গুরু মহারাজ স্বামী পরমানন্দ ‘পরমানন্দ মিশনের’ ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসীদের সমাজে কিভাবে কাজ করতে হবে অর্থাৎ কোন কৌশলে কাজ করলে তাদের আধ্যাত্মিক অগ্রগতি বজায় থাকবে – সেইসব কথা বলছিলেন ৷ উনি বলেছিলেন – “পৃথিবীতে দুটি ধারা রয়েছে , একটি ‘ভোগের ধারা’ এবং অন্যটি ‘ত্যাগের ধারা’ ৷” সাধারণত সমাজের বেশীরভাগ মানুষ ‘ভোগের ধারা’-য় রয়েছে ; যদিও তারা প্রকৃত ‘ভোগ’-এর সন্ধান না পেয়ে, উপরে উপরে ভাসে এবং দূর্ভোগ ভোগ করে ! ঠিক ঠিক ‘ভোগ’ করতে পারলে তো ভগবান হতে হবে ! একমাত্র ভগবানই ‘ভোগ’ করেন , বাকীরা ভোগের চেষ্টা করে – এইমাত্র !
আর একটি পথ বা ধারা রয়েছে – যেটি হ’ল ত্যাগের ধারা । এই পথটি যারা গ্রহণ করে সাধারণত তারা জীবজগতের বিবর্তনের ধারায় Senior ! পূর্বে পূর্বে ভোগের ধারায় চলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে , অবশ্যই তিক্ত অভিজ্ঞতা! যখন অন্তর থেকে ভোগের ধারা-র প্রতি অনীহা , বিতৃষ্ণা , বীতশ্রদ্ধতা আসে – তখন থেকেই ত্যাগের ধারায় চলা শুরু হয় ! আর এই পথে চলা শুরু হয়েছে মানেই চড়চড় করে উন্নতি হবে , এমন নয় !
স্থূলে Horizental Movement থেকে Vertical Movement-এ আসার অর্থ পশু থেকে মানুষে আসার বিবর্তন ! কিন্তু ‘মানুষ’ শরীর পাবার পর মানুষের মনোজগতে বিবর্তন শুরু হয় – একে গুরু মহারাজ বলেছিলেন involution বা সংবর্ত্তন ! মনুষ্য শরীর পাবার পর চেতনার উত্তরণটাই হ’ল Vertical Movement , অর্থাৎ কুলকুন্ডলীনীর মূলাধার থেকে উর্দ্ধগতি লাভ করে সহস্রারের দিকে এগিয়ে যাওয়া ! এটাই আধ্যাত্মিকতার শুরু !
সুতরাং মনুষ্যসমাজে ধনী , শিক্ষিত , উচ্চমর্যাদা , সমাজপতি , রাজনেতা – এইসব বিশেষণ দিয়ে কিন্তু প্রকৃত Senior অর্থাৎ আধ্যাত্মিক মানুষ বা ‘ত্যাগের ধারার আসা মানুষ’ – কে বোঝানো যাবে না ! ওরা প্রকৃত অর্থেই Senior ! বিবর্তনের ধারায় এরা বহুবার ধনী-নির্ধন , শিক্ষিত-অশিক্ষিত , উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ , সমাজের উচ্চপদযুক্ত বা অবহেলিত – ইত্যাদি নানাভাবের শরীর লাভ করেছিল ৷ এক একটা জীবন যেন অভিজ্ঞতার সিঁড়ি । সেই সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে এরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে, তবে Senior হয়েছে! এরা ‘ভোগের ধারা ‘-য় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ ভোগ করতে করতে বুঝে গেছে যে , ঐ ধারায় সুখ বা শান্তি পাওয়া যায় না ৷ “নাল্পে সুখমন্তু ভূমৈব সুখম্”– ঋষিবাক্যের সার্বিক ধারণা হয় তখন! আর তাই এই ব্যক্তিরা আসেন ত্যাগের ধারায়! এইজন্যই গুরু মহারাজ বললেন – সাধু-সন্ন্যাসীরা হ’ল_ Cream of the Society ।বলবেন ই তো! এঁরা প্রকৃত সিনিয়র যে!
সেই অর্থে, সাধু সাজা যায় না ! সাধু সাজলে ‘সাজা’ পেতে হয় । ‘সাধু’ হতে হয় ! বহুজীবন অসাধু জীবন-যাপন করতে করতে ‘সাধু’ জীবনে আসতে হয় ! এটা একটা ক্রম !
