শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (কথিত ও লিখিত) এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। গুরু মহারাজের করা ‘প্রেম’ বিষয়ক আলোচনা বা কথায় আমরা ছিলাম। আমরা দেখেছি উনি এর আগে বলেছেন যে, ‘একবার প্রেমলাভ হয়ে গেলে ভূমানন্দ বা পরম আনন্দতত্ত্ব অনুভব করা যায়, বোধ করা যায়। প্রেম স্থান-কাল-পাত্রের সীমা অতিক্রম করে অনন্ত পর্যন্ত প্রসারিত।’ তাই একজন প্রেমিক (প্রকৃত মহাপুরুষ বা ঈশ্বরের অবতার)-এর কাছে স্থান-কাল-পাত্রের কোনো সীমারেখা থাকে না। এইজন্যই তো পূর্ণ প্রেমস্বরূপা মা সারদা বলতে পেরেছিলেন – ‘আমি শরতেরও মা, আমি আমজাদেরও মা’ ! আরো একবার এই ধরণের কথা আমরা তাঁর মুখ থেকে শুনেছিলাম,যখন তৎকালীন সময়ের কিছু ইউরোপীয় সাধারণ মানুষ কোনো সংঘর্ষে মারা গিয়েছিল শুনে সারদা মা বলেছিলেন – ” আহা – ওরাও তো আমারই সন্তান !”
এইজন্যেই আমরা আমাদের পরমপ্রেমিক, পরমপ্রিয় গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দকে দেখলাম__ উনি বনগ্রামের সাধারণ মানুষদেরও যেমন ভালোবাসছেন, তেমনি কলকাতা, দুর্গাপুর, সিঙ্গুর, দিল্লি বা উত্তরভারত অথবা দক্ষিণী ভক্তদেরকেও সমান ভালোবাসছেন। আর শুধু ভারতীয়রাই নয় – ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন যখন আসতে শুরু করলো – ওদেরকেও জিজ্ঞাসা করে দেখেছিলাম যে, ওরাও আমাদের মতো একই কথা বলতো – ” গুরুজি আমাকে খুবই ভালোবাসে ! ওনার ভালোবাসার টানেই অতোদূর থেকে আমরা ছুটে ছুটে আসি।”
যাইহোক, আমরা পুনরায় ওনার লেখা গ্রন্থ “সহজতা ও প্রেম” গ্রন্থের পাঠে ফিরে যাই ! হ্যাঁ, এটাই ঠিক – আমাদের এই আলোচনাগুলি যেন সদগ্রন্থ পাঠের আসরের মতোই ! একটু একটু পাঠ এবং একটু একটু আলোচনা ! তাহলে এখন আমরা আর খানিকটা এগিয়ে যাই। গুরুমহারাজ আমাদের মধ্যে কয়েকজনকে সতর্ক করে বলেছেন – “গ্রন্থই যাদের কাছে একমাত্র অবলম্বন এবং যারা ইন্দ্রিয়ের ক্রীতদাস – তাদের পক্ষে এই তত্ত্ব অনুভব করা খুবই দুরূহ ! শাস্ত্র কিম্বা তর্কজালের দ্বারা নয়, শুধু আপনার অন্তঃকরণের মধ্যেই এর অনুভব হয়ে থাকে। প্রকৃত সহজ সাধকের ভিতরে রয়েছে জীবন্ত ধর্মীয় বোধের বেদনা – সীমার মধ্যে এক অকল্পনীয় উদ্ভব। পণ্ডিতেরা শুধু অনুকারক, অনাস্বাদিত পুঁথির ভান্ডারী, সহজবোধের সম্পর্কশূন্য ও ছন্দবিহীন অসহজ। সুতরাং তার অস্তিত্ব একমাত্র প্রেমিক সাধক উপলব্ধি করতে পারেন।”
গুরুমহারাজের উপরোক্ত কথাগুলির প্রথম অংশটি আমাদের মতো মাঝারি শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের অনেককেই চিন্তায় ফেলে দিতে পারে ! কারণ আমাদের সকলের এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে যে, ‘গ্রন্থপাঠ ছাড়া জ্ঞানলাভ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়’?’ দেখুন, তাদেরই(আমাদের) বা কি দোষ__ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেই তো প্রাথমিক জ্ঞানলাভ হয়েছিল, পরবর্তীতেও পড়াশোনার দ্বারাতেই তার উচ্চশিক্ষা লাভ হয়েছে ! তাহলে গ্রন্থপাঠ ছাড়া জ্ঞানলাভ কিভাবে সম্ভব?’ কিন্তু আমরা একবারও একটু গভীরে ঢুকে চিন্তা করি না যে, গ্রন্থপাঠ ছাড়াও প্রকৃতি থেকে, পরিবেশ থেকে, পরিবার থেকে, সমাজ থেকে আমাদের জীবনের অতি প্রয়োজনীয় কতো অধিক শিক্ষা আমরা পেয়ে থাকি ! প্রকৃতপক্ষে, প্রকৃতির এই শিক্ষার তুলনায় গ্রন্থপাঠের শিক্ষা খুবই নগণ্য হিসাবে বিবেচিত হবে !
