শ্রী শ্রী গুরুমহারাজ স্বামী পরমানন্দের কথা (কথিত এবং লিখিত) এখানে আলোচনা করা হচ্ছিলো। আমরা ছিলাম গুরুমহারাজের *সহজতা ও প্রেম* গ্রন্থের ‘প্রেম’ বিষয়ক কথায়। আগের দিনের আলোচনা শেষে গুরুমহারাজের যে কথাগুলি আমরা উল্লেখ করেছিলাম তাতে আমরা দেখেছি – গুরুমহারাজ সেখানে প্রেমের মহিমা বর্ণনা করেছেন৷ উনি বলেছেন – ” মানবজীবনকে রূপান্তর করতে পারে একমাত্র প্রেম !”
আমরা পৌরাণিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, মহাত্মা-মহাপুরুষদের জীবন ও জীবনী পর্যালোচনা করলে ঐ কথাগুলির সত্যতা সহজেই যাচাই করতে পারি। ক্ষত্রিয় বিশ্বামিত্রের ব্রাহ্মণ থেকে ঋষি হয়ে ওঠা, দস্যু রত্নাকর থেকে ঋষি বাল্মিকী হওয়ার কাহিনী, চন্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক হয়ে ওঠা – ইত্যাদি ঘটনাগুলি ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য বলে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি। সহস্র সহস্র এমনি অনেক উদাহরণ রয়ে গেছে – যেখানে দুষ্টপ্রকৃতির মানব – অস্থিরচিত্ত, নিম্নচেতনার মানব কোনো না কোনো মহাপুরুষের সংস্পর্শে এসে অর্থাৎ তাঁর প্রেমের স্পর্শে পরবর্তী জীবনকে পরিবর্তিত করতে সমর্থ হয়েছেন।
এটাই তো গুরুমহারাজ বলেছেন, প্রেমের স্পর্শে বা প্রেমলাভের দ্বারা – ‘আত্মবিস্মৃতি, স্বার্থপর, নরপিশাচ হয়ে ওঠে চৈতন্যময় দিব্যমানব !’ উনি আরো বলেছেন – ‘প্রেম মানবকে পাশবিক প্রবৃত্তির নিম্নস্তর হোতে পরমেশ্বরের দিকে অগ্রসর করে ‘- অর্থাৎ নিম্নচেতনার মানবকেও উচ্চচেতনায় উন্নীত করে, ঈশ্বরমুখী করে, আধ্যাত্মিক পথে এগিয়ে দেয়৷ মানবসমাজে সাধারণ মানবের মধ্যেও আমরা কিছু কিছু এমন ঘটনা ঘটতে দেখি (যেগুলি হয়তো নাটক-নভেলেও উল্লিখিত হয়েছে), যেখানে একটি নিষ্ঠুর প্রকৃতির উচ্ছৃংখল জীবনযাপনকারী নিম্নচেতনার যুবক – একটি কোমল হৃদয়, প্রেমপরায়ণ, শান্ত-সুশীলা নারীর সাহচর্যে এসে তার জীবন-যাপনের পদ্ধতি পাল্টে ফেলেছে ! দেখা যায় সেই মানবের প্রকৃতিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে – মানুষটি পশুমানব থেকে মানবে অথবা মানব থেকে দেবমানবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে !
প্রেমের এমনই মহিমা ! সাধারণ নর-নারীর প্রেম-ভালোবাসাতেই যদি এতো শক্তি – তাহলে মহাপুরুষদের অপার্থিব প্রেমের কতো শক্তি হোতে পারে, সেটা সহজেই অনুমেয় ! অবতারকল্প মহাপুরুষেরা যুগে যুগে পৃথিবীতে শরীর ধারণ করে ঐ সুবিশাল শক্তি দ্বারা দু-একজন মানুষকেই শুধু নয়, সমাজের বহু মানুষের মানসিকতার প্রবৃত্তির-প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে বৃহত্তর সমাজকেই বেশ খানিকটা আগিয়ে দিয়ে যান। এঁরা যেন মহাসাগরের বুকে উত্থিত এক-একটা প্লাবন যা শুধু জলভাগেই সীমাবদ্ধ না থেকে বেশ খানিকটা তটভূমি বা স্থলভূমিকেও প্লাবিত বা জলমগ্ন করে দিতে পারে ! অবতার পুরুষেরা আধ্যাত্মিক জগতের প্লাবন, যাঁরা তাদের প্রেমের প্লাবনে বহু মানুষকে ঈশ্বরমুখী-অধ্যাত্মমুখী করেন। এর ফলে কি হয় – ঐ মানুষগুলির বিবেকের জাগরণ হয়, আত্মিক উত্তরণ হয়। ঐ মানুষগুলি আর যাই হোক – সমাজের চোখে কখনও ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে না। তারা পারলে মানুষের কল্যাণে কিছু কাজ করবে কিন্তু কারো অমঙ্গল কামনা করবে না। বিবেকী মানুষের এটাই পরিচয় – তারা কারো ভালো যদি নাও করতে পারে, অন্ততঃ কারো খারাপ কিছু করবে না !
