শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (বলা ও লেখা) নিয়ে এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। আমরা এখন ছিলাম ‘উপাসনা’ বা ‘আরাধনা’ ইত্যাদি প্রসঙ্গে। গুরুমহারাজ এই প্রসঙ্গে মূর্তি বা প্রতীকের প্রয়োজনীয়তা, উপাস্য বা ইষ্টের প্রসঙ্গ – ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করছিলেন৷ ‘নিরাকার সাধনা’ না ‘সাকার সাধনা’– এই নিয়ে পৃথিবীতে খুবই আলোচনা চলে এবং নিজ নিজ মতের অনুগামীরা এই নিয়ে বিরোধও করে খুবই ! অবশ্য আগে আগে বহু ভারতীয় মহাপুরুষরা ‘সাকার’ এবং ‘নিরাকারের’ বিরোধ মেটানোর স্বপক্ষে বহু কথা বলে গেছেন, কিন্তু কে শোনে কার কথা ! ধর্মান্ধ মানুষেরা নিজ নিজ ধর্মমতকে প্রাধান্য দেবার অছিলায় এই বিরোধকে জিইয়ে রেখেছে। তবে আজ আমরা শুনবো এযুগের ‘যুগপুরুষ’ স্বামী পরমানন্দ সাকার ও নিরাকার নিয়ে কি বলেছেন।
উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্ – সাধারণতঃ নির্গুণ, নিরাকার তত্ত্ব খুবই কমসংখ্যক ব্যক্তিই ধারণা করতে পারে। সেইহেতু ঐরূপ অধিকারীদের নিকট ‘সাকার উপাসনা’ অতি সহজ ও সুলভ। ঐ সগুণ সাকারের সোপান অতিক্রম করে নির্গুণ নিরাকার তত্ত্বে বোধে বোধপ্রাপ্ত হোতে হবে। এইজন্য ঐ সকল উপাসকের প্রথমে সগুণ বা ‘সাকার উপাসনা’-র প্রয়োজন হয়।” __তাহলে পাঠকবৃন্দ ! ‘সাকার উপাসনা’ অর্থাৎ প্রতীক, প্রতিমা বা মূর্তিকে সামনে রেখে উপাসনার প্রয়োজনীয়তা আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলাম। আমরা নির্গুণ নিরাকার ব্রহ্মের (তত্ত্বের) ধারনাই করতে পারি না – ফলে তার ধ্যান কিভাবে করবো ? এইজন্যেই প্রাথমিক ভাবে চোখের সামনে সেই তত্ত্বরূপী কোনো প্রতীক বা প্রতিমাকে সামনে রেখে ধ্যানাভ্যাস শুরু করা হয় এবং ধীরে ধীরে সাধক সাকার থেকে নিরাকার সাধনায় প্রবেশ করে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সময়ে যেহেতু কলকাতায় তখন ব্রাহ্মধর্মের খুবই রমরমা ছিল, তাই তাঁর কাছে ‘সাকার’-‘নিরাকার’ নিয়ে ঘুরে ফিরেই জিজ্ঞাসা আসতো (যেহেতু ব্রাহ্মেরা নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক) ! ঠাকুরও বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা কি – তা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। যেমন উনি বলেছিলেন সূর্য উঠলে জল বাষ্প হয়, আবার অতিরিক্ত ঠান্ডায় জল জমে বরফে পরিণত হয়ে যায়। তেমনি জ্ঞানসূর্যের উদয়ে ঈশ্বরতত্ত্ব নিরাকার, কিন্তু ভক্তিহিমে (ভক্তিযোগীদের ক্ষেত্রে) সেই তত্ত্বই ‘সাকার’। ঈশ্বরকে কেউ আল্লাহ বলছে, কেউ গড বলছে, কেউ হরি, রাম বা কালী বলছে – এই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সহজ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, একই পুকুরের বিভিন্ন ঘাটে নেমে যেমন কেউ বলে ‘জল, কেউ বলে ‘পানি’, কেউ বলে ‘অ্যাকোয়া’, আবার কেউ বলে ‘ওয়াটার’– এও তেমনি ! একই তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন নাম বই আর কিছুই নয়।
যাইহোক, এরপর গুরুমহারাজ এই প্রসঙ্গে আরও কি বলেছেন – তা দেখে নেওয়া যাক্। উনি বলেছেন – “এই সাকার বা প্রতীক উপাসনার কথা ভাবলে আমাদের মনে কতকগুলি প্রশ্ন এসে উপস্থিত হয়, যথা – যদি সেই অচিন্তনীয়-অব্যক্ত হয়, তাহলে তা কেমন করে জ্ঞানের বিষয় হোতে পারে ? যদি সেই তত্ত্ব ভাবাতীত হয় – তাহলে কি করে ভাবনা তাতে আরোপ করা যায় ? যদি সেই তত্ত্ব নির্গুণ হয়, তাহলে মনন বা চিন্তন কেমন করে করা যাবে ? কারণ, সমস্ত মনন বা চিন্তন তো আকার-কে কেন্দ্র করেই ! তাহলে নিরাকারকে কেমন করে চিন্তা করা যাবে ? নির্গুণের কেমন করে বিচার চলবে ? ভাবনার বিষয় না থাকলে কেমন করে ধ্যান হবে ? বিষয়বিহীন ভক্তি কি সম্ভব ?–এই সমস্ত প্রশ্নের মীমাংসা হয় সগুণ বা সাকার উপাসনায় !”