সাধুজীবনে আসা অর্থাৎ ত্যাগের ধারায় আসা ! ভোগের বিন্দুমাত্র স্পৃহা থাকলে – আবার ফিরে যাওয়া ! “যাও — পুনরায় গৃহী হয়ে সেই সাধটা মিটিয়ে এস !” এইজন্যই গুরু মহারাজ ত্যাগী ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসীদের সতর্ক করে বলেছিলেন – ” অকারণ গৃহীদের বাড়ীতে রাত্রিযাপন করবি না – তাতে তোদের ব্রহ্মচর্য্যের হানি হতে পারে । কাছাকাছি কোন আশ্রম থাকলে সেখানে রাত কাটাবি ৷ তবে নিতান্তই যদি প্রয়োজন হয় – তাহলে অবশ্য গৃহী মানুষের বাড়ীতে থাকতেই হবে! সেখানে যতক্ষণ থাকবি যে কোন ভাবে(অন্তত সৎসঙ্গ করে) সেই পরিবারের মঙ্গল করার চেষ্টা করে যাবি। ঠিক ঠিক ভগবৎকর্ম করতে করতে যদি কারো নৈতিক অধঃপতন হয় – তার দায় আমার ! যদি সে নরকেও ডুবে যায় – আমি কথা দিচ্ছি , তাকে সেখান থেকে আমি চুলের মুঠি ধরে তুলে নিয়ে আসবো । অবশ্য এ অভয়বাক্য স্বামী বিবেকানন্দও দিয়ে গিয়েছিলেন – আজ আমি আবার বলে দিচ্ছি । যা – ভগবানের কাজ করতে করতে জীবনপাত কর – তোদের সব দায়িত্ব আমার । কিন্তু সাবধান ! তিলমাত্র আত্মসুখের ইচ্ছা বা ভোগলিপ্সা যেন না থাকে – তাহলেই সর্বনাশ !
সাপ-লুডো খেলায় দেখেছিস তো – সিঁড়ি আছে , আবার সাপের মুখ আছে ৷ সিঁড়ির গোড়ায় পৌঁছালে তোকে একেবারে উপরে নিয়ে চলে যাবে _আর যদি সাপের মুখে পড়িস তাহলে তোকে হড়হড় করে একেবারে নিচে নামিয়ে দেবে। এক থেকে একশ ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়। একটা সাপের মুখ আছে নব্বই – এর ঘরে, কত কষ্ট করে করে _কত ছোট খাটো সাপের মুখ এড়িয়ে ঘুঁটিটাকে তুই ওতদূর নিয়ে গেলি_কিন্তু তারপরেও যদি ঐ সাপটির মুখে পড়ে _তাহলে তোর ঘুঁটিকে একেবারে নিচের সাড়িতে নামিয়ে আনবে।
আধ্যাত্মিকক্ষেত্রে ও ঠিক এইরকমটাই ঘটে! কোন সাধক বহু বহু জীবনের কতশত অভিজ্ঞতা পুষ্ট হয়ে, ভোগের ধারায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে ত্যাগব্রত গ্রহণ কোরে, আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশ করে এবং কোন মঠ বা মিশনে এসে ব্রহ্মচর্য্য গ্রহণ করে! কিন্তু অনেকেই এখান থেকে আবার back-geer মারে! যে পথ ধরে এতদিন হেঁটে এসেছে _আবার সেই পথের দিকেই ফিরে ফিরে চায়, ভুলতে পারে না! মনে মনে করে _’ফিরে যাই ঐ পথে ‘_ঐ পথই বোধহয় ভালো ছিল! __ব্যস! ফেঁসে যায়! আবার নতুন করে শুরু করো! এ যেন থুতু ফেলে _সেই থুতটাই চেটে চেটে খাওয়া!
