শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (বলা ও লেখা) নিয়েই এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। গুরু মহারাজ বলেছিলেন – ” ‘ত্যাগভূমি’-ই হোলো প্রেমের অধিষ্ঠান, আর ‘ভোগভূমি’-ই হোলো কামনা-বাসনার অধিষ্ঠান। বহু-র হিতে, বহু-র সুখে নিজের স্বার্থসুখকে বিসর্জন দেওয়াই প্রেমের লক্ষণ। নিজের সুখের জন্য তৎপরতাই ‘কাম’, সকলকে সুখী করবার প্রচেষ্টাই ভালোবাসা।”
প্রকৃতপক্ষে, মানব জীবনে সাধনা করতে করতে খুবই উন্নত অবস্থায় পৌঁছালে_তবেই প্রেমলাভ হয়। ভারতীয় শাস্ত্রাদিতেও রয়েছে যে, ‘জ্ঞানের পরে আসে প্রেম’। আমাদের পরমপ্রিয় গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন – ” জ্ঞানের সিংহাসনে বিরাজ করুক প্রেম !” যাইহোক, এইসব কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রেমলাভই সাধনার চূড়ান্ত অবস্থা।। এই প্রেমলাভ হবার সূচনায় সাধকের মধ্যে ‘ত্যাগ-ভাব’ আসে। তখন আর তার মধ্যে আত্মসুখের জন্য তৎপরতা থাকে না, বরং তখন নিজের স্বার্থসুখ বিসর্জন দিয়ে বহু-র হিতের জন্য বা বহু-র সুখের জন্য তৎপরতা আসে। এইগুলি হোলো উন্নত অবস্থার সাধকের লক্ষণ। কোনো মানুষ বা সাধক কোন্ স্থিতিতে রয়েছে তার লক্ষণগুলি_ ঐ ব্যক্তির স্বভাব-প্রকৃতি, আচার-আচরণ, কথাবার্তায় – ধরা পড়ে।
যতক্ষণ পর্যন্ত মানবের কামনা এবং বাসনা রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানব ‘ভোগ-ভূমি’তে রয়েছে। তা সে গৃহস্থীই হোক বা সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী বা অন্য কোনো নামধারীই হোক ! “মন না রাঙায়ে – বসন রাঙালি কি ভুল করিলি যোগী”– এই যে সতর্কবার্তা মহাজনগণ উত্তরসূরিদের জন্য রেখে গেছেন – এটা সর্বদাই সকলের মনে রাখা উচিৎ। গুরুমহারাজও বারবার ভেকধারী, মালাধারী, জটাজুটধারী, টুপিধারী, গেরুয়া পোশাকধারী, সাদা পোশাকধারী – ইত্যাদি সকলের ব্যাপারেই আমাদেরকে সতর্ক করতেন এবং ঐ সমস্ত __’ধারী’দের উদ্দেশ্যেও সতর্কবাণী শোনাতেন !
সত্যিই তো, যার মনোজগতের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি – সে কি করে তার স্থূলশরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হবে ? কামনা-বাসনা তো সূক্ষ্মভাবে মনোজগৎ-এ অবস্থান করে ! সেখানে যদি সাধনার দ্বারা ঐ কামনা-বাসনার ‘বীজ’-কে সিদ্ধ না করা যায় অথবা যদি ভজনার দ্বারা ঐ বীজদের-কে ‘ভাজতে’ না পারা যায় – তাহলে সে তো উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই অঙ্কুরিত হবে এবং স্থূলশরীরে তার ক্রিয়া ঘটবে – এটা মানবের শরীরবিজ্ঞানের ধর্ম।৷
তাই গুরুমহারাজ বললেন – ” ত্যাগভূমিই হোলো প্রেমের অধিষ্ঠান !” অর্থাৎ মানবজীবনের চূড়ান্ত যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য প্রেমলাভ (যা জ্ঞানলাভের থেকেও বড় অবস্থা)–তা লাভের জন্য আত্মসুখের ইচ্ছা সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করতে হবে, সমস্ত প্রকারের আসক্তি ত্যাগ করে অনাসক্ত হোতে হবে। সুতরাং গার্হস্থ্য আশ্রম, ব্রহ্মচর্যাশ্রম, সন্ন্যাস আশ্রম এবং বাণপ্রস্থ আশ্রম-এর মধ্যে যে কোনো আশ্রমের সদস্য-ই হই না কেন আমরা – আমাদের মধ্যে যদি কামনা-বাসনা থাকে, আত্মসুখের ইচ্ছা থাকে – তাহলে আমরা ‘ভোগ-ভূমি’তেই অধিষ্ঠান করছি ।
সাধারণ অবস্থা থেকে উন্নততর অবস্থার দিকে পা বাড়ালেও এখনও আমাদের কোনরকম ‘স্থিতি’-লাভ হয়নি, flexible অবস্থায় রয়েছি_ যেকোনো সময় পা পিছলে আবার জন-অরণ্যে হারিয়ে যেতে পারি ! একেবারে অতি সাধারণ অবস্থায় পতিত হোতে পারি !
