গুরু মহারাজ যখন বাইরে থাকতেন — তখন ভক্তরা ওনাকে চিঠি লিখে তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন কোরতো অথবা তাদের সমস্যার কথা জানাতো ! গুরু মহারাজ সেই সমস্ত চিঠির উত্তর দিতেন । গুরু মহারাজ যখন বিদেশে থাকতেন – হয়তো প্রচুর ব্যস্ততা – তবুও উনি ভক্তদের চিঠির উত্তর ঠিকই দিতেন ! কোন সময় ন’কাকীমা গুরু মহারাজকে এইরকমই কোন কারণে চিঠি দিয়েছিলেন (গুরু মহারাজ ন’কাকীমাকে অনেক চিঠিই দিয়েছিলেন — তার মধ্যে ঐ চিঠিটি একটি) ৷ সৌভাগ্যবশতঃ সেই চিঠিটি আমি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম ! যেখানে গুরু মহারাজ সমস্ত কথা লেখার পর শেষের দিকে লিখেছিলেন – ” কাকীমা ! ন’কাকাকে আমার আভূমিলুণ্ঠিত প্রণাম জানাবে ৷”
চিঠির মাধ্যমে এত গভীর শ্রদ্ধাপূর্ণভাবে যে অভিবাদন জানানো যায় – তা আগে আমি জানতাম না ! এই চিঠিটা (হয়তো এখনও ন’কাকীমার কাছে চিঠিটা রয়েছে) পড়ার পর ন’কাকাকে আমি কিভাবে শ্রদ্ধা জানাবো — তার খেই খুঁজে পেতাম না ! গুরুমহারাজ যাঁকে এইভাবে প্রনাম জানাচ্ছেন, সেই মহাপুরুষকে শ্রদ্ধা জানানোর কৌশল কি_তা তো জানি না! তাই তখন থেকেই ন’কাকার সাথে পিতা-পুত্র (মাতা-পুত্র !) সম্বন্ধ করে নিয়েছিলাম – যাতে ওইসব ঝামেলা পোহাতে না হয়(গুরুমহারাজ বলেছিলেন _সম্বন্ধ হয়ে গেলে আর চিন্তা নাই)!
পুত্র হিসেবে এত ভালোবাসতেন ন’কাকা – যে সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না ৷ তখন পরমানন্দ হাইস্কুলে আমি শিক্ষকতা করছি – ফলে বনগ্রাম আশ্রমেই আশ্রমিক হিসাবে থাকতাম [‘আশ্রমিক’ কথাটা উচ্চারণ করলাম, তার কারণ রয়েছে ! একদিন সকাল বেলায় ছেলেদের পড়ানোর জন্য বা অন্য কোন কাজে বর্ত্তমান চরৈবেতি ঘরের কাছে গেছি – দেখি ওখানে চায়ের গ্লাস হাতে গুরু মহারাজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্বরূপানন্দ মহারাজ এবং আরো দু-একজনের সাথে কথা বলছেন । স্বরূপানন্দ মহারাজ ছাড়া বাকি লোকগুলি চলে গেল যখন _ঠিক সেই সময় আমি ওনার কাছে গিয়ে পৌঁছে প্রণাম করে উঠে দাঁড়াতেই উনি স্বরূপানন্দের সাথে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরেই বললেন – ” এই তো শ্রীধর ! তুই-ও তো এখন আশ্রমিক ! ছাত্রদের সাথে মেলামেশা করিস, বল্ তো ছাত্রদের হোস্টেলে বর্তমানে কি সুবিধা বা অসুবিধা ?” তারপর উনি নিজেই বলেছিলেন – ” জানিস তো! ওদের(আশ্রম বালকদের) সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে – তবেই ওরা ওদের সমস্যার কথা তোকে বলবে । অন্যভাবে করতে গেলে Reaction করবে !”]।
যাইহোক, তখন বনগ্রাম আশ্রমে থাকতাম — এক একদিন সকালের দিকে ছাত্রদের পড়াচ্ছি বা সাধনা ভবনের ১৭ নং ঘরে লেখালেখির কাজ করছি _ ন’কাকা ঐখানে গিয়ে হাজির । বলতেন – ” বাবা ! তাহলে আজ দুকুরে (দুপুরটা উনি দুকুর বলতেন ৷ সম্ভবত ওনার মা অর্থাৎ ‘বুড়োমা’ হয়তো ‘দুকুর’ কথাটা উচ্চারণ করতেন।) তুমি আমাদের ওখানে খাবে। তোমার কাকীমা বলে দিল! ওই যে – পুকুরে মাছ ধরেছে – তাই ব্রাহ্মণ ভোজন হয়ে যাবে !” চলে যেতাম ন’কাকার বাড়ি খেতে! ন’ কাকীমার বগি থালায় ভাত সাজানো কি art! দেখে মনে হোত এইটুকু!! কিন্তু ভাত ভাঙতে শুরু করলে আর ফুরোতে চাইত না! সে কি আনন্দের দিন-ই না ছিল !