লেখাপড়া বিশেষ জানে না – জীবনে গ্রন্থপাঠ বিশেষ করে নি – তবু জীবনের কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছে, এমন সব ব্যক্তির ভুরিভুরি নিদর্শন দেওয়া যাবে। আর যদি মহাত্মা-মহাজন-মহাপুরুষগণের কথায় আসা যায় – তাহলে তো তাঁরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের ‘গ্রন্থপাঠ দ্বারা জ্ঞানী হওয়া’-র ধারণা কতোটা ভুল।
ভগবান বুদ্ধ, ভগবান যীশু, হযরত মুহাম্মদ থেকে শুরু করে আধুনিককালের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং আমাদের পরম আরাধ্য গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ পর্যন্ত মহাপুরুষদের জীবন ও জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে – অধিকাংশেরই academic হবার ব্যাপারে বা ‘গ্রন্থপাঠের দ্বারা জ্ঞানী হবার’ ব্যাপারে__ কোনো আগ্রহই ছিল না। এঁদের মধ্যে যাঁদেরকেও বা আমরা শিক্ষিত বা পন্ডিত হিসাবে পেয়েছি – সেটুকু শুধুমাত্র সেইযুগের মানুষদেরকে বিদ্যার দ্বারা, কোনো বিশেষ মত-কে প্রতিষ্ঠার দ্বারা ঈশ্বরমুখী করার জন্যই !!
মহাপুরুষদের ব্যাপার-স্যাপার সাধারণ মানুষদের আচার-আচরণের সাথে একদমই মেলে না – কারণ তাঁরা যুগ-প্রয়োজনে যখন, যেখানে, যতটুকু প্রয়োজন তাঁরা শুধুমাত্র সেইটুকুই প্রকৃতি বা পরিবেশ বা সমাজ থেকে গ্রহণ করেন ! বাকি শিক্ষার সবটাই সাধনার দ্বারা অন্তর্জগতের গভীর থেকে পাওয়া।। এইভাবে অর্জিত বিদ্যা এবং শক্তির ততটুকুই তাঁরা প্রদর্শন করেন বা ব্যবহার করেন__ যেটুকু করলে মানবের কল্যাণ হয়, জীবজগতের কল্যাণ হয়।
যাইহোক, এরপর আমরা গুরুমহারাজের বলা আরো কিছু মূল্যবান কথা শুনে নিই। তারপরে উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্, সীমা অসীমের বাইরে নয় এবং অসীমও সীমাকে ছেড়ে নয়। সীমা ও অসীম একাধারে ওতপ্রোত – অসীমের সীমাধারণ ও সীমার অভিব্যক্তি অসীমের নিমিত্ত। সীমার ভিতর সেই অসীমের প্রকাশ, আবার সীমার মধ্যে দিয়ে ঐ অসীমের উপলব্ধিই হোলো পরমবোধ। ঐ অসীমকে যে কোনো রূপে আহ্বান করতে পারা যায়। কারণ তার বিশেষ কোনো নাম-রূপ নাই।”
গুরুমহারাজ এই যে কথাগুলি আলোচনা করলেন – এগুলি খুবই ভারি ভারি কথা ! সীমা ও অসীমের তত্ত্ব আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অতোটা বোধগম্য হবে না। কিন্তু এটা আমরা বেশ ভালভাবেই বুঝতে পারলাম যে, এক-একজন অর্থাৎ প্রত্যেকটি individual (তা সে জড় বা জীবন যাই হোক)-কেই গুরুমহারাজ ‘সীমায়িত’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এক একটি বস্তু বা ব্যক্তি যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘সীমা’, আর এই জগৎ, বিশ্বসংসার যেন বৃহৎ সীমা। কিন্তু এই সবকিছুর প্রকাশক যিনি — তিনিই অসীম। যাঁকে পরমেশ্বর (আল্লাহ, হরি, গড ইত্যাদি) বলা হয়েছে। ‘সীমার মাঝে অসীমের প্রকাশ’– বলতে গুরুমহারাজ ‘ভান্ডে ব্রহ্মাণ্ড তত্ত্বে’-র কথাই বলেছেন। আবার মানুষ শরীর দিয়েই (সাধনার দ্বারা) সেই পরম চৈতন্য পরমেশ্বরের বোধ করা যায় – সে কথাটিও বলেছেন এইভাবে যে,” সীমার মধ্যে দিয়ে ঐ অসীমের উপলব্ধিই হোলো পরমবোধ।”