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, এতক্ষণে আমরা সাকার উপাসনার স্বপক্ষে বলিষ্ঠ যুক্তি পেলাম ! আসলে অধ্যাত্মবিজ্ঞানই তো পূর্ণবিজ্ঞান –তাই একজন প্রকৃত অধ্যাত্মবিজ্ঞানীই ধর্মজগতের সমস্ত জিজ্ঞাসার, সমস্ত সমস্যার মীমাংসা করে দিতে পারেন ! গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ এই কাজটিই করে গেলেন এবারকার লীলায় ! সাধারণ মানুষের মনোজগতের যত রকমের জট রয়েছে – সেগুলি সব একটি একটি করে খুলে দিয়েছেন তিনি। ‘সাকার’ না ‘নিরাকার’ – এই নিয়ে আমাদের মনে যেটুকু জট ছিল সেটাও মিটিয়ে দিলেন গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ !
সত্যিই তো – যিনি নির্গুণ, যিনি ভাবাতীত, যিনি অচিন্তনীয়-অব্যক্ত – সেই পরমেশ্বর (আল্লা, হরি, রাম কালী, গড – যে নামেই ডাকা হোক)-কে ধারণা বা ধ্যান কি করে করা যাবে ? তাই প্রাথমিক অবস্থায় সাকার সাধনাই প্রশস্থ। সাকার সাধনার দ্বারা চেতনার উন্নতি হোলে মানুষের ধারণাশক্তি বেড়ে যায়, আর তখনই ধ্যানে গভীরতা আসে – ফলে সাধকের তখন আর কোনো প্রতীক বা প্রতিমার প্রয়োজন হয় না।
এবার দ্যাখা যাক্ – ‘নির্গুণ উপাসনা’ নিয়ে গুরুজী মহারাজ কি বলেছেন। উনি বললেন – ” ‘নির্গুণ উপাসনা’ হলো অক্ষর ব্রহ্মের উপাসনা, যা আত্মবিচারকে মাধ্যম করে নেতি-নেতি-নেতি করে সমাধি ও তত্ত্ব-সাক্ষাৎকার। কিন্তু জ্ঞানমার্গের উত্তম অধিকারী ব্যতীত এই পথে উপাসনা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।”__ সুতরাং গুরুজীর উপরোক্ত কথাগুলি দেখে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে, ‘নির্গুণ উপাসনা’ বা ‘নিরাকার সাধন’-এর জন্য জ্ঞানমার্গের উত্তম অধিকারী হওয়া প্রয়োজন, না হোলে নিরাকার সাধনা করতে যাওয়া বাতুলতা মাত্র ! এরপর গুরুমহারাজ বললেন – ” সাধারণ মানব পরমেশ্বর সম্বন্ধে ধারণা পোষণ করে থাকে এইরূপ যে, পরমেশ্বর (আল্লা, হরি, গড- ইত্যাদি) এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি জীব-জগতের বাইরে কোথাও অবস্থান করছেন। কেউ বলে তিনি স্বর্গে, কেউ বলে বৈকুণ্ঠে, কেউ বলে বেহেস্তে আবার কেউ বলেন তিনি হেভেন-এ – ইত্যাদি নানা মুনির নানা মত। কিন্তু তিনি যে সর্বশক্তিমান এবং সমস্ত কিছু করবার সামর্থ্য রাখেন – এ সম্বন্ধে কারো দ্বিমত নাই। তথাপি তাঁর নাম, আচার ও অবস্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদ ও মতপার্থক্য সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে, গোষ্ঠীতে-গোষ্ঠীতে পরিলক্ষিত হয়।”
পাঠককুল! এরপর আর কি বলা যায়, আপনারাই সেটা ঠিক করুন ! আমার ক্ষুদ্রমতিতে আর কোনো কথা তো যোগাচ্ছে না ! তাই আজ এতো টুকুই থাক্!!