ন’কাকার একবারই রুদ্ররূপের একটুখানি প্রকাশ দেখেছিলাম – সেটাও ঘটেছিল গুরু মহারাজের সামনেই ! ঘটনাটা বলি !কাটোয়ার কাছে একটা আশ্রমে আমি, নগেন, রান্নাঘরের গোবিন্দ দা এবং ধানডুগির জহরদা মিলে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম । গোবিন্দ দা আর নগেন বনগ্রাম থেকে তখন আমাদের এখানে বেড়াতে এসেছিল । তাই ওদেরকে নিয়ে কাটোয়ার সন্নিকট স্থানগুলি ঘোরানো হচ্ছিল ৷ ঐ আশ্রমের যিনি সাধুবাবা (তখন ওনার খুব নামডাক, উনি তান্ত্রিক ছিলেন) তিনি কথা বলতে বলতে আমার উপর রুষ্ট হয়েই হোক বা অন্য কারণে – আমার উপর শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন!! যাইহোক ঘটনা ঘটে যাবার পর আমরা ঐ আশ্রম থেকে চলে এসেছিলাম । ব্যাপারটা ভুলে যাবার চেষ্টাও করছিলাম। কিন্তু নগেন বনগ্রামে গিয়ে গুরু মহারাজকে ঘটনাটা রসিয়ে রসিয়ে বলেছিল ৷এর কিছুদিন পর আমি যখন বনগ্রাম গেলাম – সন্ধ্যার সময় ন’কাকাদের বাড়ীতে গুরু মহারাজ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন – ” হ্যাঁরে শ্রীধর ! কাটোয়ার ঐ আশ্রমে ঘটনাটা কি ঘটেছিল রে ?” আমি ভয়ে ভয়ে আনুপূর্বিক মোটামুটি সব ঘটনাটাই বর্ণনা করেছিলাম । তখন গুরু মহারাজ শান্ত অথচ গম্ভীর কন্ঠে বললেন – ” জানিস ঐ ব্যক্তি তোর উপর অভিচার ক্রিয়া করেছিল! তোর জীবনী শক্তি সব শোষন করে নিতো। কিন্তু তোর কোন ক্ষতি হয় নি __মা জগদম্বা তোকে রক্ষা করেছে!
গুরুমহারাজ ওইদিকের দাওয়ায় বসে বসে এই কথাগুলো বলছিলেন। ওনার কথা শেষ হোতে না হোতেই এই পিঁড়েতে(দাওয়ায়) আমাদের কাছে বসে থাকা ন’কাকা ডান হাতটা মুঠো করে উপর দিকে তুলে তুলে হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলেন _”তবে ওর ক্ষতি হয়েছে, ওর ক্ষতি হয়েছে _ওর চরম ক্ষতি হয়েছে, ওর চরম ক্ষতি হয়েছে!!
অন্ধকার রাত্রির চরম নিস্তব্ধতা ভঙ্গকারী মহাভৈরবের নাদসিদ্ধ হুঙ্কার শুনে সেই রাত্রে সত্যি সত্যিই আমরা চমকে উঠেছিলাম! এর আগে কখনই আমরা ন’কাকাকে অত জোরে কথা বলতেই শুনিনি! সেদিনই এমন ঘটনা ঘটল, তাও আবার গুরুমহারাজের সামনে!!!
ন’কাকা ঐরকম একটা sudden ব্যাপার ঘটানোতেই হোক বা অন্য কারনে __গুরুমহারাজ কিন্তু তারপরেই চুপচাপ হয়ে গেলেন।
এই ঘটনা ঘটার বহু পরে গুরুমহারাজ total ব্যাপারটার সুক্ষাতিসুক্ষ বর্ননা করেছিলেন (যেটা স্থুলে আমরা অতগুলো লোক সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কিছুই বুঝতে পারি নি!)। আর একটা কথাও এখানে বলা উচিত, সেটা হোল __ঐ নাদসিদ্ধিযুক্ত হুঙ্কারের বাস্তব রুপ ও আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ঐ তান্ত্রিক সাধুটির জীবনে!!
