স্বামী পরমানন্দের বলা কথা, তাঁর অপার্থিব প্রেমের কথা এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। আমরা কয়েকদিন আগে শুরু করেছিলাম গুরুমহারাজের বলা মানবজীবনের চারটি মূল জীবনাদর্শের কথা ! সেটারই continuation চলতে চলতে আমরা একটু এদিক ওদিক চলে গিয়েছিলাম ! আজ আমরা আবার সেই মূল আলোচনাতেই ফিরে আসি।
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – সত্য, ত্যাগ, প্রেম ও শান্তি মানবজীবনের এই চারটি মূল জীবনাদর্শের আচরণগুলি যথাক্রমে – সদাচার, পরোপকার, ভালোবাসা ও সংযম৷ কোনো মানুষ যদি তার জীবনে এই আদর্শগুলি আচরণ করেন বা অনুশীলন করেন, তাহলে সেই মানব ধীরে ধীরে প্রথমে দেবমানব এবং আরো পরে দেবমানব থেকে মহামানবে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। মানবসমাজের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সমগ্র পৃথিবীতে যতজন মহাত্মা-মহাপুরুষ সমাজের কোনো না কোনো ভাবে দাগ রেখে গেছেন – তাঁদের জীবনে ওই জীবনাদর্শগুলির অবশ্যই প্রতিফলন ঘটেছে – এর ব্যত্যয় হবার উপায় নাই ! সুতরাং আজও যেকোনো মানব যদি প্রচেষ্টা করে, ওই আচরণগুলি পালনে প্রযত্নশীল হয় – তাহলে নিশ্চয়ই তার চেতনার উত্তরণ ঘটবে, নিশ্চয়ই তার বিবেকের জাগরণ ঘটবে এবং সে তার সমাজের একজন উন্নত মানব হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। গুরুমহারাজের বলে যাওয়া ওই চারটি জীবনাদর্শের বিপরীত আচরণগুলি হোল যথাক্রমে মিথ্যাচার, স্বার্থপরতা, পাশবিকতা এবং অসংযম। আমরা সাধারন মানুষেরা গুরুমহারাজের বলা ঐ বিপরীতমুখী জীবনাদর্শগুলির আচরণেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। তৈলাক্ত দন্ডে বানরের ওঠার চেষ্টার ২ ফুট উপরে উঠতে না উঠতে ৩ ফুট নিচে নেমে আসার প্রবণতা !
এইরকমই হয় ! জাগতিক মায়া, মোহ, ধন-ঐশ্বর্য, যৌবন ইত্যাদি ভোগ করার অদম্য স্পৃহা, যশ-খ্যাতি লাভের আকুল প্রচেষ্টা – মানবকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে যে, সে তার অগ্রগতির কথা একদম ভুলে বসে থাকে। আর সাধারণ মানুষেরই বা কি কথা ! আচ্ছা আচ্ছা উন্নত সাধকের-ও ভ্রম হয়ে যায় ! কথাতেই রয়েছে – “মুনিনাঞ্চ মতিভ্রমঃ !” মুনিদেরও মতিভ্রম ঘটে। বহু উন্নত অবস্থার মানব, যারা জন্ম-জন্মান্তর ধরে সাধন-ভজন করে তাদের চেতনার উন্নতি ঘটাতে সমর্থ হয়েছিলেন – কিন্তু কোনো না কোনো লোভের প্রলোভনে, ভোগের ইচ্ছায় ফেঁসে গিয়ে তাঁর অগ্রগতির দ্বার রুদ্ধ করে ফেলেছেন, আবার তর্ তর্ করে চেতনার অবনতি ঘটিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের ন্যায় জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। এই ব্যাপারে গুরুমহারাজের বলা একটা সত্য ঘটনা কথা উল্লেখ করলে মন্দ হয় না !