(ক্রমশঃ)
উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্ – সাধারণতঃ নির্গুণ, নিরাকার তত্ত্ব খুবই কমসংখ্যক ব্যক্তিই ধারণা করতে পারে। সেইহেতু ঐরূপ অধিকারীদের নিকট ‘সাকার উপাসনা’ অতি সহজ ও সুলভ। ঐ সগুণ সাকারের সোপান অতিক্রম করে নির্গুণ নিরাকার তত্ত্বে বোধে বোধপ্রাপ্ত হোতে হবে। এইজন্য ঐ সকল উপাসকের প্রথমে সগুণ বা ‘সাকার উপাসনা’-র প্রয়োজন হয়।” __তাহলে পাঠকবৃন্দ ! ‘সাকার উপাসনা’ অর্থাৎ প্রতীক, প্রতিমা বা মূর্তিকে সামনে রেখে উপাসনার প্রয়োজনীয়তা আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলাম। আমরা নির্গুণ নিরাকার ব্রহ্মের (তত্ত্বের) ধারনাই করতে পারি না – ফলে তার ধ্যান কিভাবে করবো ? এইজন্যেই প্রাথমিক ভাবে চোখের সামনে সেই তত্ত্বরূপী কোনো প্রতীক বা প্রতিমাকে সামনে রেখে ধ্যানাভ্যাস শুরু করা হয় এবং ধীরে ধীরে সাধক সাকার থেকে নিরাকার সাধনায় প্রবেশ করে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সময়ে যেহেতু কলকাতায় তখন ব্রাহ্মধর্মের খুবই রমরমা ছিল, তাই তাঁর কাছে ‘সাকার’-‘নিরাকার’ নিয়ে ঘুরে ফিরেই জিজ্ঞাসা আসতো (যেহেতু ব্রাহ্মেরা নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক) ! ঠাকুরও বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা কি – তা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। যেমন উনি বলেছিলেন সূর্য উঠলে জল বাষ্প হয়, আবার অতিরিক্ত ঠান্ডায় জল জমে বরফে পরিণত হয়ে যায়। তেমনি জ্ঞানসূর্যের উদয়ে ঈশ্বরতত্ত্ব নিরাকার, কিন্তু ভক্তিহিমে (ভক্তিযোগীদের ক্ষেত্রে) সেই তত্ত্বই ‘সাকার’। ঈশ্বরকে কেউ আল্লাহ বলছে, কেউ গড বলছে, কেউ হরি, রাম বা কালী বলছে – এই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সহজ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, একই পুকুরের বিভিন্ন ঘাটে নেমে যেমন কেউ বলে ‘জল, কেউ বলে ‘পানি’, কেউ বলে ‘অ্যাকোয়া’, আবার কেউ বলে ‘ওয়াটার’– এও তেমনি ! একই তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন নাম বই আর কিছুই নয়।
যাইহোক, এরপর গুরুমহারাজ এই প্রসঙ্গে আরও কি বলেছেন – তা দেখে নেওয়া যাক্। উনি বলেছেন – “এই সাকার বা প্রতীক উপাসনার কথা ভাবলে আমাদের মনে কতকগুলি প্রশ্ন এসে উপস্থিত হয়, যথা – যদি সেই অচিন্তনীয়-অব্যক্ত হয়, তাহলে তা কেমন করে জ্ঞানের বিষয় হোতে পারে ? যদি সেই তত্ত্ব ভাবাতীত হয় – তাহলে কি করে ভাবনা তাতে আরোপ করা যায় ? যদি সেই তত্ত্ব নির্গুণ হয়, তাহলে মনন বা চিন্তন কেমন করে করা যাবে ? কারণ, সমস্ত মনন বা চিন্তন তো আকার-কে কেন্দ্র করেই ! তাহলে নিরাকারকে কেমন করে চিন্তা করা যাবে ? নির্গুণের কেমন করে বিচার চলবে ? ভাবনার বিষয় না থাকলে কেমন করে ধ্যান হবে ? বিষয়বিহীন ভক্তি কি সম্ভব ?–এই সমস্ত প্রশ্নের মীমাংসা হয় সগুণ বা সাকার উপাসনায় !”