যাইহোক, আমরা এরপর পরবর্তী আলোচনায় চলে যাবো – দেখা যাক্ গুরুমহারাজ এই প্রসঙ্গে আরো কি কি বলেছেন ! উনি বলেছেন – ” বাহ্যাচার ও কুসংস্কার দ্বারা মানব আচ্ছন্ন। শাস্ত্র এবং পরম্পরার জালে মানব এমনভাবে আটকে গেছে যে, তার ভিতর থেকে বের হয়ে আসা খুবই মুশকিল।” এইগুলি অতীব বাস্তব কথা ! সত্যিই তো !– আমরা বাহ্যাচার ও কুসংস্কারের দ্বারা একেবারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি – আর এর কারণ হোলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পন্ডিত ব্যক্তিদের দ্বারা রচিত (যেগুলির অধিকাংশই রাজশক্তির নির্দেশে, তাদের মনের মতো করে রচিত) স্মৃতিশাস্ত্র বা পুরাণাদি শাস্ত্র। যেগুলির বেশিরভাগই বুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বা আরও অনেক পরে রচিত। এই ধরণের পুরাণগুলির বেশিরভাগকে ব্যাসদেব রচিত বলে চালানোর চেষ্টা হোলেও রচনা প্রকৃতি, শব্দের ব্যবহার, ব্যাকরণের ব্যবহার ইত্যাদি দেখে রচনাকাল অনুমান করা যায়।
এসব কথা থাক্ – আমরা এখন গুরুমহারাজের পরবর্তী কথায় চলে যাই। এরপর গুরুমহারাজ বলেছেন – ” সাধারণতঃ মানব সঙ্কল্পময়। নিকৃষ্ট সংকল্পের অপকর্ম ফলপ্রাপ্তি হয় এবং উৎকৃষ্ট সংকল্পের দ্বারা মনের উৎকর্ষ ফল লাভ করে থাকে। সুতরাং ভাবটাই আসল। প্রকৃত ভাবই অনুষ্ঠানকে জাগ্রত ও জীবন্ত করে তোলে। শুদ্ধ ভাবাবেগ ও ঈশ্বর অনুরাগে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে আকুল প্রাণের বেদনা এবং বিগলিত মুখর হয় ভক্তের আবেগময় প্রার্থনা ! ভাবহীন অনুষ্ঠান নিষ্ফল।”
গুরুমহারাজ বললেন – ‘মানব (অর্থাৎ আমরা) সংকল্পময়!’ সত্যিই তো – সংকল্প বিকল্প হোলো মনের ক্রিয়া, আর মানব মনপ্রধান ; সুতরাং মানবেরা তো সঙ্কল্পময় হবেই ! কিন্তু গুরুজীর কথা থেকে আমরা যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হোলো – আমাদের মধ্যে দুই প্রকারের সংকল্প রয়েছে — নিকৃষ্ট ও উৎকৃষ্ট ! নিকৃষ্ট সংকল্পের দ্বারাই আমরা অপকর্ম সকল করে থাকি এবং তার দ্বারা সৃষ্ট ফল বা effect __আমাদের জীবনকে বিষময় করে তোলে। অপরপক্ষে আমাদের মনোজগতে উত্থিত উৎকৃষ্ট সংকল্প উৎকৃষ্ট ‘ফল’ প্রসব করে। গুরুমহারাজ মানুষের মনোজগতের সৃষ্ট ‘ভাব’কেই প্রাধান্য দিয়েছেন৷ যে কোনো বাহ্যিক অনুষ্ঠানও জীবন্ত-প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, শুদ্ধ ভাবাবেগ এবং ঈশ্বরের প্রতি একান্ত অনুরাগে প্রাণের আকুল বেদনা ও প্রাণবন্ত হয়। ভক্তের আবেগময় (ভাবযুক্ত) প্রার্থনা বিগলিত হয়ে সোজাসুজি পরমেশ্বরের কাছে পৌঁছে যায়।
ফলে এই ধরনের প্রার্থনাতে সাধকের শুদ্ধ সংকল্পের পূর্ণতা আসে। গুরুমহারাজ আরো একটা বিষয় খুব জোর দিয়ে বলেছেন যে, পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অথবা পরমেশ্বরের প্রীতি উৎপাদনের জন্য যত ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে – সেগুলি যদি ‘ভাব’-হীন (ভাবাবেগ বর্জিত) হয় – তাহলে সেইসব অনুষ্ঠান নিষ্ফল।৷