“আমার জীবনে ন’কাকা” __প্রসঙ্গ বলতে শুরু করলে, বলা আর শেষ হবে না! তাই মাঝে মাঝে বলব। গুরুমহারাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কথাগুলোই বলব। একান্ত ব্যক্তিগত কথা _এখানকার জন্য নয়! ‘পুরোনো সেই বনগ্রামের কথা’ _য় প্রানপুরুষ যে স্বামী পরমানন্দ!! (ক্রমশঃ)
জয় গূরূজী ।জয় ন’কাকা ।
চিঠির মাধ্যমে এত গভীর শ্রদ্ধাপূর্ণভাবে যে অভিবাদন জানানো যায় – তা আগে আমি জানতাম না ! এই চিঠিটা (হয়তো এখনও ন’কাকীমার কাছে চিঠিটা রয়েছে) পড়ার পর ন’কাকাকে আমি কিভাবে শ্রদ্ধা জানাবো — তার খেই খুঁজে পেতাম না ! গুরুমহারাজ যাঁকে এইভাবে প্রনাম জানাচ্ছেন, সেই মহাপুরুষকে শ্রদ্ধা জানানোর কৌশল কি_তা তো জানি না! তাই তখন থেকেই ন’কাকার সাথে পিতা-পুত্র (মাতা-পুত্র !) সম্বন্ধ করে নিয়েছিলাম – যাতে ওইসব ঝামেলা পোহাতে না হয়(গুরুমহারাজ বলেছিলেন _সম্বন্ধ হয়ে গেলে আর চিন্তা নাই)!
পুত্র হিসেবে এত ভালোবাসতেন ন’কাকা – যে সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না ৷ তখন পরমানন্দ হাইস্কুলে আমি শিক্ষকতা করছি – ফলে বনগ্রাম আশ্রমেই আশ্রমিক হিসাবে থাকতাম [‘আশ্রমিক’ কথাটা উচ্চারণ করলাম, তার কারণ রয়েছে ! একদিন সকাল বেলায় ছেলেদের পড়ানোর জন্য বা অন্য কোন কাজে বর্ত্তমান চরৈবেতি ঘরের কাছে গেছি – দেখি ওখানে চায়ের গ্লাস হাতে গুরু মহারাজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্বরূপানন্দ মহারাজ এবং আরো দু-একজনের সাথে কথা বলছেন । স্বরূপানন্দ মহারাজ ছাড়া বাকি লোকগুলি চলে গেল যখন _ঠিক সেই সময় আমি ওনার কাছে গিয়ে পৌঁছে প্রণাম করে উঠে দাঁড়াতেই উনি স্বরূপানন্দের সাথে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরেই বললেন – ” এই তো শ্রীধর ! তুই-ও তো এখন আশ্রমিক ! ছাত্রদের সাথে মেলামেশা করিস, বল্ তো ছাত্রদের হোস্টেলে বর্তমানে কি সুবিধা বা অসুবিধা ?” তারপর উনি নিজেই বলেছিলেন – ” জানিস তো! ওদের(আশ্রম বালকদের) সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে – তবেই ওরা ওদের সমস্যার কথা তোকে বলবে । অন্যভাবে করতে গেলে Reaction করবে !”]।
যাইহোক, তখন বনগ্রাম আশ্রমে থাকতাম — এক একদিন সকালের দিকে ছাত্রদের পড়াচ্ছি বা সাধনা ভবনের ১৭ নং ঘরে লেখালেখির কাজ করছি _ ন’কাকা ঐখানে গিয়ে হাজির । বলতেন – ” বাবা ! তাহলে আজ দুকুরে (দুপুরটা উনি দুকুর বলতেন ৷ সম্ভবত ওনার মা অর্থাৎ ‘বুড়োমা’ হয়তো ‘দুকুর’ কথাটা উচ্চারণ করতেন।) তুমি আমাদের ওখানে খাবে। তোমার কাকীমা বলে দিল! ওই যে – পুকুরে মাছ ধরেছে – তাই ব্রাহ্মণ ভোজন হয়ে যাবে !” চলে যেতাম ন’কাকার বাড়ি খেতে! ন’ কাকীমার বগি থালায় ভাত সাজানো কি art! দেখে মনে হোত এইটুকু!! কিন্তু ভাত ভাঙতে শুরু করলে আর ফুরোতে চাইত না! সে কি আনন্দের দিন-ই না ছিল !
