ণু স্বয়ং বরাহ অবতার এবং নৃসিংহ অবতার রূপে অবতীর্ণ হয়ে যথাক্রমে হিরণ্যাক্ষকে এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে আবার তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় একটা balance এনেছিলেন । পুরাণে কথিত আছে যে হিরণ্যাক্ষকে বধ করার পর ওই বরাহের সাথে পৃথিবীর বিবাহ হয়েছিল এবং এরপর পৃথিবীর শস্য-শ্যামলা হয়ে উঠেছিল ।
গুরুমহারাজ বলেছিলেন যে, এই কাহিনীটি একটি রূপক । এটির মাধ্যমে পৃথিবীর প্রাথমিক অবস্থার কথা বলা হয়েছিল ৷ হিরণ্যাক্ষ নামটা দেখেই (হিরণ্য মানে সোনা) বোঝা যাচ্ছে যে, তখনও পৃথিবী চরম উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল এবং হাজার হাজার বছর ধরে একনাগারে বৃষ্টি হবার পর উপরিভাগ একটু একটু শীতল হয়ে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হচ্ছিলো ! কিন্তু তখনও vegetation জন্মাবার মতো কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি ৷ এখানে বিষ্ণুর অবতার ‘বরাহ’ বলতে যা বোঝানো হয়েছে তা হলো – ‘বিষ্ণু’- অর্থে বিস্তার, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্টির পর থেকে ক্রমাগত বিস্তার হয়ে চলেছে । এই বিস্তারিত হবার প্রতিটি পরতে পরতে যে ক্রমবিবর্তন সেইগুলিকে এক একটি “অবতার তত্ত্ব” দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ঋষিরা ! এই যে বিস্তার _এইটা বোঝাতেই বিষ্ণুর অবতার ! যখন সমগ্র পৃথিবী জলমগ্ন, একেবারেই স্থলভাগ তৈরি হয়নি – সেই সময় প্রাণের প্রথম অভিব্যক্তি বোঝাতে বিষ্ণুর প্রথম প্রকাশ “মৎস্য-অবতার”! যখন একটু স্থলভাগ জাগলো – তখন প্রথম উভচররূপে প্রাণের বিবর্তনের প্রকাশ বোঝাতে “কূর্ম্ম-অবতার”!
এইরকমভাবেই পৃথিবী গ্রহের ক্রমবিকাশে যখন অনেকটা বেশি স্থলভাগ জেগে উঠলো, তখন জলে জন্মানো লক্ষ লক্ষ জীবাণু, বীজাণু ও কীটাণুর মৃত দেহাবশেষের সঙ্গে সদ্য সৃষ্টি হওয়া কঠিন ভূভাগ শক্ত অথচ উপরের অংশ কর্দমের ন্যায় আকার ধারণ করেছিল ৷ সেই ভূভাগ-কে দাঁত দিয়ে চিঁড়ে চিঁড়ে হলকর্ষণ-এর ন্যায় উর্বর করে তোলার বাস্তব প্রয়োগ ঘটায় “বরাহ”! বরাহ বা শুকরদের কাজই হলো মাটি কুঁড়ে কুঁড়ে ঘাসের গোড়া তুলে খাওয়া ! তাছাড়া বরাহ কর্দমাক্ত স্থানে থাকতেই বেশি পছন্দ করে – এমনকি ওরা পচা ড্রেনের মধ্যেও অক্লেশে মুখ-নাক ডুবিয়ে দিয়ে খাবার খুঁজে বের করতে পারে । এই সমস্ত কারণের জন্যেই মহাজ্ঞানী মুনি-ঋষিরা পৃথিবীর ঐ আদিম অবস্থায়__ প্রথম vegetation-এর উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার যে theory, তাকেই “বরাহ-অবতার” হিসাবে represent করেছিলেন ৷
পুরাণে বর্ণিত ওই কাহিনীর মধ্যে রয়েছে যে, বরাহের সাথে পৃথিবীর বিবাহ হয় এবং তাদের সন্তান-সন্ততিরাই বসুন্ধরাকে শস্য-শ্যামলা করে তুলেছিল । এই রূপকটায় সহজেই বোঝা যায় যে, জীববিবর্তনে “বরাহ” প্রজাতির সৃষ্টির পর থেকেই ওরা শক্ত চোয়াল ও তীক্ষ্ণ দাঁতের সাহায্যে পৃথিবীর ভূ-ভাগকে কর্ষণ করতে শুরু করেছিল এবং এরফলেই পৃথিবীতে সবুজ উদ্ভিদসমূহের উদ্ভবের বাতাবরণ তৈরি হয় এবং এর পরেই প্রথমে এককোষী উদ্ভিদ ও পরে বহুকোষী উদ্ভিদসমূহ সৃষ্টি হয়েছিল । এইভাবে পৃথিবীর জন্মলগ্নের প্রথমভাগের জীববিবর্তন ও প্রথম vegetation-এর জন্মের ইতিহাস বোঝাতে এই পৌরাণিক কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছিল ৷
এছাড়াও গুরুমহারাজের কাছে শুনেছিলাম – ওই আখ্যানেই রয়েছে যে, কোন কারণে (?) পৃথিবী কোনো অতলের মধ্যে ডুবে যাচ্ছিলো – আর সেই অবস্থা থেকে পৃথিবীকে ওই বরাহ অবতার তাঁর দাঁতের সাহায্যে তুলে ধরেছিলেন ! এই ঘটনার উল্লেখ করে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “সেই সময় পৃথিবী সহ সমগ্র সৌরমন্ডলের বিভিন্ন গ্রহগুলিতে নানারকম মহাজাগতিক ঘটনাসমূহ ঘটছিল ! আজ যেমনটা এই সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলির একটা সুস্থিত অবস্থান বা বিন্যাস দেখা যাচ্ছে – পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম দিকে কোন কিছুই এইরকম সুস্থির ছিল না – সবসময়ই অস্থির, অশান্ত একটা ভাব ছিল ৷ মুহুর্মুহু নানান ঘটনা ঘটছিল এবং নিরন্তর হঠাৎ হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছিলো । এইরকমই একটা এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছিল যাতে পৃথিবীগ্রহটিই তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল, অথবা এখন যেভাবে এই গ্রহের অবস্থান দেখা যাচ্ছে (66½⁰কোণে হেলে)– সেই অবস্থান থেকে, অন্য অবস্থানে চলে যাচ্ছিলো !
বিষ্ণুকে শাস্ত্রে পালনকর্তা বলা হয়েছে ৷ সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের স্থিতিকালটা রক্ষা করে চলে যে তত্ত্ব তাই বিষ্ণু – যা বিস্তারিত হয়ে চলেছে ! যাইহোক, সেইসময় অর্থাৎ পৃথিবী গ্রহের চরম সংকটকালে যে principle পৃথিবীগ্রহকে রক্ষা করেছিল এবং তাকে সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে এনেছিল – সেই principle-টাই বিষ্ণুর বরাহ অবতার হিসাবে বর্ণিত করা হয়েছিল শাস্ত্রে ! (ক্রমশঃ)