এইজন্যেই আমরা আমাদের পরমপ্রেমিক, পরমপ্রিয় গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দকে দেখলাম__ উনি বনগ্রামের সাধারণ মানুষদেরও যেমন ভালোবাসছেন, তেমনি কলকাতা, দুর্গাপুর, সিঙ্গুর, দিল্লি বা উত্তরভারত অথবা দক্ষিণী ভক্তদেরকেও সমান ভালোবাসছেন। আর শুধু ভারতীয়রাই নয় – ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন যখন আসতে শুরু করলো – ওদেরকেও জিজ্ঞাসা করে দেখেছিলাম যে, ওরাও আমাদের মতো একই কথা বলতো – ” গুরুজি আমাকে খুবই ভালোবাসে ! ওনার ভালোবাসার টানেই অতোদূর থেকে আমরা ছুটে ছুটে আসি।”
যাইহোক, আমরা পুনরায় ওনার লেখা গ্রন্থ “সহজতা ও প্রেম” গ্রন্থের পাঠে ফিরে যাই ! হ্যাঁ, এটাই ঠিক – আমাদের এই আলোচনাগুলি যেন সদগ্রন্থ পাঠের আসরের মতোই ! একটু একটু পাঠ এবং একটু একটু আলোচনা ! তাহলে এখন আমরা আর খানিকটা এগিয়ে যাই। গুরুমহারাজ আমাদের মধ্যে কয়েকজনকে সতর্ক করে বলেছেন – “গ্রন্থই যাদের কাছে একমাত্র অবলম্বন এবং যারা ইন্দ্রিয়ের ক্রীতদাস – তাদের পক্ষে এই তত্ত্ব অনুভব করা খুবই দুরূহ ! শাস্ত্র কিম্বা তর্কজালের দ্বারা নয়, শুধু আপনার অন্তঃকরণের মধ্যেই এর অনুভব হয়ে থাকে। প্রকৃত সহজ সাধকের ভিতরে রয়েছে জীবন্ত ধর্মীয় বোধের বেদনা – সীমার মধ্যে এক অকল্পনীয় উদ্ভব। পণ্ডিতেরা শুধু অনুকারক, অনাস্বাদিত পুঁথির ভান্ডারী, সহজবোধের সম্পর্কশূন্য ও ছন্দবিহীন অসহজ। সুতরাং তার অস্তিত্ব একমাত্র প্রেমিক সাধক উপলব্ধি করতে পারেন।”
গুরুমহারাজের উপরোক্ত কথাগুলির প্রথম অংশটি আমাদের মতো মাঝারি শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের অনেককেই চিন্তায় ফেলে দিতে পারে ! কারণ আমাদের সকলের এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে যে, ‘গ্রন্থপাঠ ছাড়া জ্ঞানলাভ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়’?’ দেখুন, তাদেরই(আমাদের) বা কি দোষ__ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেই তো প্রাথমিক জ্ঞানলাভ হয়েছিল, পরবর্তীতেও পড়াশোনার দ্বারাতেই তার উচ্চশিক্ষা লাভ হয়েছে ! তাহলে গ্রন্থপাঠ ছাড়া জ্ঞানলাভ কিভাবে সম্ভব?’ কিন্তু আমরা একবারও একটু গভীরে ঢুকে চিন্তা করি না যে, গ্রন্থপাঠ ছাড়াও প্রকৃতি থেকে, পরিবেশ থেকে, পরিবার থেকে, সমাজ থেকে আমাদের জীবনের অতি প্রয়োজনীয় কতো অধিক শিক্ষা আমরা পেয়ে থাকি ! প্রকৃতপক্ষে, প্রকৃতির এই শিক্ষার তুলনায় গ্রন্থপাঠের শিক্ষা খুবই নগণ্য হিসাবে বিবেচিত হবে !
