শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (বলা এবং লেখা) নিয়ে এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। এর আগে দু-একটা এপিসোডে ‘উপাসনা’ প্রসঙ্গে গুরুমহারাজের বক্তব্য নিয়ে লেখা হয়েছিল। এখন সেটাই আরো detail-এ আলোচনা করা যাক্। গুরুমহারাজ ‘উপাসনা’ শব্দটাকে ভেঙেছিলেন – ‘উপ – সমীপে আসন’ অর্থাৎ উপ – আস্+অন্(স্ত্রী আ) – এই তিন অংশ। ‘উপ’ উপসর্গে, আস্ – উপবেশনে, অন্ প্রত্যয় যোগে ‘উপাসনা’ শব্দটি এসেছে।
গুরুমহারাজ বলেছেন – ” মানব মননশীল। মানবের মনে অনেক কামনা-বাসনা বিদ্যমান। মনের এই নিম্নমুখী বেগকে ‘অশুদ্ধ মন’ বলা হয় এবং কামনা-বাসনা বিমুক্ত মনের ঊর্দ্ধ বেগকে ‘বিশুদ্ধ মন’ বলা হয়। মনই হোলো বন্ধন এবং মুক্তির কারণ। অনিত্য বিষয় বাসনা বিজরিত মনই বন্ধনকারক, অনিত্য বিষয় বাসনা বিমুক্ত মন বা নিত্যমুখী মনই মুক্তি প্রদায়ক। এই অনিত্য বিষয়াসক্ত মনকে বিষয় বিমুক্ত করবার নিমিত্তই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ মানবজীবনে একান্ত প্রয়োজন।”
সুতরাং বোঝা গেল যে, মানব যেহেতু মনপ্রধান (এটাকেই মনুর পুত্র মানব বলা হয়েছে), মানুষের জীবনে মনের ভূমিকাই অধিক। এই মন নিম্নগামীও হোতে পারে আবার ঊর্ধ্বগামীও হোতে পারে। যদি মন নিম্নগামী হয়, তাহলে মনে অনিত্য বিষয়সমূহ নিয়ে মত্ত থাকায় কামনা ও বাসনার তীব্র বেগ দেখা যায় । যার হাত থেকে মানব নিজেকে মুক্ত তো করতে পারেই না বরং একেবারে আঠার মতো আটকে গিয়ে ছটফট করতে থাকে। একেই বলা যায় ত্রিতাপ জ্বালায় জ্বলা! এই অবস্থায় পড়ে – ছটফট্ করতে থাকা অবস্থায় নাচার হয়ে পড়ার পর মানুষ ঐ দুঃসহ জ্বালা থেকে মুক্ত হোতে চায়। এই মুক্তি পাবার আকাঙ্খা যখন তীব্র হয় – তখনই সেই অবস্থাকে ‘মুমুক্ষু’ অবস্থা বলে। আর এইরকম অবস্থা প্রাপ্ত হোলে – তখন সদ্গুরু এসে ওই ব্যক্তির হাত ধরেন !
যাইহোক, আমরা পুনরায় গুরুমহারাজের কথায় ফিরে যাই। উনি এই প্রসঙ্গে আরো বলেছেন – ” সমস্ত রকমের উপাসনার উদ্দেশ্যই হোলো মনকে বিশুদ্ধ বা নির্মল করা। সমস্ত রকমের কামনা-বাসনার মূল হোলো অজ্ঞান বা ভ্রান্তি। ভ্রান্তিনাশের জন্যই মানবজীবনে উপাসনা অবধারিত।”
তাহলে আমরা এইটা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে, প্রতিটি মানুষেরই উপাসনা বা আরাধনা করাটা একান্তই জরুরী। কারণ জাগতিক বিষয়সমূহের অর্থাৎ রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শের ফাঁদ এবং কামনা-বাসনার বাঁধনে পড়ে মানুষের মন কলুষিত হয়, নিম্নগামী হয়। সেই অবস্থা থেকে মানুষের মনকে কলুষমুক্ত বা বিশুদ্ধ-নির্মল করতে পারে একমাত্র ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’।
এইটা কিভাবে করা যায় তার উত্তরে গুরুমহারাজ বললেন – ” কায়-মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমূহ বৃত্তিকে ভগবৎমুখী করে তুলতে হবে। যেন তৈলধারার ন্যায় চিত্তবৃত্তিসমূহ উপাস্যে সতত প্রবাহিত হয়।”– কায়মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমূহবৃত্তিকে ভগবৎমুখী করার নামই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ ! তাহলে এতদিন ধরে আমরা ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ সম্বন্ধে যা ধারণা করে এসেছিলাম – তা একদমই ছেলেমানুষীপনা !