আমরা পৌরাণিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, মহাত্মা-মহাপুরুষদের জীবন ও জীবনী পর্যালোচনা করলে ঐ কথাগুলির সত্যতা সহজেই যাচাই করতে পারি। ক্ষত্রিয় বিশ্বামিত্রের ব্রাহ্মণ থেকে ঋষি হয়ে ওঠা, দস্যু রত্নাকর থেকে ঋষি বাল্মিকী হওয়ার কাহিনী, চন্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক হয়ে ওঠা – ইত্যাদি ঘটনাগুলি ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য বলে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি। সহস্র সহস্র এমনি অনেক উদাহরণ রয়ে গেছে – যেখানে দুষ্টপ্রকৃতির মানব – অস্থিরচিত্ত, নিম্নচেতনার মানব কোনো না কোনো মহাপুরুষের সংস্পর্শে এসে অর্থাৎ তাঁর প্রেমের স্পর্শে পরবর্তী জীবনকে পরিবর্তিত করতে সমর্থ হয়েছেন।
এটাই তো গুরুমহারাজ বলেছেন, প্রেমের স্পর্শে বা প্রেমলাভের দ্বারা – ‘আত্মবিস্মৃতি, স্বার্থপর, নরপিশাচ হয়ে ওঠে চৈতন্যময় দিব্যমানব !’ উনি আরো বলেছেন – ‘প্রেম মানবকে পাশবিক প্রবৃত্তির নিম্নস্তর হোতে পরমেশ্বরের দিকে অগ্রসর করে ‘- অর্থাৎ নিম্নচেতনার মানবকেও উচ্চচেতনায় উন্নীত করে, ঈশ্বরমুখী করে, আধ্যাত্মিক পথে এগিয়ে দেয়৷ মানবসমাজে সাধারণ মানবের মধ্যেও আমরা কিছু কিছু এমন ঘটনা ঘটতে দেখি (যেগুলি হয়তো নাটক-নভেলেও উল্লিখিত হয়েছে), যেখানে একটি নিষ্ঠুর প্রকৃতির উচ্ছৃংখল জীবনযাপনকারী নিম্নচেতনার যুবক – একটি কোমল হৃদয়, প্রেমপরায়ণ, শান্ত-সুশীলা নারীর সাহচর্যে এসে তার জীবন-যাপনের পদ্ধতি পাল্টে ফেলেছে ! দেখা যায় সেই মানবের প্রকৃতিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে – মানুষটি পশুমানব থেকে মানবে অথবা মানব থেকে দেবমানবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে !
প্রেমের এমনই মহিমা ! সাধারণ নর-নারীর প্রেম-ভালোবাসাতেই যদি এতো শক্তি – তাহলে মহাপুরুষদের অপার্থিব প্রেমের কতো শক্তি হোতে পারে, সেটা সহজেই অনুমেয় ! অবতারকল্প মহাপুরুষেরা যুগে যুগে পৃথিবীতে শরীর ধারণ করে ঐ সুবিশাল শক্তি দ্বারা দু-একজন মানুষকেই শুধু নয়, সমাজের বহু মানুষের মানসিকতার প্রবৃত্তির-প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে বৃহত্তর সমাজকেই বেশ খানিকটা আগিয়ে দিয়ে যান। এঁরা যেন মহাসাগরের বুকে উত্থিত এক-একটা প্লাবন যা শুধু জলভাগেই সীমাবদ্ধ না থেকে বেশ খানিকটা তটভূমি বা স্থলভূমিকেও প্লাবিত বা জলমগ্ন করে দিতে পারে ! অবতার পুরুষেরা আধ্যাত্মিক জগতের প্লাবন, যাঁরা তাদের প্রেমের প্লাবনে বহু মানুষকে ঈশ্বরমুখী-অধ্যাত্মমুখী করেন। এর ফলে কি হয় – ঐ মানুষগুলির বিবেকের জাগরণ হয়, আত্মিক উত্তরণ হয়। ঐ মানুষগুলি আর যাই হোক – সমাজের চোখে কখনও ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে না। তারা পারলে মানুষের কল্যাণে কিছু কাজ করবে কিন্তু কারো অমঙ্গল কামনা করবে না। বিবেকী মানুষের এটাই পরিচয় – তারা কারো ভালো যদি নাও করতে পারে, অন্ততঃ কারো খারাপ কিছু করবে না !
