“পুরোনো সেই বনগ্রামের কথা “–য় গুরু মহারাজের স্বহস্ত রচিত দ্বিতীয় গ্রন্থ _”বাউলের মর্মকথা”-র আলোচনার শেষে, ওনার লেখা যে দুটো কবিতা এখানে দেবার কথা ছিল, আজ সেই দ্বিতীয়টি।।
*বাউলিনী*
~~~~~~~~
চেতনার উন্মেষ সেই ঊষালগ্নে
প্রেমের মর্মমূলে আমি আচ্ছন্ন,
ছন্দ সুষমার অন্তরঙ্গ আকর্ষণে
এ যাত্রাপথ প্রণয়বিহ্বল অভিসার।
আমি মহাকালের নিত্য সহচরী
যৌবনের প্রভাতে বসে
নিয়ত ভালবাসার স্বপ্ন দেখি ।
মনবার্তা বয়ে আনে অন্তঃপুরে
তরুণ সহৃদয় প্রেমদেবতা ।
ওর নিশ্চল দৃষ্টি সৌন্দর্যভরা
ভগবান এঁকেছে ওর নতুন রূপ
অধরা মাধুরী মাখায়ে ।
ঐ প্রজ্ঞালোকে অসীমের ডাক
সাগরের জলে স্বতঃস্ফূর্ত কল্লোল
ঢেউয়ের ছন্দে পূর্ণতার বাঙ্ময় পদধ্বনি
কান পেতে শুনি ঐতিহ্যের স্পন্দন।
আমার রক্তকণায় ওঠে মৃদঙ্গের বোল
নূপুরগুঞ্জিত ব্যঞ্জনায় পুলকিত ধ্বনিলোক
জ্ঞানানন্দে বাজে নটরাজের ভেরি।
ভাবের আবর্তনে জ্বলে মঙ্গল দীপারতি
ঐ থর থর কম্পিত দীপশিখা,
এ পার্থিব দেহ পুলকে রোমাঞ্চিত
কল্পনায় আমি দেবলোকে ।
এখন দেবসভায় ধ্যানলীন প্রসন্নতা
নিত্য লীলামঞ্চে আমি একাত্ম,
আবেগে অবস্তুনির্ভর আকুলতা।
এখানে ভাবাবেগে হারাবার কিছু নেই
আছে শুধু ধ্যানলীন প্রসন্নতা
আর প্রণয়বিহ্বল একাত্মতা।
*বাউলিনী*
~~~~~~~~
চেতনার উন্মেষ সেই ঊষালগ্নে
প্রেমের মর্মমূলে আমি আচ্ছন্ন,
ছন্দ সুষমার অন্তরঙ্গ আকর্ষণে
এ যাত্রাপথ প্রণয়বিহ্বল অভিসার।
আমি মহাকালের নিত্য সহচরী
যৌবনের প্রভাতে বসে
নিয়ত ভালবাসার স্বপ্ন দেখি ।
মনবার্তা বয়ে আনে অন্তঃপুরে
তরুণ সহৃদয় প্রেমদেবতা ।
ওর নিশ্চল দৃষ্টি সৌন্দর্যভরা
ভগবান এঁকেছে ওর নতুন রূপ
অধরা মাধুরী মাখায়ে ।
ঐ প্রজ্ঞালোকে অসীমের ডাক
সাগরের জলে স্বতঃস্ফূর্ত কল্লোল
ঢেউয়ের ছন্দে পূর্ণতার বাঙ্ময় পদধ্বনি
কান পেতে শুনি ঐতিহ্যের স্পন্দন।
আমার রক্তকণায় ওঠে মৃদঙ্গের বোল
নূপুরগুঞ্জিত ব্যঞ্জনায় পুলকিত ধ্বনিলোক
জ্ঞানানন্দে বাজে নটরাজের ভেরি।
ভাবের আবর্তনে জ্বলে মঙ্গল দীপারতি
ঐ থর থর কম্পিত দীপশিখা,
এ পার্থিব দেহ পুলকে রোমাঞ্চিত
কল্পনায় আমি দেবলোকে ।
এখন দেবসভায় ধ্যানলীন প্রসন্নতা
নিত্য লীলামঞ্চে আমি একাত্ম,
আবেগে অবস্তুনির্ভর আকুলতা।
এখানে ভাবাবেগে হারাবার কিছু নেই
আছে শুধু ধ্যানলীন প্রসন্নতা
আর প্রণয়বিহ্বল একাত্মতা।