শুধু কিছু আচার-অনুষ্ঠান, কিছু নিয়ম পালন, উপবাস-বার-ব্রত এইগুলিই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ নয় – প্রকৃত উপাসনার উদ্দেশ্য হোলো মনকে বিশুদ্ধ বা নির্মল করা ! আর কায়মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমস্ত বৃত্তিকে ভগবৎমুখী করে তোলাই ‘উপাসনা’ । চিত্তবৃত্তিসমূহ অর্থাৎ সংকল্প-বিকল্পাত্মক বৃত্তি, নিশ্চয়াত্মিকা বৃত্তি ও অভিমানাত্মিকা বৃত্তি – এই ত্রিবিধ বৃত্তি উপাস্যের প্রতি সতত প্রবাহিত হয়। একেই বোধহয় শাস্ত্রে ‘অনন্যচিত্ত’ বলেছে – যেখানে সে তার ইষ্ট বা উপাস্য ছাড়া আর কিছু জানে না। তার সুখেই সুখ – তার দুঃখেই দুঃখ,– “তোমার কুশলে কুশল মানি”– এই অবস্থা !
এরপর গুরুমহারাজ বলছেন – ” উপাসনা দেশ-কাল-পাত্র ভেদে অনেক প্রকার হোতে পারে, কিন্তু উপাস্য সর্বকালেই এক, বহু কখনো নয়। সর্বদেশে, সর্বকালে ঐ একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বর বহুরূপে – বহুনামে উপাসিত হোচ্ছেন। সুতরাং দেশ, কাল ও পাত্রভেদে অনুষ্ঠানগত ও আচরণগত ভেদ পরিলক্ষিত হোলেও উপাস্য ঐ একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বর !”
কি সুন্দর কথা ! কি সহজ-সরল সমাধান ! এইটাই তো বাউল-ভাব। এই ভাব জগতে প্রচার করতেই তো এ যুগের যুগপুরুষ মহাবাউল স্বামী পরমানন্দের আগমন ! পূর্ব পূর্ব সমস্ত মহাপুরুষগণও এই বার্তা সমগ্র মানবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলতে চেয়েছিলেন – কিন্তু আমরা মানুষেরা তাঁদের কথা ঠিকমতো শুনতে চাইনি, তাঁদের শিক্ষাগুলিকে অগ্রাহ্য করেছি । আর কিছু কিছু বুদ্ধিমান ধর্মনেতা তাদের আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সেইসব শিক্ষাকে নিজেদের মতো করে তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে পরিবেশন করেছে।
এইভাবেই সেই একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বরের উপাসনা ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন উপাচারে সংঘটিত হচ্ছে। আর সেটাও ঠিক ছিল, কিন্তু মুশকিল হোলো, এই যে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ তৈরি হোলো – তারা প্রত্যেকেই দাবি করতে থাকলো যে, “আমার মত-টাই সর্বশ্রেষ্ঠ, তোদেরটা ভুল! আমাদের মতে না এলে তোদের অনন্ত নরকভোগ !” এই যে মনোভাব – এই যে মূর্খতা – এতদূর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও হয়তো মানবসমাজের অতটা ক্ষতি হোতো না, কিন্তু এর থেকেও মারাত্মক হোলো – জোর করে সকলকে নিজেদের মতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা ! এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র ধর্মনৈতিক ক্ষেত্রেই নয় – রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও খুবই প্রকট ! এই মনোভাব থেকেই পৃথিবীতে হয় যুদ্ধ, মারামারি, রক্তপাত !
গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন – ” পৃথিবীগ্রহের বাইরে থেকে যদি কেউ এইসব দেখে – তাহলে ভাববে ছোটো ছোটো শিশুরা তুচ্ছ তুচ্ছ বাহানা সৃষ্টি করে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।” গুরুমহারাজ প্রায়ই আক্ষেপের সুরে বলতেন – ” পৃথিবী গ্রহটাই তো এখনও শৈশব অবস্থায় রয়েছে – ফলে এখানকার বেশিরভাগ মানুষেরা শিশুসুলভ আচরণ করবে – এতে আর বিচিত্র কি !!