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, এতক্ষণে আমরা সাকার উপাসনার স্বপক্ষে বলিষ্ঠ যুক্তি পেলাম ! আসলে অধ্যাত্মবিজ্ঞানই তো পূর্ণবিজ্ঞান –তাই একজন প্রকৃত অধ্যাত্মবিজ্ঞানীই ধর্মজগতের সমস্ত জিজ্ঞাসার, সমস্ত সমস্যার মীমাংসা করে দিতে পারেন ! গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ এই কাজটিই করে গেলেন এবারকার লীলায় ! সাধারণ মানুষের মনোজগতের যত রকমের জট রয়েছে – সেগুলি সব একটি একটি করে খুলে দিয়েছেন তিনি। ‘সাকার’ না ‘নিরাকার’ – এই নিয়ে আমাদের মনে যেটুকু জট ছিল সেটাও মিটিয়ে দিলেন গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ !
সত্যিই তো – যিনি নির্গুণ, যিনি ভাবাতীত, যিনি অচিন্তনীয়-অব্যক্ত – সেই পরমেশ্বর (আল্লা, হরি, রাম কালী, গড – যে নামেই ডাকা হোক)-কে ধারণা বা ধ্যান কি করে করা যাবে ? তাই প্রাথমিক অবস্থায় সাকার সাধনাই প্রশস্থ। সাকার সাধনার দ্বারা চেতনার উন্নতি হোলে মানুষের ধারণাশক্তি বেড়ে যায়, আর তখনই ধ্যানে গভীরতা আসে – ফলে সাধকের তখন আর কোনো প্রতীক বা প্রতিমার প্রয়োজন হয় না।
এবার দ্যাখা যাক্ – ‘নির্গুণ উপাসনা’ নিয়ে গুরুজী মহারাজ কি বলেছেন। উনি বললেন – ” ‘নির্গুণ উপাসনা’ হলো অক্ষর ব্রহ্মের উপাসনা, যা আত্মবিচারকে মাধ্যম করে নেতি-নেতি-নেতি করে সমাধি ও তত্ত্ব-সাক্ষাৎকার। কিন্তু জ্ঞানমার্গের উত্তম অধিকারী ব্যতীত এই পথে উপাসনা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।”__ সুতরাং গুরুজীর উপরোক্ত কথাগুলি দেখে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে, ‘নির্গুণ উপাসনা’ বা ‘নিরাকার সাধন’-এর জন্য জ্ঞানমার্গের উত্তম অধিকারী হওয়া প্রয়োজন, না হোলে নিরাকার সাধনা করতে যাওয়া বাতুলতা মাত্র ! এরপর গুরুমহারাজ বললেন – ” সাধারণ মানব পরমেশ্বর সম্বন্ধে ধারণা পোষণ করে থাকে এইরূপ যে, পরমেশ্বর (আল্লা, হরি, গড- ইত্যাদি) এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি জীব-জগতের বাইরে কোথাও অবস্থান করছেন। কেউ বলে তিনি স্বর্গে, কেউ বলে বৈকুণ্ঠে, কেউ বলে বেহেস্তে আবার কেউ বলেন তিনি হেভেন-এ – ইত্যাদি নানা মুনির নানা মত। কিন্তু তিনি যে সর্বশক্তিমান এবং সমস্ত কিছু করবার সামর্থ্য রাখেন – এ সম্বন্ধে কারো দ্বিমত নাই। তথাপি তাঁর নাম, আচার ও অবস্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদ ও মতপার্থক্য সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে, গোষ্ঠীতে-গোষ্ঠীতে পরিলক্ষিত হয়।”
পাঠককুল! এরপর আর কি বলা যায়, আপনারাই সেটা ঠিক করুন ! আমার ক্ষুদ্রমতিতে আর কোনো কথা তো যোগাচ্ছে না ! তাই আজ এতো টুকুই থাক্!!
(ক্রমশঃ)