গুরু মহারাজ (স্বামী পরমানন্দ)-এর বারেন্দা আশ্রমের (কাটোয়া) কিছু ঘটনা ও কিছু কথার সংক্ষিপ্তসার নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল ! এবার বলি আমাদের বাড়িতে (রশুই গ্রামে) প্রথমবার যখন উনি এলেন সেই দিনকার কিছু ঘটনার কথা !
গুরু মহারাজকে করুই গ্রাম (তপিমাদের মামার বাড়ী অর্থাৎ ইংরাজী চরৈবেতি পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বামী কেশবানন্দের বাড়ী) থেকে চারচাকা গাড়ী করে আনা হবে বলে আমি জহরদাকে (জহর ঘোষ) আগের দিন কাটোয়া পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, যাতে কাটোয়া শহর থেকে একটা গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে ও গুরু মহারাজকে আনতে পারে ৷ কিন্তু যে কোন কারণেই হোক না কেন – জহরদা অাগের দিন করুই গ্রামে পৌঁছাতেই পারেনি ! গুরু মহারাজ বর্ধমানের তপনদা (তপন রায় , খালবিল মাঠ , বর্ধমান)-র মোটর সাইকেলে চেপে আমাদের বাড়ীতে সকাল ৯টা থেকে ৯-৩০টার মধ্যেই পৌঁছে গেলেন ৷ওনারা পথের direction পেতে যাতে ভুল না হয় — তারজন্য আমি 2-3 কিমি অন্তর দুটো মোড়ে দুজনকে রাখার ব্যাবস্থা করেছিলাম ,– কিন্তু সবই fail ! গুরু মহারাজ নিজে নিজেই ঢুকে গেলেন বাড়ীতে_ঐ দুজন বা আগের দিনে পাঠানো জহরদা কেউই কোন উপকারে আসে নি !!
মোটর সাইকেল থেকে গুরু মহারাজকে নামতে দেখে অবাক হয়ে আমি বললাম – ” জহরদা গাড়ী নিয়ে যায় নি ?” গুরু মহারাজ বললেন – ” কোথায় তোর জহর ! আমরা যখন মোটর সাইকেলে বেরিয়ে আসছি – তখন গিয়ে হাজির হয়ে আমাদেরকেই lift চাইছিল ! বাসে করে আসতে বলে আমরা চলে এসেছি ৷”
গঙ্গাবাবু (দাদা) প্রণাম করে বললেন – ” তবু বেশ সকাল সকালই পৌঁছে গেছেন — ওতটা দূর রাস্তা !” গুরু মহারাজ বললেন – ” আমি তো কোন সকালে তোমাদের বাড়ীতে চলে এসেছি ! আমার শরীরটা এতক্ষণ ওখানে ছিল – আমি এখানেই ছিলাম! আমি দেখছিলাম তো – তোমরা সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছ – ওদিকে রান্নার ব্যবস্থা হচ্ছে !” ( আশ্রমের রাঁধুনি গোবিন্দদা সেইসময় এসেছিলেন এই অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখার জন্য ! গুরু মহারাজ আসবেন শুনে দু-একদিন আরো থেকে গিয়েছিলেন এবং উনিই উপস্থিত ভক্তজনের মধ্যাহ্নের খাবারের জন্য রান্না করে ছিলেন ) !
গুরু মহারাজ ২/১ মিনিট নিচে দাঁড়িয়েই উপরে (দোতলা) যেখানে গুরু মহারাজের বিশ্রামের জায়গা করা হয়েছিল – সেখানে উঠে গেলেন । গুরু মহারাজকে দেখার জন্য বা তাঁকে প্রণাম করার জন্য গ্রামের অনেকে এবং আমাদের আমন্ত্রিত গুরুভাই ও আত্মীয়-স্বজনেরা অপেক্ষা করছিলেন ! তারাও গুরু মহারাজের পিছন পিছন উপরে উঠে গেল !(নিচে, গুরুমহারাজকে দাঁড় করিয়ে রেখে গঙ্গাবাবু ছাড়া অন্য কাউকেই প্রনাম করতে দেওয়া হয় নি) আমাদের উপরে ওঠার সিঁড়িটা খুবই সরু ছিল – ফলে কেউ উঠছে কেউ নামছে — এতে সিঁড়িটা কিছুক্ষণের জন্য জ্যাম হয়ে গেছিল ! আমি-ই অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও উপরে উঠতে পারছিলাম না !