গুরুমহারাজ বলেছেন – ” ভালোবাসাহীন জীবন যেন শুষ্ক মরুভূমি।”–এটা তো একদমই সত্যিকথা। আমরা যে কেউ, আমাদের নিজেদের জীবনে বা আমাদের আশেপাশের মানুষদের দিকে ভালোভাবে চাইলেই_ঐ কথার সত্যতা প্রত্যক্ষভাবে বোধ করতে পারবো। মানুষ তো ভালবাসার-ই কাঙ্গাল, একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিটি মানুষ ব্যাকুল, কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই প্রকৃত ভালোবাসা পাওয়া হয়ে ওঠে না – কারণ, ঠিক ঠিক ভালোবাসা পাবার art-টাই আমাদের জানা নেই ! কি সেই art ? ভালোবাসা পেতে হোলে_ আগে ভালোবাসা দিতে হয়। নিজের অন্তঃর্জগতে আগে ভালোবাসার বোধ জাগ্রত করতে হয়। আর তা করতে গেলে __ঐ যে আগেই বলা হোলো – ‘ভোগভূমি’তে অধিষ্ঠিত থাকলে হবে না, ‘ত্যাগভূমি’তে অবস্থান করতে হবে_এইটাই art।
গুরুমহারাজ ভোগভূমিতে অধিষ্ঠিত এবং সেখানে একেবারে আটকে যাওয়া মানবদের কিছু কিছু বর্ণনা দিয়ে বলেছেন – “এরা নিষ্ঠুর, নির্মম মানব__ পশু-সদৃশ্য ! লোভী ও আত্মসুখপরায়ন মানব যেন সাক্ষাৎ পিশাচ, আর বিবেকবর্জিত অসহজ মানব যেন বিকৃত দানব।৷” যদিও এক্ষেত্রে গুরুমহারাজ নিষ্ঠুর-নির্মম মানবদেরকে পশু-সদৃশ বলেছেন, কিন্তু বারে বারে উনি এটাও আমাদেরকে বলেছিলেন যে, ” মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করে কথা বলাটা ‘বলার জন্য বলা’!– কিন্তু বিকৃত মানুষদের সাথে ‘পশু’র তুলনা করাটা পশুদেরকে অপমান করা। কারণ পশুদের হিংস্রতা, শক্তি-প্রদর্শন, দুর্বলদের উপর dominating tendency ইত্যাদিগুলি তাদের সহজতা, যেগুলি তাদের জীবন-সংগ্রামের সঙ্গে এবং survival of the fittest -এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জীব হওয়া সত্ত্বেও মানুষ কেন ঐগুলি করবে – এগুলির (হিংস্রতা, শক্তির উন্মত্ততা, অপরকে অকারণে dominate করার চেষ্টা ইত্যাদি) সাথে মানবের বাঁচা ও বিকাশপ্রাপ্ত হবার কোনো সম্পর্কই নাই, তবু তারা সুযোগ পেলেই এগুলি করে থাকে। এটাকে গুরুজী ‘বিকৃতি'(পাশবিক) বা ‘অসহজতা’ বলেছেন।
গুরুমহারাজ এই ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে আরও বলেছেন – ” ভালবাসাহীন জীবন শুধু ঘৃণা, বিদ্বেষ আর ঈর্ষায় পূর্ণ ! ভালোবাসার গভীরতায় দিব্যপ্রেমের উন্মেষ হয়, জীবনে নেমে আসে পরম শান্তি ও প্রেমের হিল্লোল। প্রেমের অপূর্ণতায় কামের আবির্ভাব আর প্রেমের আবির্ভাবে কামের অবলুপ্তি। সুতরাং প্রেমেতেই পরম শান্তি ও পরম আনন্দ। অপরদিকে কামেতে দুশ্চিন্তা, দুঃখ, ঈর্ষা, ঘৃণা, দ্বেষ, অভিমান, অলসতা এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।”
সুধী পাঠকবৃন্দ ! শেষ কথাগুলির বিচার-বিশ্লেষণের ভার আপনাদের উপরেই দেওয়া হোলো। কারণ, এই কথাগুলির সত্যতা সম্বন্ধে ধারণা কমবেশি আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে। তাই আসুন – আমরা এই কথাগুলিকে নিয়ে আর একটু গভীরভাবে ভাবতে বসি –গুরুজীর কথাগুলিকে নিয়েই ধ্যান করি।৷