আর এই অবস্থা থেকে মানুষের চেতনাকে উন্নত করার জন্যই বারবার ঈশ্বরের অবতরণ হয়। যেমন এবারকার অবতরণ স্বামী পরমানন্দরূপে।৷
গুরুমহারাজ বলেছেন – ” মানব মননশীল। মানবের মনে অনেক কামনা-বাসনা বিদ্যমান। মনের এই নিম্নমুখী বেগকে ‘অশুদ্ধ মন’ বলা হয় এবং কামনা-বাসনা বিমুক্ত মনের ঊর্দ্ধ বেগকে ‘বিশুদ্ধ মন’ বলা হয়। মনই হোলো বন্ধন এবং মুক্তির কারণ। অনিত্য বিষয় বাসনা বিজরিত মনই বন্ধনকারক, অনিত্য বিষয় বাসনা বিমুক্ত মন বা নিত্যমুখী মনই মুক্তি প্রদায়ক। এই অনিত্য বিষয়াসক্ত মনকে বিষয় বিমুক্ত করবার নিমিত্তই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ মানবজীবনে একান্ত প্রয়োজন।”
সুতরাং বোঝা গেল যে, মানব যেহেতু মনপ্রধান (এটাকেই মনুর পুত্র মানব বলা হয়েছে), মানুষের জীবনে মনের ভূমিকাই অধিক। এই মন নিম্নগামীও হোতে পারে আবার ঊর্ধ্বগামীও হোতে পারে। যদি মন নিম্নগামী হয়, তাহলে মনে অনিত্য বিষয়সমূহ নিয়ে মত্ত থাকায় কামনা ও বাসনার তীব্র বেগ দেখা যায় । যার হাত থেকে মানব নিজেকে মুক্ত তো করতে পারেই না বরং একেবারে আঠার মতো আটকে গিয়ে ছটফট করতে থাকে। একেই বলা যায় ত্রিতাপ জ্বালায় জ্বলা! এই অবস্থায় পড়ে – ছটফট্ করতে থাকা অবস্থায় নাচার হয়ে পড়ার পর মানুষ ঐ দুঃসহ জ্বালা থেকে মুক্ত হোতে চায়। এই মুক্তি পাবার আকাঙ্খা যখন তীব্র হয় – তখনই সেই অবস্থাকে ‘মুমুক্ষু’ অবস্থা বলে। আর এইরকম অবস্থা প্রাপ্ত হোলে – তখন সদ্গুরু এসে ওই ব্যক্তির হাত ধরেন !
যাইহোক, আমরা পুনরায় গুরুমহারাজের কথায় ফিরে যাই। উনি এই প্রসঙ্গে আরো বলেছেন – ” সমস্ত রকমের উপাসনার উদ্দেশ্যই হোলো মনকে বিশুদ্ধ বা নির্মল করা। সমস্ত রকমের কামনা-বাসনার মূল হোলো অজ্ঞান বা ভ্রান্তি। ভ্রান্তিনাশের জন্যই মানবজীবনে উপাসনা অবধারিত।”
তাহলে আমরা এইটা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে, প্রতিটি মানুষেরই উপাসনা বা আরাধনা করাটা একান্তই জরুরী। কারণ জাগতিক বিষয়সমূহের অর্থাৎ রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শের ফাঁদ এবং কামনা-বাসনার বাঁধনে পড়ে মানুষের মন কলুষিত হয়, নিম্নগামী হয়। সেই অবস্থা থেকে মানুষের মনকে কলুষমুক্ত বা বিশুদ্ধ-নির্মল করতে পারে একমাত্র ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’।
এইটা কিভাবে করা যায় তার উত্তরে গুরুমহারাজ বললেন – ” কায়-মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমূহ বৃত্তিকে ভগবৎমুখী করে তুলতে হবে। যেন তৈলধারার ন্যায় চিত্তবৃত্তিসমূহ উপাস্যে সতত প্রবাহিত হয়।”– কায়মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমূহবৃত্তিকে ভগবৎমুখী করার নামই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ ! তাহলে এতদিন ধরে আমরা ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ সম্বন্ধে যা ধারণা করে এসেছিলাম – তা একদমই ছেলেমানুষীপনা !শুধু কিছু আচার-অনুষ্ঠান, কিছু নিয়ম পালন, উপবাস-বার-ব্রত এইগুলিই ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ নয় – প্রকৃত উপাসনার উদ্দেশ্য হোলো মনকে বিশুদ্ধ বা নির্মল করা ! আর কায়মনোবাক্যে অন্তঃকরণের সমস্ত বৃত্তিকে ভগবৎমুখী করে তোলাই ‘উপাসনা’ । চিত্তবৃত্তিসমূহ অর্থাৎ সংকল্প-বিকল্পাত্মক বৃত্তি, নিশ্চয়াত্মিকা বৃত্তি ও অভিমানাত্মিকা বৃত্তি – এই ত্রিবিধ বৃত্তি উপাস্যের প্রতি সতত প্রবাহিত হয়। একেই বোধহয় শাস্ত্রে ‘অনন্যচিত্ত’ বলেছে – যেখানে সে তার ইষ্ট বা উপাস্য ছাড়া আর কিছু জানে না। তার সুখেই সুখ – তার দুঃখেই দুঃখ,– “তোমার কুশলে কুশল মানি”– এই অবস্থা !