গুরুমহারাজ যখন একা একা হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘুরছিলেন – সেই সময় উনি উত্তরকাশীর কৈলাস আশ্রমে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন৷ ঘটনাটা ওই সময়ে ঘটেছিল – ফলে গুরুমহারাজ পুরো ব্যাপারটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। যাইহোক, ঘটনাটা বলি ! কৈলাস আশ্রমে পাকাপাকিভাবে যে সমস্ত সাধুরা থাকেন – তাদের যেমন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন রমতা সাধু (যাঁরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়ায়) এবং যারা সংসারে বিরাগী হয়ে সাধন-ভজনের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করে চলে এসেছে – তাদের জন্য পৃথক building রয়েছে, তাদেরও থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। অবশ্য এইরকম ব্যবস্থা প্রায় সব ধরনের সাধু আশ্রমেই রয়েছে, বিশেষতঃ হিমালয় সংলগ্ন উত্তর ভারতে তো রয়েছেই।
গুরুমহারাজ এই ধরনের তা সাধুরা যেখানে ছিলেন – একদিন ওখানেই একজন নবীন সন্ন্যাসী এসে হাজির হোলো। আশ্রমের ভান্ডারী ওনাকেও একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন৷ ওই সন্ন্যাসীটি ছিলেন খুবই ধ্যানী। তিনি সারাদিনই প্রায় ধ্যানমগ্ন হয়ে তার ঘরেই বসে থাকতেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই ওই নবীন সাধুটি কৈলাস আশ্রমের সকলের কাছেই খুব শ্রদ্ধার্হ হয়ে উঠলেন৷ ওনাকে কেউই distrub করতে চাইতো না, কারণ যেহেতু উনি প্রায় সবসময়তেই ধ্যানমগ্ন থাকতেন।
এই রকম ভাবেই দু-চারদিন বেশ কেটে গেল। হঠাৎ একদিন ওই আশ্রমে একজন জটাজুটধারী বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এলেন। তিনি একজন নবীন সন্ন্যাসীর খোঁজ করছিলেন৷ তাঁর কাছ থেকে ওই নবীন সন্ন্যাসীর বিবরণ শুনে আশ্রমের সকলে বুঝতে পারলো যে উনি – সেই ধ্যানী সন্ন্যাসীটিই হবেন। তার ঘর দেখিয়ে দিতেই বৃদ্ধ সন্ন্যাসীটি তাড়াতাড়ি ওই ঘরে ঢুকে – ওই নবীন সন্ন্যাসীটির চুলের মুঠি ধরে হিড়্ হিড়্ করে টানতে টানতে বাইরে বের করে নিয়ে এসেই – হাতের লোহার চিমটা দিয়ে ঐ মার ! মারছেন আর বলছেন – ” আশ্রম ছোড়্ কর্ ভাগ আয়া ! অউর ইঁহা বয়ঠে বয়ঠে এ্যায়সা কাম্ কর্ রহা হো !” অর্থাৎ উনি বলছিলেন – “তুমি আমার আশ্রম ছেড়ে এখানে বসে বসে এইসব কাজ করছো ! সাধন শক্তির এভাবে অপচয় করছো !”
ওখানে উপস্থিত সকলে কৌতুহল হয়ে জানতে চাইলেন – ব্যাপারটা কি ! তখন ওই বৃদ্ধ সন্ন্যাসী জানালেন যে, এই নবীন সন্ন্যাসীটি তার একজন শিষ্য, সে গুরুর নির্দেশে যোগ-ধ্যান-প্রাণায়াম করে বেশ উন্নতি করেছিল। এমনকি সে নিজের স্থূলশরীর ছেড়ে বাইরে সূক্ষ্মশরীরে ঘুরে বেড়াতে পারতো। এই practice করতে গিয়ে – সে একদিন দূরের কোনো building-এর উপরতলায় থাকা এক ধনী কন্যার সুক্ষ্মশরীরে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে সে তার শরীর প্রকট করে। কুমারী কন্যাটি সুদর্শন লাবণ্যময় এই তরুণ সন্ন্যাসীটিকে বন্ধ ঘরের মধ্যে একাকী পেয়ে এবং তার অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে তাকে প্রেম নিবেদন করে বসে। ধীরে ধীরে ওরা দুজনে প্রেম-প্রণয়ে ফেঁসে যায়।
এরপরে ওই সন্ন্যাসীটি গুরুর আশ্রমে তাঁর ছত্রছায়ায় থেকে এই অপকর্ম করায় বাধার সৃষ্টি হতে পারে ভেবে অন্যত্র চলে আসে এবং ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকার আছিলায় সে তার সাধন শক্তি প্রয়োগ করে সূক্ষ্ম শরীরে ওই ধনী কন্যার ঘরে চলে যায় এবং তার সাথে প্রেম-প্রণয়ে সময় কাটায়।
ওই সন্ন্যাসীর গুরুদেব পরম্পরার শক্তিতে জানতে পারেন – তার ওই গুণধর শিষ্যের কীর্তি ! তারপরেই অন্বেষণ করতে বেরোন এবং কৈলাস আশ্রমে এসে তার খোঁজ পান। এরপরে ওই শিষ্যটি কাঁদতে কাঁদতে গুরুর পা ধরে ক্ষমা চাইতে লাগলেন এবং করুণাময় গুরুদেব শিষ্যটিকে সাথে করে নিয়ে তাঁর আশ্রমে ফিরে গেলেন !