ন’কাকার একবারই রুদ্ররূপের একটুখানি প্রকাশ দেখেছিলাম – সেটাও ঘটেছিল গুরু মহারাজের সামনেই ! ঘটনাটা বলি !কাটোয়ার কাছে একটা আশ্রমে আমি, নগেন, রান্নাঘরের গোবিন্দ দা এবং ধানডুগির জহরদা মিলে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম । গোবিন্দ দা আর নগেন বনগ্রাম থেকে তখন আমাদের এখানে বেড়াতে এসেছিল । তাই ওদেরকে নিয়ে কাটোয়ার সন্নিকট স্থানগুলি ঘোরানো হচ্ছিল ৷ ঐ আশ্রমের যিনি সাধুবাবা (তখন ওনার খুব নামডাক, উনি তান্ত্রিক ছিলেন) তিনি কথা বলতে বলতে আমার উপর রুষ্ট হয়েই হোক বা অন্য কারণে – আমার উপর শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন!! যাইহোক ঘটনা ঘটে যাবার পর আমরা ঐ আশ্রম থেকে চলে এসেছিলাম । ব্যাপারটা ভুলে যাবার চেষ্টাও করছিলাম। কিন্তু নগেন বনগ্রামে গিয়ে গুরু মহারাজকে ঘটনাটা রসিয়ে রসিয়ে বলেছিল ৷এর কিছুদিন পর আমি যখন বনগ্রাম গেলাম – সন্ধ্যার সময় ন’কাকাদের বাড়ীতে গুরু মহারাজ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন – ” হ্যাঁরে শ্রীধর ! কাটোয়ার ঐ আশ্রমে ঘটনাটা কি ঘটেছিল রে ?” আমি ভয়ে ভয়ে আনুপূর্বিক মোটামুটি সব ঘটনাটাই বর্ণনা করেছিলাম । তখন গুরু মহারাজ শান্ত অথচ গম্ভীর কন্ঠে বললেন – ” জানিস ঐ ব্যক্তি তোর উপর অভিচার ক্রিয়া করেছিল! তোর জীবনী শক্তি সব শোষন করে নিতো। কিন্তু তোর কোন ক্ষতি হয় নি __মা জগদম্বা তোকে রক্ষা করেছে!
গুরুমহারাজ ওইদিকের দাওয়ায় বসে বসে এই কথাগুলো বলছিলেন। ওনার কথা শেষ হোতে না হোতেই এই পিঁড়েতে(দাওয়ায়) আমাদের কাছে বসে থাকা ন’কাকা ডান হাতটা মুঠো করে উপর দিকে তুলে তুলে হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলেন _”তবে ওর ক্ষতি হয়েছে, ওর ক্ষতি হয়েছে _ওর চরম ক্ষতি হয়েছে, ওর চরম ক্ষতি হয়েছে!!
অন্ধকার রাত্রির চরম নিস্তব্ধতা ভঙ্গকারী মহাভৈরবের নাদসিদ্ধ হুঙ্কার শুনে সেই রাত্রে সত্যি সত্যিই আমরা চমকে উঠেছিলাম! এর আগে কখনই আমরা ন’কাকাকে অত জোরে কথা বলতেই শুনিনি! সেদিনই এমন ঘটনা ঘটল, তাও আবার গুরুমহারাজের সামনে!!!
ন’কাকা ঐরকম একটা sudden ব্যাপার ঘটানোতেই হোক বা অন্য কারনে __গুরুমহারাজ কিন্তু তারপরেই চুপচাপ হয়ে গেলেন।
এই ঘটনা ঘটার বহু পরে গুরুমহারাজ total ব্যাপারটার সুক্ষাতিসুক্ষ বর্ননা করেছিলেন (যেটা স্থুলে আমরা অতগুলো লোক সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কিছুই বুঝতে পারি নি!)। আর একটা কথাও এখানে বলা উচিত, সেটা হোল __ঐ নাদসিদ্ধিযুক্ত হুঙ্কারের বাস্তব রুপ ও আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ঐ তান্ত্রিক সাধুটির জীবনে!!
“আমার জীবনে ন’কাকা” __প্রসঙ্গ বলতে শুরু করলে, বলা আর শেষ হবে না! তাই মাঝে মাঝে বলব। গুরুমহারাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কথাগুলোই বলব। একান্ত ব্যক্তিগত কথা _এখানকার জন্য নয়! ‘পুরোনো সেই বনগ্রামের কথা’ _য় প্রানপুরুষ যে স্বামী পরমানন্দ!! (ক্রমশঃ)
জয় গূরূজী ।জয় ন’কাকা ।