যাইহোক, আমরা এরপর পরবর্তী আলোচনায় চলে যাবো – দেখা যাক্ গুরুমহারাজ এই প্রসঙ্গে আরো কি কি বলেছেন ! উনি বলেছেন – ” বাহ্যাচার ও কুসংস্কার দ্বারা মানব আচ্ছন্ন। শাস্ত্র এবং পরম্পরার জালে মানব এমনভাবে আটকে গেছে যে, তার ভিতর থেকে বের হয়ে আসা খুবই মুশকিল।” এইগুলি অতীব বাস্তব কথা ! সত্যিই তো !– আমরা বাহ্যাচার ও কুসংস্কারের দ্বারা একেবারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি – আর এর কারণ হোলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পন্ডিত ব্যক্তিদের দ্বারা রচিত (যেগুলির অধিকাংশই রাজশক্তির নির্দেশে, তাদের মনের মতো করে রচিত) স্মৃতিশাস্ত্র বা পুরাণাদি শাস্ত্র। যেগুলির বেশিরভাগই বুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বা আরও অনেক পরে রচিত। এই ধরণের পুরাণগুলির বেশিরভাগকে ব্যাসদেব রচিত বলে চালানোর চেষ্টা হোলেও রচনা প্রকৃতি, শব্দের ব্যবহার, ব্যাকরণের ব্যবহার ইত্যাদি দেখে রচনাকাল অনুমান করা যায়।
এসব কথা থাক্ – আমরা এখন গুরুমহারাজের পরবর্তী কথায় চলে যাই। এরপর গুরুমহারাজ বলেছেন – ” সাধারণতঃ মানব সঙ্কল্পময়। নিকৃষ্ট সংকল্পের অপকর্ম ফলপ্রাপ্তি হয় এবং উৎকৃষ্ট সংকল্পের দ্বারা মনের উৎকর্ষ ফল লাভ করে থাকে। সুতরাং ভাবটাই আসল। প্রকৃত ভাবই অনুষ্ঠানকে জাগ্রত ও জীবন্ত করে তোলে। শুদ্ধ ভাবাবেগ ও ঈশ্বর অনুরাগে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে আকুল প্রাণের বেদনা এবং বিগলিত মুখর হয় ভক্তের আবেগময় প্রার্থনা ! ভাবহীন অনুষ্ঠান নিষ্ফল।”
গুরুমহারাজ বললেন – ‘মানব (অর্থাৎ আমরা) সংকল্পময়!’ সত্যিই তো – সংকল্প বিকল্প হোলো মনের ক্রিয়া, আর মানব মনপ্রধান ; সুতরাং মানবেরা তো সঙ্কল্পময় হবেই ! কিন্তু গুরুজীর কথা থেকে আমরা যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হোলো – আমাদের মধ্যে দুই প্রকারের সংকল্প রয়েছে — নিকৃষ্ট ও উৎকৃষ্ট ! নিকৃষ্ট সংকল্পের দ্বারাই আমরা অপকর্ম সকল করে থাকি এবং তার দ্বারা সৃষ্ট ফল বা effect __আমাদের জীবনকে বিষময় করে তোলে। অপরপক্ষে আমাদের মনোজগতে উত্থিত উৎকৃষ্ট সংকল্প উৎকৃষ্ট ‘ফল’ প্রসব করে। গুরুমহারাজ মানুষের মনোজগতের সৃষ্ট ‘ভাব’কেই প্রাধান্য দিয়েছেন৷ যে কোনো বাহ্যিক অনুষ্ঠানও জীবন্ত-প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, শুদ্ধ ভাবাবেগ এবং ঈশ্বরের প্রতি একান্ত অনুরাগে প্রাণের আকুল বেদনা ও প্রাণবন্ত হয়। ভক্তের আবেগময় (ভাবযুক্ত) প্রার্থনা বিগলিত হয়ে সোজাসুজি পরমেশ্বরের কাছে পৌঁছে যায়।
ফলে এই ধরনের প্রার্থনাতে সাধকের শুদ্ধ সংকল্পের পূর্ণতা আসে। গুরুমহারাজ আরো একটা বিষয় খুব জোর দিয়ে বলেছেন যে, পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অথবা পরমেশ্বরের প্রীতি উৎপাদনের জন্য যত ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে – সেগুলি যদি ‘ভাব’-হীন (ভাবাবেগ বর্জিত) হয় – তাহলে সেইসব অনুষ্ঠান নিষ্ফল।৷