প্রকৃতপক্ষে, মানব জীবনে সাধনা করতে করতে খুবই উন্নত অবস্থায় পৌঁছালে_তবেই প্রেমলাভ হয়। ভারতীয় শাস্ত্রাদিতেও রয়েছে যে, ‘জ্ঞানের পরে আসে প্রেম’। আমাদের পরমপ্রিয় গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ বলেছিলেন – ” জ্ঞানের সিংহাসনে বিরাজ করুক প্রেম !” যাইহোক, এইসব কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রেমলাভই সাধনার চূড়ান্ত অবস্থা।। এই প্রেমলাভ হবার সূচনায় সাধকের মধ্যে ‘ত্যাগ-ভাব’ আসে। তখন আর তার মধ্যে আত্মসুখের জন্য তৎপরতা থাকে না, বরং তখন নিজের স্বার্থসুখ বিসর্জন দিয়ে বহু-র হিতের জন্য বা বহু-র সুখের জন্য তৎপরতা আসে। এইগুলি হোলো উন্নত অবস্থার সাধকের লক্ষণ। কোনো মানুষ বা সাধক কোন্ স্থিতিতে রয়েছে তার লক্ষণগুলি_ ঐ ব্যক্তির স্বভাব-প্রকৃতি, আচার-আচরণ, কথাবার্তায় – ধরা পড়ে।
যতক্ষণ পর্যন্ত মানবের কামনা এবং বাসনা রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানব ‘ভোগ-ভূমি’তে রয়েছে। তা সে গৃহস্থীই হোক বা সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী বা অন্য কোনো নামধারীই হোক ! “মন না রাঙায়ে – বসন রাঙালি কি ভুল করিলি যোগী”– এই যে সতর্কবার্তা মহাজনগণ উত্তরসূরিদের জন্য রেখে গেছেন – এটা সর্বদাই সকলের মনে রাখা উচিৎ। গুরুমহারাজও বারবার ভেকধারী, মালাধারী, জটাজুটধারী, টুপিধারী, গেরুয়া পোশাকধারী, সাদা পোশাকধারী – ইত্যাদি সকলের ব্যাপারেই আমাদেরকে সতর্ক করতেন এবং ঐ সমস্ত __’ধারী’দের উদ্দেশ্যেও সতর্কবাণী শোনাতেন !
সত্যিই তো, যার মনোজগতের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি – সে কি করে তার স্থূলশরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হবে ? কামনা-বাসনা তো সূক্ষ্মভাবে মনোজগৎ-এ অবস্থান করে ! সেখানে যদি সাধনার দ্বারা ঐ কামনা-বাসনার ‘বীজ’-কে সিদ্ধ না করা যায় অথবা যদি ভজনার দ্বারা ঐ বীজদের-কে ‘ভাজতে’ না পারা যায় – তাহলে সে তো উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই অঙ্কুরিত হবে এবং স্থূলশরীরে তার ক্রিয়া ঘটবে – এটা মানবের শরীরবিজ্ঞানের ধর্ম।৷
তাই গুরুমহারাজ বললেন – ” ত্যাগভূমিই হোলো প্রেমের অধিষ্ঠান !” অর্থাৎ মানবজীবনের চূড়ান্ত যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য প্রেমলাভ (যা জ্ঞানলাভের থেকেও বড় অবস্থা)–তা লাভের জন্য আত্মসুখের ইচ্ছা সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করতে হবে, সমস্ত প্রকারের আসক্তি ত্যাগ করে অনাসক্ত হোতে হবে। সুতরাং গার্হস্থ্য আশ্রম, ব্রহ্মচর্যাশ্রম, সন্ন্যাস আশ্রম এবং বাণপ্রস্থ আশ্রম-এর মধ্যে যে কোনো আশ্রমের সদস্য-ই হই না কেন আমরা – আমাদের মধ্যে যদি কামনা-বাসনা থাকে, আত্মসুখের ইচ্ছা থাকে – তাহলে আমরা ‘ভোগ-ভূমি’তেই অধিষ্ঠান করছি ।
সাধারণ অবস্থা থেকে উন্নততর অবস্থার দিকে পা বাড়ালেও এখনও আমাদের কোনরকম ‘স্থিতি’-লাভ হয়নি, flexible অবস্থায় রয়েছি_ যেকোনো সময় পা পিছলে আবার জন-অরণ্যে হারিয়ে যেতে পারি ! একেবারে অতি সাধারণ অবস্থায় পতিত হোতে পারি !