গুরুমহারাজ বলেছিলেন – সত্য, ত্যাগ, প্রেম ও শান্তি মানবজীবনের এই চারটি মূল জীবনাদর্শের আচরণগুলি যথাক্রমে – সদাচার, পরোপকার, ভালোবাসা ও সংযম৷ কোনো মানুষ যদি তার জীবনে এই আদর্শগুলি আচরণ করেন বা অনুশীলন করেন, তাহলে সেই মানব ধীরে ধীরে প্রথমে দেবমানব এবং আরো পরে দেবমানব থেকে মহামানবে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। মানবসমাজের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সমগ্র পৃথিবীতে যতজন মহাত্মা-মহাপুরুষ সমাজের কোনো না কোনো ভাবে দাগ রেখে গেছেন – তাঁদের জীবনে ওই জীবনাদর্শগুলির অবশ্যই প্রতিফলন ঘটেছে – এর ব্যত্যয় হবার উপায় নাই ! সুতরাং আজও যেকোনো মানব যদি প্রচেষ্টা করে, ওই আচরণগুলি পালনে প্রযত্নশীল হয় – তাহলে নিশ্চয়ই তার চেতনার উত্তরণ ঘটবে, নিশ্চয়ই তার বিবেকের জাগরণ ঘটবে এবং সে তার সমাজের একজন উন্নত মানব হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। গুরুমহারাজের বলে যাওয়া ওই চারটি জীবনাদর্শের বিপরীত আচরণগুলি হোল যথাক্রমে মিথ্যাচার, স্বার্থপরতা, পাশবিকতা এবং অসংযম। আমরা সাধারন মানুষেরা গুরুমহারাজের বলা ঐ বিপরীতমুখী জীবনাদর্শগুলির আচরণেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। তৈলাক্ত দন্ডে বানরের ওঠার চেষ্টার ২ ফুট উপরে উঠতে না উঠতে ৩ ফুট নিচে নেমে আসার প্রবণতা !
এইরকমই হয় ! জাগতিক মায়া, মোহ, ধন-ঐশ্বর্য, যৌবন ইত্যাদি ভোগ করার অদম্য স্পৃহা, যশ-খ্যাতি লাভের আকুল প্রচেষ্টা – মানবকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে যে, সে তার অগ্রগতির কথা একদম ভুলে বসে থাকে। আর সাধারণ মানুষেরই বা কি কথা ! আচ্ছা আচ্ছা উন্নত সাধকের-ও ভ্রম হয়ে যায় ! কথাতেই রয়েছে – “মুনিনাঞ্চ মতিভ্রমঃ !” মুনিদেরও মতিভ্রম ঘটে। বহু উন্নত অবস্থার মানব, যারা জন্ম-জন্মান্তর ধরে সাধন-ভজন করে তাদের চেতনার উন্নতি ঘটাতে সমর্থ হয়েছিলেন – কিন্তু কোনো না কোনো লোভের প্রলোভনে, ভোগের ইচ্ছায় ফেঁসে গিয়ে তাঁর অগ্রগতির দ্বার রুদ্ধ করে ফেলেছেন, আবার তর্ তর্ করে চেতনার অবনতি ঘটিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের ন্যায় জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। এই ব্যাপারে গুরুমহারাজের বলা একটা সত্য ঘটনা কথা উল্লেখ করলে মন্দ হয় না !