দাদা (গঙ্গাবাবু) ও রত্না (গঙ্গাবাবুর মেয়ে) গুরু মহারাজকে নিয়ে উপরে উঠে গিয়েছিল ৷ যাইহোক ভিড় একটু সামান্য কমতেই আমি তাড়াতাড়ি করে উপরের ঘরে গেলাম , দেখলাম গুরু মহারাজ খাটে বসে আছেন — তখনও আরও দু-চারজন ঘরে রয়ে গিয়েছিল । আমি যেতেই উনি বললেন – ” অনেক মানুষজন এসে প্রণাম করে গেল রে ! তোদের গ্রামে তো কিছু মহা-বদ্ লোক রয়েছে! ওদের একটা গ্রুপও এসেছিল ! আর তোদের বাড়ীর কুকুরটাও এসে প্রণাম করে গেল !” এই কথাগুলো শুনে আমি তো অবাক্ ! ” এত ভিড়ের মধ্যেও কুকুরটা উঠল কি করে ?” – এই কথা জিজ্ঞাসা করতেই উনি বললেন – ” কি জানি ! লোকের পায়ের ফাঁক গলে এসেছিল বোধয় !” (এখানে বলে রাখি গুরু মহারাজ একদিন-একরাত্রি ছিলেন। উনি এখান থেকে চলে যাবার পর-ই আমাদের বাড়ীর পোষা কুকুরটি কোথায় যে ‘হাওয়া’ হয়ে গেল – আমরা আর তার সন্ধান পাইনি ৷)
দুপুরের দিকেই তৃষাণ মহারাজ (স্বামী পরমেশ্বরানন্দ) কলকাতার ৩/৪ জন ভক্তকে নিয়ে এসে হাজির হলেন । ওদের মধ্যে ছিলেন সুখচরের মাণিক বাবু (বোস) , ওনার স্ত্রী দীপ্তি বৌদি , সোদপুরের রমেন বাবু (‘শ্রুতি’র লেখক রমেন চক্রবর্ত্তী) আর খরদহের অরুণ বাবু (হাইস্কুলের টিচার) । দীপ্তি বৌদির ছিল ওটাই গুরু মহারাজকে প্রথম দর্শন! ওনারা গুরু মহারাজের সাথে দেখা করার জন্য বনগ্রাম আশ্রমে এসেছিলেন ৷ যেহেতু গুরুমহারাজ আশ্রমে ছিলেন না তাই ওখান থেকে তৃষান মহারাজ সাথে করে ওনাদের কে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। সেদিন আমাদের গ্রামে ‘পান্ত নবান্ন’ বা ‘বাসি নবান্ন'(নবান্নের পরদিন, ঐ দিনেই গ্রামাঞ্চলে ধুমধাম বেশি হয়, খাসি_পাঁঠার তোড়জোড়! )-গ্রামে মাইক বাজানো হচ্ছিল, উৎসব চলছিল। তার উপর আবার সেইদিনে ছিল মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর ফাইনাল ম্যাচ! গুরুমহারাজ ফুটবল খেলার নাম শুনেই “ফুটবল খেলা “_সৃষ্টির ইতিহাস বলতে শুরু করে দিলেন !