লেখাপড়া বিশেষ জানে না – জীবনে গ্রন্থপাঠ বিশেষ করে নি – তবু জীবনের কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছে, এমন সব ব্যক্তির ভুরিভুরি নিদর্শন দেওয়া যাবে। আর যদি মহাত্মা-মহাজন-মহাপুরুষগণের কথায় আসা যায় – তাহলে তো তাঁরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের ‘গ্রন্থপাঠ দ্বারা জ্ঞানী হওয়া’-র ধারণা কতোটা ভুল।
ভগবান বুদ্ধ, ভগবান যীশু, হযরত মুহাম্মদ থেকে শুরু করে আধুনিককালের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং আমাদের পরম আরাধ্য গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দ পর্যন্ত মহাপুরুষদের জীবন ও জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে – অধিকাংশেরই academic হবার ব্যাপারে বা ‘গ্রন্থপাঠের দ্বারা জ্ঞানী হবার’ ব্যাপারে__ কোনো আগ্রহই ছিল না। এঁদের মধ্যে যাঁদেরকেও বা আমরা শিক্ষিত বা পন্ডিত হিসাবে পেয়েছি – সেটুকু শুধুমাত্র সেইযুগের মানুষদেরকে বিদ্যার দ্বারা, কোনো বিশেষ মত-কে প্রতিষ্ঠার দ্বারা ঈশ্বরমুখী করার জন্যই !!
মহাপুরুষদের ব্যাপার-স্যাপার সাধারণ মানুষদের আচার-আচরণের সাথে একদমই মেলে না – কারণ তাঁরা যুগ-প্রয়োজনে যখন, যেখানে, যতটুকু প্রয়োজন তাঁরা শুধুমাত্র সেইটুকুই প্রকৃতি বা পরিবেশ বা সমাজ থেকে গ্রহণ করেন ! বাকি শিক্ষার সবটাই সাধনার দ্বারা অন্তর্জগতের গভীর থেকে পাওয়া।। এইভাবে অর্জিত বিদ্যা এবং শক্তির ততটুকুই তাঁরা প্রদর্শন করেন বা ব্যবহার করেন__ যেটুকু করলে মানবের কল্যাণ হয়, জীবজগতের কল্যাণ হয়।
যাইহোক, এরপর আমরা গুরুমহারাজের বলা আরো কিছু মূল্যবান কথা শুনে নিই। তারপরে উনি বলেছেন – ” প্রিয় আত্মন্, সীমা অসীমের বাইরে নয় এবং অসীমও সীমাকে ছেড়ে নয়। সীমা ও অসীম একাধারে ওতপ্রোত – অসীমের সীমাধারণ ও সীমার অভিব্যক্তি অসীমের নিমিত্ত। সীমার ভিতর সেই অসীমের প্রকাশ, আবার সীমার মধ্যে দিয়ে ঐ অসীমের উপলব্ধিই হোলো পরমবোধ। ঐ অসীমকে যে কোনো রূপে আহ্বান করতে পারা যায়। কারণ তার বিশেষ কোনো নাম-রূপ নাই।”
গুরুমহারাজ এই যে কথাগুলি আলোচনা করলেন – এগুলি খুবই ভারি ভারি কথা ! সীমা ও অসীমের তত্ত্ব আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অতোটা বোধগম্য হবে না। কিন্তু এটা আমরা বেশ ভালভাবেই বুঝতে পারলাম যে, এক-একজন অর্থাৎ প্রত্যেকটি individual (তা সে জড় বা জীবন যাই হোক)-কেই গুরুমহারাজ ‘সীমায়িত’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এক একটি বস্তু বা ব্যক্তি যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘সীমা’, আর এই জগৎ, বিশ্বসংসার যেন বৃহৎ সীমা। কিন্তু এই সবকিছুর প্রকাশক যিনি — তিনিই অসীম। যাঁকে পরমেশ্বর (আল্লাহ, হরি, গড ইত্যাদি) বলা হয়েছে। ‘সীমার মাঝে অসীমের প্রকাশ’– বলতে গুরুমহারাজ ‘ভান্ডে ব্রহ্মাণ্ড তত্ত্বে’-র কথাই বলেছেন। আবার মানুষ শরীর দিয়েই (সাধনার দ্বারা) সেই পরম চৈতন্য পরমেশ্বরের বোধ করা যায় – সে কথাটিও বলেছেন এইভাবে যে,” সীমার মধ্যে দিয়ে ঐ অসীমের উপলব্ধিই হোলো পরমবোধ।”