এরপর গুরুমহারাজ বলছেন – ” উপাসনা দেশ-কাল-পাত্র ভেদে অনেক প্রকার হোতে পারে, কিন্তু উপাস্য সর্বকালেই এক, বহু কখনো নয়। সর্বদেশে, সর্বকালে ঐ একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বর বহুরূপে – বহুনামে উপাসিত হোচ্ছেন। সুতরাং দেশ, কাল ও পাত্রভেদে অনুষ্ঠানগত ও আচরণগত ভেদ পরিলক্ষিত হোলেও উপাস্য ঐ একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বর !”
কি সুন্দর কথা ! কি সহজ-সরল সমাধান ! এইটাই তো বাউল-ভাব। এই ভাব জগতে প্রচার করতেই তো এ যুগের যুগপুরুষ মহাবাউল স্বামী পরমানন্দের আগমন ! পূর্ব পূর্ব সমস্ত মহাপুরুষগণও এই বার্তা সমগ্র মানবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলতে চেয়েছিলেন – কিন্তু আমরা মানুষেরা তাঁদের কথা ঠিকমতো শুনতে চাইনি, তাঁদের শিক্ষাগুলিকে অগ্রাহ্য করেছি । আর কিছু কিছু বুদ্ধিমান ধর্মনেতা তাদের আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সেইসব শিক্ষাকে নিজেদের মতো করে তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে পরিবেশন করেছে।
এইভাবেই সেই একই সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বরের উপাসনা ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন উপাচারে সংঘটিত হচ্ছে। আর সেটাও ঠিক ছিল, কিন্তু মুশকিল হোলো, এই যে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ তৈরি হোলো – তারা প্রত্যেকেই দাবি করতে থাকলো যে, “আমার মত-টাই সর্বশ্রেষ্ঠ, তোদেরটা ভুল! আমাদের মতে না এলে তোদের অনন্ত নরকভোগ !” এই যে মনোভাব – এই যে মূর্খতা – এতদূর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও হয়তো মানবসমাজের অতটা ক্ষতি হোতো না, কিন্তু এর থেকেও মারাত্মক হোলো – জোর করে সকলকে নিজেদের মতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা ! এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র ধর্মনৈতিক ক্ষেত্রেই নয় – রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও খুবই প্রকট ! এই মনোভাব থেকেই পৃথিবীতে হয় যুদ্ধ, মারামারি, রক্তপাত !
গুরুমহারাজ একবার বলেছিলেন – ” পৃথিবীগ্রহের বাইরে থেকে যদি কেউ এইসব দেখে – তাহলে ভাববে ছোটো ছোটো শিশুরা তুচ্ছ তুচ্ছ বাহানা সৃষ্টি করে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।” গুরুমহারাজ প্রায়ই আক্ষেপের সুরে বলতেন – ” পৃথিবী গ্রহটাই তো এখনও শৈশব অবস্থায় রয়েছে – ফলে এখানকার বেশিরভাগ মানুষেরা শিশুসুলভ আচরণ করবে – এতে আর বিচিত্র কি !!
আর এই অবস্থা থেকে মানুষের চেতনাকে উন্নত করার জন্যই বারবার ঈশ্বরের অবতরণ হয়। যেমন এবারকার অবতরণ স্বামী পরমানন্দরূপে।৷