গুরুমহারাজ বলেছেন – ” ভালোবাসাহীন জীবন যেন শুষ্ক মরুভূমি।”–এটা তো একদমই সত্যিকথা। আমরা যে কেউ, আমাদের নিজেদের জীবনে বা আমাদের আশেপাশের মানুষদের দিকে ভালোভাবে চাইলেই_ঐ কথার সত্যতা প্রত্যক্ষভাবে বোধ করতে পারবো। মানুষ তো ভালবাসার-ই কাঙ্গাল, একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিটি মানুষ ব্যাকুল, কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই প্রকৃত ভালোবাসা পাওয়া হয়ে ওঠে না – কারণ, ঠিক ঠিক ভালোবাসা পাবার art-টাই আমাদের জানা নেই ! কি সেই art ? ভালোবাসা পেতে হোলে_ আগে ভালোবাসা দিতে হয়। নিজের অন্তঃর্জগতে আগে ভালোবাসার বোধ জাগ্রত করতে হয়। আর তা করতে গেলে __ঐ যে আগেই বলা হোলো – ‘ভোগভূমি’তে অধিষ্ঠিত থাকলে হবে না, ‘ত্যাগভূমি’তে অবস্থান করতে হবে_এইটাই art।
গুরুমহারাজ ভোগভূমিতে অধিষ্ঠিত এবং সেখানে একেবারে আটকে যাওয়া মানবদের কিছু কিছু বর্ণনা দিয়ে বলেছেন – “এরা নিষ্ঠুর, নির্মম মানব__ পশু-সদৃশ্য ! লোভী ও আত্মসুখপরায়ন মানব যেন সাক্ষাৎ পিশাচ, আর বিবেকবর্জিত অসহজ মানব যেন বিকৃত দানব।৷” যদিও এক্ষেত্রে গুরুমহারাজ নিষ্ঠুর-নির্মম মানবদেরকে পশু-সদৃশ বলেছেন, কিন্তু বারে বারে উনি এটাও আমাদেরকে বলেছিলেন যে, ” মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করে কথা বলাটা ‘বলার জন্য বলা’!– কিন্তু বিকৃত মানুষদের সাথে ‘পশু’র তুলনা করাটা পশুদেরকে অপমান করা। কারণ পশুদের হিংস্রতা, শক্তি-প্রদর্শন, দুর্বলদের উপর dominating tendency ইত্যাদিগুলি তাদের সহজতা, যেগুলি তাদের জীবন-সংগ্রামের সঙ্গে এবং survival of the fittest -এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জীব হওয়া সত্ত্বেও মানুষ কেন ঐগুলি করবে – এগুলির (হিংস্রতা, শক্তির উন্মত্ততা, অপরকে অকারণে dominate করার চেষ্টা ইত্যাদি) সাথে মানবের বাঁচা ও বিকাশপ্রাপ্ত হবার কোনো সম্পর্কই নাই, তবু তারা সুযোগ পেলেই এগুলি করে থাকে। এটাকে গুরুজী ‘বিকৃতি'(পাশবিক) বা ‘অসহজতা’ বলেছেন।
গুরুমহারাজ এই ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে আরও বলেছেন – ” ভালবাসাহীন জীবন শুধু ঘৃণা, বিদ্বেষ আর ঈর্ষায় পূর্ণ ! ভালোবাসার গভীরতায় দিব্যপ্রেমের উন্মেষ হয়, জীবনে নেমে আসে পরম শান্তি ও প্রেমের হিল্লোল। প্রেমের অপূর্ণতায় কামের আবির্ভাব আর প্রেমের আবির্ভাবে কামের অবলুপ্তি। সুতরাং প্রেমেতেই পরম শান্তি ও পরম আনন্দ। অপরদিকে কামেতে দুশ্চিন্তা, দুঃখ, ঈর্ষা, ঘৃণা, দ্বেষ, অভিমান, অলসতা এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।”
সুধী পাঠকবৃন্দ ! শেষ কথাগুলির বিচার-বিশ্লেষণের ভার আপনাদের উপরেই দেওয়া হোলো। কারণ, এই কথাগুলির সত্যতা সম্বন্ধে ধারণা কমবেশি আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে। তাই আসুন – আমরা এই কথাগুলিকে নিয়ে আর একটু গভীরভাবে ভাবতে বসি –গুরুজীর কথাগুলিকে নিয়েই ধ্যান করি।৷