গুরুমহারাজ যখন একা একা হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘুরছিলেন – সেই সময় উনি উত্তরকাশীর কৈলাস আশ্রমে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন৷ ঘটনাটা ওই সময়ে ঘটেছিল – ফলে গুরুমহারাজ পুরো ব্যাপারটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। যাইহোক, ঘটনাটা বলি ! কৈলাস আশ্রমে পাকাপাকিভাবে যে সমস্ত সাধুরা থাকেন – তাদের যেমন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন রমতা সাধু (যাঁরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়ায়) এবং যারা সংসারে বিরাগী হয়ে সাধন-ভজনের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করে চলে এসেছে – তাদের জন্য পৃথক building রয়েছে, তাদেরও থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। অবশ্য এইরকম ব্যবস্থা প্রায় সব ধরনের সাধু আশ্রমেই রয়েছে, বিশেষতঃ হিমালয় সংলগ্ন উত্তর ভারতে তো রয়েছেই।
গুরুমহারাজ এই ধরনের তা সাধুরা যেখানে ছিলেন – একদিন ওখানেই একজন নবীন সন্ন্যাসী এসে হাজির হোলো। আশ্রমের ভান্ডারী ওনাকেও একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন৷ ওই সন্ন্যাসীটি ছিলেন খুবই ধ্যানী। তিনি সারাদিনই প্রায় ধ্যানমগ্ন হয়ে তার ঘরেই বসে থাকতেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই ওই নবীন সাধুটি কৈলাস আশ্রমের সকলের কাছেই খুব শ্রদ্ধার্হ হয়ে উঠলেন৷ ওনাকে কেউই distrub করতে চাইতো না, কারণ যেহেতু উনি প্রায় সবসময়তেই ধ্যানমগ্ন থাকতেন।
এই রকম ভাবেই দু-চারদিন বেশ কেটে গেল। হঠাৎ একদিন ওই আশ্রমে একজন জটাজুটধারী বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এলেন। তিনি একজন নবীন সন্ন্যাসীর খোঁজ করছিলেন৷ তাঁর কাছ থেকে ওই নবীন সন্ন্যাসীর বিবরণ শুনে আশ্রমের সকলে বুঝতে পারলো যে উনি – সেই ধ্যানী সন্ন্যাসীটিই হবেন। তার ঘর দেখিয়ে দিতেই বৃদ্ধ সন্ন্যাসীটি তাড়াতাড়ি ওই ঘরে ঢুকে – ওই নবীন সন্ন্যাসীটির চুলের মুঠি ধরে হিড়্ হিড়্ করে টানতে টানতে বাইরে বের করে নিয়ে এসেই – হাতের লোহার চিমটা দিয়ে ঐ মার ! মারছেন আর বলছেন – ” আশ্রম ছোড়্ কর্ ভাগ আয়া ! অউর ইঁহা বয়ঠে বয়ঠে এ্যায়সা কাম্ কর্ রহা হো !” অর্থাৎ উনি বলছিলেন – “তুমি আমার আশ্রম ছেড়ে এখানে বসে বসে এইসব কাজ করছো ! সাধন শক্তির এভাবে অপচয় করছো !”
ওখানে উপস্থিত সকলে কৌতুহল হয়ে জানতে চাইলেন – ব্যাপারটা কি ! তখন ওই বৃদ্ধ সন্ন্যাসী জানালেন যে, এই নবীন সন্ন্যাসীটি তার একজন শিষ্য, সে গুরুর নির্দেশে যোগ-ধ্যান-প্রাণায়াম করে বেশ উন্নতি করেছিল। এমনকি সে নিজের স্থূলশরীর ছেড়ে বাইরে সূক্ষ্মশরীরে ঘুরে বেড়াতে পারতো। এই practice করতে গিয়ে – সে একদিন দূরের কোনো building-এর উপরতলায় থাকা এক ধনী কন্যার সুক্ষ্মশরীরে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে সে তার শরীর প্রকট করে। কুমারী কন্যাটি সুদর্শন লাবণ্যময় এই তরুণ সন্ন্যাসীটিকে বন্ধ ঘরের মধ্যে একাকী পেয়ে এবং তার অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে তাকে প্রেম নিবেদন করে বসে। ধীরে ধীরে ওরা দুজনে প্রেম-প্রণয়ে ফেঁসে যায়।
এরপরে ওই সন্ন্যাসীটি গুরুর আশ্রমে তাঁর ছত্রছায়ায় থেকে এই অপকর্ম করায় বাধার সৃষ্টি হতে পারে ভেবে অন্যত্র চলে আসে এবং ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকার আছিলায় সে তার সাধন শক্তি প্রয়োগ করে সূক্ষ্ম শরীরে ওই ধনী কন্যার ঘরে চলে যায় এবং তার সাথে প্রেম-প্রণয়ে সময় কাটায়।
ওই সন্ন্যাসীর গুরুদেব পরম্পরার শক্তিতে জানতে পারেন – তার ওই গুণধর শিষ্যের কীর্তি ! তারপরেই অন্বেষণ করতে বেরোন এবং কৈলাস আশ্রমে এসে তার খোঁজ পান। এরপরে ওই শিষ্যটি কাঁদতে কাঁদতে গুরুর পা ধরে ক্ষমা চাইতে লাগলেন এবং করুণাময় গুরুদেব শিষ্যটিকে সাথে করে নিয়ে তাঁর আশ্রমে ফিরে গেলেন !