এক্ষেত্রে পরিত্রাণের উপায় _আন্তরিকভাবে প্রার্থনা অথবা সুদৃঢ় সংকল্প! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই ধরনের সংকল্প কেই’ রোক’_বলতেন, খুব রোক চাই! দু_থাকের সাধক রয়েছে,’ বীর’ এবং’ ধীর’। বীরেরা রোক করবে, আর ধীরেরা করবে প্রার্থনা! তদগতচিত্ত হয়ে প্রার্থনা! মহামায়ার এই জগৎ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য পুরুষকার তো লাগবেই! রুপ-রসাদির জাল বিছিয়ে, মায়া-মোহের বন্ধনের যে ফাঁদ পাতা জগৎ, মা মহামায়া সৃষ্টি করে রেখেছে _তা থেকে মা সহজে কাউকে ছাড়বেই বা কেন!! হয় খুব ছোট হয়ে (ধীর) অথবা অতি বড় বিশাল_বিরাট হয়ে(বীর) মহামায়ার বাঁধন কেটে বেরোতে হয়। তখনই প্রকৃত মুক্তি! শুককীট যেমন শক্ত খোলকের ভিতর থেকে বেড়িয়ে এসে প্রজাপতি হয় _এও যেন অনেকটা সেইরকম! ছিল কুৎসিত কীট বা পোকা _হোল রঙে রঙে রঙিন প্রজাপতি!! অরূপ থেকে রূপে আবার রূপ থেকে অপরূপ হয়ে ওঠা!!!” (ক্রমশঃ)
আর একটি পথ বা ধারা রয়েছে – যেটি হ’ল ত্যাগের ধারা । এই পথটি যারা গ্রহণ করে সাধারণত তারা জীবজগতের বিবর্তনের ধারায় Senior ! পূর্বে পূর্বে ভোগের ধারায় চলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে , অবশ্যই তিক্ত অভিজ্ঞতা! যখন অন্তর থেকে ভোগের ধারা-র প্রতি অনীহা , বিতৃষ্ণা , বীতশ্রদ্ধতা আসে – তখন থেকেই ত্যাগের ধারায় চলা শুরু হয় ! আর এই পথে চলা শুরু হয়েছে মানেই চড়চড় করে উন্নতি হবে , এমন নয় !
স্থূলে Horizental Movement থেকে Vertical Movement-এ আসার অর্থ পশু থেকে মানুষে আসার বিবর্তন ! কিন্তু ‘মানুষ’ শরীর পাবার পর মানুষের মনোজগতে বিবর্তন শুরু হয় – একে গুরু মহারাজ বলেছিলেন involution বা সংবর্ত্তন ! মনুষ্য শরীর পাবার পর চেতনার উত্তরণটাই হ’ল Vertical Movement , অর্থাৎ কুলকুন্ডলীনীর মূলাধার থেকে উর্দ্ধগতি লাভ করে সহস্রারের দিকে এগিয়ে যাওয়া ! এটাই আধ্যাত্মিকতার শুরু !
সুতরাং মনুষ্যসমাজে ধনী , শিক্ষিত , উচ্চমর্যাদা , সমাজপতি , রাজনেতা – এইসব বিশেষণ দিয়ে কিন্তু প্রকৃত Senior অর্থাৎ আধ্যাত্মিক মানুষ বা ‘ত্যাগের ধারার আসা মানুষ’ – কে বোঝানো যাবে না ! ওরা প্রকৃত অর্থেই Senior ! বিবর্তনের ধারায় এরা বহুবার ধনী-নির্ধন , শিক্ষিত-অশিক্ষিত , উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ , সমাজের উচ্চপদযুক্ত বা অবহেলিত – ইত্যাদি নানাভাবের শরীর লাভ করেছিল ৷ এক একটা জীবন যেন অভিজ্ঞতার সিঁড়ি । সেই সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে এরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে, তবে Senior হয়েছে! এরা ‘ভোগের ধারা ‘-য় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ ভোগ করতে করতে বুঝে গেছে যে , ঐ ধারায় সুখ বা শান্তি পাওয়া যায় না ৷ “নাল্পে সুখমন্তু ভূমৈব সুখম্”– ঋষিবাক্যের সার্বিক ধারণা হয় তখন! আর তাই এই ব্যক্তিরা আসেন ত্যাগের ধারায়! এইজন্যই গুরু মহারাজ বললেন – সাধু-সন্ন্যাসীরা হ’ল_ Cream of the Society ।বলবেন ই তো! এঁরা প্রকৃত সিনিয়র যে!
সেই অর্থে, সাধু সাজা যায় না ! সাধু সাজলে ‘সাজা’ পেতে হয় । ‘সাধু’ হতে হয় ! বহুজীবন অসাধু জীবন-যাপন করতে করতে ‘সাধু’ জীবনে আসতে হয় ! এটা একটা ক্রম !