—ইউরোপে এই খেলার সৃষ্টি! যুদ্ধক্ষেত্রে রোমান (!) সৈন্যদের মধ্যে কে কতজন শত্রুর মাথা কাটতে পারতো -সেই অনুযায়ী তারা সেনাপতির কাছ থেকে বেতন ছাড়াও বকশিস পেতো এবং সেই অনুযায়ী পদোন্নতি ও হোত। সেই কারণে সৈন্যরা যে যটা মাথা কেটেছে _সেই কটাকে লাথি মেরে মেরে গড়াতে গড়াতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনাপতির ছাউনি পর্যন্ত নিয়ে যেতো।
যে অঞ্চলে যখন যুদ্ধ হোত,সেই অঞ্চলের ছোট ছোট ছেলের দল দূর থেকে ভয়ার্ত চোখে এটা দেখত ।তারপর সৈন্যরা স্থান ত্যাগ করলে ওরা লতা-পাতা বেঁধে গোল গোল পাকিয়ে মুন্ডুর মতো তৈরি করতো এবং সেগুলিকে লাথি মারতে মারতে গড়াতে গড়াতে এধার ওধার নিয়ে যেতো।
এইভাবেই ফুটবলের সৃষ্টি এবং যার বিবর্তনের ফল আজকের ফুটবল!
বিকালের দিকে গুরুমহারাজকে নিয়ে নদীর চড়ায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হোল। গুরুমহারাজ লম্বা নীল কোটটা পড়ে নিলেন, মাথায় একটা উলের টুপি! কোটটা এতটাই লম্বা ছিল যে, ওনার নিচের দিকের গেরুয়া কাপড় টা মাত্র 8″-বা 10” দেখা যাচ্ছিল! ফলে উনি মহাত্মা-মহাপুরুষ তো দূর-অস্ত, উনি যে একজন সন্ন্যাসী _তাই বোঝা যাচ্ছিল না!!
খেলার মাঠে সেদিন ফাইনাল খেলা, লোকে লোকারণ্য _তাই কি এই বেশ!!
বাইরে বেরোনোর পরে ওনার শিব চলন শুরু হয়ে গেল! আমি একটু দৌড়ে গিয়ে ওনার কানের কাছে মুখ এনে একবার জিজ্ঞাসা করলাম “এটা কি ছদ্মবেশ? আপনি যে একজন সন্ন্যাসী _তা তো বোঝাই যাচ্ছে না!!”
উনি বললেন _”বাইরে ঘোরার সময় আমাকে কিছু আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বন করতে হয় _এটা ওরই একটা অঙ্গ!” (ক্রমশঃ)
গুরু মহারাজকে করুই গ্রাম (তপিমাদের মামার বাড়ী অর্থাৎ ইংরাজী চরৈবেতি পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বামী কেশবানন্দের বাড়ী) থেকে চারচাকা গাড়ী করে আনা হবে বলে আমি জহরদাকে (জহর ঘোষ) আগের দিন কাটোয়া পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, যাতে কাটোয়া শহর থেকে একটা গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে ও গুরু মহারাজকে আনতে পারে ৷ কিন্তু যে কোন কারণেই হোক না কেন – জহরদা অাগের দিন করুই গ্রামে পৌঁছাতেই পারেনি ! গুরু মহারাজ বর্ধমানের তপনদা (তপন রায় , খালবিল মাঠ , বর্ধমান)-র মোটর সাইকেলে চেপে আমাদের বাড়ীতে সকাল ৯টা থেকে ৯-৩০টার মধ্যেই পৌঁছে গেলেন ৷ওনারা পথের direction পেতে যাতে ভুল না হয় — তারজন্য আমি 2-3 কিমি অন্তর দুটো মোড়ে দুজনকে রাখার ব্যাবস্থা করেছিলাম ,– কিন্তু সবই fail ! গুরু মহারাজ নিজে নিজেই ঢুকে গেলেন বাড়ীতে_ঐ দুজন বা আগের দিনে পাঠানো জহরদা কেউই কোন উপকারে আসে নি !!
মোটর সাইকেল থেকে গুরু মহারাজকে নামতে দেখে অবাক হয়ে আমি বললাম – ” জহরদা গাড়ী নিয়ে যায় নি ?” গুরু মহারাজ বললেন – ” কোথায় তোর জহর ! আমরা যখন মোটর সাইকেলে বেরিয়ে আসছি – তখন গিয়ে হাজির হয়ে আমাদেরকেই lift চাইছিল ! বাসে করে আসতে বলে আমরা চলে এসেছি ৷”
গঙ্গাবাবু (দাদা) প্রণাম করে বললেন – ” তবু বেশ সকাল সকালই পৌঁছে গেছেন — ওতটা দূর রাস্তা !” গুরু মহারাজ বললেন – ” আমি তো কোন সকালে তোমাদের বাড়ীতে চলে এসেছি ! আমার শরীরটা এতক্ষণ ওখানে ছিল – আমি এখানেই ছিলাম! আমি দেখছিলাম তো – তোমরা সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছ – ওদিকে রান্নার ব্যবস্থা হচ্ছে !” ( আশ্রমের রাঁধুনি গোবিন্দদা সেইসময় এসেছিলেন এই অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখার জন্য ! গুরু মহারাজ আসবেন শুনে দু-একদিন আরো থেকে গিয়েছিলেন এবং উনিই উপস্থিত ভক্তজনের মধ্যাহ্নের খাবারের জন্য রান্না করে ছিলেন ) !
গুরু মহারাজ ২/১ মিনিট নিচে দাঁড়িয়েই উপরে (দোতলা) যেখানে গুরু মহারাজের বিশ্রামের জায়গা করা হয়েছিল – সেখানে উঠে গেলেন । গুরু মহারাজকে দেখার জন্য বা তাঁকে প্রণাম করার জন্য গ্রামের অনেকে এবং আমাদের আমন্ত্রিত গুরুভাই ও আত্মীয়-স্বজনেরা অপেক্ষা করছিলেন ! তারাও গুরু মহারাজের পিছন পিছন উপরে উঠে গেল !(নিচে, গুরুমহারাজকে দাঁড় করিয়ে রেখে গঙ্গাবাবু ছাড়া অন্য কাউকেই প্রনাম করতে দেওয়া হয় নি) আমাদের উপরে ওঠার সিঁড়িটা খুবই সরু ছিল – ফলে কেউ উঠছে কেউ নামছে — এতে সিঁড়িটা কিছুক্ষণের জন্য জ্যাম হয়ে গেছিল ! আমি-ই অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও উপরে উঠতে পারছিলাম না !
দাদা (গঙ্গাবাবু) ও রত্না (গঙ্গাবাবুর মেয়ে) গুরু মহারাজকে নিয়ে উপরে উঠে গিয়েছিল ৷ যাইহোক ভিড় একটু সামান্য কমতেই আমি তাড়াতাড়ি করে উপরের ঘরে গেলাম , দেখলাম গুরু মহারাজ খাটে বসে আছেন — তখনও আরও দু-চারজন ঘরে রয়ে গিয়েছিল । আমি যেতেই উনি বললেন – ” অনেক মানুষজন এসে প্রণাম করে গেল রে ! তোদের গ্রামে তো কিছু মহা-বদ্ লোক রয়েছে! ওদের একটা গ্রুপও এসেছিল ! আর তোদের বাড়ীর কুকুরটাও এসে প্রণাম করে গেল !” এই কথাগুলো শুনে আমি তো অবাক্ ! ” এত ভিড়ের মধ্যেও কুকুরটা উঠল কি করে ?” – এই কথা জিজ্ঞাসা করতেই উনি বললেন – ” কি জানি ! লোকের পায়ের ফাঁক গলে এসেছিল বোধয় !” (এখানে বলে রাখি গুরু মহারাজ একদিন-একরাত্রি ছিলেন। উনি এখান থেকে চলে যাবার পর-ই আমাদের বাড়ীর পোষা কুকুরটি কোথায় যে ‘হাওয়া’ হয়ে গেল – আমরা আর তার সন্ধান পাইনি ৷)