সাধুজীবনে আসা অর্থাৎ ত্যাগের ধারায় আসা ! ভোগের বিন্দুমাত্র স্পৃহা থাকলে – আবার ফিরে যাওয়া ! “যাও — পুনরায় গৃহী হয়ে সেই সাধটা মিটিয়ে এস !” এইজন্যই গুরু মহারাজ ত্যাগী ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসীদের সতর্ক করে বলেছিলেন – ” অকারণ গৃহীদের বাড়ীতে রাত্রিযাপন করবি না – তাতে তোদের ব্রহ্মচর্য্যের হানি হতে পারে । কাছাকাছি কোন আশ্রম থাকলে সেখানে রাত কাটাবি ৷ তবে নিতান্তই যদি প্রয়োজন হয় – তাহলে অবশ্য গৃহী মানুষের বাড়ীতে থাকতেই হবে! সেখানে যতক্ষণ থাকবি যে কোন ভাবে(অন্তত সৎসঙ্গ করে) সেই পরিবারের মঙ্গল করার চেষ্টা করে যাবি। ঠিক ঠিক ভগবৎকর্ম করতে করতে যদি কারো নৈতিক অধঃপতন হয় – তার দায় আমার ! যদি সে নরকেও ডুবে যায় – আমি কথা দিচ্ছি , তাকে সেখান থেকে আমি চুলের মুঠি ধরে তুলে নিয়ে আসবো । অবশ্য এ অভয়বাক্য স্বামী বিবেকানন্দও দিয়ে গিয়েছিলেন – আজ আমি আবার বলে দিচ্ছি । যা – ভগবানের কাজ করতে করতে জীবনপাত কর – তোদের সব দায়িত্ব আমার । কিন্তু সাবধান ! তিলমাত্র আত্মসুখের ইচ্ছা বা ভোগলিপ্সা যেন না থাকে – তাহলেই সর্বনাশ !
সাপ-লুডো খেলায় দেখেছিস তো – সিঁড়ি আছে , আবার সাপের মুখ আছে ৷ সিঁড়ির গোড়ায় পৌঁছালে তোকে একেবারে উপরে নিয়ে চলে যাবে _আর যদি সাপের মুখে পড়িস তাহলে তোকে হড়হড় করে একেবারে নিচে নামিয়ে দেবে। এক থেকে একশ ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়। একটা সাপের মুখ আছে নব্বই – এর ঘরে, কত কষ্ট করে করে _কত ছোট খাটো সাপের মুখ এড়িয়ে ঘুঁটিটাকে তুই ওতদূর নিয়ে গেলি_কিন্তু তারপরেও যদি ঐ সাপটির মুখে পড়ে _তাহলে তোর ঘুঁটিকে একেবারে নিচের সাড়িতে নামিয়ে আনবে।
আধ্যাত্মিকক্ষেত্রে ও ঠিক এইরকমটাই ঘটে! কোন সাধক বহু বহু জীবনের কতশত অভিজ্ঞতা পুষ্ট হয়ে, ভোগের ধারায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে ত্যাগব্রত গ্রহণ কোরে, আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশ করে এবং কোন মঠ বা মিশনে এসে ব্রহ্মচর্য্য গ্রহণ করে! কিন্তু অনেকেই এখান থেকে আবার back-geer মারে! যে পথ ধরে এতদিন হেঁটে এসেছে _আবার সেই পথের দিকেই ফিরে ফিরে চায়, ভুলতে পারে না! মনে মনে করে _’ফিরে যাই ঐ পথে ‘_ঐ পথই বোধহয় ভালো ছিল! __ব্যস! ফেঁসে যায়! আবার নতুন করে শুরু করো! এ যেন থুতু ফেলে _সেই থুতটাই চেটে চেটে খাওয়া!
এক্ষেত্রে পরিত্রাণের উপায় _আন্তরিকভাবে প্রার্থনা অথবা সুদৃঢ় সংকল্প! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই ধরনের সংকল্প কেই’ রোক’_বলতেন, খুব রোক চাই! দু_থাকের সাধক রয়েছে,’ বীর’ এবং’ ধীর’। বীরেরা রোক করবে, আর ধীরেরা করবে প্রার্থনা! তদগতচিত্ত হয়ে প্রার্থনা! মহামায়ার এই জগৎ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য পুরুষকার তো লাগবেই! রুপ-রসাদির জাল বিছিয়ে, মায়া-মোহের বন্ধনের যে ফাঁদ পাতা জগৎ, মা মহামায়া সৃষ্টি করে রেখেছে _তা থেকে মা সহজে কাউকে ছাড়বেই বা কেন!! হয় খুব ছোট হয়ে (ধীর) অথবা অতি বড় বিশাল_বিরাট হয়ে(বীর) মহামায়ার বাঁধন কেটে বেরোতে হয়। তখনই প্রকৃত মুক্তি! শুককীট যেমন শক্ত খোলকের ভিতর থেকে বেড়িয়ে এসে প্রজাপতি হয় _এও যেন অনেকটা সেইরকম! ছিল কুৎসিত কীট বা পোকা _হোল রঙে রঙে রঙিন প্রজাপতি!! অরূপ থেকে রূপে আবার রূপ থেকে অপরূপ হয়ে ওঠা!!!” (ক্রমশঃ)