দুপুরের দিকেই তৃষাণ মহারাজ (স্বামী পরমেশ্বরানন্দ) কলকাতার ৩/৪ জন ভক্তকে নিয়ে এসে হাজির হলেন । ওদের মধ্যে ছিলেন সুখচরের মাণিক বাবু (বোস) , ওনার স্ত্রী দীপ্তি বৌদি , সোদপুরের রমেন বাবু (‘শ্রুতি’র লেখক রমেন চক্রবর্ত্তী) আর খরদহের অরুণ বাবু (হাইস্কুলের টিচার) । দীপ্তি বৌদির ছিল ওটাই গুরু মহারাজকে প্রথম দর্শন! ওনারা গুরু মহারাজের সাথে দেখা করার জন্য বনগ্রাম আশ্রমে এসেছিলেন ৷ যেহেতু গুরুমহারাজ আশ্রমে ছিলেন না তাই ওখান থেকে তৃষান মহারাজ সাথে করে ওনাদের কে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। সেদিন আমাদের গ্রামে ‘পান্ত নবান্ন’ বা ‘বাসি নবান্ন'(নবান্নের পরদিন, ঐ দিনেই গ্রামাঞ্চলে ধুমধাম বেশি হয়, খাসি_পাঁঠার তোড়জোড়! )-গ্রামে মাইক বাজানো হচ্ছিল, উৎসব চলছিল। তার উপর আবার সেইদিনে ছিল মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর ফাইনাল ম্যাচ! গুরুমহারাজ ফুটবল খেলার নাম শুনেই “ফুটবল খেলা “_সৃষ্টির ইতিহাস বলতে শুরু করে দিলেন !
—ইউরোপে এই খেলার সৃষ্টি! যুদ্ধক্ষেত্রে রোমান (!) সৈন্যদের মধ্যে কে কতজন শত্রুর মাথা কাটতে পারতো -সেই অনুযায়ী তারা সেনাপতির কাছ থেকে বেতন ছাড়াও বকশিস পেতো এবং সেই অনুযায়ী পদোন্নতি ও হোত। সেই কারণে সৈন্যরা যে যটা মাথা কেটেছে _সেই কটাকে লাথি মেরে মেরে গড়াতে গড়াতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনাপতির ছাউনি পর্যন্ত নিয়ে যেতো।
যে অঞ্চলে যখন যুদ্ধ হোত,সেই অঞ্চলের ছোট ছোট ছেলের দল দূর থেকে ভয়ার্ত চোখে এটা দেখত ।তারপর সৈন্যরা স্থান ত্যাগ করলে ওরা লতা-পাতা বেঁধে গোল গোল পাকিয়ে মুন্ডুর মতো তৈরি করতো এবং সেগুলিকে লাথি মারতে মারতে গড়াতে গড়াতে এধার ওধার নিয়ে যেতো।
এইভাবেই ফুটবলের সৃষ্টি এবং যার বিবর্তনের ফল আজকের ফুটবল!
বিকালের দিকে গুরুমহারাজকে নিয়ে নদীর চড়ায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হোল। গুরুমহারাজ লম্বা নীল কোটটা পড়ে নিলেন, মাথায় একটা উলের টুপি! কোটটা এতটাই লম্বা ছিল যে, ওনার নিচের দিকের গেরুয়া কাপড় টা মাত্র 8″-বা 10” দেখা যাচ্ছিল! ফলে উনি মহাত্মা-মহাপুরুষ তো দূর-অস্ত, উনি যে একজন সন্ন্যাসী _তাই বোঝা যাচ্ছিল না!!
খেলার মাঠে সেদিন ফাইনাল খেলা, লোকে লোকারণ্য _তাই কি এই বেশ!!
বাইরে বেরোনোর পরে ওনার শিব চলন শুরু হয়ে গেল! আমি একটু দৌড়ে গিয়ে ওনার কানের কাছে মুখ এনে একবার জিজ্ঞাসা করলাম “এটা কি ছদ্মবেশ? আপনি যে একজন সন্ন্যাসী _তা তো বোঝাই যাচ্ছে না!!”
উনি বললেন _”বাইরে ঘোরার সময় আমাকে কিছু আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বন করতে হয় _এটা ওরই একটা অঙ্গ!” (ক্রমশঃ)